![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“নিশিতে যাইয়ো ফুল বনে ও...... কে ? কে ওখানে?????? ভুউউউউউউউউউত.........!!!!!!!
ছোটবেলা দাদির কাছ থেকে ভূতের গল্প শুনার পর থেকে এই ভৌতিক বিষয়ে আমার কিঞ্চিত আগ্রহ জন্মাতে শুরু করে। এর পর থেকে যার কাছ থেকে পারি তাদের বাস্তব জীবনের ভৌতিক অভিজ্ঞতা শুনার চেষ্টা করি। যদিও এখন পর্যন্ত আমার জীবনে কোন ভৌতিক অভিজ্ঞতা হয় নাই, আর করতেও চাই না। তবে অন্যকে ভূতের ভয় দেখানোর মধ্যে আলাদাই এক মজা আছে। কলেজর হোস্টেলে থাকতে সেই মজাটা আমরা প্রায় ই নিতাম। একদিন ফার্স্ট ইয়ারে থাকতে রাত আনুমানিক ২ টার দিকে আমরা কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে কাউকে ভয় দেখানোর প্ল্যান করি। কাকে দেখানো যায়, কাকে দেখানো যায়......... হঠাৎ করে আমার এক ফ্রেন্ড সজলের কথা মনে পরে গেল। তার রোমমেট হোস্টেলে ঐ দিন ছিল না । আর সে তারতারি ঘুমিয়ে থাকে। সে একা এবং তাকে খুব ভালভাবেই ভয় দেখান যাবে। তো তাকে ভয় দেখানোর জন্য আমি আমার লুঙ্গিটাকে নেংটি বেঁধে সেই নেংটির ওপর সাদা কাপর দিয়ে ঢেকে খালি গায়ে তার দরজার সামনে মেঝের উপর শুয়ে পরলাম। আমার মুখটাও তখন সাদা কাপরে ঢাকা ছিল। আমাকে দেখতে ঠিক লাশের মত লাগছিল। তো এরপর বাকি সবাই সজলের দরজায় টোকা মেরে আশেপাশে লুকিয়ে থাকল আর সজলের অবস্থা দেখতে লাগল। সজল চোখ কছলাতে কছলাতে দরজা খুলল। আমি তো তখন কিচ্ছু দেখতে পারছিলাম না। সাদা কাপরের আড়ালে হাসিটা খুব কষ্ট করে আটকিয়ে রাখছিলাম। কিছুক্ষন পর দেখি সজল আমার উপর পানি ঢেলে দিসে। কি ব্যাপার... সে বলল যে “ভাই প্রচন্ড ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে তুমি। আরেকটু হলে হার্টফেল করতাম যদি না শিবলির(আমাদের ই এক ফ্রেন্ড) হাসি আর তাঁর লুঙ্গিটা না দেখতাম।’’
আরেক দিন ঠিক এমনই ভাবে আমার আরেক ফ্রেন্ড কে ভয় দেখাতে গিয়েছিলাম। তারা ২ রোমমেট ছিল ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট। সারাদিন পড়ালেখা করত। তো তাদের দরজায় অনেক বার টোকা দিতে তারা কোন রেসপন্স করল না। আমরাও টোকা দেওয়া চালিয়ে গেলাম। হঠাৎ তাদের মধ্যে একজন আমাদের এমন গালিগালাজ আরম্ভ করল যে সত্যিকারের ভুত যদি থাকতো সেও নিজের ইজ্জত বাঁচাতে এই এলাকা ছেড়ে পালাত। ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্টের মুখে এই রকম গালিগালাজ শুনে আমরা সবাই থ হয়ে গেলাম। এরপর সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম আর যার সাথে যাই করি তাদের থেকে ১০০ হাত দূরে থাকব।
সেকেন্ড ইয়ারে উঠার পর পড়ালেখার চাপ বেড়ে যাওয়ায় এই রকম মজা আর তেমন করা হয় নাই। তবুও ছোটখাটো মজা সবাই করতাম। একদিন শুক্রবার রাতে ভুত এফ,এম শুনে আমাদের এক ফ্রেন্ড রাকিব ঘুমাচ্ছিল। তখন আমরা তাকে ভয় দেখানোর জন্য আমাদের আরেক ফ্রেন্ড লম্বু সজলকে লেপের সাদা তোশক পরিয়ে তার সামনে খাড়া করিয়ে রেখেছিলাম। রাকিব যখন ঘুম ভেঙ্গে দেখতে পেল সাদা লম্বা কেউ একজন তার সামনে দারিয়ে আছে, সে নোয়াখালির ভাষায় চেঁচিয়ে উঠল “আই কুণো দুষ নাই। আইর কুণো দুষ নাই। আই কিচ্ছু কুই(করি) নাই”। তার এই অবস্থা দেখে আমরা সবাই দৌরে গিয়ে তাকে ধরে শান্ত করলাম।
এইরকম অসংখ্য মজার ঘটনা নিয়ে হোস্টেল লাইফটা পার করেছি। সত্যি এখন অনেক মিস করি আমার সেই হোস্টেল লাইফটা ।
১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
খাঁচার পাখি বলেছেন: ভাই, পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নাই যে সে ভয় পায় না। তার টেম্পার কুল হউক আর হট। একটু হলেও তার ভয় লাগবেই, কেউ তা প্রকাশ করে কেঁউ তা প্রকাশ করে না আর কি।
ধন্যবাদ ভাই, উৎসাহ দেওয়ার জন্য। এইখানে নতুন তো তাই ভুল থাকলে ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: সত্যি কারের ভূত আছে বলে বিলিভ করি না, হ্যা গ্রামে অনেক কিছুই শুনি আমরা, আর শহরে আমরাও অনেক ভয় দেখাই বটে, তবে যাদের টেম্পার কুল তাদের বেলায় এইটা চলে না।
আপনার অভিজ্ঞতা ভালো লাগলো। হ্যাপি ব্লগিং।