নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খাঁচার পাখি

স্বার্থপরতাকে আমি সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি। কিন্তু এই বাস্তবতা আমাকে কখন যে স্বার্থপর বানিয়ে দিল, বুঝতেই পারলাম না............।

খাঁচার পাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষোভ থেকেই বলছি.........

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

যখন কলেজে পরতাম তখন আমাদের কলেজে ৩ জন স্যার ছিলেন যারা নাস্তিক সম্প্রদায়ের অন্তরভুক্ত। এর মধ্যে একজন ছিলেন সেইরকমের নাস্তিক। তাঁকে যত যুক্তি দিয়ে আটকে দেওয়া হোক না কেন তিনি তার কথায় ঠিক থাকবেন ই। তাঁর কথা বার্তায় ছিল উগ্রতার ছোঁয়া। জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার মনোভাব তাঁর ছিল। তিনি আবার ছিলেন হুমায়ুন আজাদের অনেক কাছের মানুষ। তিনি যখন ধর্ম নিয়ে কথা বলতেন এতটা উত্তেজিত হয়ে জেতেন যে অনেকেই তাঁকে তেমন পছন্দ করত না। কিন্তু আল্লাহ ও নবীকে কখন ও গালি দেননি। কখন ও তাঁর মুখ থেকে ধর্মের বিকৃত কোন কথা শুনি নাই।

অন্য আরেক জন যিনি ছিলেন তিনি অনেক সুন্দর করে নাস্তিকতা নিয়ে বলতেন। তাঁর কথাবারতায় উগ্রতা ছিল না। তাঁর কথার প্রতিবাদ করলে উত্তেজিত হতেন তো না ই...... যুক্তি দিয়েও তাঁকে আটকানো যেত না, সুন্দর করে সেই যুক্তির বিপক্ষে আরেক যুক্তি বের করে ফেলতেন যা আস্তিকেরাও অস্বীকার করতে পারত না। মাঝে মধ্যে একটা দুইটা খারাপ কথা বলে ফেলতেন(,ওই রকম খারাপ কথা না যা আসিফ মহিউদ্দিন, আল্লামা শয়তান, থাবা বাবা বা নাস্তিক নবী রা ব্যবহার করে) তবে সেগুলা বলার আগে উনি বার বার বলতেন যে তোমরা সহ্য করতে পারবে না, এরপর ও আমরা জোর করে বলাতাম। তাঁর মধ্যে জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়ার মনোভাব ছিল না। তাঁর এইরকম মনোভাব আর কথা বলার স্টাইলের জন্য সবাই তাঁকে প্নেক পছন্দ করত।

আরেকজন স্যার ছিলেন যাকে সবাই মুখে মুখে নাস্তিক বলত কিন্তু ২ বছরের প্রায় সময় ই তাঁর ক্লাস করার সময় তাঁর মুখে উপরের ২ জনের মত ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে দেখতাম না, তবে তাঁর কিছু কাজ কর্মে বুঝা যেত যে তিনি নাস্তিক।

আমার মতেএরাই হল আসল নাস্তিক। ধর্ম নিয়ে কথা বলবে কিন্তু ব্যাঙ্গাত্তক কথা বলতে গেলে গেলে ঠিক ই কেয়ার করবে কারও মনে আঘাত লাগে কি না। তারা ৩ জনের একই বক্তব্য ছিল, নাস্তিকতা তাদের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার, এতে তাঁরা কারও উপর জোর করে চাপিয়ে দিবেন না। এদের দেখে মনে হত যে নাস্তিকতা আসলেই অনেক অনেক সুন্দর, সুশ্রী। কিন্তু আজকাল ফেইসবুক সহ বিভিন্ন ব্লগে কিছু নাস্তিক মানুষদের লেখা পরলে মাথা গরম হয়ে যায়, মনে হয় তারা যেন নাস্তিক হয়েছেন ফ্যাশন দেখাতে। তারা এই সব লিখে প্রমান দিতে চান যে তারা খুব ভাল বুঝেন। তারা আবার নিজেদের মুক্ত মনা দাবি করেন!!! কিন্তু আমার মতে এই সব কুৎসিত মনের মানুষেরা মুক্তমনা হয় কিভাবে......?? মুক্তমনা হতে যে একটা ভাল মন লাগে আর সেই ভাল মন যে তাদের নে সেটা কি তারা জানে না ??? থাকলে তো কারও ধর্ম নিয়ে এইরকম কথা বলতা পারত না। তাদের নাস্তিক বললেও নাস্তিকের অপমান হয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা যদি কোন ধর্মকে গালি দিয়ে কথা লেখা হয় তাহলে ধিক্কার জানাই সেই স্বাধীনতার।

ছোট মুখে অনেক বড় কথা বলে ফেললাম। বলার কারন ও অবশ্য আছে। ব্লগিং এ লেখালেখি করার কিঞ্ছিৎ ইচ্ছা আমার আছে, কিন্তু এই সব আজে বাজে ফাউল নাস্তিক ব্লগারদের জন্য আজ ব্লগিং জিনিসটা সম্পরকে মানুষের খারাপ ধারনা জন্মাচ্ছে। মানুষদের বুঝানো সম্ভব হচ্ছে না যে ব্লগার মানেই নাস্তিক নয়। ব্লগে ধর্ম সম্পকেও ভাল কথা লেখা হয়। কিন্তু কি আর করার, এখন যেহেতু নাস্তিকতার ঢেউ উঠেছে তা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় আছে বলে মনে করি না।







মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫১

জীবন্মৃত০১ বলেছেন: সরকার সব নাস্তিক ব্লগারকে ধরে পরিসংখ্যানগতভাবে প্রমাণ করুক দেড় লক্ষ ব্লগারের মধ্যে নাস্তিকদের সংখ্যা ১১ এর বেশি নয়।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৪১

খাঁচার পাখি বলেছেন: ঠিক বলসেন ভাই। এই কাজ যদি সরকার করতে পারে তাহলে তাহলে সরকার ধন্যবাদ পাবার যোগ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.