![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
>Sharing is caring, caring is loving! > "Love to share with others, care with each others to make a beautiful world. > "-Me " Enjoy life, because life is phenomenal! It's a magnificent trip!
অ্যান্টার্কটিকা। বাংলায় কুমেরু বা দণি মেরু। পৃথিবীর সাতটি মহাদেশের একটি হল এই অ্যান্টার্কটিকা। চিরতুষারাচ্ছন্ন এই মহাদেশ আসলে বরফে ঢাকা পার্বত্য মালভূমি। এখানে বরফের স্তর কোথাও কোথাও প্রায় দুই কিলোমিটার পুরু। এর অবস্থান হিমমণ্ডলে হওয়ায় এখানে সবসময় বিরাজ করে তীব্র ঠান্ডা। একারনে এখানে মানুষ বাস করতে পারে না। তবে এখানে আবহাওয়া বিজ্ঞান ও অন্যান্য গবেষণার জন্যে অনেক দেশের গবেষণা ঘাঁটি আছে। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতেরও একটি গবেষণাগার ওখানে আছে।
অ্যান্টার্কটিকার হিমশীতল পরিবেশেও বিরল কিছু প্রাণী বাস করে, যেগুলোকে পৃথিবীর আর কোথাও খুজে পাওয়া যায় না। এখানকার হিমশীতল বৈরী পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণীদের জীবন যাত্রার মধ্যে অনেক বিচিত্র ও স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ল করা যায়। পেঙ্গুইন এখানকার অন্যতম প্রাণী। পেঙ্গুইন স্পেনিসিফোর্সস গোষ্ঠির বিচিত্র এক সামুদ্রিক পাখি। পেঙ্গুইন পাখি হলেও, পাখনা ছোট বলে উড়তে পারে না। তবে এরা খুব ভাল সাঁতারু। এরা মানুষের মত খাড়া হয়ে হাঁটে।
আর্শ্চয হলেও সত্যি, এই পেঙ্গুইনদের মধ্যেও আছে পতিতাবৃত্তি, আছে পতিতালয়। পেঙ্গুইনদের বৈচিত্র্যময় জীবন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর সর্বদণি প্রান্তে রেডলাইট জোন এর অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছেন। পুরুষ পেঙ্গুইনরা এই নিষিদ্ধ পল্লীর খদ্দের আর এদের সেবা দেয় ঘর-সংসার ও জুটিবিহীন কিছু মেয়ে পেঙ্গুইন। দণি মেরু থেকে প্রায় তেরোশো কিলোমিটার দুরে রস আইল্যান্ডে রয়েছে এই নিষেদ্ধ পল্লী । এখানে ছোট ছোট পাথরের বিনেময়ে মেয়ে পেঙ্গুইনরা দেহদান করে। মেয়ে পেঙ্গুইনদের কাছে পাথরগুলো খুবই মূল্যবান। কারন এই পাথর দিয়েই তারা ডিম পাড়ার উপযোগী বাসা তৈরি করে। অথচ এই পাথরগুলো মোটেই সহজলভ্য নয়। পাথর দিয়ে গাদা করে বাসার মধ্যে এরা ডিম পাড়ে । ফলে ডিমগুলো শুকনো ও নিরাপদে থাকে।
সঙ্গমে ইচ্ছুক পুরুষ পেঙ্গুইনরা ছোট ছোট পাথরগুলো সংগ্রহ করে মুখে করে বয়ে নিয়ে আসে। সরবরাহ কম থাকায় মেয়ে পেঙ্গুইনরা দেহ দানের বিনিময়ে পাথরগুলো সংগ্রহ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক সময় খদ্দের পেঙ্গুইনরা পতিতাদের সেবায় এতই তৃপ্ত হয় যে তারা আবারও পাথর সংগ্রহ করে আনে মিলিত হবার জন্যে। এখানে একটি বিশেষ ব্যাপার লণীয় যে পেঙ্গুইনরা সাংঘাতিক রকমের একগামী। অর্থাৎ একটা স্ত্রী ও পুরুষ পেঙ্গুইন জুটি বাঁধে এবং এরা জুটির বাইরে অন্য কারও সাথে যৌন মিলন করে না। তাই পতিতা পেঙ্গুইন কলহ এড়ানোর জন্যে জুটিবদ্ধ কোন পুরুষকে দেহদান করে না। এরা সবসময় জুটিবিহীন পুরুষকেই দেহদান করে। কিন্তু তারা কেন এরকম করে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে পতিতা পেঙ্গুইন পায় নীড় বাঁধার মূল্যবান পাথর আর পুরুষ পেঙ্গুইন পায় মিলনের সুযোগ। এদের মিলনের ফলে অনেক সময় বাচ্চা হয় বটে, কিন্তু সেই বাচ্চার লালন-পালন বা পরিচর্যার ব্যাপারে পুরুষ পেঙ্গুইনের কোন দায়িত্ব থাকে না। জুটিবদ্ধ পেঙ্গুইনের জন্যে যেটা সাংঘাতিক ব্যতিক্রমী ব্যাপার। বিজ্ঞানীদের ধারনা, মেয়ে পেঙ্গুইনরা পতিতা বৃত্তিতে লিপ্ত হয়ে অবৈধ যৌন মিলনের দ্বারা সন্তানের জেনেটিক বৈচিত্র্য বাড়িয়ে তোলে।
২| ২১ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:৪২
...অসমাপ্ত বলেছেন: মার্চ অফ দ্যা পেঙ্গুইনস দেখেছেন .... ?
http://wip.warnerbros.com/marchofthepenguins/
....এইটা দেখার পর ভেবেছিলাম আহারে ক্যান যে আশেপাশে কোথাও পেঙ্গুইনের বসবাস নাই। ...বিরাট আফসোস।
...ভাল লেখায় অবশ্যই ++++...
৩| ২১ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:৫৩
ভুডুল বলেছেন: +
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:২৪
তৃষ্ণার্ত বলেছেন: বড়ই আশ্চর্য ব্যাপার!