নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখি মানুষ

ভালো আছি

টনি

>Sharing is caring, caring is loving! > "Love to share with others, care with each others to make a beautiful world. > "-Me " Enjoy life, because life is phenomenal! It's a magnificent trip!

টনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকাশে অদ্ভুত ঘটনা

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৯

বিভিন্ন সময়ে আকাশে চলাচলকারী বিমান, যাত্রীবৃন্দ, পাইলট বিভিন্ন অদ্ভুত ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে যা এখনও ব্যাখ্যাতীত। এর মধ্যে কয়েকটি তুলে ধরছি।

এক

১৯৬২ সালের কোন একদিন ন্যাসো এয়ারপোর্টে কিছু যাত্রী নামিয়ে চার্টার বিমান নিয়ে বিমিনি এয়ারপোর্টে ফিরে আসছিল পাইলট চাক ওয়েকলি। বিমান এবং হেলিকপ্টার চালানোয় অভিজ্ঞ পাইলট চাক এই এলাকায় নতুন। অ্যান্ড্রস দ্বীপ ছাড়িয়ে পঞ্চাশ মাইল এগুনোর পর উইংস-এর উপর মৃদু আলোর প্রলেপ দেখে অবাক হলো চাক। সমুদ্র সমতল থেকে আট হাজার ফুট উচ্চতায় তখন সে। ককপিটের আলো প্লেক্সিগ্লাসে আবৃত জানালা দিয়ে উইংসের উপর পড়ে অনেক সময় এ রকম ধাঁধা সৃষ্টি করে, এটা জানে চাক।কিন্তু, সাদা রঙের উইংসে ফিকে নীলচে-সবুজ আলো আসছে কীভাবে?

আস্তে আস্তে বেড়ে গেল ফিকে নীলচে-সবুজ আলোর জ্যোতি। চোখ খুলে রাখতে পারছে না চাক, হাত দিয়ে চোখ আড়াল করে ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল দেখে ভীষণ অবাক হলো চাক। ইচ্ছেমত দিক নির্দেশ করছে কম্পাস, ফুয়েল গজ অ্যান্ড্রস দ্বীপের উপর দেখাচ্ছিল ‘হাফ’ এখন দেখাচ্ছে ‘ফুল’। ইলেকট্রিক অটো পাইলটে চলছিল প্লেন, হঠাৎ ডান দিকে ঘুরে গেল প্লেনটা নিজে থেকেই। সাথে সাথে অটো পাইলট বন্ধ করে ম্যানুয়ালি কন্ট্রোল নিল চাক। কিছুই বুঝতে পারছেনা সে, সমস্ত ইলেক্ট্রিক্যাল ইকুইপমেন্টস অদ্ভুত আচরণ করছে কেন। উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত বিমানের আলোর উৎস কি।

প্রয়োজনীয় কোন যন্ত্রপাতি কাজ না করায় আকাশের তারা দেখে দিক নির্ণয় করতে চাইল চাক, কিন্তু ব্যর্থ হলো সুতীব্র আলোর জন্য। বিমানকে নিজের ইচ্ছামত চলতে দিল সে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা ব্যতীত আর কোন কিছুই করবার নেই। এদিকে আলোর তীব্রতা আরও বাড়ছে। পাঁচ মিনিট পর আস্তে আস্তে কমে যেতে লাগল রহস্যময় আলো। আলো একেবারে চলে যাবার পর স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে শুরু করল সমস্ত ইলেকট্রিক্যাল ইকুইপমেন্টস, কম্পাস। নিজের অবস্থান নির্ণয় করল চাক। গন্তব্যস্থল থেকে মাত্র পঞ্চাশ মাইল দুরে চলে গেছে ও। এরপর অটো পাইলট চালু করে নিরাপদেই বিমিনি এয়ারপোর্টে ফিরে আসল চাক।

এয়ারপোর্টে নেমেই অন্যান্য পাইলটদের বিষয়টা জানাল সে। তাকে অবাক করে দিয়ে তারা বলল, চাক নতুন এসেছে, সামনে আরও অনেক কাণ্ড কারখানা দেখবে। অর্থাৎ ওই এলাকার পাইলটবৃন্দ আকাশে ওই অদ্ভুত ঘটনা দেখে অভ্যস্ত।

দুই

১৫ নভেম্বর ১৯৭২, চমৎকার এই শেষ বিকেলে দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিচক্র্যাফট বিমান গ্রেট একজুমার জর্জ টাউন বিমান বন্দর থেকে আকাশে উড়ল। গন্তব্য পোর্ট লডারডেল। যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন ডা. এস.এফ জ্যাবলনকি, যিনি একজন মনোবিজ্ঞানী। ডা. জ্যাবলনকি এই কাহিনী বলেছেন।

মিনিট দশেক পর ‘টাং অভ দি ওশন’ নামক একটি জায়গায় এসে পৌছানোর সাথে সাথেই বিকল হয়ে গেল বিমানের সমস্ত যন্ত্রপাতি। ‘টাং অভ দি ওশন’ গ্রেট একজুমার উত্তর-পশ্চিমে। নিকটবর্তী বিমান বন্দর নিউ প্রভিডেন্স এয়ারপোর্ট, ষাট মাইল উত্তরে। সেদিকেই বিমান নিয়ে রওনা হলো পাইলট। আকাশে তখনও সূর্য রয়েছে সুতরাং কম্পাস ব্যবহার না করেও এয়ারপোর্টে নামতে পারবে সে। কম্পাস ব্যবহার করবার কোন উপায়ও নেই, কারণ কম্পাস বিকল।

একটু পরেই খেয়াল হলো পাইলটের বিদ্যুৎ না থাকায় রেডিও চলবে না, সিগন্যাল লাইটও জ্বলবে না। অর্থাৎ কন্ট্রোল টাওয়ারকে কোন খবরই দিতে পারবে না ওরা। সুতরাং অ্যান্ড্রস এয়ারট্রিপে নামবার সিদ্ধান্ত নিল পাইলট। ওখানে নামতে গিয়েই সবেেয় বড় সমস্যাটার মুখোমুখি হলো পাইলট। বিদ্যুৎ না থাকায় হাইড্রলিক সিস্টেম অচল, ফলে চাকা নামাতে পারবে না সে। এভাবে নামলে সেটা হবে ক্র্যাশ ল্যান্ডিং যা আত্মহত্যার শামিল। সুতরাং আবার বিমান নিয়ে উঠে যেথে চাইল সে। কিন্তু কিছুতেই বিমানের নাক সোজা করতে পারল না। মনে হচ্ছে কেউ যেন বিমানটাকে ভাসিয়ে রেখেছে। একটা খেলনা বিমানের নাক নীচের দিকে করে ধরে রাখলে যে রকম অবস্থায় থাকে ঠিক সেরকম অবস্থা। পাইলট আর সোজা করল না প্লেনের নাক । ধীরে ধীরে নামতে শুরু করল বিমান, ইঞ্জিন চালু আছে, তারপরেও নামবার গতি অত্যন্ত ধীর। গতি বাড়ানোতেও কোন কাজ হলো না। আস্তে করে প্রপেলার স্পর্শ করল এয়ারস্ট্রিপের মাটি তারপর বিমানের পেট। একটা খেলনা বিমানকে মাটিতে নামিয়ে রাখবার মত করে এয়ারস্ট্রিপে অবতরণ করল বিমানটা।

পাইলট এবং যাত্রীরা বের হয়ে আসল অক্ষত অবস্থায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শুধু বিমানের প্রপেলার, আর সব ঠিক আছে। একটু পরেই সবাইকে হতভম্ব করে সচল হয়ে উঠল বিমানের সবগুলো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, হাইড্রলিক সিস্টেম । জরুরী মুহূর্তে ব্যবহারের জন্য প্লেনে স্পেয়ার প্রপেলার ছিল, সেটা লাগিয়ে দিল টেকনিশিয়ান । পরের দিন নিরাপদেই ফোর্ট লডারডেলে অবতরণ করেছিল বিমানটা।

তিন

১৯৬১ সালের এক রৌদ্রকরোজ্জ্বল সকাল। নীল আকাশের এখানে সেখানে হালকা সাদা মেঘ। এই চমৎকার সকালে আমেরিকার ওয়াইও স্টেটের আকাশে বিমান চালাচ্ছিল এক পাইলট । হঠাৎ সাদা মেঘের আড়াল থেকে বের হয়ে আসা বিমানটাকে দেখে হতভম্ব হয়ে গেল পাইলট। কাঠ আর ক্যাম্বিশের তৈরি একটা বাইপ্লেন। প্রথম মহাযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত বিমান এই ১৯৬১ সালে! বাইপ্লেনটাকে সোজা নিজের বিমানের দিকে আসতে দেখে সংঘর্ষ এড়াতে বিমানের নাক উপরে তুলে ফেলল আধুনিক পাইলট। সাঁ করে নীচ দিয়ে চলে যাওয়া বাইপ্লেনটা দেখবার জন্য পেছন ফিরে তাকাতেই দ্বিতীয়বার হতভম্ব হলো পাইলট। পরিষ্কার নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। বাইপ্লেনের কোন চিহ্নই নেই, যেন ওটা ছিলই না এখানে।

সাথে সাথে বিমান নিয়ে মাটিতে নেমে এসে সবাইকে ঘটনাটা জানাল পাইলট । সিভিল এরোনটিক বোর্ডও শুনল ঘটনাটা। কিন্তু সবাই হেসে উড়িয়ে দিল এবং ভুলে গেল । কিন্তু সেই পাইলট ভুলতে পারল না ঘটনাটা। বিভিন্ন ফ্লাইং ক্লাবে খোঁজ নিতে শুরু করল সে পঞ্চাশ বছরের পুরনো মডেলের একটা সচল বাইপ্লেন আছে কিনা।

অবশেষে খোঁজ পাওয়া গেল। কিন্তু প্লেনটি অচল। এক গ্রাম্য ডাক পিয়ন খবর দিল গ্রামের কাছেই একটা ফার্মে অনেক পুরনো একটা বাইপ্লেন আছে, কিন্তু সেটি চলে না।

একজন বন্ধু সহ ডাকপিয়ন নির্দেশিত ফার্মে পৌছে বিশাল এক রেন ট্রির নীচে পড়ে থাকা পুরনো একটা বাইপ্লেন দেখে চমকে উঠল পাইলট, হুবহু সেই প্লেন যেটাকে আকাশে দেখেছিল সে। কিন্তু তা কী করে সম্ভব? প্লেনের উপর পুরু ধুলোর আস্তরণ, আর প্লেনের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ত্রিশ-চল্লিশ বছর ধরে ওটা এখানেই আছে।

বাইপ্লেনে একজোড়া গগলস, একটা সেকেলে হেলমেট এবং একটা ব্যাগ খুঁজে পেল পাইলট। ব্যাগ থেকে লগবুক বের করে সেটা পড়ে ভীষণ চমকে উঠল সে। ওতে লেখ:‘আশ্চর্য! ঝকঝকে রুপালি একটা প্লেন দেখলাম আকাশে। কিন্তু এত উন্নতমানের প্লেন কে তৈরি করল? চেহারা দেখ মনে হচ্ছে আরও পঞ্চাশ বছর পর তৈরি হওয়া উচিত ছিল ওটার। আরও আশ্চর্য, বোধহয় আমাকে ধাক্কা দিতে ছুটে এসেছিল ওই অদ্ভুত প্লেনটা, কিন্তু শেষ মুহুর্তে মত পরিবর্তন করে ওপর দিয়ে উড়ে গেল’। লেখার নীচে ঘটনার সন উল্লেখ করা আছে। ১৯১১ সালের একটা তারিখ!

কী ঘটেছিল আসলে সেই রৌদ্রকরোজ্জ্বল সকালে? যখন মুখোমুখি হয় প্রাচীন ও আধুনিক বিমান দুটি? এই ঘটনা বিশ্বাস করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেন, এরকম হওয়া সম্ভব, দুটি ঘটনা হতে পারে। প্রথমত, বর্তমান থেকে (১৯৬১ সাল) অতীতে চলে গিয়েছিল আধুনিক বিমানের পাইলট, ১৯১১ সালের সেই রৌদ্রকরোজ্জ্বল সকালে, সেখানে সাক্ষাৎ হয় প্রাচীন বিমানটির সাথে। দ্বিতীয়ত, অতীত (১৯১১ সাল) থেকে বর্তমান (১৯৬১ সাল) চলে এসেছিল প্রাচীন বিমানের পাইলট এবং আধুনিক বিমানের মুখোমুখি হয়।

কিন্তু সময় পরিভ্রমণ অসম্ভব এবং কাল্পনিক একটি বিষয় বলে কোন কোন বিজ্ঞানী মনে করেন। আর কোন রকম যন্ত্র ব্যতীত যেমন টাইম মেশিন, কীভাবে অতীত এবং ভবিষ্যৎ মুখোমুখি হলো সেটিও রহস্যময় বিষয়। যার উত্তর আজও মেলেনি।

চার

এবারের ঘটনা আরও অদ্ভুত। মায়ামি এয়ারপোর্টের ঘটনা । কন্ট্রোল টাওয়ারে একজন রাডার অপারেটর রাডার স্ক্রিনে একটি বিমানকে মনিটর করছিল, হঠাৎ রাডার স্ক্রিন থেকে অদৃশ্য হয়ে গেল বিমানটি । পরবর্তী দশ মিনিট আর কোন খোঁজ পাওয়া গেল না বিমানটার। কোন রেডিও যোগাযোগ নেই, রাডার স্ক্রিনেও অনুপস্থিত।

দশ মিনিট পর রাডার স্ক্রিনে আবার আগের জায়গাতেই দেখা গেল বিমানটাকে। কিন্তু বিমান থেকে কোন সমস্যার কথা জানাল না পাইলট। পাইলট অবাক হলো। কারণ, নির্ধারিত সময়েই বিমান নিয়ে অবতরণ করেছে সে। ঘড়ি দেখেও একই কথা বলল পাইলট কন্ট্রোল টাওয়ারকে। কন্ট্রোল টাওয়ারের রাডার অপারেটরও নিজ সিদ্ধান্তে অটল, পাইলট দশ মিনিট দেরি করেছে। শেষ পর্যন্ত কন্ট্রোল টাওয়ারের ঘড়ির সাথে নিজের ঘড়ির সময় মিলিয়ে দেখল পাইলট, তার ঘড়ি দশ মিনিট স্লো। তাড়াতাড়ি ওই বিমানে আসা সহকর্মীদের ঘড়ি দেখল, সবার ঘড়িই একই সময় দিচ্ছে, যা প্রকৃত সময় থেকে দশ মিনিট পেছনে!

অর্থাৎ ওই বিমানের সবার ঘড়ির সময়কে দশ মিনিটের জন্য থামিয়ে দিয়েছিল অজানা কোন এক শক্তি, আর দশ মিনিটের জন্য অদৃশ্য হয়েছিল বিমানটা, তখন কি আকাশে কোন অদৃশ্য সুড়ঙ্গে প্রবেশ করেছিল বিমানটা, যেখানে ঢুকলে থেমে যায় সময়?

এছাড়াও আরও অনেক অব্যাখ্যাত, অমীমাংসিত রহস্য ছড়িয়ে আছে সাগরে, আকাশে, এই বিশাল পৃথিবীর সর্বত্র। পরবর্তীতে সেগুলো নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব।









তথ্যসূত্র: সংগৃহীত





মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৯/-১

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৪

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: পড়েছিলাম ঘটনা গুলো ।

যদিও ফিকশন , ভীষণ আগ্রহ নিয়ে পড়েছিলাম

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ও ভিনগ্রহের অতিথি নামের বেশ কিছু বই আছে সেবা প্রকাশনীর । ওই বইগুলোতে এই কাহিনীগুলো আছে। অবাক করা ঘটনা সবগুলো।
আপনার ও অন্যদের সুচিন্তিত মতামতও চাই
Click This Link

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৮

ফিরোজ-২ বলেছেন: যদিও ফিকশন , ভীষণ আগ্রহ নিয়ে পড়েছি

ভালো লাগলো+++

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:১৪

আলী-হায়দার বলেছেন: ফিকশন মানেই কল্পনাশক্তির ব্যবহার ... ধন্যবাদ অফিসিয়াল ঘেয়েমির মাঝে একটু সময়ের জন্য হারিয়ে যাওয়া....

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:১৫

হুমায়রা হারুন বলেছেন: খুব ভাল লাগলো পড়ে।+++++

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৬

মুছাব্বির বলেছেন: খুব ভাল লাগলো। লেখার সুত্রগুলো কি? আসলেই ফিকশন না বাস্তবে ঘটেছিল? ৩ নাম্বার ঘটনাটা তো পুরা রিলেটিভিটি টাইম এর একটা অসম্ভব উদাহরণ হইছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.