![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
কোর্ট ম্যারেজ সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানার কারণে নানান জটিলতায় পড়তে হয়। অনেক সময় প্রেমিক-প্রেমিকা আদালতপাড়ায় আইনজীবীর চেম্বারে গিয়ে বলে তারা কোর্ট ম্যারেজ করতে চায়। অনেক আইনজীবীও কোর্ট ম্যারেজ বিষয়টি ব্যাখ্যা না দিয়ে বিয়ের একটি হলফনামা সম্পন্ন করে দেয়। কিন্তু আইনে কোর্ট ম্যারেজ বলে কোনো বিধান নেই। যুবক-যুবতি বা নারী-পুরুষ স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একত্রে বসবাস করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে যে হলফনামা সম্পাদন করে থাকে, তাকেই প্রচলিত ভাষায় কোর্ট ম্যারেজ বলে। এটি একটি লোকমুখে প্রচলিত শব্দ। এ হলফনামাটি ২০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখে নোটারি পাবলিক কিংবা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
হলফনামা মূলে বিয়ে করলেই হবে না, আইনের আওতায় তা রেজিষ্ট্রি করে নিতে হবে।
মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রিকরণ) আইন, ১৯৭৪-এর ধারা ৫(২) অনুযায়ী যে ক্ষেত্রে একজন নিকাহ রেজিস্টার ব্যাতিত অন্য ব্যাক্তি দ্বারা বিবাহ অনুষ্টিত হয় সে ক্ষেত্রে বর বিবাহ অনুষ্টানের তারিখ থেকে পরবর্তী (৩০) ত্রিশ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্টারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
ধারা ৫(৪) অনুযায়ী অত্র আইনের বিধান লঙ্গন করলে দুই বছর পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
****মনে রাখতে হবে বিয়ে যদি বিবাহ অনুষ্টানের তারিখ থেকে পরবর্তী (৩০) ত্রিশ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্টারের/কাজী অফিসে রেজিষ্ট্রী না করা হয় তাহলে আইনগত কোন ভিত্তি থাকবেনা। কোন এক সময় যদি এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ত্যাগ করে তাহলে আইনগত কোন প্রতিকার পাবেনা।
***আরো মনে রাখবেন, ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী কমপক্ষে দুজন সাক্ষী এবং বর পক্ষের প্রস্তাব ও কনে পক্ষের গ্রহণের মাধ্যমেই বিবাহ সহি শুদ্ধ হবে।
***এছাড়া যদি কাবিন রেজিষ্ট্রী করা না হয় তাহলে স্ত্রী মোহরানা আদায় করতে ব্যার্থ হবে। বাস্তবে দেখা যাবে যে তারা যে স্বামী-স্ত্রী তা প্রমাণ করাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কাবিননামা না থাকার কারণে। যদি তা না করে কেবল মাত্র আবেগের বসে কোর্ট ম্যারেজ করা হয় তাহলে সঙ্গী কর্তৃক প্রতারিত হবার সম্ভবনা অধিক।
***নিকাহনামা বা কাবিননামা ছাড়া বিয়ে প্রমাণ করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বিয়ে নিবন্ধন করা থাকলে তালাকের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা সহজ হয়।
***স্ত্রীর দেনমোহর ও ভরণপোষণ আদায়ের জন্য কাবিননামার প্রয়োজন হয়। সন্তানের বৈধ পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য কাবিননামার প্রয়োজন হয়। কাবিননামা ছাড়া শুধু বিয়ের হলফনামা সম্পন্ন করা হলে বৈবাহিক অধিকার আদায় দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
*** হিন্দু বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই হিন্দু আইনের প্রথা মেনেই প্রাপ্তবয়স্ক পাত্র ও পাত্রীর মধ্যে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। বর্তমানে হিন্দু বিয়েতে নিবন্ধনের বিষয়টি ঐচ্ছিক করা হয়েছে।
- এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৯
মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: হুম ! জানার বিষয়।
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৫
তারেক ফাহিম বলেছেন: কোর্ট আঙ্গিনায় দালালে ভরা।
যুবক-যুবতি আবেগে পড়ে বিয়ে করতে গিয়ে শুধুমাত্র নোটারী করে নেয়, নিকাহ নামা কিংবা ম্যারেজ সার্টিফিকেট নেয়ার গুরুত্ব থাকে না।
জানা হল, আপনি কি নোয়াখালী জজ কোর্টে আছেন?
৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩২
রানার ব্লগ বলেছেন: তালাকের কি বিধান !!!! ????
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।