নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস অসমাপ্ত জবানবন্দী, নিরু, গায়েবি শৃঙ্খল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’ ও ‘একাত্তরের অবুঝ বালক’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঋণের মামলায়/অর্থঋণ মামলায় একতরফাভাবে রায়/ওয়ারেন্ট হলে করণীয়

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৩


ব্যাংক থেকে গৃহিত ঋণের কিস্তি নিয়মিতভাবে পরিশোধ করতে না পারলে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ঋণ গ্রহিতার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। যা অর্থঋণ মামলা নামে পরিচিত এবং অর্থঋণ মামলা গুলো পরিচালনার জন্য নির্ধারিত আদালত রয়েছে যাকে বলা হয় অর্থঋণ আদালত। অর্থঋণ আদালতের কার্যক্রম দেওয়ানী প্রকৃতির হলেও প্রয়োগিক ক্ষেত্রে কিছুটা কঠোরতা রয়েছে। যেমন: মামলা চলাকালীন সময়ে ওয়ারেন্ট হয়ে যাওয়া, বিন্ধকী সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে দেওয়া, ঋণের জিম্মাদারকেও ঋণ গ্রহিতার মতো আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করা এবং গ্রেফতার হলে রায়ে উল্লেখিত টাকার ২৫% পরিশোধ না করলে জামিন না দেওয়া। এমনকি একবার গ্রেফতার হলে সম্পূর্ণ টাকা ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে পরিশোধ করার অঙ্গীকার করেই জেল থেকে ছাড়া পাওয়া এমন নানা বিষয় রয়েছে যা ঋণ গ্রহিতা/জিম্মাদার/ওয়ারিশদের ভাবিয়ে তুলে।

যাইহোক, আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হলো আপনার বিরুদ্ধে ঋণের মামলায়/ অর্থঋণ মামলায় আপনার অজ্ঞাতে একতরফা রায় হয়ে গিয়েছে। এমনকি অর্থজারী মামলা হয়ে (প্রথমে অর্থঋণ মামলায় রায় হয় এবং তৎপরবর্তীতে রায়টি প্রয়োগ করার জন্য জারী মামলা করা হয় যা অর্থজারী মামলা নামে পরিচিত) সেখানে ওয়ারেন্টও হয়ে গিয়েছে । অথচ আপনি কিছুই জানতেন না/কোন প্রকার সমনও পান নি। এক্ষেত্রে এই অবস্থায় আপনার করণীয় কী?



হ্যাঁ, হতাশ হওয়ার কারণ নেই। এমন পরিস্থিতিতে আপনি অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ১৯ (২) ধারার বিধান মোতাবেক সংশ্লিষ্ট অর্থঋণ আদালতে রায়/ডিক্রি রদের জন্য দরখাস্ত দাখিল করতে পারবেন। যা মিস কেইস (বিবিধ মামলা) নামে পরিচিত। তবে শর্ত হলো, মিস কেইস (বিবিধ মামলা) করতে হবে রায়ের বা রায় সম্পর্কে জানার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে। আপনি কবে জানতে পেরেছেন তার সুষ্পষ্ট এবং সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে হবে। আর সবচেয়ে বড় শর্ত হলো, মিস কেইস (বিবিধ মামলা) করতে হলে রায়/ডিক্রি কৃত টাকার ১০% টাকা মামলা করার সময়েই আদালতে জমা দিতে হবে কিংবা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে দাখিলের পরবর্তী ১৫ (পনের) দিবসের মধ্যে জমা দিতে হবে নগদায়নযোগ্য বিনিময় দলিলের মাধ্যমে। মনে রাখতে হবে, পরবর্তী ১৫ (পনের) দিন, ১৫ কর্মদিবস নয়



মিস কেইস (বিবিধ মামলা) মঞ্জুর হওয়ার পর মামলাটি পুনঃরায় শুনানির পর ধাপে চলে যাবে এবং আপনি আপনার স্বপক্ষে শুনানি করা, দলিলাদি উপস্থাপন, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে পারবেন। আর যদি জারি মামলাতে ওয়ারেন্ট হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে দরখাস্ত দিয়ে মিস কেইস (বিবিধ মামলা) মঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করতে হবে এবং ওয়ারেন্ট/পরোয়ানা রি-কল/প্রত্যাহার করার আবেদন দিতে হবে। আদালত ওয়ারেন্ট/পরোয়ানা রি-কল/প্রত্যাহার করার পর আপনার আর গ্রেফতার হওয়ার ভয় নেই।


-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)

লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু, 'অসমাপ্ত জবানবন্দী' এবং 'গায়েবি শৃঙ্খল'; মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' । এপার বাংলার আইন বিষয় উপন্যােসের পথিকৃত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.