![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা কিছু দেখি, সবই বুঝতে চেষ্টা করি, অনুভব করতে চেষ্টা করি, অনুধাবন করি। সবই নীরবে নিভৃতে।
পরীক্ষার হল, চারিদিকে কি গভীর নীরবতা,
লিখিতেছে সবাই, বসে আছি আমি একা।
সকলেই দিচ্ছে তাদের কর্মের হিসেব-নিকেশ,
করিতেছে পৃষ্ঠা লিখে একের পর এক শেষ।
সামনে রাহুল, পিছনে রোজিনা,
ডানে ও বায়ে যাহারা আছে সবাই তো অচেনা।
তন্ময় তাকিয়ে আছে দক্ষিণ-পূর্বে, মাইনুল তাকায় পেছনে,
প্রত্যয়ী রাজ তো লিখেই যাচ্ছে আপনমনে।
সামনে পিছনে দু'জনেই অচেনা, আফরিন মাঝে একা
মেনে নিতে পারছি না, তন্ময় এর একা বসে থাকা।
সবাই লিখিতেছে, আমি শুধু দেখিতেছি চাহিয়া
নানা চিন্তা মাথায় আসিতেছে স্রোতের মত বহিয়া।
হঠাৎ পড়িল চোখ উত্তরপত্রের কাভার পৃষ্ঠায়,
কিঞ্চিৎ ব্যাথা চাঁড়া দিয়া উঠিল মাথায়।
খাতা জমা দেওয়ার আগে হলে থাকিতে হইবে ঘন্টা দুই,
কি করিব, কি করিব আমি এই ভেবে দিশেহারা হই।
আচমকা ডুবি গেলাম মোর ভাবনারই জগতে,
কত জাগি উঠিল মোর ভিতর হইতে।
ছন্দময় স্ট্যাটাস নিত্য নাহিদ ভাইয়া লিখে কি করিয়া?
যুব্বা ভাই কেন তার প্রেমের খবর দিল বাতাসে উড়াইয়া?
পাইনি উত্তর তার, শুধুই খুজিয়াছি,
নানা কথা ভাবিয়াছি কিন্তু সঠিক জবাব নাহি পাইয়াছি।
রাজ স্তব্ধ হইয়াছে শুধুই ভালবাসিয়া,
প্রকৃত ভালবাসা কি হারাইয়া যায়, জীবনে একবার আসিয়া?
ভাবিয়া পাই না আমি, তন্ময় কেন থমকিয়া দাড়াইয়াছে?
জীবন তো থেমে যায় নি, এখনো অনেকটা তার বাকি আছে।
মাইনুল হঠাৎ করিয়া হইল কবি হিসেবে উদয়,
বুঝিনি কখনো, আগে থেকেই ছিল সে প্রতিভাময়।
পাপন হইয়াছে কাতর, পড়িয়াছে দু'টানায়
কি দেখাইল তাহাকে ঈশ্বর, স্বপ্নের ইশারায়।
মানুষের পরিবর্তন আসে না তো বলিয়া কহিয়া,
ইহাই আমি ভাবি শুধু, নোমানের দিকে চাহিয়া।
নীলিমা কে আমি আজো পারিনি চিনিতে, সে বড়ই রহস্যময়ী
হারিয়া গিয়াছি তাহার কাছে, মনে হয় তাকে আজ আততায়ী।
আততায়ী হইয়াছে সে, হৃদয় করিয়া হরণ
করিতে চাই, কিন্তু পারিনি কিছুতেই করিতে বিস্মরণ।
জানিনি-বুঝিনি কিছুই, সবই ছিল আমার কল্পনা,
দেখেছি কত স্বপ্ন, একেছি হৃদয়ে কতই না আলপনা।
রহস্য হইয়া আসিয়াছিল সে জীবনে, রহিবে-ও তাই,
মাঝের কিছু সুখ-স্মৃতি হৃদয়ের খাতায় পাইয়া গিয়াছে ঠাঁই।
জগতের কত খবরই তো রহিয়াছে মোর অজানা,
চেনা মানুষ-ও মাঝে মাঝে হইয়া যায় অচেনা।
কত জনই তো জীবনে এল এই চলার পথে,
পাশে অনেকেই, তাদের অনেকেই হারিয়ে গিয়েছে সময়েরই স্রোতে।
হাটিয়া চলি অচেনার ভীড়ে, খুজি কিছু প্রিয়মুখ,
পাই-না সবসময় দেখা, অল্পতেই পেয়ে যাই বর্ণহীন সুখ।
মনে পড়িয়া যায় অতীতে কত স্মৃতি-হাসি-ব্যাথা,
এখনো জমিয়া পড়িয়া রহিয়াছে হৃদয়ের কত কথা।
বলি বলি করে যা এখনো হইনি বলা,
লুকিয়ে সে কথা, এখনো তোমাদের পাশে আমার পথচলা।
জানিনা কোনোদিন বলা হইবে কিনা,
সুখ কভু জীবনে পাওয়া যায় না দুঃখ বিনা।
আলোর পিছনেই আঁধার থাকে, রাতের পরই দিন,
আমাদের জীবনেও উদয় হইবে সুখের সূর্য রঙিন।
চিরদিন-ই ভাবিয়া যাই পারি না কিছু করিতে,
কিছু ব্যাথা এ জগতে সকলে পারে না সহিতে।
হাজারো সমস্যা, ছোট হাসি-কান্নায় আমরা মধ্যবিত্ত,
বেশি কিছু চাই না মোদের, অল্পতেই তুষ্ট আমাদের চিত্ত।
কখনো হাটিয়া, কখনো দৌড়াইয়া, চলিতেছিলাম স্বপ্নের রাজ্যে ঘুরিয়া-ফিরিয়া,
ঘুরিতে ঘুরিতে হঠাৎ বাস্তবে আসিলাম ফিরিয়া।
কে যেন ভাই, দাড়াইয়া গেল জমা দিতে তার খাতা,
সাথে সাথে দাড়াল অনেকেই, সেই হল দলের হোতা।
শুরু হল হুল্লোড়, ভাবনা রাজ্যের সুতোয় পড়ল কাটা,
শুন্য খাতা সামনে নিয়ে বসিয়া আছি, কপাল আমার ফাটা।
তাকাইয়া দেখি অর্ধেকের-ই পরীক্ষা হইয়া গিয়াছে শেষ,
মুহূর্তেই হলের অর্ধেক ছাত্রছাত্রী হইয়া গেল নিঃশেষ।
খাতার দিকে তাকাইয়া বলি, " পরীক্ষা হইল এই !!!"
জানা ছিল যাহা, লিখা শেষ তাহা, মাত্র ৪০ মিনিটেই!!
৪ টি অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর লিখেই জমা দিলেম মোর খাতা,
ইহাই ছিল আজিকে আমার ৪০ মিনিটের পরীক্ষাগাঁথা।
(৩০/১১/২০১৩)
পুনশ্চঃ কবিতায় ব্যাবহৃত সকল নাম ছদ্ম।
জেনারেল পদে পদোন্নতি হওয়ার খুশিতে আজকে এই কবিতা প্রকাশিলাম। সবার দোয়া কামনা করছি।
১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৯
নীরব অনুধাবক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। পরীক্ষার হলে বইসা লিখছি, প্রশ্নের উত্তর না পারলে যা হয় আর কি।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
জটিল কবিতা
১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭
নীরব অনুধাবক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৫৭
এহসান সাবির বলেছেন: স্বাগতম জেনারেল সাহেব
কবিতা +
১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৫০
নীরব অনুধাবক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাই, পরবর্তী পদোন্নতির অপেক্ষায় রইলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০৫
এম এ কাশেম বলেছেন: স্বাগতম জেনারেল সাহেব,
কবিতা সুন্দর।