![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] http://trivuz.com ব্লগিং করে সমাজ পরিবর্তনের ফ্যান্টাসি আর নাই
ছোটবেলায় খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠার অভ্যেস ছিল। মনিং শিফটে স্কুলে যেতে হতো। তাছাড়া বাসার সবাই ভোরে উঠত। আরেকটু বড় হয়েও ভোরে উঠার অভ্যেস ছিল। তারপর সবকিছু পরিবর্তন হতে শুরু করল। দিন দিন বড় হতে থাকলাম আর আমার সকালগুলো হারিয়ে যেতে লাগল। এর পেছনে আরো যেসব কারন রয়েছে তা হলো একাকী থাকার অভ্যেস। অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকা রুটিন হয়ে গেল। এখনতো রীতিমত নিশাচর হয়ে গিয়েছি। রাতেই করি সকল কাজ। অধিকাংশ দিনই ঘুমাতে যাই ফজরের নামাজের পর। উঠা হয় সকাল 8-10টার মধ্যে। ছুটির দিনগুলোতে 11টার পর।
আজকেও সারা রাত জেগে ছিলাম। ঘুমাতে গিয়েছি যখন ভোর হয় হয় করছে। সাহিত্যিকরা যাকে বলে কাক ডাকা ভোর। কিন্তু ঘুম আসছিল না। তাই ঘুমের ভান না করে বারান্দায় গিয়ে বসলাম। অনেকদিন পর একটি সকাল হতে দেখলাম। এত চমৎকার লেগেছে... যা ঠিক বলে বুঝাতে পারব না। এতদিন এতগুলো সুন্দর সকাল মিস করেছি ভেবে নিজের উপর কিছুটা রাগও হয়েছে।
আজ ঠিক করলাম কাল থেকে প্রতিদিন সকালে উঠব। আজ দুপুরে কিছু গুরুত্বপূর্ন কাজ আছে... তাই আর ঘুমাতে যাওয়া হচ্ছে না। কাজ সেরে একসাথেই ঘুম দেব। এবং আগামীকাল থেকে সূর্যি্য মামা জাগার আগে জেগে উঠতে চেষ্টা করব। দেখা যাক পারি কিনা!
ছবি সৌজন্যে: http://static.flickr.com
২| ২৮ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৪:০৬
অতিথি বলেছেন: অষ্ট্রেলিয়ায় শীতকাল চলছে নাকি? জিওগ্রাফিতে একসপ্তাহ থেকে আসার পরও জিওগ্রাফি সম্পর্কে আমার ধারনা একদম কম!
৩| ২৮ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৪:০৬
অতিথি বলেছেন: জি হ্যা। এটা তো স্কুলে শিখছি। উত্তর গোলার্ধ দক্ষিণ গোলার্ধ!
৪| ২৮ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৪:০৬
ওয়ালী বলেছেন: উহু রাত জাগা ভাল লক্ষন না। শরীরের জন্য হানিকারক। তবে আপনার প্রবল ইচ্ছেটা ভাল লাগলো।
আমার কথা বলি আমি যে টাইমে উঠবো বলে ঠিক করি তার 30 মিনিট আগে এর্লাম দেই। উঠি আবার দশ মিনিট পরে এর্লাম দেই, উঠি আবার দশ মিনিট পরে এর্লাম দেই। দুইবার এর্লাম বাজার পরে রিয়েলি আমি এক ঝাটকানি দিয়া বিছানা ছাড়ি! একবার এর্লামে আমি কোন দিন উঠতে পারছি কিনা কইতে গেল পারমু কিনা সন্দেহ। সূর্যের আগেতো দূরের কথা। ফজর নামায পইড়া দশ মিনিট হইলেও ঘুমাইছি।
৫| ২৮ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৪:০৬
অতিথি বলেছেন: পশ্চিম গোলার্ধ পূর্ব গোলার্ধ কি দোষ করছে? ঐগুলি শিখায় নাই?
৬| ২৮ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৪:০৬
হযবরল বলেছেন: ভোরের শিশিরে পা ভিজিয়ে হাঁটা এক অসাধারণ ব্যাপার, স্বাস্থ্যকর ও বটে। মধ্যরাতের পর থেকে ভোর র্পযন্ত শিশির পড়ে, নীরব নিথর কোন গ্রামে গিয়ে শিশির পড়ার শব্দ শুনে দেখো মোহময় সংগীতের মত লাগবে।
৭| ২৮ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৪:০৬
ওয়ালী বলেছেন: দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া , একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু...। না মানে আমি দেখছি এই খানেও দেখি। কাকার কথায় মনে পইড়া গেল নতুন কইরা।
৮| ২৮ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৫:০৬
অতিথি বলেছেন: ওয়ালী,
রাত জাগা ভাল না আমিও জানি... মাঝে মাঝে টানা কয়েক সপ্তাহ রাতে ঠিক মত ঘুমাই। তখন আমার ওয়েট বাড়তে বাড়তে বেশ মোটাসোটা হয়ে যাই... আবার রাত জাগতে শুরু করি.. ওয়েটও কমতে থাকে... কমতে কমতে যখন খুব খারাপ অবস্থায় চলে যাই আবার ঘুমাতে শুরু করি। লোল....
আপনার এলার্মের সিষ্টেমটা আমিও ফলো করি... মোবাইলে পর পর তিনটা এলার্ম সেট করি... প্রথমটা একটু মিষ্টি টাইপ.. তারপরের টা একটু কড়া.. তারপরের টা খুবই কড়া!!!!!!!!!! ঘুম না ভেঙ্গে যাবে কোথায়!
তবে আমার যখন প্রয়োজনীয় কাজ থাকে তখন এলার্ম লাগে না.. এমনিতেই উঠে যাই ঠিক সময়মতো।
৯| ২৮ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৫:০৬
অতিথি বলেছেন: হযবরল, শিশির পড়ার শব্দ আসলেও অদ্ভুত! যে শুনেনি বুঝতেই পারবে না কখনো.... খুবই এক্সাইটেড হয়েছিলাম যখন জিনিসটা আবিস্কার করেছিলাম।
খালি পায়ে শিশিরে হাটা অবশ্য আমার কাছে ঠিক পসন্দসই ব্যাপার নয়। কারন প্যান্টে পানি এবং টুকরো ঘাস এবং বালি লেগে এক করুন অবস্থার সৃষ্টি হয়।
১০| ২৮ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৫:০৬
অতিথি বলেছেন: খেতাব পাওয়া নিশাচর বলছেন-
--------------------------
আপনার ভোরলিপি চমৎকৃত করলো আর ক্ষেপে গেলাম (আসলে খুশী হলাম) আপনি আমাদের (নিশাচরদের) লিস্ট থেকে বাদ পড়লেন বলে। দিনলিপি লিখতে আমারো ইচ্ছে করে, কিন্তু এত সাধারণ জীবনধারা যে, লিখলে নিজের কাছেই বোর লাগে, ধ্যৎ। এখন ভোর না কি সকাল সাড়ে ছ'টা আই মিন আমার তো সবে সন্ধ্যা হলো বলে।
5 এর অপেক্ষায়..........
১১| ২৮ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৫:০৬
অতিথি বলেছেন: ত্রিভুজ ভাইয়া,
আমি তো সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারি। কিন্তু জানেন যেই দিন আমার কোন পরীক্ষা থাকবে ঐ দিন আর আমার চোখ থেকে ঘুম যায় না। এমণকি বোর্ড পরীক্ষা যখন দিয়েছিলাম তখনও আব্বু-আম্মু খুব টেনশনে থাকতো যে ঘুমাইতে ঘুমাইতে না জানি পরীক্ষা মিস করে ফেলি। তবে আমার একটা সময়ে ঘুম চলে যায়। আর আমার যত টেনশন বাড়ে ঘুমের পরমিাণও তত বাড়ে। এই দিক দিয়ে আমি অনেক হ্যাপি।
28.06.2006
১২| ২৮ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৬:০৬
অতিথি বলেছেন: ফজলে এলাহি ভাই,
আপনি ভ্রমন কাহিনী যা সুন্দর করে লিখেছেন... দিনলিপিও খারাপ হবে না... তবে মাঝে মাঝে কিভাবে কি করেন এসব জানালে পরস্পর পরস্পরের কাছাকাছি আসে বলেই আমার ধারনা।
তবে আগে ডাইরিতে লিখতাম.. এখন ব্লগে লিখি.. পার্থক্যটা এখানেই। প্রথম পেজে না আসার অপশনটা এনাবল থাকলে হয়তো প্রতিদিন 3/4টা করে পোষ্ট দিতাম কি করি কি খাই এসব নিয়ে ... প্রথম পেজে আসার অপশনটা কাজ করছে না বলেই পারছি না...
সাকিব, তুমি দেখি আমার মত সুখী মানুষের দলে নাম লিখিয়ে ফেলেছ। আমারও যত টেনশন তত ঘুম :=)
তবে আবার তিনদিন না ঘুমিয়েও কাটাতে পারি। এই যেমন 26 ঘন্টা হলো জেগে আছি.. বিকালের আগে আর ঘুমাতে পারব না... সো 36+ঘন্টা জেগে থাকতে হচ্ছে...
১৩| ২৮ শে জুন, ২০০৬ সকাল ৮:০৬
শাওন বলেছেন: ভোরের কড়া রোদের মিষ্টি গন্ধটা তাহলে পেয়েছো মনে হচ্ছে ।
১৪| ২৮ শে জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৬
57 বলেছেন: মনে হয় ভোর দেখার লোভে প্রতিদিন রাত জাগি !!!
১৫| ২৮ শে জুন, ২০০৬ রাত ৮:০৬
অতিথি বলেছেন: শাওন তুমি দেখি সত্যি সত্যি সাহিত্যিক হয়ে যাচ্ছ...
57 ভাল বলেছেন.... আমিও প্রতিদিন সকাল 8টার পর ঘুমাতে যাব কিনা ভাবছি
নাহ.. আজ ঘুমাবো.... অনেক ক্লান্ত!
১৬| ২৯ শে জুন, ২০০৬ রাত ১২:০৬
অতিথি বলেছেন: 29 জুন, 2006
ভোর রাত: 4:27
---------------------
ঘুমাবো ঘুমাবো করেও ঘুমাতে যাওয়া হলো না। হটাৎ ঢাকার বাইরে কাজ পরে যাওয়াতে কাল দুপুরের পর রওনা দিতে হচ্ছে। তাই কিছু কাজ করতেই হলো রাত জেগে। আগামী কাল থেকে ইনশাল্লাহ 12টার আগে ঘুমানোর চেষ্টা করব। :-)
১৭| ২৯ শে জুন, ২০০৬ রাত ২:০৬
নাতাশা হুসাইন বলেছেন: আগামী কালটা কবে আসবে? কোনদিন আসবে তো? হি হি হি
১৮| ১২ ই জুলাই, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৭
অতিথি বলেছেন: ছবিটা চমৎকার ......
কি দরকার ছিলো আর ঘুমানোর........????
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৪:০৬
অতিথি বলেছেন: এখনের সকাল গুলো বিচ্ছিরি। আটটা পর্যন্ত কুয়াশায় কিচ্ছু দেখা যায় না। গ্রীষ্মের সকালগুলো অসাধারণ।