![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] http://trivuz.com ব্লগিং করে সমাজ পরিবর্তনের ফ্যান্টাসি আর নাই
প্রাচীনকালে পরিবারগুলোর ভেতরে শান্তি কতটা ছিল জানি না তবে আমাদের নানা-নানু, দাদা-দাদি এবং বাবা-মা, খালা-খালুদের ভেতরে যে বাঁধনটা এখনো দেখতে পাই এখনকার বেশিরভাগ কাপলদের ভেতরে তার দশ শতাংশও দেখতে পাই না। এর কারণ কী কেউ কখনো ভেবে দেখেছেন? এর জন্য কেউ দায়ী করেন পরিবর্তনশীল সমাজকে, কেউ সভ্যতার অগ্রযাত্রাকে। এই উভয় শ্রেণীই বিষয়টাকে খুব সীমিত দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করে থাকেন। যাহোক, আমি আমার কিছু পর্যবেক্ষন ও চিন্তাভাবনা তুলে ধরি। আলোচনা হতে পারে...
১) সম্পর্ক এমন একটা জিনিস যা তৃতীয় ব্যক্তির পক্ষে কখনো পুরোপুরি বোঝা সম্ভব না, তাই সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তির পরামর্শ বা হস্তক্ষেপ সব সময়ই খারাপ ফল বয়ে আনে।
২) সমস্যা যতটা নিজেদের ভেতরে রাখা যায় তত সহজে এবং সুন্দর ভাবে সেটার সমাধান হয়ে যায়।
৩) অনেকই পুরুষই জানে না সে কেন বিবাহ করছে বা জানলেও ভুল ভাবে জানে, তাদেরকে আগে বুঝতে হবে কেন সে বিয়ে করবে। অনেক মেয়েরও পুরুষদের সম্পর্কে স্টেরিওটাইপ কিছু ধারণা আছে যা সুন্দর একটা সম্পর্ক নির্মাণের জন্য বাঁধা স্বরুপ। এদের উভয়কেই বিষয়গুলো নিয়ে গভীর ভাবে ভাবতে হবে, জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে।
৪) বউ কোন সাপোর্ট টুল না বরং হিউম্যান অপারেটিং সিস্টেমের একটা মেজর আপডেট, এই ফ্যাক্টটা ছেলেদের এবং তাদের মা'দের মাথায় রাখা জরুরি।
৫) জামাই কোন বারোমাসি শস্যক্ষেত্র না। এটা বউদের এবং তার দিকের আত্মীয়দের মাথায় রাখা জরুরি।
৬) নারীদের উপরে পুরুষদের চাইতে অন্য নারীরাই বেশি নির্যাতন করে থাকে, পুরুষদের উচিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা।
৭) আমাদের বেশিরভাগ মা'য়েরা নিজের মেয়ের শ্বশুরবাড়ির যে কাজগুলোর সমালোচনা করতে ছাড়ে না সেই কাজগুলো নিজের বউদের সাথে করতে একটুও কার্পন্যবোধ করে না। তাদের সামাজিক কাউন্সিলিং প্রয়োজন।
৮) অনেক মেয়ে আছে যারা শশুড়বাড়ির সকল কথা ও বিষয় নিজের বাড়িতে বা অন্য লোকের সাথে শেয়ার করে এবং পরামর্শ গ্রহণ করে সে অনুযায়ী কাজ করতে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে নিয়ে যায়। এদের জানা থাকা উচিত বাইরে থেকে একটা ফ্যামিলির কাজকর্ম যথাযথ মূল্যায়ণ কোনদিনও সম্ভব না সুতরাং পরামর্শ ভুল হতে বাধ্য যা তাদের জীবনকেই দূর্বিষহ করে ফেলে।
৯) অনেক শাশুড়ি আছেন যারা তাদের বউদের নামে পরিবারের বাইরের কোন সদস্যের কাছে ক্রমাগত নালিশ করতে থাকেন। এরা বোঝেন না ঐ ব্যক্তি বা পরিবার কোনদিনও তার জন্য টানা একমাসও কিছু করবে না, করলে বউ-ই করে যাবে পুরো জীবন। এদের হেদায়াত জরুরি।
১০) আমাদের দেশের মেয়েদের জন্য কিছু কাজের ব্যবস্থা করা জরুরি যাতে এরা অলস থাকতে না পারে। বেশিরভাগ পারিবারিক সমস্যার মূল কেন্দ্র এই অলস অলস নারীগোষ্ঠী।
১১) আমার পর্যবেক্ষন বলে, টিভি সিরিয়াল যে ফ্যামিলিতি যত জনপ্রিয় সেখানে অশান্তি তত বেশি। ছেলেদের উচিত বিয়ে করার আগে কৌশলে মেয়ে সিরিয়াল পছন্দ করে কিনা ও তার ফ্যামিলিতে সিরিয়াল কতটা জনপ্রিয় জেনে নেওয়া। সিরিয়াল ভক্ত মেয়ে বা ফ্যামিলিগুলো বাদ দিয়ে সম্পকর্ গড়লে সমসাময়িক অনেকগুলো সমস্যা/ক্যাচাল থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব (নিতান্তই ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন ও মতামত এটা)।
আরো অনেক ফ্যাক্ট ও বাস্তবতা আছে এবং থাকতে পারে যেগুলো মাথায় রাখা জরুরি। সময় স্বল্পতা কারণে ও ব্লগের স্বল্প পরিসরে সেগুলো সব তুলে ধরা গেল না বা অনেক ফ্যাক্ট আমার নিজেরও জানা নাই। যারা এসব নিয়ে ভাবেন তাদের ভাবনা শেয়ার করলে ও আলোচনা করলে এই বিষয়গুলো আরো পরিষ্কার হতে পারে। যাই হোক, আমার একটা ব্যক্তিগত ভাবনা দিয়ে শেষ করছি, আমি বিশ্বাস করি- 'পৃথিবীর কোন মানুষই খারাপ না, বেশিরভাগ মানুষ অনেক কাজ ভাল ও সঠিক মনে করে করে কিন্তু অন্যের কাছে সেটা খারাপ। এটাকে আমরা কনসেপচ্যুয়াল এরর বলতে পারি। একটু সময় নিয়ে ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে খতিয়ে দেখলে অনেক সমস্যাই সমাধান করা খুব সহজ হয়ে যায়। এটা সকলের জন্যই প্রযোজ্য।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৪০
ত্রিভুজ বলেছেন: নিতান্তই আপনার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন ও মতামত ধরে নিলাম, যদিও এরকম ধারণা অনেকেই পোষণ করে আজকাল। তবে আপনার যুক্তিতে একটা ফাঁক আছে। বিয়ে বা রিলেশন যাই বলুন না কেন, সেটা কিন্তু নতুন একজন অপরিচিত মানুষের সাথেই হয়। সেক্ষেত্রে ঐ নতুন/অপরিচিত মানুষটার সাথে মানিয়ে নিতে পারলে বাকীদের বেলাও পারা যাওয়ার কথা, আন্তরিক হলে আরকি। আবার এটাও ঠিক যে শুধুমাত্র একতরফা আন্তরিক হওয়া যথেষ্ঠ না। এক্ষেত্রে কিছু ত্যাগ স্বীকার করে নেয়াই ভাল। অথবা যদি একেবারেই এটা সম্ভব মনে না করেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনার ছেলে-মেয়েরাও আপনাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে যাবে ধরে নিয়ে সেভাবে প্রস্তুতি রাখতে পারেন। আর তখন যদি এটাকে 'আজাব' মনে হয় তাহলে আজকের ভাবনাটাকে 'পাপ' ধরে নিতে হবে।
২| ১৪ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫৩
ভাবসাধক বলেছেন: কান ভারী করা থেকেই পারিবারিক ভায়োলেন্স এর সুচনা হয়।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৪২
ত্রিভুজ বলেছেন: "কান ভারী", সেটা ছেলের মা'ই করুক বা মেয়ের মা'ই করুক- খুবই খারাপ জিনিষ।
৩| ১৪ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫৫
আমি ছড়াকার বলেছেন:
রুপকথার রাজকন্যা আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না কিছুতেই স্যরি। আপনি টিপিক্যাল মেয়েলী দৃষ্টিভংগী থেকেই কথাটা বললেন। আমি বিশ্বাস করি কিছুটা স্যাক্রীফাইস করে হলেও সবার একসাথে থাকার মত আনন্দদায়ক আর কিছু হতে পারেনা। আগে আমারটা এই নীতি থেকে একটু সরে আসতে পারলে জীবন সব ক্ষেত্রেই আরো সুন্দরই হয় বলে মনে করি।
অন্তত বাবা মার কাছ থেকে আলাদা হওয়ার তো প্রশ্নই আসেনা।
৪| ১৪ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫৭
আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ত্রিভুজ ভাই, কেবল ১ আর ২ এ একমত পোষণ করার জন্য লগইন করলাম। তবে লগইন করার পর ১১ নংটার সঙ্গেও একমত পোষণ না করে পারছি না। যদিও এর প্র্যাকটিক্যাল উদাহরণ আমি দিতে পারবো না।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৫০
ত্রিভুজ বলেছেন: প্র্যাকটিক্যাল উদাহরণ আমার কাছে আছে কিছু, আর পরিচিত মন্ডলে যারা বিয়ে করেছেন তাদের সাথে আলোচনা করলে বুঝবেন। সবচাইতে ভাল হয় যদি ছোট ভাই হিসেবে কোন মেয়েদের আড্ডায় কোন ভাবে জয়েন করতে পারেন।
৫| ১৪ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৩
রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: @ আমি ছড়াকার আপনি নিজে পারবেন আরেক জনের বাসায় গিয়ে বছরের পর বছর থাকতে?? পারলে ভাল। তবে বেশীর ভাগই পারেনা , না পারাটা প্রকাশ ও করেনা, প্রকাশ করে লাভ ও হয় না, ফলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ বাড়তে থাকে দুরত্ব বাড়তে থাকে, ভায়োলেন্স শুরু হয়, ডিভোর্স হয়। আমি তাই ঢাকার মত শহরে যেখানে ছোট্ট বাসা বাড়িতে ২ ফ্যামিলি থাকলে প্রাইভেসী রক্ষা করা অসম্ভব সেখানে যৌথ ফ্যামিলি মোটেই সাপোর্ট করিনা।
৬| ১৪ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৩
শিবলী১২৩ বলেছেন: @রূপকথার রাজকন্যা , আপনার চিন্তাধারার তীব্র বিরোধিতা করছি
৭| ১৪ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪৭
সোজা সাপটা বলেছেন: আমি ছড়াকার বলেছেন:
রুপকথার রাজকন্যা আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না কিছুতেই স্যরি। আপনি টিপিক্যাল মেয়েলী দৃষ্টিভংগী থেকেই কথাটা বললেন। আমি বিশ্বাস করি কিছুটা স্যাক্রীফাইস করে হলেও সবার একসাথে থাকার মত আনন্দদায়ক আর কিছু হতে পারেনা। আগে আমারটা এই নীতি থেকে একটু সরে আসতে পারলে জীবন সব ক্ষেত্রেই আরো সুন্দরই হয় বলে মনে করি।
অন্তত বাবা মার কাছ থেকে আলাদা হওয়ার তো প্রশ্নই আসেনা
শিবলী১২৩ বলেছেন: @রূপকথার রাজকন্যা , আপনার চিন্তাধারার তীব্র বিরোধিতা করছি
লেখক বলেছেন:
১১) আমার পর্যবেক্ষন বলে, টিভি সিরিয়াল যে ফ্যামিলিতি যত জনপ্রিয় সেখানে অশান্তি তত বেশি। ছেলেদের উচিত বিয়ে করার আগে কৌশলে মেয়ে সিরিয়াল পছন্দ করে কিনা ও তার ফ্যামিলিতে সিরিয়াল কতটা জনপ্রিয় জেনে নেওয়া। সিরিয়াল ভক্ত মেয়ে বা ফ্যামিলিগুলো বাদ দিয়ে সম্পকর্ গড়লে সমসাময়িক অনেকগুলো সমস্যা/ক্যাচাল থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব (নিতান্তই ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন ও মতামত এটা)।
৮| ১৪ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৮
সাইমনরকস বলেছেন: আমিও রূপকথার রাজকন্যার চিন্তাধারার তীব্র প্রতিবাদ করছি।
৯| ১৪ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন: Good subject
good discussion
very good post
১০| ১৪ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন: Good subject
good discussion
very good post
১১| ১৪ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০১
মদন বলেছেন: ইন্ডিয়ান সিরিয়াল ভক্ত মেয়েদের বিয়ে তো দূরের কথা তাদের থেকে শতহাত দূরে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৪৭
ত্রিভুজ বলেছেন: হুম... দুরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
১২| ১৪ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৬
বোকা_ছেলে বলেছেন: সবার সাথে একসাথে থাকার মত মন মানসিকতা আমাদের এখন কম। আমরা এখন অনেক বেশী আত্মকেন্দ্রিক।
তবে বাবা মার সাথে একসাথে থাকাটাই সবদিক থেকে ভালো।
এখনকার দিনে আমাদের চিন্তা ভাবনা আধুনিকতার নামে, এ বিষয়ে সংকীর্ন হচ্ছে বলে আমি মনে করি। একাকিত্ব কারো জন্যই কাম্য নয়। বিশেষ করে বাবা মার বয়স কালে যদি সব সন্তান তাদের কে একা করে চলে যায়....ভাবুন তো তাদের প্রতিটি দিন/রাত কিভাবে কাটবে। আমাদেরও একদিন এ সময় আসবে......। আমি এখানে শুধুমাত্র বাবমার দৃষ্টিকোন থেকে বললাম.....সময় সল্পতার জন্য ...
১৩| ১৪ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৩
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: অবশ্যই সুন্দর পোষ্ট।
১৪| ১৪ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২
আমি ছড়াকার বলেছেন:
রুপকথার রাজকন্যা ধরুন আজ থেকে ৩০/৩৫ বছর পর আপনার বয়স হল ৬০ (ধরে নেওয়া কিন্তু যেহেতু মেয়েদের বয়স নিয়ে কথা বলতে নেই)। আপনি অসুস্হ ,আপনার স্বামী নেই( এইটাও ধরে নেয়া,দোয়া করি আপনার হাজার বছর বাচুন) আপনার একমাত্র মেয়ে বিয়ে করে দুরদেশে আর একমাত্র ছেলেটাও আপনার মত মানসিকতার বউ থাকার কারনে আপনাকে গ্রামের বাড়ী বা অন্য কোথাও একা রেখে দিয়েছে। আপনার আপদ বিপদে কেঊ নেই আপনার পাশে। (সবই কিন্তু ধরে নেওয়া দয়া করে ভাববেন না আমি আপনার অমংগল চাচ্ছি)
একটু ভেবে বলুনত ক্যামন লাগবে আপনার ?
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৫৬
ত্রিভুজ বলেছেন: আমি বেশ কিছু বুড়ো বুড়িকে চিনি, কিছু একা মানুষকেও চিনি। অঢেল সম্পদ তাদের কিন্তু বিশাল বাড়িতে একা থাকেন। এরা কখনো গল্প করার মত কাউকে পেলে মনে হয় চাঁদ হাতে পেলেন। এদের সুখের সংজ্ঞা অনেক আগেই পালটে গিয়েছে...।
১৫| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ৮:০৪
জামালiiuc বলেছেন: ছেলে, ছেলে বউ, বাবা মা, ভাই বোন একসাথে থাকার আনন্দ বোঝতে হলে আগে একসাথে থাকতে হবে।
কষ্ট পেতে হবে।
তবেই আনন্দ উপভোগ করা যাবে।
বউ যখন শ্বাশুড়ী হয়, ছেলে যখন শ্বশুড় হয় তখনই কেবল বুঝা যায় কেন ছেলে, ছেলে বউ এর সাথে একসাথে থাকতে চায়।
অপরিচিত একটা ছেলের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর যদি একসাথে থাকাটা সমস্যা না হয় তাহলে সেই ছেলের বাবা মার সাথে আপত্তি কেন?
ছেলে বউটি যদি তার মা বাবার দিক থেকে বিষয়টি চিন্তা করে তাহলে মনে হয় ভাল হয়। তার মা বাবাকে ফেলে যদি তার ভাই এবং ভাইয়ের বউ চলে যায় তাহলে কি রকম হবে?
একসাথে থাকলে কষ্ট যেমন ভাগাভাগি করা যায় তেমনি আনন্দ ও বেশি উপভোগ করা যায়।
তারপর ও মানবতা বলে একটা বিষয় যদি আমরা চিন্তা করি, তাহলে দুটি মানুষকে কি আমরা একসাথে রাখতে পারি না।
পৃথিবীর কত মানুষই তো মানুষকে সেবা করবে বলে নিজে উৎসর্গিত। আমরা না হয় দুটো মানুষকে সেবা দিলাম।
প্রতিটি মানুষই (যদি ও অনেকের মা বাবা ছেলের বিয়ের সময় বেচেঁ থাকে না) যদি তার মা বাবাকে সেবা দেয় তাহলে আর একজন মানুষকে (যারা বৃদ্ধাশ্রম পরিচালনা করে) অনেক মানুষের বোঝা বইতে হবে না।
আমরা যদি পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করার জন্য আর একটু ভেবে দেখি তাহলে ভাল হয়।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:২৯
ত্রিভুজ বলেছেন: ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।
১৬| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ৮:১৪
পিটার প্যান বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে বুঝলাম সব দোষ মেয়েদের। তাই মেয়েদের বস্তাবন্দী করার ব্যবস্হা নেয়া হোক। সেই একই বালছাল পুরুষতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা ... অবশ্য আপনি ছাগুচিপ আর কত ভাল চিন্তা করবেন?
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৩২
ত্রিভুজ বলেছেন: সেটা যদি বুঝে থাকেন তাহলে ভুল বুঝেছেন। আর যদি সিরিয়াল ভক্ত নারী/পুরুষ হয়ে থাকেন তাহলে কিছু বলার নাই। রাগ ঝাড়ার জন্য আরো কিছু গালি দিয়ে যেতে পারেন। ভাল থাকুন।
১৭| ১৫ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:২০
রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: @আমি ছড়াকার আমি নিজেই চাইনা আমার ছেলে মেয়ের সাথে আমি থাকবো। আমি নিজেই বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়া প্রেফার করব। ওখানে আমার বয়সী আমার মত পরিস্থিতির অনেকে থাকবে। তাদের নিয়ে ভাল কিছু করা যেতে পারে, আনন্দে থাকা যেতে পারে। নেক্সট জেনারেশনের সাথে আমার কমিউনিকেশন গ্যাপ, জেনারেশন গ্যাপ থাকবেই। সে কারনে শুধু শুধু তাদের মধ্যে থেকে নিজেকে অবান্চিত, অবহেলিত ও বিরক্তির উদ্রেগকারী কোনো বস্তু হতে চাইনা। নেক্সট জেনারেশনের কারো সাথে ঝামেলায় জড়ানোর আগেই আমি নিজেই নিজের ব্যবস্থা করে রাখতে চাই এবং সে প্রস্তুতিও নেয়া আছে।
১৮| ১৫ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:২৮
রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: আজকে যাদের আমার কথা শুনতে কটু লাগছে তীব্র বিরোধীতা করছেন তারা নিজেরাই বাস্তবে গেলে আমার মতই ডিসিশন নেবেন। আর আমি বলিনি মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে হবে। বলেছি আলাদা সংসার করার কথা। সেটা একই বিল্ডিং এ পাশাপাশি ফ্ল্যাট এ থেকেও করা যায় উপর নিচে ফ্ল্যাট এও থাকা যায়। আবার সুবিধা মত অন্য দেশে গিয়েও করা যায়। যার যার পরিস্থিতিভেদে। তবে আলাদা সংসার থাকাই ভাল। নিজের দ্বায়িত্ব নিজের উপর নেয়াই ভাল। তাতে ঝামেলা অনেক কমে যায়।
১৯| ১৫ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:০৭
বাদ দেন বলেছেন: রূপকথার রাজকন্যা, আপনার ক্ষেত্রে যা স্বাভাবিক মনে হচ্ছে অনেকের ক্ষেত্রে তা চরম অস্বাভাবিক।
নেক্সট জেনারেশনের সাথে আমার কমিউনিকেশন গ্যাপ, জেনারেশন গ্যাপ থাকবেই। সে কারনে শুধু শুধু তাদের মধ্যে থেকে নিজেকে অবান্চিত, অবহেলিত ও বিরক্তির উদ্রেগকারী কোনো বস্তু হতে চাইনা। নেক্সট জেনারেশনের কারো সাথে ঝামেলায় জড়ানোর আগেই আমি নিজেই নিজের ব্যবস্থা করে রাখতে চাই এবং সে প্রস্তুতিও নেয়া আছে।
বুঝাই যায় আপনার মানসিকতা আর দশজন বাঙ্গালির মত না, অন্যরা আপনার মত চিন্তা করবে না। আপনাকে সামজিক ভাবে হেয় করবে যে আপনি নিজের ছেলে মেয়ের সাথে থাকতে পারেন না
২০| ১৫ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৩২
রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: @বাদ দেন....হা এটা ঠিক মানুষ হেয় করবে এটা সেটা নানান কথা বলবে। তবে নিজের এবং সংসারের আর সবার শান্তি বজায় রাখতে হলে কতকগুলো কঠিন কিন্তু কার্যকর ডিসিশন নিতেই হয়। হমমম আমার দৃষ্টিভংগী হয়ত টিপিক্যাল না তবে কার্যকর অবশ্যই।
২১| ১৭ ই জুন, ২০১১ সকাল ৮:২৫
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: যৌথ পরিবারের বিষয়টি বাংলাদেশেই মূলত জনপ্রিয়। প্রতি মুহুর্তে নরক গুলজার করে একসাথে থাকাটা সমর্থনযোগ্য নয়। শান্তিপূর্ন ভাবে আলাদা হয়ে যাওয়া বরং অনেক ভাল। তবে অবলম্বনহীন বৃদ্ধ বাবা মায়ের শেষ বয়েসে সন্তানের সাথে থাকাটা তাদের মানবিক অধিকার। সেটাতে কারো দ্বিমত থাকা অনুচিত। সন্তানের বাসাটাই হোক বৃদ্ধাশ্রম।
২২| ১৭ ই জুন, ২০১১ সকাল ৮:৫৩
হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: লেখক ও রূপকথার সাথে অনেকাংশেই একমত। মূল কথা হল, স্বামী-স্ত্রী এই দুজন ঠিক থাকলে আশেপাশে ভূমিকম্প হয়ে গেলেও কারও সাধ্যি নেই যে সংসার ভাঙ্গে!
২৩| ২৭ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৩৪
ইলুসন বলেছেন: বিয়ের আগেই জানতে হবে বউ আমার বাপ মায়ের সাথে থাকতে রাজি কিনা। যদি না থাকতে চায় তাহলে তাকে বিয়ে করাই উচিত না। বিয়ে করাটা এত গুরুত্বপূর্ণ না যতটা গুরুত্বপূর্ণ নিজের বাবা মাকে জীবনের শেষ সময়টা একটু সুখে রাখা।
২৪| ২৭ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:০২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ত্রিভুজদা'কে অনেক ধন্যবাদ লিখার জন্য। আপনার লিখা আমি বরাবরই পড়ি এবং ভালোও লাগে, এই লিখাটাও তার ব্যতিক্রম ছিলোনা। যাইহোক, আমি "রাজকন্যা"-র মন্তব্য পড়েই লিখতে বসলাম। তার মন্তব্যের সাথে আমি মোটেও একমত নই। অতি সম্প্রতি আমার বিয়ে নিয়েও বাসায় বেশ কথা বার্তা চলছে, কিন্তু সত্যি বলতে কি রাজকন্যার মতো অনেকেই বিয়ের পর আলাদা থাকার কথা বলেন, অনেকে তার স্বামীকে সেটা করতে বাধ্যও করান শেষ পর্যন্ত, যেটা আমি কখনোই মানতে পারিনা, আর পারবোও না। কারণ যেটাই হোক, মা-বাবার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আমার কাছে খুব নীচু মানের একটা কাজ বলেই মনে হয়।
সমস্যা হবে, তাই বলে আলাদা হয়ে যাওয়ার প্রশ্ন আসবে কেন?! আমার মা-বাবাকে দেখেছি, আমার মামা-চাচদেরও দেখলাম কৈ তাদেরতো সমস্যা হচ্ছেনা। তাহলে নতুন প্রজন্মদের এটা মেনে নিতে এত সমস্যা কেন?
রাজকন্যা বলেছিলেন, "শ্বশুর শ্বাশুরীর স্বাভাবিক কথাও বউ পছন্দ করেনা আবার বউ এর স্বাভাবিক আচরনও শ্বশুর বাড়ির লোক জনের চোখে লাগে। এসব সমস্যা থেকে ডিভোর্সের পথে গড়ানোর আগেই দুরে আলাদা সংসার করা ই ভাল।"
প্রশ্নটা আমার এখানেই, কারো স্বাভাবিক কথা-বার্তা অন্য কারো পছন্দ না হওয়ার কি কারণ থাকতে পারে? সেটা তখনই হবে, যখন শ্বশুর শাশুড়ী আর বউ এদের মধ্যে কেউ নীচু মন মানসিকতার হবে। এখানে কেউ কারো প্রতিযোগী নয়, মা-বাবা আর বৌকে সেটা বুঝতে হবে। আধুনিক আর প্রকৃত অর্থে শিক্ষিত পরিবারে এ ধরনের সমস্যা হওয়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছিনা। তবে তথাকথিত "আধুনিক" মা-বাবার চেয়ে মেয়েদের নিয়ে আমার অভিযোগ বেশী। আত্মসচেতনতা আর আধুনিকতার নামে স্বেচ্ছাচারিতা গ্রহণযোগ্য নয়। ঐ বিবেচনায় মা-বাবার চেয়ে মেয়েদেরই ভুল বেশী।
দিন শেষে কথা হলো, উদার মন-মানসিকতার অধিকারী আর কিছুটা স্যাক্রিফাইস করতে হবে সবাইকেই। সংসার একটা যৌথ চেষ্টার ফসল, আর সেখানে সবাইকেই কম বেশী অনেককিছু মেনে নিতে হবে। কিন্তু আলাদা হয়ে যাওয়া কখনোই কোন কিছুর সমাধান হতে পারেনা। আর যাইহোক, এই মন মানসিকতার মেয়ে বিয়ে করার প্রশ্নই আসেনা। ধন্যবাদ।
২৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
মিতক্ষরা বলেছেন: কম বেশী অশান্তি সব পরিবারেই রয়েছে। মানুষ প্রজাতিটি আবার কাজিয়া প্রিয়। পাখী প্রজাতিটি খুব চমৎকার, সংগীর জন্য সারাক্ষন ব্যাকুল হয়ে থাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৩৪
রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: ছেলে বা মেয়ে বিয়ের পর কোনো ক্যাচালে পড়ার আগেই নিজেরা আলাদা সংসার শুরু করা উচিত। আমাদের যে কয়জন বন্ধুদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে তাদের মধ্যে আমরা দেখেছি ৯০ পার্সেন্ট ই ঢাকায় এক বাড়িতে থাকতে গিয়ে প্রথম ঝামেলা শুরু হয়েছে। শ্বশুর শ্বাশুরীর স্বাভাবিক কথাও বউ পছন্দ করেনা আবার বউ এর স্বাভাবিক আচরনও শ্বশুর বাড়ির লোক জনের চোখে লাগে। এসব সমস্যা থেকে ডিভোর্সের পথে গড়ানোর আগেই দুরে আলাদা সংসার করা ই ভাল।
মনে রাখা দরকার নিজের মামা খালার বাসায় ই বছরের পর বছর কাটানো যায়না সেখানে অপরিচিত মানুষদের যতই মা বাবা ডাকা হোক মনে সেই আপন জায়গা দিয়ে দেয়াটা ১০% উপরের মানুষের সম্ভব নয়।
আর বউ অথবা ছেলের বাবা মা কারোর ই একে অপরের দোষ ত্রুটি নিয়ে হাসবেন্ডের বা ছেলের কান ভারী করার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। কান ভারী করা থেকেই পারিবারিক ভায়োলেন্স এর সুচনা হয়।