![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন গবেষক..চিন্তা করাই আমার কাজ...চিন্তিত ভাই ব্রাদারদের আমার পেজে স্বাগতম। [email protected] https://www.facebook.com/bangal.miya
ফরহাদ মাজহার একটি কলামে বয়ান করেন যে সম্পাদকদের বিবৃতি কে থ্যাঙ্কু দেয়া যায় কিন্তু তা আসলে পরবর্তী সরকার আমলে নিজেদের গা বাচানোর চেষ্টা। বিবৃতিতে কেন মাহমুদুর সাহেবের সম্পাদকীয় নীতি নিয়ে আলাপন করে তার মুক্তি চাওয়া হয়েছে, কেন নিশর্ত নির্দ্বিধায় মুক্তি দাবি করা হয় নাই তা নিয়াও তার আফসোস আছে। উনার এমন লেখনীর জবাবে কমেন্টাই-
"সম্পাদকদের এই বিবৃতিকে পরবর্তী সরকার আমলে নিজেদের গা বাচানোর চেষ্টা হিসাবে দেখলেন বলে কিছু বিস্মিত হয়েছি। অমন সরল হিসাব সাধারন লেখকদের মানায়। আমি আশা করেছিলাম আপনি সম্পাদকদের শ্রেণী সংগ্রামের দিকটা দেখবেন। রাস্তার হকার উচ্ছেদ করলে যেমন হকারদের বিক্ষোভ হয়, ডাক্তার ধরলে যেমন ডাক্তারদের ক্ষোভ হয়, আইনজীবিদের বিচারের মুখে দাড় করালে যেমন ক্ষুব্ধ হয় অন্যান্য আইনজীবীরা- পত্রিকার সম্পাদকরাও এর ব্যতিক্রম নন। তারাও নিজেদের জন্য নিরাপদ দেশ গড়ার তাগিদ থেকেই বিবৃতি দিয়েছেন। শ্রেণীস্বার্থের উর্ধে উঠে তারা দাবি করতে পারেন নাই, 'উস্কানিমূলক মিথ্যা' সংবাদ ও সংবাদভোগে যে দাঙ্গায় মৃত্যু হচ্ছে তার দায় সম্পাদক বাহাদুরদের নিতে হবে।"
ক্ষনে মাজুল মি নট গান করা বালিকসুলভ চপলতা দিয়া পত্রিকা সম্পাদনার মতো গুরুতর কাজ মানায় না।
তিনি আরো লেখেন-
"ফ্যাসিবাদের তত্ত্বগত ও সাংস্কৃতিক বয়ান হিশাবে যে বর্ণবাদী ও সাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদকে খাড়া করা হয়েছিল তার বিপরীতে শক্তিশালী ইসলামি রাজনীতির উত্থান ঘটেছে। গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও জেলজুলুম দিয়ে একে মোকাবিলা করা অসম্ভব। ফ্যাসিবাদ তার চেহারা দেখিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে একে চেনা এখন আর কঠিন নয়।...
‘বাঙালি’ হিটলারের জর্মন জাতির মতো বিশুদ্ধ ‘আর্য’ জাতি নয়, এই অভাবের কারণে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বর্ণবাদী ও সাম্প্রদায়িক চরিত্র ধরা পড়ে জাতীয়তাবাদের ভাষাভিত্তিক ও সাংস্কৃতিক বয়ানের মধ্যে, যার সঙ্গে যুক্ত করা হয় মুক্তিযুদ্ধকে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ একাত্তরে ফ্যাসিবাদের জন্য সংগ্রাম করে নি, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের জনগণ লড়েছে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য। যে ফ্যাসিবাদী চার নীতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আকারে হাজির করা হয় তার কোন ঐতিহাসিক সত্যতা ও বৈধতা নাই।" - ফরহাদ মাজহার
বাঙ্গালঃ ইসলামী রাজনীতি নাস্তিক বিনে কেন খাড়া হইতে পারতেছে না তা তালাশ করার অবকাশ আছে কি ফরহাদ মাজহারের? কেন তলসিমা, থাবা বা হালের মাহমুদুর রহমানের চিমটি বিনে ইসলামী রাজনীতির তেজ কইমা যাইতেছে? কারণ এর ভেতরডা ফাপা। ইসলামের ৫ স্তম্ভের কোন ডাই ১৩দফায় নাই। সমাজের ৯০% মুসলিমের সামাজিক অর্থনৈতিক আধ্যাত্মিক কোন উন্নততর জীবণের খোয়াব তারা দেখাইতে পারে নাই। তাই ফরহাদ মাজহারের বয়ান করা 'ইসলামী রাজনীতি'র মাজা দুর্বল, একবার ম্যাডামের দিকে একবার, আরেকবার আপার দিকে তা হেইলা যায়। ফতোয়া দেয়ার লাইসেন্স খুজে হেথা হোথা। চীনা, রাশা, সরকারী, বেসরকারী ও ইসলামী বামের মতো ইসলামী দলগুলাও তাই নানা ভাগে বিভক্ত। যাকাত ফান্ডের উত্তম ব্যবহার নিয়া তাদের প্রস্তাব নাই, হালাল বোর্ড গঠনে চিন্তা নাই, ইসলামিক উচ্চশিক্ষা বাড়াইতে বৃত্তির দাবি নাই। পাচ স্তম্ভহীন এই ইসলামী রাজনীতি আদৌ ইসলামিক নাকি সিজনাল নির্বাচনী ইসলাম, তা নিয়া জনমনে সন্দ আছে। মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনার নতুন বয়ান করতেছেন নানা দিকে হালাইয়া তা রাজাকারের বিচার শেষ না করলে ধপাস কইরা রানা প্লাজার মতো পৈড়া যাবে। বর্ণবাদি বাঙালি জাতীয়তাবাদের ফাটল দেখাইয়া ৪২ বছর ফাকাইছেন। আর না।
©somewhere in net ltd.