নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তাওহীদ হাসানের ব্লগ

বিএসসি প্রকৌশলী ও এক সময়ের তুখড় টিভি সাংবাদিক

তাওহীদ হাসান

বিএসসি প্রকৌশলী ও একসময়ের তুখড় টিভি সাংবাদিক

তাওহীদ হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদায়ী অনুষ্ঠান

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৭



বাংলাদেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে, ব্যাচেলার শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপচার্য ও বুয়েটের সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ড.এ.এম.এম. সফিউল্লাহ এর সভাপতিত্বে সকাল ১০.৩০ টার কিছু পরে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের সম্মানীত অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, অধ্যাপক ড. শরিফুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপচার্য, এম.এইচ. খান। প্রধান অতিথি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোড অব ট্রাষ্টির সভাপতি ও ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি, জনাব কাজী রফিকুল হক। নির্ধারিত সময়ের আগেই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে আসন গ্রহন করে। পবিত্র কুড়য়ান পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে বক্তব্য রাখা হয়। সেখানে ফুটে উঠে তাদের পড়াশুনা জীবনের চাওয়া পাওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাদের বিভিন্ন কথা। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যান উপদেষ্টা জনাব এম.আবুল হোসেন। এই বক্তব্যের পর চলে, বিশ্ববদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, বিভাগের প্রধান ও প্রক্টর -এর বক্তব্য। তাদের বক্তব্যের মাঝে উঠে আসে, আগামি দিনে এসব শিক্ষার্থীদের পথ চলার অমুল্য উপদেশ।



বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, অধ্যাপক ড. শরিফুল আলম, শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষৎ কামনা করেন। তাঁর জ্ঞানগর্ভ বাক্য গুলো সবাই মনে রাখতে বাধ্য হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোড অব ট্রাষ্টির সভাপতি ও ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি, জনাব কাজী রফিকুল হক, তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের আগামি জীবন নিয়ে উপদেশ মূলক বক্তব্য দেন। নিজেরা সাবলম্বী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো সুনাম বয়ে আনার জন্য সবাইকে কঠোর ও সততার সাথে কাজ করার আহবার জানা। উপচার্য অধ্যাপক ড.এ.এম.এম. সফিউল্লাহ, ভালো এলামনাই এসোসিয়েশন গড়ার দিকে তাগিদ দেন। নিজেরদের অবস্থান শক্ত করে দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করতে সবাইকে, সচেষ্ট হতে পরামর্ষ দেন।

বেলা ১.০০ টার দিকে, অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিল। জীবনের দীর্ঘ সময় যারা, বিশ্ববিদ্যালয়ে পার করেছে, তাদের বিদায় ক্ষনে এক হৃদয় বিদারক চিত্র ধারন করে। অনেকেই তাদের অবেগ সামলে রাখতে পারেনি। শিক্ষকরাও তাদের সারিতে এসে যোগ দেন। এসময়ে অনেক শিক্ষার্থীদকেই কান্নায় ভেঙ্গে পরতে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী শিক্ষার্থী জানান, তাদের জীবন থেকে আজ তারা অনেক বড় একটা জিনিস হাড়াচ্ছেন। এত গুলো বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই একটা পরিবার হয়ে গিয়েছিল। আজ আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে পরিবার থেকে ছিন্ন হয়ে গেল। নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাওয়া বড়ই কঠিন মনে হচ্ছে। শিক্ষকবৃন্দদেরও সমবেদনাশীল দেখা গেছে। ঠিক এমন সময় বৃষ্টি নেমে যেন, প্রকৃতিও তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.