![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএসসি প্রকৌশলী ও একসময়ের তুখড় টিভি সাংবাদিক
প্রথমে স্মৃতি থেকে.....
আমার অনেক সহপাঠীকেই পিতা-মাতা'র মূমুর্ষ অবস্থায় বলতে শুনেছিঃ
"কি আর করা যাবে। উনাদের অনেক বয়স হয়েছে প্রকৃতির নিয়ম কিছু একটা হবে। মেনে নেব"
(একজন নয় দুই জন নয়, আজ (১৮.১১.২০১৪) এর আগে মোটামুটি সবাই এই ধরনের কথাই বলেছে)
আমার পিতা-মাতার প্রতি যে অনুভূতি তাতে ওদের সবার কথা শুনে নিজেকে অতিমাত্রায় গ্রাম্য মনে হতো ;;; বাস্তবে যদিও অল্পস্ল্প
...শুনুন বস্তব একটি ঘটনাঃ
আমার এক বন্ধু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাওয়ার জেনারেশন মাল্টিন্যাশনালে ইঞ্জিনিয়ার।
তাঁর বাবা মেডিকেলে ভর্তি। লাইফ সাপোর্টে। চিকিৎসকরা নেগেটিভ দিকে বললেও আত্মীয়রা সবাই সৃষ্টি কর্তার দিকে তাকিয়ে... ...
. . . . আমার বন্ধু অনেক লোক থাকার পরেও নিজেই প্রতিদিন, ২৪ ঘন্টা করে হাসপাতালে আছে
আমি আজ বললাম বন্ধু, আমার বাসা হাসপাতালের কাছে, চল কিছুটা ফ্রেশ হয়ে আসবি। ওর উত্তর শুনে আসলেই প্রশান্তিতে বুকটা ভরে গেল
বন্ধু বললঃ
- আমি ঠিক এখানেই থাকবো, অন্য কোন জায়গায় এক সেকেন্ডের জন্যও যাবনা।
- আমার বাবা প্রতিদিন একবার হলেও আমাকে ফোন করে, আমার জীবনে এই ফোনটা আর না এলে আমার চলবে না।
আজ মনে হচ্ছে,
-আমি আর আমার এই বন্ধুই যদি অতিমাত্রায় গ্রাম্য হই, তাহলে আপত্তি নেই
প্রতিটি পিতার, অর্থ, বিভব, টাকা পয়সা যাই থাকুক, আমার বন্ধুর মত একজন সন্তান থাকা অনেক বড় সৌভাগ্যের...
জানি বাবা বেঁচে থাকবেই আমাদের মাঝে
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯
হরিপদ কেরাণী বলেছেন: এরকম সন্তান দেশে খুব দ্রুত কমে আসছে। সাথে বাড়ছে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা। পুরো সমাজ যেন উল্টো পথে হাঁটছে। ভোগবাদী সমাজে বৃদ্ধদের স্থান ফুরিয়ে আসছে।