অপ্রিয় হলেও সত্যি

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

অপ্রিয় হলেও সত্যি
আজকাল যুবক যুবতী প্রেমের সাগরে উত্তাল পাতাল ঢেউয়ের সাথে স্বপ্নের তরী ভাসিয়ে আশার রঙিন পাল তুলে মনের সুখে জীবনের হাল ধরেছে । কল্পনার রাজ্য তারা এমনভাবে বিচরণ করছে যেন বাস্তবতার সামনে খুব অসহায় ও দুর্বল মুহুর্তগুলোকে জীবনের অংশ বলেই মনে হয় না । জীবন সুন্দর তার থেকেও বড় সুন্দর হল বেঁচে থাকা । বিধির দেয়া আয়ু নিয়ে পৃথিবীতে মানুষের আসা কিন্তু যাবার জন্য কোন নির্ধারিত দিন ক্ষন ঠিক করে দেয়নি উপর ওয়ালা ।
জীবনের সূচনা লগ্নে মা বাবা ও পরিবারের সাথে প্রাকৃতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে এর বাইরেও আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্কের বাঁধন তৈরি হয় ।
শিশুকাল পেরিয়ে শৈশব কৈশর অতিক্রম করে যৌবনে পদার্পনে প্রতিটা মানুষের আলাদা আলাদা অস্থিত্বের শিকড় গাঁথে পৃথিবীর বুকে ।
নিজস্ব পছন্দ অপছন্দ পরিকল্পনা সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নে নিজেকে প্রতিষ্টিত করতে চেষ্টা করে । পৃথিবীর বুকে নাম যশ খ্যাতি সাফল্যের চুড়া মহাচুড়ায় অবস্থানের স্বপ্ন দেখে ।
প্রতিটা মানুষের জীবনেই এই যৌবন খুব মূল্যবান । এই সময়টাই হল নিজেদের গড়ে তোলার উপযুক্ত সময় । শিক্ষা দীক্ষা ক্যারিয়ার সকল প্রস্তুতির চ্যালেঞ্জিং পরীক্ষা ।
আবার এই বয়সটাই ছেলে কিংবা মেয়ের মধ্য আগমন ঘটে যৌনতার আকাঙ্খা । একদিকে জীবন গড়ার দক্ষ কারিগর হিসাবে নিজেকে প্রস্তুত করা আবার অপর দিকে এই সময়টাতে যৌবনের আকর্ষণে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আসক্ত হওয়া । এ নিয়ে দুটানায় পড়তে হয় প্রতিটা যুবক যুবতিকে । এই সময়টাতে একটা যুবক ভাবে কোন যুবতিকে আপন করা অপরদিকে যুবতি ভাবে কোন যুবকের পাশে নিজেকে সহযাত্রী করা । দুজনার ভাবনার পরিনতি যখন দুজনকে একত্রে আবদ্ধ করে তখন আমরা বলি তাদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক গড়েছে ।
ভালবাসা কোন আবেগ বা কল্পনা দ্বারা প্রভাবিত হয়না । তা শুধুমাত্র বাস্তবতা দ্বারা প্রভাবিত হয় ।
কিন্তু বর্তমানে শতকরা ৯৫ ভাগ যুবক যুবতি ভুল করে ভালবাসার পরিধি আবেগে আবদ্ধে রেখে ।

প্রেমিক হতে হয়তো যোগ্যতা লাগে না,
কিন্তু স্বামী হতে হলে যোগ্যতা ঠিকই লাগে।
এই জিনিসটাই বেশিরভাগ ছেলে বুঝতে চায় না।

২ টি +০/-০