নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Youth Wave!

মানুষ বাচেঁ তার কর্মে!

নেতাজী

মশিউর তুহিন M.B.A from University of Dhaka. ব্যস্ততার কারণে ব্লগে নিয়মিত লেখা হয় না... কিন্তু অবশ্যই একজন নিয়মিত পাঠক। ভালোবাসি বাইক চালাতে...বাইক দিয়ে ঘুরতে...কিন্তু সময় হয়ে উঠে না!

নেতাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

~বই এলো কেমন করে~

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩০



সম্রাট অশোকের জন্মেরও চার হাজার বছর আগে আসিরিয়া ও ব্যাবিলন নামে দুটি দেশ ছিল। সেসময় এই দেশ দুটি খুব সভ্য ছিল। যতদুর জানা যায়, এই দুটি দেশেই প্রথমে পাথরের উপর লেখার প্রচলন শুরু হয়েছিল। কিন্তু তাদের দেশে পাথর সহজলভ্য ছিল না। তাই তারা একসময় কাদা মাটির উপর লিখে তা পুড়িয়ে ইটের মত শক্ত করত। পরে মাটি খুঁড়ে এ ধরণের অনেক পোড়া মাটির ফলক পাওয়া গেছে। মাটি খুঁড়ে ব্যবিলনের একটি লাইব্রেরিতে এ রকম ২২ হাজারেরও বেশি পাথুরে বই পাওয়া গেছে।



বইয়ের উপাদান হিসেবে পাথর, মাটির ফলক অনেকদিন ব্যবহারের পর মানুষ নতুন কিছু খুঁজছিল। কিন্তু যুৎসই কিছু তারা পাচ্ছিল না। অবশেষে মিশরের লোকেরা খুঁজে পেল নতুন কিছু, যা বইয়ের ইতিহাসে দিল নতুন এক মাত্রা।



আমরা অনেকেই তো জানি, নীল নদের তীরে পিরামিডের দেশ মিশর অবস্থিত। নীলনদের তীরের জলাভুমিতে লম্বা এক ধরনের গাছ জন্মাত। দেখতে অনেকটা আমাদের দেশের নলখাগড়া গাছের মত। এই গাছগুলোকে বলা হত প্যাপিরাস। এই প্যাপিরাসকে তারা খাবার ও জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করত। একদিন মিশরের লোকরা এই গাছের পাতায় লেখালেখি শুরু করল।











প্যাপিরাসের বইগুলো লম্বা কাপড়ের থানের মত হত। এই বইগুলি গুটিয়ে রাখা হত। সবচেয়ে বড় প্যাপিরাস বইটির দৈর্ঘ্য ছিল একশ বিশ ফুট অর্থাৎ ৮০ হাত লম্বা।



তাদের লেখার পদ্ধতিটাও ছিল অদ্ভুত। আজকের দিনে আমরা বাম বা ডান যেদিক থেকেই লেখা শুরু করি না কেন লাইন শেষে আবারও ফিরে আসি সেদিকে। কিন্তু মিশরীয়রা ডানদিক থেকে লেখা শুরু করে লাইন শেষ হলে পরের লাইন শুরু করতো বামদিক থেকে। আবার এই লাইন শেষ হলেই তারপরের লাইন শুরু করতো ডানদিক দিক থেকে। অনেকটা কৃষকদের জমিতে হাল দেওয়ার মত।



একসময় এই প্যাপিরাস শুধু মিশরে নয় বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। আগেই বলে রাখি, এই প্যাপিরাস থেকেই কিন' ইংরেজি পেপার শব্দটির উৎপত্তি।



মিশরিয়রা প্যাপিরাস ব্যবহার করলেও চীনারা লিখত বাঁশের ফলকে। এমনকি তারা কাপড়েও লিখত। কিন্তু সেগুলো আসলে বেশ ব্যয়বহুল ছিল। আবার ছাত্ররা তাদের হোমওয়ার্ক করতে মোমের শিট ব্যবহার করতো। এরপর মোমকে গলিয়ে আবারো আগের মতো অবস্থায় নিয়ে আসতে হত। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সবাই বিকল্প কিছু খুঁজছিল অনেকদিন থেকেই। আর এ ভাবনাটা বেশি ভাবাতো তখনকার চীন সম্রাটের এক উপদেষ্টাকে। তার নাম ছিল সাইলুন।



ভাবতে ভাবতে সাইলুন একদিন কাপড়ের টুকরো, গাছের ছালের মত হাবিজাবি অনেক কিছু একসঙ্গে মিশিয়ে গুড়ো করলেন। তারপর নানা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তিনি একসময় তৈরি করলেন কাগজ। পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই ছিল মানুষের তৈরি প্রথম কাগজ। তারপর কাগজ তৈরির এই পদ্ধতি চীনারা গোপন রেখেছিল দীর্ঘদিন।



কিন্তু একসময় আরবদের কাছে এই বিদ্যা ফাঁস হয়ে যায়। তারপর আরবদের মাধ্যমে ইউরোপসহ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে কাগজ তৈরির কৌশল। আবার বই ছাপাবার কায়দাও চীনারাই প্রথম আবিষ্কার করেছিল। কাগজের মত বই ছাপাবার কৌশলও তার গোপন রেখেছিল অনেকদিন।



তাই ইউরোপে মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত সব বইই হাতে লেখা হত। এর ফলে বইগুলো বেশ দামি ছিল। কেমন দামি হতো তা বোঝানোর জন্যে একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই- সে সময় জার্মানীর চার্চের লাইব্রেরিতে বইগুলো সব শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হত যাতে করে বইগুলো কেউ চুরি করে না নিয়ে যেতে পারে। একেকটা বইয়ের দাম ছিল সেসময় শহরের একেকটা বাড়ির মূল্যের সমান।



তাই সহজে বই প্রকাশ করার কথা ভাবছিল অনেকেই। কিন্তু সে সমস্যার সমাধান হল দীর্ঘদিন পর। ১৫ শতকে জার্মানির জোহানেস গুটেনবার্গ উদ্ভাবন করলেন আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্র।



১৪৫৬ সালের দিকে তিনি প্রথম বাইবেল গ্রন্থকে তার প্রেসে ছেপে প্রকাশ করেন। গুটেনবার্গের বই ছাপানোর এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়ল ইউরোপসহ সারাবিশ্বে। এরপর বইয়ের ইতিহাস নিল নতুন মোড়। বই হয়ে গেল অনেক সহজলভ্য আর দামও গেল কমে। তাই আজকে আমরা এত সহজেই বই পড়তে পারি। চাইলে নিজের জন্য কিনতে পারি......(সংগৃহীত)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩০

নষ্ট শয়তান বলেছেন: ভাল লিকচেন

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৮

নেতাজী বলেছেন: ধন্যবাদ... :)

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩২

কালোপরী বলেছেন: নাইস

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৯

নেতাজী বলেছেন: ধন্যবাদ... :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.