![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মশিউর তুহিন M.B.A from University of Dhaka. ব্যস্ততার কারণে ব্লগে নিয়মিত লেখা হয় না... কিন্তু অবশ্যই একজন নিয়মিত পাঠক। ভালোবাসি বাইক চালাতে...বাইক দিয়ে ঘুরতে...কিন্তু সময় হয়ে উঠে না!
কোটার ব্যাপারে নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর কথা....
আমরা মুক্তিযোদ্ধারা অত্যান্ত অসশ্তিকর পরিস্থিতিতে এবং মনবেদানায় সময় আতিবাহিত করছি। মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ স্বাধীন করবার জন্য এবং জনগণের মুক্তির জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাছিলো। কোন পুরস্কার এর জন্য নয়। জনগনের চাইতে বেশী সুযোগ পাওয়ার জন্য নয়। কোটার জন্য নয়। কোটা আমাদের জন্য কোন পুরস্কার নয়। জনগনে্র ভালোবাসা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার। “স্বাধীন বাংলাদেশ” সবচেয়ে বড় পুরস্কার। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা ভাড়াটিয়া যোদ্ধা নই, দেশপ্রেমিক যোদ্ধা ।
৩০লাখ মানুষের জীবন আর ৩ লাখ নারীর সমভ্রম এর বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ আমাদের সকল সন্তানদের জন্য। নতুন প্রজন্মের জন্য। মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা বিভাজন নয় । সকলের সমান অধিকার চাই। ৪২ বছর পর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটা রাখার কোন যুক্তি নাই। প্রায় সকল যোদ্ধার সন্তানদের বয়স অতিক্রান্ত। চাকুরি বিহীন দরিদ্র জীবন যাপন করছে। সে খবর কে রাখে না মানুষ, না রাষ্ট্র!! যদি কোন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এখনো চাকুরি বিহীন থাকে তবে তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় চাকুরী দেয়া যায় । মুক্তিযোদ্ধার দোহিত্র এর জন্য কোটা আমি সমরথন করতে পারিনা। শহীদ পরিবারের সদস্য দের জন্য, নারীদের জন্য,আদিবাসিদের জন্য সল্প কোটা রাখা উচিত, তবে তা সবমিলিয়ে ২০% এর বেশী নয়।
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার - আলবদর বা ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের অনুসারিদের বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এ নিষিদ্ধ দেখতে চাই।
সকল রাজনিতিবিদ, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তার কাছে আমার অনুরোধ মুক্তিযোদ্ধাদের নূতন প্রজন্মের মুখোমুখি দাড় করাবেন না । ওরা আমাদের সন্তান। ওদের সম অধিকার আছে এই দেশে।
তবে যারা আন্দলনের নামে ১লা বৈশাখ এর মঙ্গল শোভাযাত্রার উপকরণে আগুন দিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তি করার দুঃসাহস দেখিয়েছে তাদের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য । তাদের শাস্তি দাবি করছি। তারা বাঙালি সংস্ক্রিতি, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকারদের সন্তান।
আমরা মুক্তিযোদ্ধা, আমরা সকল মানুষের সমধিকার, গনতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশে বিশ্বাস করি।
জয় বাংলা ।
courtesy: Kawsain Haque
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
ইম্কাপণ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের সকল নিয়োগ এমনকি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নিষিদ্ধ দেখতে চাই। যারা স্লোগান দেয় মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে তাদের সকল কিছুতে নিষিদ্ধ চাই।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
সেফানুয়েল বলেছেন: কোটা নিয়ে বিতর্ক ওঠে এক হিসেবে ভালোই হয়েছে। কারণ এর ফলে অনেক দুস্থ্য , অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের কথা উঠে আসছে। কোটা কমানো যেতে পারে এই দাবি যুক্তিসংগত । কিন্তু কোটা বাতিলের নামে আমরা কাদের অধিকার হরণ করতে যাচ্ছি? একজন দিন এনে দিন খাওয়া বৃদ্ধ অসহায় মানুষের! যে তার যৌবনে অন্যায় ভাবে অনেক সম্পত্তি অর্জনের অনেক সুযোগ থাকা সত্বেও দেশমাতৃকার ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে দেশের প্রতি নিজেকে বিশ্বস্ত রেখেছে। আমার মনে হয় ১০% মুক্তিযোদ্ধাদের মোটামুটি অর্থসম্পত্তি আছে। কিন্তু বাকী ৯০% মুক্তিযোদ্ধাই বর্তমানে দরিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন। ১০% কে দিয়ে বাকী ৯০% বিচার করলে তো হবে না। আমার মনে একটা প্রশ্ন প্রায়ই আসে এত কোটা দিয়েও অনেক মুক্তিযোদ্ধারা কেন আজও দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করছে? তাহলে কি কোটার সুষম বন্টন হয়নি? আমি জামাল নামে একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে চিনি। কয়েক বছর আগে তার বাবা মারা গেছেন। সে প্রায়ই ইউএনও অফিসে যায় কারণ তার বাবার জানাজার সময় ইউএনও সাহেব তাকে আস্বস্ত করেছেন যে তাকে পিয়ন পদে চাকুরী দেওয়া হবে। ইউএনও অফিসে ঘুরাঘুরি করতে করতে জামাল ক্লান্ত । কিন্ত আজও তার চাকুরী হয়নি। সে তার পুরানো পেশা দর্জিগিরিতে ফিরে যায়। তাহলে এরকম কোটা মুক্তিযোদ্ধাদের কি কাজে লাগে? এরকম জামালের মতো উদাহরণ আজকের বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের আসল অবস্থা।
আমাদের অনেকেরই মানসিক একধরনের সমস্যা আছে তাদের কে সন্মান না করার । ঠিক আছে আপত্তি নাই কিন্তু তাদের কে বা মহান মুক্তিযুদ্ধকে অপমানিত করে এমন কিছু যেন না বলি।
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০১
নেতাজী বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলঃ আমি সকল ধরনের কোটার বিরুদ্ধে। কারণ, যে কোন কোটা প্রথায়ই সত্যিকারের মেধার মূল্যায়ন হয় না। তাই আমি ১০০% মেধা কোটার পক্ষে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
সেফানুয়েল বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার - আলবদর বা ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের অনুসারিদের বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এ নিষিদ্ধ দেখতে চাই।--সহমত