নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Youth Wave!

মানুষ বাচেঁ তার কর্মে!

নেতাজী

মশিউর তুহিন M.B.A from University of Dhaka. ব্যস্ততার কারণে ব্লগে নিয়মিত লেখা হয় না... কিন্তু অবশ্যই একজন নিয়মিত পাঠক। ভালোবাসি বাইক চালাতে...বাইক দিয়ে ঘুরতে...কিন্তু সময় হয়ে উঠে না!

নেতাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রফিক সাহেবের ঈদ

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬



রফিক সাহেব আজ বোনাস পেলেন। বেতন যেটা পেয়েছিলেন, সেটা দিয়ে রমজান মাস চলছেন। এবার বোনাসের টাকা দিয়ে দুই ছেলে মেয়ে আর স্ত্রীর জন্য ঈদের পোশাক কিনবেন। এখনো কিনতে পারেন নাই বলে ছেলে মেয়েদের মন খারাপ। আজ বাসায় যেয়েই ছেলে মেয়েদের হাতে শপিং এর টাকা তুলে দিবেন।



বড় ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। ছেলের হিসাব করা বাজেট ৫০০০ টাকা। ৫০০০ টাকা তুলে দিলেন ছেলের হাতে। এরপর অনার্স পড়ুয়া মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলেন। মেয়ের বাজেট ৬০০০ টাকা। তুলে দিলেন টাকাটা মেয়ের হাতে। এরপর তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন তার বাজেট কত? স্ত্রী বললেন ৩০০০ টাকা। ৩০০০ টাকা দিলেন তাঁর স্ত্রীর কাছে।



প্রায় সব টাকাই শেষ হয়ে গেলো। যে টাকাটা আছে, ঈদের জন্য খরচে শেষ হয়ে যাবে। বাসার কাজের বুয়া আর তার ছেলের জন্য পোশাক কিনে দিতেই হবে। ছেলে মেয়েদের পড়ার খরচ তো আছেই আগামী মাসের জন্য। এরপর আর কোনো টাকাই অবশিষ্ট থাকে না।



আর তাই তাঁর নিজের জন্য আর কিছু কেনা হয়ে উঠে না। তবে; এবার এক জোড়া জুতা কেনার বিশেষ দরকার ছিল। পুরনো হয়ে গেছে অনেক। থাক, এবারও না হয় সেই পুরনো জুতো দিয়েই চালিয়ে দেবেন। ঈদের দিন পরিবারের সবাই নতুন কাপরে ঈদ করছে, এতেই তার পরম শান্তি। তাঁর পরিবারের আনন্দের মাঝেই নিজেকে সুখী করবেন না হয়।



ঈদের দিন ভোর বেলা। রফিক সাহেবের বড় ছেলে তার সামনে হাজির। “বাবা, ঈদ মোবারক। এই নাও, আমার তরফ থেকে তোমার উপহার।“ রফিক সাহেব জিজ্ঞাসা করেন, “কী এটা?” “আহা বাবা, খুলেই দেখো না?”



রফিক সাহেব খুলে দেখেন। দেখেন যে একজোড়া নতুন জুতা। “তুই টাকা কই পাইলি?” “ বাবা, আমার কিছু টাকা জমানো ছিল, আর আমার বাজেটের টাকা থেকে বাঁচিয়ে তোমার জন্য জুতা কিনেছি। পছন্দ হয়েছে বাবা? “



এরপর মেয়ে এলো। “বাবা, ঈদ মোবারক। এই নাও তোমার উপহার।“ মেয়ের মুখে মুচকি হাসি। বাবা খুলে দেখেন, নতুন পাঞ্জাবী। “মা, তুমি টাকা কই পেলে?” “বাবা,এটা আমার বৃত্তির টাকায় কেনা। তোমার জন্য কিনেছি। দেখো তো বাবা, পছন্দ হয়েছে কি না?”



এরপর তাঁর স্ত্রী এলেন। পাশে বসলেন। বললেন, “এই নাও, তোমার ঈদ উপহার।“ রফিক সাহেব খুললেন। দেখলেন ভেতরে একটা সার্ট। তাঁর সবচেয়ে পছন্দের রঙের। কিছু বলার আগেই তাঁর স্ত্রী বলে উঠলেন, “সংসারের খরচ থেকে বাঁচিয়ে কিনেছি। পছন্দ হয়েছে তোমার?”



রফিক সাহেব অঝোরে কাঁদছেন। ছেলে মেয়ে আর তাঁর স্ত্রীর সামনে কাঁদছেন। এই চরম খুশির দিনে বাচ্চা ছেলের মতো কাঁদছেন। এই কান্না দুঃখের বা কষ্টের কান্না না। এই কান্না চরম সুখের কান্না। তাঁর কান্না দেখে তাঁর ছেলে মেয়ে আর তাঁর স্ত্রীর চোখেও পানি চলে আসলো...

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :)

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

নেতাজী বলেছেন: ধন্যবাদ...

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: সুন্দর

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

নেতাজী বলেছেন: ধন্যবাদ...

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

আখিলিস বলেছেন: চমৎকার !

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

নেতাজী বলেছেন: ধন্যবাদ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.