নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Youth Wave!

মানুষ বাচেঁ তার কর্মে!

নেতাজী

মশিউর তুহিন M.B.A from University of Dhaka. ব্যস্ততার কারণে ব্লগে নিয়মিত লেখা হয় না... কিন্তু অবশ্যই একজন নিয়মিত পাঠক। ভালোবাসি বাইক চালাতে...বাইক দিয়ে ঘুরতে...কিন্তু সময় হয়ে উঠে না!

নেতাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরামর্শ চাই!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০১

আমাদের দেশে প্রায় প্রতি সরকারের আমলেই কোনো না কোনো জায়গা নতুন করে পৌরসভায় পরিণত হয়। কিন্তু আদতে সে পৌরসভা গুলোতে না থাকে কোনো সরকারি সুবিধা না কোনো অনুদান! পৌরসভা গুলোতে না হয় কোনো সুয়ারেজের লাইন, না থাকে সরকারি পানির কোনো ব্যবস্থা (যেমনঃওয়াসা) না থাকে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কোনো ব্যবস্থা কিংবা ভালো রাস্তা ঘাট। তাহলে এই ধরণের পৌরসভা করে জনগণের কি লাভ হয়?



যাই হোক একটি বাস্তব ঘটনা বলি, আমার চেনা তেমনই একটি পৌরসভা আছে ঢাকার আশেপাশে যেখানে আমারই এক আত্মীয় সদ্য জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন। বাড়িটি তিনি ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ইদানীং তিনি এমন এক অদ্ভুত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন যে কোনো দিশা পাচ্ছেন না। সমস্যাটা হলো ময়লা-আবর্জনা ফেলার। বাড়িতে জমা নিত্যদিনের ময়লা যেমন তরিতরকারির খোসা বা মাছের আঁশ যা আমাদের প্রত্যেকের ঘরেই জমে থাকে। এ ধরণের ময়লা ফেলার জন্য সেখানে কোনো ভ্যানের ব্যবস্থা নেই। ওয়ার্ড কমিশনার বা মেম্বার যাই বলি সবাই টাকা কামানোর ধান্দ্বায় ব্যতিব্যস্ত। এ ব্যপারে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। আমার আত্মীয়র বাড়ির আশেপাশে কোনো খালি জায়গা নেই যে সেখানে ময়লা ফেলা যায়। আর কেই বা তার জায়গায় আরেকজনকে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে দিবে! এ নিয়ে তাঁর ভাড়াটিয়ারা প্রায় প্রতিদিনই চেঁচামিচি করে। আর করাটাই তো স্বাভাবিক, তিনি নিজেও সেটা বুঝেন। ইতিমধ্যে, তাঁর বাড়ির কিছু ভাড়াটিয়া এ সমস্যার কারণে চলেও গেছে। কিন্তু ওনার কিছুই করার নাই। তাঁর বাড়ির ভিতরও এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে ময়লা জমানো যায়। কারণ, ওনার অল্প জায়গা হওয়াতে ঘর নির্মাণেই পুরো জায়গা কভার করে ফেলেছে এবং বাসার ভিতরে যে চলার রাস্তা সেখানে যেন বৃষ্টিতে চলাফেরা করতে অসুবিধা না হয় সেজন্য সে অংশটুকু ঢালাই করে দিয়েছেন। তাই, এখন তিনি পড়েছেন মহা বিপদে!

তিনি আমার খুবই শ্রদ্ধ্বেয় একজন ব্যক্তি।



মাঝখানে বেচারা একটি রিকশাও ঠিক করে দিয়েছিলেন যেন বাসা থেকে ময়লাগুলো নিয়ে কিছুটা দূরে কোথাও ফেলে দিয়ে আসেন। কিন্তু সেই রিকশাওয়ালাও এখন গা-ঢাকা দিয়েছে। কারণ, সে যেখানে নিয়ে ময়লাগুলো ফেলত সেখানকার লোকেরাও নাকি ময়লা ফেলতে বাধা দেয়! হায়রে, অভাগা যেদিকে যায় সাগর সেখানে শুকায়!



তাই, এমন দিশাহীন অবস্থায় তিনি একদিন আমার কাছে এই সমস্যা সমাধানের কোনো পথ আছে কিনা জিজ্ঞেস করেন? কিন্তু আমিও এর কোনো সঠিক বা কার্যকর সমাদান দিতে পারি নি। তাই, অবশেষে কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে আপনাদের দ্বারস্থ হলাম।



এখন, আপনারা কেউ কি আমাকে বলতে পারবেন, এই সমস্যাটা কিভাবে দূর করা যায়?! যেসব জায়গায় এরকম দৈনন্দিন ময়লা-আবর্জনা ফেলার কোনো ব্যবস্থা নেই সেখানকার মানুষ কিভাবে জীবন-যাপন করে বা করছে? প্লিজ, কারো কিছু জানা থাকলে বা কারো মাথায় কোনো ইনোভেটিভ আইডিয়া থাকলে নির্দ্বিধায় আমাকে হেল্প করতে পারেন। আছেন কি কোনো সহৃদয় ব্যক্তি?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: এটার জন্য বসবাসকারী সকলের সমন্বিত উদ্যেগ প্রয়োজন। ভ্যানে করে আশেপাশের দূরে কোথাও যেখানে ময়লা ফেলার জন্য অনুমতি আছে সেখানে নিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

নেতাজী বলেছেন: ঐ এরিয়া টা গরিব এরিয়া। ওইখানে কেউ ভ্যানের উদ্যোগ নিতে রাজি না! কারণ, ঐটাতে টাকা লাগে!! একা তো আর কিছু করা সম্ভব না। পরামর্শের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.