![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্ধু মহলে শেষ কয়েকদিন যাবৎ সব থেকে বেশি আলোচিত চরিত্রটির নাম "হেলেন অ্যাডামস কেলার" ।
হেলেন এমন একজন মানুষ এর নাম যার জীবন কথন যে কোন মানুষ এর জীবনে এক শক্তিশালী অনুপ্রেরণা যোগাতে সক্ষম।
তিনি(হেলেন) যখন মাত্র ১৯ মাস এর শিশু বাচ্চা ছিলেন তখন এক জীবন ঘাতক রোগের হাত থেকে তার জীবন রক্ষা পেলেও রক্ষা পায়নি তার দৃষ্টি শক্তি, বাক শক্তি এবং শ্রবণ শক্তি।
ফলে শিশু কাল থেকেই তিনি বহুমুখী প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বড় হতে থাকেন।
আট বছর বয়সে এনি সুলিভান নামক এক গৃহ শিক্ষিকা তার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন।
এনি নিজেও একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি ছিলেন। এনি প্রথমে আঙুল দিয়ে হেলেনের হাতে বিভিন্ন চিহ্ন এঁকে এবং এরপর বর্ণমালা কার্ড দিয়ে বর্ণমালা শেখান। তারপর ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়াশোনা করেন। ১০ বছর বয়সে নরওয়েতে উদ্ভাবিত এক পদ্ধতি অনুসরণ করে কথা বলা শেখেন হেলেন।
১৯০৪ সালে হেলেন প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি হিসেবে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ডিগ্রি অর্জনের আগেই তার আত্মজীবনী "দ্যা স্টোরি অব মাই লাইফ" প্রকাশিত হয়।
তারপর তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন সহ তার জীবনদশায় আরো ১১ টি বই রচনা করেন।
তিনি একাধারে ছিলেন লেখক অন্যদিকে রাজনীতিবিদ পাশাপাশি একজন সমাজসেবক।
হেলেন ১৯১৫ সালে জর্জ কেসলারকে সাথে নিয়ে হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। সংস্থাটি এখনও বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের অনুরোধে হেলেন কেলার বিভিন্ন হাসপাতালে যুদ্ধাহত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাবিক ও সৈনিকদের দেখতে যেতেন এবং শান্তি ও আশার বাণী শোনাতেন। যুদ্ধ শেষ হলে বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিশ্বব্যাপী এক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রয়াস পান।
এছাড়াও তিনি বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অভিশপ্ত বিড়ম্বনা জীবনের বিষাদের ওপর একটি চলচ্চিত্র (Deliverance-1919) নির্মাণ করেন। চলচ্চিত্রে তার নিজের ভূমিকায় তিনি নিজেই অভিনয় করেছেন।
.
একজন মানুষ যিনি শিশু কাল থেকে অন্ধ, বোবা ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীত্ব নিয়ে বড় হয়ে উঠেও যদি এত মহৎ ও বিরল কর্ম করে যেতে পারেন তবে আমারা যারা স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ আছি আমারা কেন পারব না??
©somewhere in net ltd.