![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দাজ্জালের অন্যতম কাজ হল আল্লাহর দেওয়া সমস্ত বিধানকে পরিবর্তন করে ফেলা। সমস্ত হারামকে হালাল ও সমস্ত হালালকে হারাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। ইসলাম যে সত্য নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে তাকে চ্যালেঞ্জ করা ও তার বিপরীত ভাবাদর্শ তৈরি করা। এভাবে সে সমস্ত মানবজাতির ধর্মীয় বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখা হবে দুঃসাধ্য ব্যাপার।
নারীবাদী আন্দোলন দাজ্জালের অন্যতম ভাবাদর্শ। নারীবাদী আন্দোলনে বলা হয় নারী ও পুরুষ একে অপরের সমান। ইসলামের মতে নারী ও পুরুষ একে অপরের সমানও নয় বা কেউ কারোর চেয়ে উত্তমও নয়। তারা একে অপরের পরিপূরক, অনেকটা একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠের মত। সূরা লাইলের ১ থেকে ৪ নং আয়াতে আল্লাহ কি বলেন দেখুন -
১। শপথ রাত্রির, যখন সে আচ্ছন্ন করে, ২। শপথ দিনের, যখন সে আলোকিত হয়
৩। এবং তাঁর, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন, ৪। নিশ্চয় তোমাদের কর্ম প্রচেষ্টা বিভিন্ন ধরনের।
মহান আল্লাহ নারী ও পুরুষের বর্ণনা দিতে গিয়ে রাত ও দিনের সপথ নিয়েছেন। রাত ও দিন যেমন কার্যগতভাবে ভিন্ন, একে অপরের সমান নয় বা উত্তম নয় তেমনি নারী ও পুরুষ কার্যগতভাবে ভিন্ন, একে অপরের সমান নয় বা উত্তম নয়। সমস্ত মানুষ কেয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে চিরুনির দাঁতের মত সমানভাবে দাঁড়াবে। শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তি হল তাকওয়া বা ধার্মিকতা, গায়ের রং বা লিঙ্গ নয়।
এই নারীবাদী ইডিওলজির উপর ভিত্তি করে এখন পৃথিবীতে একটি সেক্সুয়াল রেভলুশন চলছে। নারী পুরুষের মত হওয়ার চেষ্টা করছে এবং পুরুষ নারীর মত হওয়ার চেষ্টা করছে। আর এভাবেই আখেরী জামানা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সঃ এর ভবিষৎবাণী সত্য প্রমাণিত হয়ে গেছে। তিনি (সঃ) বলেছেন, “পুরুষ নারীর পোশাক পরবে ও নারী পুরুষের পোশাক পরবে” (বুখারি)। তিনি (সঃ) বলেছেন, “নারীরা পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকবে” (আবু দাউদ)। “দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচানোর জন্য পুরুষেরা তাদের স্ত্রী, মা, বোন, কন্যা, ফুফু এবং অন্যান্য স্বজন মহিলাদেরকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখবে” (আহমাদ)। এগুলো ইতোমধ্যে হয়ে গেছে এবং এগুলো নারীবাদী আন্দোলনের ফসল যা দাজ্জালের কাছ থেকে এসেছে। ব্যাপকহারে বিবাহবিচ্ছেদ, সমকামিতা, উভকামিতা, লিঙ্গ পরিবর্তনসহ আরো অনেক অশুভ বিষয়ের জন্ম দিচ্ছে দাজ্জালের এই নারীবাদী আন্দোলন। সোসাইটি ভেঙ্গে যাচ্ছে, মানবজাতি এগিয়ে যাচ্ছে অজানা ধ্বংসের পথে।
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০০
বারিধারা বলেছেন: নারীরা পুরুষের পোশাক পরে পুরুষের সমকক্ষ হবার চেষ্টা করতেই পারে, কিন্তু একজন পুরুষের নারীর পোশাক পরতে চাইবার কারণ কি হতে পারে?
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭
নীল আকাশ বলেছেন: নারী স্বাধীনতার অপর নামই হচ্ছে দাজ্জালের অনুসরণ। খুব ঠান্ডা মাথায় এই সব মুসলিমদের ভিতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে।সুন্দর আর বাস্তব পোস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩
কানিজ রিনা বলেছেন: নারী পুরুষ একে অপরের পরিপূরক সেই
পরিপূরক কি সংগঠিত হয়েছে আপনাদের
পুরুষের কাছে প্রশ্ন? পুরুষ স্বাশীত সমাজ
তাইত? তাই পর্দার অজুহাতে শিশুও ধর্ষন
হয়। নারীরা মোহরানার পরিবর্তে যৌতক
দিয়ে স্বামীর ঘরে ঢুকে। এই যৌতুক আবিস্কার
নিশ্চয় মেয়েরা করেনাই? কই আপনারা
কেন পুরুষরা এটার সমাধান আনতে পারেন
নাই। পেপার প্রত্রিকা খুললেই যোতুকের বলি
পৌরবৃদ্ধা যুবতি শিশু কাদের দ্বারা ধর্ষিত।
সবই পুরুষ এমনকি মাদ্রার শিক্ষক ধর্ষনের
সাথে জড়িত মাঝে মাঝে পেপার পত্রিকায়
উঠে আসে। পুরুষ স্বাসীত সমাজে ইসলামে
নারীর অধিকার কতটুকু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে?
প্রায়ই আলেমগন মসজিদ মাহফিলে বলতে
শুনি একটা শিক্ষিত মা একটা একটা শিক্ষিত
জাতী। কই নারীর শিক্ষার উপর যত বাধাবিঘ্ন
ঘটাচ্ছে পুরুষরাই। একটি মেয়ের বাবা টাকা
ছাড়া মেয়ের বিয়ে দিতে পারেনা যখন কয়টা
পুরুষ বাবা এগিয়ে আসে? আজ নারী অধিকার ইসলামীক আইনে আদাই করতে
ঘর থেকে বেড় হয়ে অধিকারের মিছিল
নামতে হবে। আপনারা দেখেন কিভাবে পুরুষ
দ্বারা শিশু ধর্ষিত নির্যাতীত হচ্ছে আপনারা
পিতারা নামেন রাস্তায় এর বিরুদ্ধে রুখে
দাড়ান? তাহলেই হয়ত এর সুরাহা হবে।
তা করবেন না নারীর দোশ দেওয়া খুব সহজ
আর আপনারা জাত ভাই পুরুষ পুরুষের
পক্ষে জড়িয়ে পেচিয়ে নারীর দোশ তুলে ধরেন।
দেখাতে পারবেন নারীরা ইসলামীক আইনে
তাদের অধিকার টকু সম্পুর্ন পায়। অথচ
ইসলামেই নারীর অধিকার সর্বচ্চ সমানুপাতীক।
সমাজে পুরুষের অবনতি ছলেবলে কৌশলে
নারীর অবনতি পুরুষের হাতেই ঘটে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ।
০২ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেছেন: আপনি যেসব বিষয়ে পুরুষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন সেগুলো হিউম্যান প্রবলেম, আমাদের রিলিজিওনের প্রবলেম না। যদি আপনি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনি এই বিষয়ে একমত হবেন। আজকের সোসাইটিতে নারী পুরুষ উভয়েই ক্রাইমে লিপ্ত। ৯ মাস গর্ভে ধারণ করা একটা শিশুকে একজন মা কি কারণে বাথরুমে ফ্লাশ করে দেয় বা লোকচক্ষুর আড়ালে নর্দমায় ফেলে রেখে যায়? কেন নারীরা অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন ও ডায়াগনসটিক সেন্টারে দৌড়াচ্ছে্ন গর্ভপাতের জন্য? প্রতিদিন স্কুল শিক্ষিকা কর্তৃক চাইল্ড এবিউসের অসংখ্য রিপোর্ট আসছে। অসংখ্য নারীরা ড্রাগসের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। কেন তারা পরকীয়ায় লিপ্ত? এত বছরের সাজানো গোছানো সংসার তারা কেন ভেঙ্গে দিচ্ছেন, এমনকি নিজেদের সন্তানের মুখের দিকেও তারা তাকাচ্ছেন না। ইদানিং তো নারীরা দল বেঁধে পুরুষ ধর্ষণ করছেন এমন ঘটনাও ঘটছে। আপনি কি বলতে পারবেন নারীরা কেন এসব করছে? পুরুষ মানুষ দুধে ধোয়া তুলসীপাতা অথবা নারীরা পুরুষের চাইতে বেশী পাপ করেন এমন কিছু প্রমাণ করা আমার উদ্দেশ্য না। আমার পয়েন্ট হল, শুধু পুরুষ নয় বা শুধু নারী নয়, পুরো মানব জাতিই একটা বিশাল ক্রাইসিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আপনি চিন্তা করেন - প্রতিদিন আপনি নিউজপেপার পড়েন, টিভিতে নিউজ দেখেন বা ব্লগ পড়েন বা যাই করেন; যখনই আপনি মানুষের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিবেন তখনই আপনি দেখবেন শুধু ক্রাইম আর ক্রাইম। চারিদিকে শুধু খুন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, যুদ্ধ, মাদকাসক্তি, প্রতারণা এইসবের খবর। এই হিউম্যান প্রবলেম এর কারণ কি? আপনার কি ধারণা এই বিষয়ে? আমার ধারণাটা আপনাকে বলি- আমার ধারণা আমরা রিলিজিয়নকে জীবন থেকে একেবারে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি এটাই মূল কারণ। গত একশ বছর ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ধর্মহীন শতাব্দী। এর মদ্ধেই আমরা দুইটা বিশ্বযুদ্ধ দেখে ফেলেছি এবং আরেকটা মাথার উপর ঘুরছে। যে পরিমাণ ডাইভার্স ক্রাইম গত শতাব্দীতে হয়েছে আর এই শতাব্দীতে তা দিনকে দিন বেড়ে চলেছে এর পরিণতি একটাই, তা হল মানব জাতির চূড়ান্ত ধ্বংস। নারীর প্রতি পুরুষের সহিংসতা হল সেই হিউম্যান ক্রাইমের অন্যতম একটা অংশ। ইসলামের নাম ছাড়া পৃথিবীতে কিছুই অবশিষ্ট নেই। ন্যায়বিচার আর শাসন তো বহু দূরের বিষয়। এই সমস্যা পুরোপুরি তখনই দূর হবে যখন এই ঈশ্বরবিহীন সমাজব্যবস্থা, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, আইন ব্যবস্থাকে দূর করে, এই নব্য গ্লোবালাইজেশন ও মালটি-কালচারালিজম নামক অপসংস্কৃতিকে দূর করে ধর্মীয় ও নৈতিকতা ভিত্তিক সমাজ গঠন করা হবে। অনেক তো হল, কই সেকুলারাইজেশন তো তার কাঙ্খিত ফল প্রদান করতে পারল না। এবার ধর্মের উপর একটু আস্থা রাখুন, দেখেন কি হয়।
৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০
কানিজ রিনা বলেছেন: আমাদের দেশ ৯০% মুসলিমদের দেশ। কিন্ত
আমরা কি আসলে মুসলিম ন্যায় নীতি নিয়ে
চলি? যত দুর্নীতি ঘুসখোর সুদ খোর গাড়ি
বাড়ির মালিক শেষ বয়সে এসে মসজিদে
কপাল ঠুকে দাগ ফেলবে সাথে হজও করবে।
এখন বলুন আল্লাহর নিশিদ্ধ ঘোশিত সকল
কাজ কবিরা গুনাহ্ আল্লাহ্ মাফ করবে কিনা
আল্লাহ্ মালুম।
আমাদের মসজিদ গুলতে আলেম গন সবসময়
একটা বলবেন যত গুনাহ্ করবেন আল্লাহর
কাছে মাফ চাইলে আল্লাহ্ মাফ করবেন।
তাই মানুষ প্রতিনিয়ত জানিয়া বুঝিয়া কবিরা
গুনাহ্ করছে মসজিদে উঠে মাফ চাইতেছে।
আসলে ইমামদের উচিৎ এই হাদীস সুদক্ষতার
সাথে বাতলানো। কবিরা গুনাহ্ মাফ হবে কিনা
আল্লাহ্ মালুম হাদীসে যা পাই তাতে মাফ
পাওয়া কঠিন।
যত রকম চরিত্রহীন জেনাকারী বহুগামী লোক
হাদীসের হ জানেনা অথচ বহুবিবাহ্ করার
সময় একটা হাদীস ব্যবহার করে তা হোল
ইসলামে চার বিবাহ্ নিয়ম হাদীসের আগে
পড়ে কি আছে কিছুই জানেনা। হাদীসটাকে
চরিত্রহীন বদমাসরা অপব্যহার করে।
এখন বলুন কিভাবে আমরা মুসলিমরা ইসলাম
কলংকীত করছি সেখানে মহিলা দাজ্জাল তৈরি
হয়েছে কাদের কারনে। অসহায় নারীরা
ছলেবলে কৌশলে পতিতালয়ে বিক্রি হয়।
নারীর অবনতী পুরুষের হাত ধরেই হয়।
একটি নারী দৈহিক গত অন্যায় প্রথম বাপের
ঘারে তারপর স্বামীর ঘারে শেষে ছেলের ঘারে
এগুনাগুল বহন করবে বাবা স্বামী ছেলে।
এখন বলুন নারীর পাপ কোথায়।?
আসলে পরিবার থেকে নারীর প্রতি যত ন্যায়
নীতি শিক্ষা দেওয়া হয় পুরুষের বেলায় তার
কিছুই শিক্ষা দেয়না। আর পুরুষ ঘরের
বাহিরে যত দৈহিক অন্যায় করুক পরিবারের
কাছে দুধে ধোওয়া।
এভাবেই সমাজ পুরুষ নীতি নষ্ঠ ভ্রষ্ঠ।
এই ভ্রষ্ঠারা সমাজ পচিয়ে দিচ্ছে। কোথায়
আমাদের ইসলামীক নৈতিকতা।? সবই উলটা।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩
এখওয়ানআখী বলেছেন: সুন্দর আর বাস্তব পোস্ট। নারী স্বাধীনতার নামে মূর্খেরা মূলত দাজ্জালের অনুসরণ করছে। নারী ও পুরুষ একে অপরের পরিপূরক, অনেকটা একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠের মত। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ