![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সামহোয়্যার ইন ব্লগের ব্লগার হিসাবে নিবেদিত প্রাণ যারা" প্রসঙ্গে ঃ আমার বক্তব্য টি সংযোযন করলাম ;- ব্লগার যাযাবর বেদুইন-কে বলছি ; "আপনার পোষ্ট পড়ে অন্তত কিছু "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" চিনতে পারলাম, এই-সব "সু-শীল হস্তী" বা রাঘব-বোয়ালদের কারনেই হয়তো আমাদের লেখার সাথে সম্পৃক্ত ছবিগুলো "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" মত বা "রাঘব-বোয়ালদের লেখার মত লেখার পূর্ব-লাইনে সংযোযন করা হয়-না ; -যেমন তাদের পোষ্টে সংযোযন করা হয় এবং "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" সাদা-বিষের ছোবলে সত্যের সন্ধ্যানীদের জন্য আমাদের লেখা-গুলো প্রথম পাতা থেকে বাদ-দেয়া হয় অথবা মুছে ফেলা-হয় , বন্ধ করে দেয়া হয় অন্যান্য পাঠকদের জন্য পড়ার লিংক ! ধন্যবাদ আপনাকে "যাযাবর বেদুইন" !
১৫ বছর পরের কথা ঃ
-জন-লুকের স্ত্রী ফ্রাঁন্সোয়াজ যখন মারা গেল তখন "এরিক" এর বয়স ছিলো ১০ বছর , মার কথা পূরোটাই মনে আছে এরিকে"র , পৃথিবীর সব মায়ের মত"ই একজন ভালো "মা" ছিলো তার "মা , জন্মের পর থেকেই আলাদা রুমে শুতে দিতেন-না মা তার আদরের সন্তান-কে , পিতা মাঝে-মধ্যে আপত্বি করতেন মার সাথে , রুম আছে-তো কেন আলাদা রুমে শুতে দেয়-না স্ত্রী ফ্রাঁন্সোয়াজ তার আদরের ছেলেকে , জন-লুক মাঝে-মধ্যে বলতো-ও "ছেলেটা কি তোমার একার যে শুধু তোমার"ই মায়া-লাগে আর আমার লাগে-না , এ-নিয়ে প্রায়"ই পিতা বেশ রাগ হতো মার সাথে , এরিখ তখন বুঝতো-না "এ-টা আবার কেমন রাগ ? এই রাগ করছে আবার বিছনায় শুতে গিয়েই ,,,, এ-সব কথা যখন এরিকের মনে আসে তখন সে নিজে-নিজেই লজ্জা-পায় ! নিজে-নিজে ভাবতে থাকে কি বোকা ছিলাম আমি " আমি নিজে থেকেই-তো আলাদা রুমে ঘুম আসবো বলে দাবী করতে পারতাম মার-কাছে , আবার নিজেই নিজের মনে বলতে থাকে " সেই ১৫ বছর আগের কথা "তখন-তো এতোকিছু আমি বুঝতাম-না আজকের মত ! ঘুম আসতে যাওয়ার পর পিতা-মাতার এই সব ঝগড়া আবার মিল হয়ে যাওয়ার স্মৃতি গুলো এরিক-কে বেশ আনন্দ দেয় , ঐ-সময়টাতে মনেই হয়-না মা আর নাই , কিন্তু সময়-টা স্থায়ী হয়-না বেশী-খন , অল্প সময়ের মধ্যেই মনে পড়ে যায় মার মৃত্যু দিনের কথা , "অসমে এক "জনদাম" ( এক ধরনের পুলিশ ) স্কুলে হাজির হয়ে স্কুল থেকে নিয়ে আসলো এরিক-কে , আসার পথেই জনদাম সব খুলে বললো এরিক-কে "যেন বাড়ী গিয়ে হঠাৎ কোন প্রতিক্রিয়া বা হার্ট-এ কোন চাপ না-লাগে ! যখন বাড়ীতে পৌছলো ততখনে এ্যাম্বুলেন্স মাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে গিয়েছে , মা-কে কুয়া থেকে তোলার পর-পর"ই নাকি ডাঃ ডিকলার করেছিলো "মা" ফ্রাঁন্সোয়াজ আর নাই ! পিতা জন-লুক ছিলো হাসপাতালেই , মা-কে নিয়ে এ্যাম্বুলেন্সর সাথে-যে গিয়েছে তখন-ও বাড়ী ফিরে নাই , এরিক বাড়ী এসে শুনেছে মার শরীরের তাপ-মাত্রা দেখেই ডাঃ বাড়ী থেকেই ডিকলার দিয়ে গেছে কোন ব্যাবস্থাই আর নাই , কুয়ায় পড়েছে বেশ কয়েক ঘন্টা আগে সুতরাং পানিতে এতোখন থাকার পর কোন আশাই আর নাই , তবু-ও এরিখ আশা করে আছে পিতা বাড়ী ফিরে অথবা ফোন করে বলবেন "তোর মা বেচে আছে" !
©somewhere in net ltd.