নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
মার্কেট, বাজার এবং হোটেল গুলোতে ভীড় দেখে এক শ্রেনীর মানুষ রই রই করে বলে উঠে কিসের অভাব এই দেশে! মার্কেট, বাজার এবং হোটেল গুলো ভীড় বুঝতে হলে মুলত আমাদের বাংলাদেশী চরিত্র বুঝতে হবে, এতেই সমাধান আছে। হোটেলে যদি এক দল খাবার খায়, বিল দেয় যে কোন একজন, তিনি ধনী বা কোন উপলক্ষে, সবাই নিজনিজ বিল দেয় না, দিলে বুঝতেন, কার কাছে কত টাকা?
মার্কেট গুলোতে যারা কেনা কাটা করেন, তাদের অধিকাংশ মহিলা, কেনেন পরিবারের সবার জন্য পোষাক একটা বা এক সেট করে, অধিকাংশ উনারা নিজেরা কামাই করেন না, ঈদচাদ পূজা পর্বনে স্বামী অল্প টাকা দিলেও অন্যান্ন ধনী ভাই, বোন, মামা, চাচারা উপহার হিসাবে এই অকেশন গুলোতে টাকা দেন, ফলে নুতন কাপড় চোপড় কিন্তেই পারেন, আমাদের পরিবার গুলোতে এই সংস্কৃতি বহু পুরানো, পরিবারে যিনি ধনী হয়ে যান তিনি এই সংস্কৃতি ধরে রাখেন, নিদেন পক্ষে টাকা না দিলেও ধনীরা উপহার হিসাবে পোষাক আষাক খাবার পাঠান, মধব্যিত্ত পরিবার গুলোও আবার এমন করে অন্যদের উপহার বিতরন করেন। এটা নিয়ে সার্ভে করলেই বুঝতে পারবেন, টাকা আসে মুলত ধনীদের থেকেই।
অন্যদিকে এই দেশের অধিকাংশ মানুষ যেহেতু মুসলিম, ফলে আমরা পরকাল বিশ্বাস করি, খুব কম মানুষই কিপ্টে স্বভাবের, কাল কি খাবো আমরা জানি না, পকেটের টাকা শেষ করে উপরওয়ালার দিকে চেয়ে থাকি এবং এভাবেই আমাদের জীবন যায় বা পার হয়! আমরা অনেক ক্ষেত্রেই 'না' বলি না, প্রতারিত হয়েও বলি, আলহামদুলিল্লাহ!
তবে আমার মুল পর্যবেক্ষন হচ্ছে, এই দেশের অধিকাংশ পরিবার (শহরের কিছু বাদে) চলে প্রবাসীদের টাকায়, এই প্রবাসী ভাইবোনেরা যতক্ষন শ্বাস নেন, নিজে না খেয়ে পরেও দেশে পরিবারের কাছে টাকা পাঠান, নিজে আত্মত্যাগ করে অন্যদের জীবন গড়ে যান, জেলা উপজেলা পর্যায়ের অধিকাংশ পরিবারের কোন না কোন সন্তান বিদেশে থাকেনই, এরা ঈদচাদ এলে আরো নিজকে উজাড় করে টাকা পাঠান! বাংলাদেশের মুল ডলার ইঙ্কামের বা রিজার্ভ ফান্ড বৃদ্ধির জন্য দায় এই প্রবাসীরাই!
শেষে বলি, অভ্যন্তরীণ আরো একটা শ্রেনী আছে বা হাজারে গোটা ৫/১০ পেয়ে যাবেন, যারা সরকারী চাকুরে, ব্যবসা বানিজ্যে গলা কেটে উপার্জন করে, এদের হাতও খোলা, কিপ্টামিতে অভস্থ্য নয়, এরাও এই সব বাজার চাঙ্গা রাখতে হেল্প করে, যখন ঈদচাদ আসে, কিছু হলেও বিলায় বা খাওয়ায়!
করোনা ভাইরাসের মত সময়ে অনেকে বেঁচে গিয়েছে এবং এতে আরো সাহস বেড়েছে, অনেকে বা অনেক পরিবার মনে করছে, টাকা যা আছে খরচ করি, কাল আবার আসবেই, করোনার মত সময়ে যখন কিছু হয় নাই, ফলে এখনো সামনে কিছু হবে না! তাওয়াক্লতু আলালাহ!
২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
কামাল১৮ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।যতদিন বেচে আছি আনন্দেই বাচি।
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
সোনাগাজী বলেছেন:
সাধারণ মানুষ সরকার ও ব্যবসায়ীদের বাজারে পরিণত হয়েছে।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: কিছু বিষয় ভাল বলেছেন। আয়ের সাথে ব্যায়ের সামঞ্জস্য করে চলা শেখেনি বাঙালি এখনো- তাইতো এভাবে দু'হাতে খরচ করতে গিয়ে মাঝে মধ্যে ভয়ঙ্কর সমস্যায় পড়ে।
৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:০৮
নিমো বলেছেন: দেশে ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করে দিলেই অনেকের চলো খাই, মার্কেটে যাই, ঘুরে বেড়াই! ফুস হয়ে যাবে। এসব ফুটানিবাজের দুই পয়সা কামাই না থাকলেও, আইফোন আছে। আমরা এখন ঋণ করে ঘিতো বটেই, বাড়ি, গাড়ি, নারী, বালি দ্বীপ পর্যন্ত সব কিছুর দিকে রওনা হয়েছি। ভালো লিখেছেন।
৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহাদাত উদরাজী,
আপনার পর্যবেক্ষন ভালো। হাটবাজারে মানুষের ভীড় আর কেনাকাটার বহর দেখে দেশের মানুষের অবস্থা যে ভালো তা বলার কিন্তু সুযোগ নেই। পাঁচ বছর আগে হাটবাজারে যে লোক সমাগম দেখা গেছে আর এখন যা দেখা যাচ্ছে তার তুলনা করলে মনে হতেই পারে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু এটা কেউ হিসেব করেনা যে, এই পাঁচ বছরে মানুষও বেড়েছে। তাই হাটে বাজারে মানুষের ভীড় বাড়তে দেখা যাবে এটাই স্বাভাবিক। আর মানুষকে তো প্রতিদিন কিছু না কিছু খেতে হয়ই। এই খাওয়ার চাল-ডাল-তেল- পেয়াজ-মরিচ- মাছ-মাংশ ইত্যাদি তো সে নিজে উৎপাদন করেনা তাই তাকে হাটে বাজারে যেতেই হয়। কিন্তু কেউ কি খেয়াল করে দেখে যে, বাজারে আসা কতো পার্সেন্ট লোক মাছ-মাংশ কিনছে আর কতো পার্সেন্ট লোক শুধু চাল- ডাল কিনেই বাড়ীমুখো হচ্ছে?
আর সৌখিন জিনিষের জন্যে মার্কেটমুখি যে মানুষের ভীড় তারাও বা কোন ধরণের প্রয়োজনীয় সৌখিন জিনিষপত্র কিনছেন বা কতোজন মানুষ অকাতরে বিলাসী দ্রব্য/ জিনিষই কিনছেন তার কি কোনও পরিসংখ্যান আছে কারো কাছে ? মানুষ শুধু মানুষই দেখছে! তাহলে পথে-ঘাটে যে লাখো লাখো মানুষের ভীড়, তার মানে কি সবাই-ই অফিস যাত্রী ? সেখানে ছিন্নমূল, বেকার আর ভবঘুরের সংখ্যা কতো কারো কাছে কি তার হিসেব আছে ?????
তাই রোজার শুরুতেই এই যে ভীড়, তা আপনার বলা - কি আর হবে - চলো খাই, মার্কেটে যাই, ঘুরে বেড়াই! এর সচিত্র রুপ।
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এর মন্তব্যে সহমত।
৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি সঠিক পর্যবেক্ষন করেছেন।
৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪১
আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষন এবং সোনাবীজ ভাই ও জী এস স্যারের মন্তব্যে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১
কিরকুট বলেছেন: খরচের বেলায় বাংলাদেশী বাংগালীদের হাত বড়াবড় উদারহস্ত। আমরা ক্যালকেশিয়ান।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক মানুষের কাছে প্রচুর টাকা আছে। শপিং মলে এই মানুষেরই ভিড়। আপনি যদি বোঝেন, এই মানুষগুলো কারা, তবেই সমাধান পেয়ে যাবেন এদের অর্থ বা এত বিলাসিতার উৎস কোথায়।
আপনি যদি ক্ষমতাধর ব্যক্তি, কিংবা ক্ষমতার অংশ, কিংবা অবৈধ অর্থের উপর সটান দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার চোখে এ দেশে কোনো দুর্নীতি বা দারিদ্র্য নেই।
তবে এটা ঠিক, প্রবাসীরা আছেন বলে দেশের একটা অংশ ভালো ভাবে বাঁচতে পারছেন। এদের ভিড় অবশ্য ঢাকা শহরে হওয়ার কথা না, এরা ম্যাক্সিমামই মফস্বল কেন্দ্রিক।