নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
'স্যার' ডাকা নিয়ে ভাবছিলাম! সরকারী কর্মচারীদের জনগনের 'স্যার' ডাকতে সমস্যা কি, আমার তো মনে হয় কোন সমস্যা নেই, তবে মুল সমস্যা হচ্ছে নারী সরকারী চাকুরেরা যখন তাদের 'স্যার' ডাকতে বলেন, আমার মনে হয় মুল বেয়াদপিটা এখানেই। একজন নারীকে আসলেই 'স্যার' কেন ডাকবে, আমরা স্কুল কলেজের শিক্ষিকাদের কি 'স্যার' বলেছি, না আমাদের শেখানো হয়েছে পুলিংগদের জন্য 'স্যার', স্ত্রীলংগকে বলা হবে 'ম্যাডাম'!
পদমর্যদা পেয়ে অনেক বড় হলেও কি একজন লিংগ পরিবর্তন করতে পারে? না পারে না বা এটা সম্ভব না! দুনিয়ার সব ভাষাতেই নারী পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা সন্মান জনক পদ পদবী বা ডাক আছে। 'হিজ' বা 'হার', 'হি' বা 'সি' বুঝানোর স্বার্থেই প্রচলিত।
সংক্ষেপে বলি, আমাদের দেশে পদে উঠে যেয়ে নারীরা এই বিষয় গুলো গুবলেট করে ফেলতে চান, পুরুষের মত নিজকে দেখতে বা বলতে চান, আসলে কি তা সম্ভব, সেটা ভেবে দেখেন না। ফলে তিনি নিজকে ম্যাডাম না চিন্তা করে 'স্যার' চিন্তা করেন, আর সমস্যা এখানেই হয় বা হচ্ছে। পুরুষদের পক্ষে নারীদের 'স্যার' বলা যায় না, আমার নারীরাও কি নারীদের 'স্যার' বলতে পারেন, আমার মনে হয় না। নারীরাও নারীদের 'স্যার' বলাটা পছন্দ করবেন বলে মনে হয় না।
প্রিয়তমা স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন অফিস আদালতে যেয়ে কোন নারীকে কি তুমি 'স্যার' বলতে পারবে? তিনি বললেন, কেন, 'স্যার' বলবো কেন, 'ম্যাডাম' বললে কি সমস্যা।
ঘটনার সূত্রপাত এখানেই বলে মনে হচ্ছে, আপনি যখন কাউকে অযাচিতভাবে অকথ্যে বাধ্য করবেন বা নিজকে বড় কিছু ভেবে ফেলবেন, তখন সমস্যা হবেই। তবে পূর্বের সহজ ভাবনা গুলো ধরে রাখলে এমন অনেক সমস্যা এড়ানো যায় বটেই। কার্যত্য এই বিতর্কে এখন নুতন কিছু উঠে আসবে, নাম ধরে ডাকার প্রচলন এলেও আবার মিষ্টার/মিসেস নিয়েও অনেকে সন্তুষ্ট থাকতে পারবে না। হা হা হা
পদবী মানে শুধু চেয়ার না রে কেল্টু, সেখানে যে বসে তাকে মানুষ চোখে দেখে, পদবীর সাথে মানুষ তাকেও তার বিদ্যা বুদ্ধি চেহারা আচরণ নিয়ে চিন্তা করে, অন্তত যা দৃশ্যমান!
পরিশেষে, এই বিতর্ক মাত্র একটা নোটিশ দিয়েই সরকারের প্রশাসন সমাধান করে দিতে পারে, অথচ তা করছে না, আমাদের এই নিয়তি হয়ত, যত সমস্যা তত মানুষ বিভাজিত হবে, ঝগড়াঝাটি করবে, নিজদের ক্ষতি করবে, এতে ক্ষমতায় থাকা আরামের হবে!
২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: যত সমস্যা তত ক্ষমতায় থাকার নিশ্চয়তা।
২| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কোনো একজন অতি-জ্ঞানী ইংলিশ গ্রামাটিস্ট হয়ত এ মূল্যবান জ্ঞানটি দিয়েছিলেন - পদ মানেই ক্লিবলিঙ্গ, তাকে জেন্ডার নির্বিশেষে 'স্যার' ডাকতে হবে। আপনার পয়েন্ট অব ফোকাসটা খুবই প্রাসঙ্গিক, নাম ধরে ডাকার প্রভিশন চালু হলে কেউ কি মিস্টার নাজমা, মিস্টার হালিমা বলে ডাকবেন? আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে জানা নেই, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে পদধারী নারীদেরকে 'স্যার' ডাকা হয় কিনা।
২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হা হা হা, এই গুলো হল আদাচোদের কাজ। স্যার ম্যাডাম হলেই কি সমস্যা। আসলে এদের সমস্যা দরকার।
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২১
রানার ব্লগ বলেছেন: দেখুন এখন এই মুহুর্তে আময়াদের মধ্যে একটা সংকর প্রজাতির উদ্ভাবন হচ্ছে যারা সন্মান কিনে নিতে চায় বা সম্মান জোর করে আদায় করতে চায়। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নিজেকে যখন নবাব ভাবা শুরু করে তখনি এমন সমস্যার উদ্ভব হয় এর জন্য দায়ী আমাদের সামাজিক ব্যাবস্থা।
২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সরকারী চাকুরেদের এক পেষে আচরণ করার কথা না, তারা যখন এটা শুরু করেছে তখনই এমন প্রশ্ন উঠে এসেছে। আর এখন তো মাসাআল্লাহ!
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রংপুরের ডিসিকে আপা বলার পরে তিনি বলেছিলেন মেয়ে না হলে কি বলতেন। জবাবে শিক্ষক ভাই বলেছেন যে ভাই বলতাম। ডিসি আপা ধারণা করেছিলেন তিনি মেয়ে দেখে তাকে আপা বলা হচ্ছে, ছেলে হলে স্যার বলত। অনেক ক্ষেত্রে কথাটা হয়তো সত্য। কিন্তু যারা আইন কানুন জানেন তারা বলছেন স্যার বা ম্যাডাম কোনটাই ডিসিকে বলার দরকার নাই। চেয়ারের আলাদা সম্মান আছে এটা অবশ্য জানা ছিল না। ডিসি আপার কাছ থেকে জানলাম। ব্যাকরণে পড়েছি চেয়ার হোল ক্লিব লিঙ্গ। কিন্তু ডিসি আপা বললেন যে না চেয়ার হোল পুং লিঙ্গ। স্ত্রী লিঙ্গের কোন চেয়ার হয় না।
সরকারের বলে দেয়া উচিত ডিসি মহিলা হলে কি বলতে হবে আর পুরুষ হলে কি বলতে হবে। সরকার সম্ভবত আমলাদের চটাতে চাচ্ছে না। যার যা খুশি ডাকুক সরকারের কোন মাথা ব্যথা নাই।
বৃদ্ধ লোকেরা ডিসিকে মা বা বাবা ও বলতে পারবে কি? কিংবা বেশী কম বয়সীরা খালাম্মা কিংবা খালু বলতে পারবে কি?
২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই প্যাচ ক্ষমতাসীনেরা এক তুড়িতেই শেষ করতে পারে।
রংপুরের ডিসি নিজকে কোন লিঙ্গের ভাবেন সেটা জাতি জানতে পারছেন না, তবে তিনি বেশ চালাক আছেন।
ধাপে চালাকি না টিকলেও এরা আমাদের আগামীর বাংলাদেশ।
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩
শাহ আজিজ বলেছেন: স্যার এবং ম্যাডাম উপযুক্ত সম্ভাষণ বলে আমি মনে করি । ভাই, কাকু বা আপা এ সময়ের জন্য উপযুক্ত নয় কারন আমরা ডিজিটাল নাগরিক । ডি সি কি চাইলেন তা বড় নয় সরকারি প্রজ্ঞাপন কি বলছে ( আমি নিজেও জানিনা এ সংক্রান্ত আদেশ আছে কি না) । প্রজ্ঞাপন না থাকলে তা করতে হবে । প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট কে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট উচ্চারনে ডাকলেই হবে বলে আমার মনে হয় । আমেরিকাতে মিঃ প্রেসিডেন্ট নামে সম্ভাষণ করা হয় , আমরাও তাই করব ।
৬| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২০
সোনাগাজী বলেছেন:
যার আচরণ স্যারের মতো, তাকে স্যার ডাকা যায়; প্রফেশানেল ও অপরিচিত নারীকে ম্যাডাম ডাকা সঠিক।
৭| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০৩
ইলি বলেছেন: সরকারি কর্তা বা আমলারা কি লেসবিয়ান হয়ে গেল নাকি??? যে পুরুস মহিলা গুলিয়ে ফেলে সবাকে স্যার ডাকতে হবে। যে যা তাকে তাই ডাকা উচিত, পুরুস হলে স্যার/জনাব/ভাই আর মেয়ে হনে মেডাম/জনাবা/আপা।
৮| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এত সমস্যা বাদ দিয়ে নাম অথবা পদবী ধরে ডাকার রেওয়াজ চালু করলেই হয়। স্কুল, কলেজের শিক্ষক ব্যতীত অন্য কাউকে বাধ্যতামুলক স্যার ডাকার পক্ষে আমি নই।
৯| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:১৮
কামাল১৮ বলেছেন: স্যার ফার বৃটিশদের করা নিয়ম।নাম ধরে ডাকাই উত্তম।প্রথম কিছু দিন খারাপ শুনাবে পরে ঠিক হয়ে যাবে।বড়জোড় হ্যালো করিম বা হ্যালো নূর জাহান বলতে পারে।
১০| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:১৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
'স্যার' না ডাকলেই আমাকে ইনসাল্ট করা হলো বা যোগ্য সম্মান দেয়া হলো না, আমাদের এ হীনমন্যতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
উন্নত দেশে চাকরিজীবী তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে স্যার বলেন না। সরাসরি নাম ধরে ডাকা হয়। ফার্স্ট নেইম।
অফিসে ও কর্পোরেট সমাজে সেবাদাতা সেবা গ্রহিতাকে স্যার বলে। এমনকি সরকারি অফিসেও নাগরিক সেবাগ্রহিতাকে স্যার ডাকা হয়। আর সেবাগ্রহিতা যে কোন নামে ডাকতে পারে সেটা নিজের ইচ্ছা।
আর সারধারনত সর্বত্র বয়ষ্ক বা সিনিয়র সিটিজেন গরিব হলেও তাকে স্যার ডাকা হয়। তবে কর্তব্যরত পুলিশকে সাধারনত 'অফিসার' বলে সম্ভোধন করা হয়, না বললেও সমস্যা নেই।
উন্নত দেশে পাবলিক সার্ভেন্টদের কোন গাড়ী দেয়া হয় না, আলাদা বাসাও নেই। ড্রাইভার পিয়নও দেয়া হয় না। নিজের গাড়ী, তেলও ভরে দেয়ার মানুষ নেই, নিজেই ভরে। নইলে বাসে যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সরকার পদের লিঙ্গভেদ করতে চায় না। সেজন্য তারা নারীকেও স্যার ডাকার বিধান করেছে। আমাদের যিসি মহোদয় নারী। আমরা তাঁকে স্যার ডাকি। পূর্বে পুলিশ সুপার মহোদয় নারী ছিলেন। তাঁকেও স্যার ডাকা হতো। আমাদের ডিডি মহোদয় নারী। তাঁকেও আমরা স্যার ডাকি। পত্রে আজকাল নারীকেও জনাব বলা হয়। আর সরকার যেটা নিয়ম করে সেটা মানতে হয়। নতুবা চাকুরী থাকপে না।