নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান, মেয়রেরা কিভাবে দিনের পর দিন ধনী হচ্ছে! আসুন দেখি!

২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪

সাধারন গ্রামের একজন মেম্বর, ইউনিয়নের একজন চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র এরা সবাই এখন ধাপে ধাপে কোটিপতি! কি বিশ্বাস হয় না, তা হলে নিজ গ্রামের, ইউনিয়নের, উপজেলার, পৌরসভার এমন কারো সাথে একটু ভাইল দিয়ে একটা দিন চলেন, বুঝতে পারবেন, আমি মিথ্যা না সত্য বললাম! এদের একেজন ব্যক্তি প্রায় ১৫ বছরের বেশি একই স্থানে কাজ করছে, তেমন জবারদিহীতা নেই, সরকারের বরাদ্ধ, নানান কাজ, অর্থ তাদের কাছে পৌঁছায়, নিজদের মত করে বন্টন করছে, ইচ্ছামত পকেটে পুরছে, এখন আর খাতা কলমের দরকার হচ্ছে না, এক্সেল শীটে ফরমেট আছে সেটা পুরুন করে দেখিয়ে দিলেই হল, আর নিচ থেকে উপরের দিকে রিপোর্টের সাথে টাকা দিয়ে দাও, ব্যস! এভাবে কাজ না করেও ঘরে বসে এই লোক গুলো কামিয়ে নিচ্ছে, নিজদের বাড়িতে বিল্ডিং উঠছে, ভাল খাচ্ছে, পরছে, কি আরাম!

এই তো গেল, এক ধরনের ইনকামের কথা, আর যে বড় ইনকাম আসে তাদের তা বলি, সেটা হচ্ছে সেই স্থানের লোকেদের চাকুরী, ব্যবসা, জমিজামা এবং বিবাহশাদী নিয়ে বিরোধের মীমাংসা ইত্যাদি ইত্যাদি! সংক্ষেপে কয়েকটা পয়েন্ট আলোচনা করছি!

১) ছেলের চাকুরী হল, ইঙ্কোয়ারী যাবে, মেম্বার চেয়ারম্যানকে টাকা না দিলে আপনি ও আপনার ছেলে হয়ে যাবেন 'রাজাকার'! ব্যস এক শব্দেই জীবন শেষ! ফলে মানুষ এখন আগেই বলে রাখে, টাকা দিয়ে দেয়, আমার ছেলের ইঙ্কোয়ারী এলে ভাল বলিও!

২) ব্যবসা করছেন, এরা কাছে এসে বলবে, ভাতিজা কিছু খরচাপাতি দিও (চাঁদা আর কি)। ব্যস, না দিলে আপনি তাদের রেশানলে পড়লেন!

৩) জমিজামা নিয়ে বিরোধ পুরানো, এই বিরোধে এদের কাছে যেতেই হয়, গেলেই এদের আসল রুপ বুঝতে পারবেন। টাকা খেয়ে এরা সালিশের বিচার এমন করবে যে, আপনি টাকা না দেয়ার হয়ত নিজকেই খুন করতে চাইবেন, ভাববেন এই কি হল খোদা! সালিশ বিচারে এরা দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কারনে খুব দাড়িবাজ হইয়েছে এরা!

৪) বিবাহশাদী, এই নিয়ে আর কি বলবো, আজকাল ডিভোর্সের হার দেখেই তো বুঝতে আপনাদের পারার কথা। এই মেম্বার চেয়ারম্যান বিবাহের সালিশে এমন কারবার করে যা নিয়ে ধারাবাহিক নাটক বানানো যায়, সাথে দুই পক্ষ থেকে টাকাও খায়, আবার ঘটনা নিয়ে হাসে!

ইত্যাদি ইত্যাদি নানান খাত আছেই!

আশা করি বুঝতে পারছেন, না বুঝলে এলাকার কোন এমপি, মন্ত্রীর বাড়ি যান, তারা আপনারে বুঝাইয়া দিবো, তারাও কি করে আটো ধনী হয়ে যাচ্ছে! ঘর ঘরে থেকে এই টাকার ভাগ যে তাদের কাছেও যায়, নানান ফরমেটে, ক্যাশ কিংবা উপহার হিসাবে! হা হা হা।
একটা মানুষ যখন দীর্ঘদিন একই পোষ্টে কাজ করে সে সব ফাঁকফোকর বুঝে যায় এবং কারে তেল, কারে বাটি, কারে ঘটি, কারে আইক্ষ্যা বাঁশ সব বুঝে যায়, আর এই বুঝার ফলেই সে কামিয়ে নেয়! তবে আর এক্টূ চালাক যারা তারা এই টাকা নিজে নেয় না, ইমেজ ক্লিন রাখার জন্য, তারা এক শ্রেনীর এলাকা ভিত্তিক এসিস্ট্যাট রাখে, যারা দালাল নামে পরিচিত, এরা স্বল্পশিক্ষিত কিন্তু খুব চালাক, এরাই সমস্যায় পড়লে আপনার সাথে কন্টাক করবে এবং টাকা নিয়ে ওদের দিবে, নিজেরাও কিছু রাখবে, যেমন ঘুষের টাকার মত! হা হা হা

এত লেখার পরেও মনে হচ্ছে আপনাদের বুঝাতে পারি নাই, তা হলে বলেন, তেমন কোন ব্যবসা বানিজ্য না করে উল্লেখিত পদ পদবীর বাড়িতে এত সুন্দর বিল্ডিং উঠছে কি করে? যাদুর খেলা নাকি!

সরকারের বড় প্রশাসন কি এই সব জানে না? আমি নিশ্চিত (!) এদের নিয়ে এত ভাবনার সময় আপাতত সরকারের হাতে নেই! কোটিতে যেখানে হিট নেই, লক্ষের দিকে চোখ যায় কি করে? আর এরাই তো মাঠে আছে!

(আমি সাংবাদিক নই, ব্লগার - যা চোখে দেখি বুঝি তাই লিখে ফেলি, আপনি আমার যুক্তি খন্ডাতে পারেন, মোষ্ট ওয়েল কাম!)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আমি সাজিদ বলেছেন: ফেসবুকে পড়েছি। আমাদের মতো অনেকের পক্ষে এমন নোংরামি করা সম্ভব না আবার সব এডজাস্ট করে শুধু পজেটিভ কথা বলাও সম্ভব না। দেশকে দূর থেকে ভালোবাসার চেষ্টা থাকবে শুধু।

২| ২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৫৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সেই পুরান পন্থা। জনগণের হক মেরেই এরা ধনী হয়।

৩| ২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:১৩

তানভির জুমার বলেছেন: টাকা ছাড়া মেম্বার-চেয়ারম্যানরা কোন কাজ করে না। গ্রামগুলো ধব্ংস করেছে মেম্বার-চেয়ারম্যানরা, এরা এলাকায়-এলাকায় মানুষের মধ্যে- জায়গা জমি, পরিবার, নিয়ে সমস্যা বাধিয়ে টাকা খায়, পুলিশের সাথে মিলেমিশে গ্রামগুলোতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। যে কোন বরাদ্ধের ৮০% এরা খেয়ে ফেলে।

৪| ২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: কারি কারি টাকা করে লাভ কি? গাড়ি বাড়ি জমি এসব দিয়ে কি হবে? মরতে তো হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.