| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহাদাত উদরাজী
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
১।
আমার অনেক বন্ধু, আমি বন্ধুত্বে বিশ্বাসী, কখনো এই সম্পর্ক নষ্ট করি না। টাকা ধার দেয়া উচিত না, তবুও কেহ চাইলে পকেটে থাকলে না করি না, যদিও এখন আর সেই সময় নেই, ফুরিয়েছে। তেমনি আমার এক বন্ধুর কাছে বেশ কিছু টাকা পাই, ডেইটের পর ডেইট, তবুও হতাশ হই না, হাসি মুখে থাকি! কয়েকদিন আগে সে নিজেই জানালো, জুন পনর তারিখে কিছু টাকা পরিশোধ করবে, আমি মহা খুশি, সামনে কোরবানীর ইদ, কাজে লাগবে, আজকাল উপার্জন কমেছে। কয়েকদিন আগে তারিখ মনে করিয়ে দিতে ফোন দিলাম।
; হ্যালো, বন্ধু, কই!
- দোস্ত আমি কুমিল্লাতে আছি।
নানান কথা বলে ফোন রাখছি, গতকাল সন্ধ্যায় অফিস থেকে রাস্তায় নেমে ফোন দিলে সে আবারো জানালো কুমিল্লাতে, আমার সন্দেহ হল। তার এপার্ট্মেন্ট আমার অফিসের কাছে, আমি হাটতে থাকলাম, গলা চড়িয়ে মিথ্যা বললাম!
- হুর ব্যাটা, আমি তো তোদের এপার্ট্মেন্টের নিচে, তোদের দারোয়ান তো জানালো, তুই বাসায়, নাম নিচে, আমি আছি, অপেক্ষা করছি!
আমি এত দিনের চলাচলে বুঝতে পারছিলাম, সে কিছুতেই এতদিন কুমিল্লা বেড়াতে পারেই না, তার স্ত্রী তার গলা টিপেই মেরে ফেলবে! হা হা হা। আমি আরো ঝাড়ি দেয়াতে সে বলল।
; দোস্ত থাক, আমি নিচে নামছি!
আমি জলদি ওর এপার্ট্মেন্টের নিচে গেলাম। দেখি সে হাফ প্যান্ট পরে নেমেছে! আমাকে হাসি মুখে জানালো, তোর সাথে মজা করছি!
আমি ওর চেহারা দেখে ভাবছিলাম, আহ আমার বন্ধু!
২।
বহু বছর আগের কথা, হবে প্রায় ১৪/১৫ আগের। আমাদের বন্ধু সাথে আড্ডা দেয় আর বলে আমার জন্য একজন পাত্রী দেখ, বিয়ে করতে হবে, তখন আমরা বন্ধুদের মধ্যে প্রায় অনেকেই বিবাহিত, সন্তানের পিতাও। আমরা জনি সে এখনো বিয়ে করে নাই! ফলে আমাদের পাত্রী দেখানোর একটা টেনশন কাজ করে, আফটার অল আমাদের বন্ধুর বিয়ে হচ্ছে না! সেই সময়ে এভাবেই বিয়ে হত, আমিও আমার এক বন্ধুর মামাতো বোনকে এভাবে বিয়ে করেছি, সেই সল্পসল্প আরেক দিন লিখে আপনাদের জানাবো বটে।
একদিন বাসা থেকে একটু আর্লি আড্ডা দিতে বের হয়েছি, বেইলী রোডে এখন গেলে কাউকে পাব না, ফলে ভাবলাম, এই বন্ধুর বাসায় যাই, ওদের বাড়িটা বেশ সুন্দর (যা এখন ভেঙ্গে এপার্ট্মেন্ট করা হয়েছে), ওকে পাবই, ওর সাথে সময় কাটিয়ে বেইলী রোডে সন্ধ্যায় বৃহৎ আড্ডায় যাব। ওদের বাসাটা ৪ তলা, নিচে খোলামেলা জায়গা। নিজেই গেইট খুলে প্রবেশ করলাম, গেইটের পরেই দেখি একটা ছোট ছেলে, বয়স ৩/৪ হবে, শিশুদের সাইকেল চালাচ্ছে, পাহারায় আছে ওই বন্ধুর বাসার কাজের লোক, আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম।
- এই ছেলেটার কার রে?
; কেন আপনি জানেন না, এই ছেলে তো আপনাদের বন্ধুর!
আমার আকাশ ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা, বলে কি! মানে আমাদের বন্ধু বিবাহিত এবং সে এই কথা আমাদের মধ্যে এত বছর গোপন করে বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজে আমাদের পেরেশানী করছে! সেখানে আর কথা না বাড়িয়ে ফিরে বেইলী রোডে এলাম। সন্ধ্যার আড্ডায় সবাইকে জানালাম!
সন্ধ্যায় মাঞ্জা মেরে সেই বন্ধু এলো, সবাই মিলে চেপে ধরলো, কি রে কবে বিয়ে করলি, আবার বাচ্চার আব্বাও হয়ে গেলি!
বন্ধুর ঠান্ডা মাথার উত্তর ছিলো, তোদের সাথে মজা করছিলাম!
৩।
উপরের দুই গল্পের নায়ক একজনই! এই হচ্ছে বন্ধু ভাগ্য, আমার বন্ধু!
(গল্প ও রান্না সাইটে অদ্য প্রকাশিত, ১৪ জুন ২০২৩ইং)
২|
১৯ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:০১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: স্বার্থে পড়লে টান
বন্ধুও দেখায় ভান।
৩|
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
md masud rana বলেছেন: গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। এত সুন্দর গল্প লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সত্যি কথা বলতে মানুষ যখন কোন বিপদে পরে তখন জানা যায় কে প্রকৃত বন্ধু আর কে নকল বন্ধু। বেকার জীবন থেকে সফলতা অর্জন করতে পারলে তখন বন্ধুর অভাব হবে না https://youtu.be/VXbg4wAqjko
৪|
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমার কোনো বন্ধু নেই। আমি একা।