নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
সকাল থেকে সারা দুনিয়া অসহ্য মনে হচ্ছে, কম্পিউটারের সামনে বসে আছি প্রায় ঘন্টা দুয়েক, কি লিখবো, কি করে লেখা শুরু করবো ভাবতে ভাবতে সময় পার হয়েছে। সকালে মেসেঞ্জারে মাসুমের মেসেজ পেয়ে হতবিহবল হয়ে আছি। আমাদের একজন প্রিয় আপা আর এই দুনিয়াতে নেই, ঠিক এই লেখা লেখার সময়ে তার পরপারে যাবার আয়োজন চলছে, যোহরের নামাজের পরে উনার শেষ বিদায় জানানো হবে।
"আস্সালামু আলাইকুম, মামা! আমার আম্মা, অধ্যাপিকা সুরাইয়া মজুমদার, আজ রাত ০১:৪৫ মিনিটে যশোরে নিজ বাসভবনে ৮২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)! আজ বাদ-জোহর জানাজার পরে ওনাকে যশোর কবরস্হানে আব্বার কবরের পাশে কবর দেয়া হবে! তাঁর রুহের মাগফিরাতের জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন! মাসুম"
চাবুক আপাকে এই প্রজন্মের অনেকেই চিনবে না, তবে আমাদের প্রজন্মের কাছে তিনি ছিলেন অতি পরিচিত মুখ। স্বাধীনতার পরে ১৯৯০ সাল (এর পরে আমি বিদেশ চলে যাওয়াতে আর খবর রাখতে পারি নাই) পর্যন্ত উনার লেখা অনেক অনেক পত্রিকাতে ছাপা হত, বিশেষ করে বিনোদন পত্রিকা গুলোর (প্রায় প্রতিটা সাপ্তাহিকে বিশেষ করে চিত্রালী, পূর্বানী, বিচিত্রা, রবিবার ইত্যাদিতে বেশী) চিঠিপত্রের কলামে তিনি ছিলেন জনপ্রিয়, যা আজকালের ফেইসবুকের মত। আমরা যারা আমাদের ছাত্রাবস্থা তরুণ কালে নিয়মিত পত্রিকা পড়তাম আমরা উনাকে দেখেছি, আজকের সময়ে যাদের অনলাইন সেলিব্রেটি বলা হয় তখন তিনি তেমন ছিলেন, যশোর থেকে তার লেখার জন্য আমরা নিয়মিত অপেক্ষা করতাম।
অত্যান্ত সন্মানীয় আমাদের এই বোনের সাথে আমার স্মৃতি অনেক। কোনটা রেখে কোনটা বলি। একটা উল্লেখ না করলে নয়, তখন ছিলো মুলত পত্রমিতালীর যুগ। একদিন আমি উনাকে একটা চিঠি লিখেই ফেললাম, আমি তখন ইন্টারের ছাত্র। যতদুরমনে পড়ে লিখেছিলাম, আপা আমি যশোর আসতে চাই, আপনার সাথে আড্ডা দিবো। ব্যস, আপা জানালেন কবে আসবে। আমি পরের চিঠিতে জানালাম, আপনার কলেজের ছুটি যখন হবে। এর পরের চিঠিতে তিনি আমার জন্য বিমানের টিকেট পাঠালেন। আমার জীবনে প্রথন বিমান ছড়া, ঢাকা-যশোর, ভাড়া ছিলো ৫২৫টাকা, আমার এখনো টিকেটের টাকার কথা পরিস্কার মনে আছে, ঢাকা বিমান বন্দরে গিয়েছিলাম বেবিট্যাক্সি চড়ে! এই স্মৃতি ভুলি কি করে। যশোরের আপার বাড়িতে ২/৩দিন ছিলাম, আপার দুই ছেলে, বড়জন আমার সমসাময়িক, ভাগিনাদের সাথে বন্ধুত্ব, দুলাভাইয়ের সাথে রাত জেগে আড্ডা, কত মজার স্মৃতি।
আপা, সম্ভবত যশোর মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন তখন, সুতারাং বাংলাভাষার দক্ষতা ছিলো অসাধারন, বাংলা বানানের জাহাজ ছিলেন তিনি। পড়ার জানার এমন আগ্রহ অসাধারন ছিলো। এর পরে আপা ঢাকা আসেন, আমাদের বাসায় আসেন, সেই সব স্মৃতি এখন বার বার মনে পড়ে।
বিদেশ থেকে ফিরে এসে আমি আপাকে হারিয়ে ফেলি, মাঝে মাঝেই মনে পড়ত, কিন্তু খুঁজে পাই নাই, কয়েক বছর আগে ফেইসবুকে ছোট ভাগিনা (সে এখন নামকরা ডাক্তার) আমাকে দেখে চিনে ফেলে, ফলে ফেইসবুকে আবার আপাকে খুঁজে পাই, তখন তিনি বৃদ্ধ এবং অসুস্থ্য, অনলাইনে আর উঠে আসেন নাই, সমসাময়িক উনার সবাই হারিয়ে গেছেন। এদিকে আমি বার বার মাসুমের ফিডে যাই, মেসেঞ্জারে কথা হয়, যাব যাব করতে থাকি (মাসুম, আমি লজ্জিত আপার কাছে ও তোমাদের কাছে), কিন্তু যাওয়া হয়ে উঠে নাই, মাসুম বার কয়েক আপার ছবি পাঠান, আমি সেই ছবি দেখি আর দুখে পড়ি, আপার সেই মাষ্টারনীর চেহারা আর নেই।
এই লেখা লেখার সময় আমি কাঁদছি, মানুষ কেন এই দুনিয়াতে আসে আর কেনই বা চলে যায়, আমারও বয়স হয়েছে, চলে যেতে পারি যে কোন দিন। একটা আফসোস থেকে গেল, আপার সাথে শেষ দেখা হল না, দেখা হলে নিশ্চয়, কান ধরে বলতেন, 'এত দিন পরে আপার কথা মনে হল উদরাজী'! এখন আর আমার কাছে সেই সুযোগ নেই, বিশাল হাহাকার মনে তৈরী হল আজীবনের জন্য।
চাবুক আপার জন্য দোয়া করি, আল্লাহ আপাকে বেহেস্তের সবচেয়ে ভাল জায়গায় রাখুন। নিশ্চয় পরপারে দেখা হবে, আবার কথা হবে। বিদায় 'প্রিয় চাবুক আপা, কলেক রোড, যশোর'!
(আপার ছবি দেয়া ভাল মনে করছি না, তবে আমার সেই প্রথম বিমানে চড়ে যশোর যাবার এবং ভাগিনাদের সাথে তোলা একটা ছবি শেয়ার দিচ্ছি)
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮
বিজন রয় বলেছেন: দুঃখজনক! শিক্ষকরা আমাদের জন্য দেবদূতসম।
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫০
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সমবেদনা।
দ্বিকীয় জগৎে উনি ভালো থাকুন।
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সমবেদনা।
দ্বিকীয় জগৎে উনি ভালো থাকুন।
৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা মৃত্যু আমাকে কষ্ট দেয়। ভয় ধরিয়ে দেয়। একদিন আমিও মরে যাবো। কিন্তু মরতে ইচ্ছে যায় না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আপাকে যেন আল্লাহ জান্নাতে কবুল করে নেন