নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
- আমার বড় ছেলে তখন ক্লাস ফোরে পড়ে, থাকি রামপুরাতে। ওর মা তাকে স্কুলে নিয়ে যায় সেখানে অনেক ছাত্রের মা তার বান্ধবী। একদিন গল্পে জানালেন শম্পা ভাবী বনশ্রীতে ফ্লাট কিনেছেন। আমি জানতে চাইলাম উনার স্বামী কি করেন, তিনি জানালেন, পুলিশ, সিলেটের কোন থানায় কাজ করেন। আমি যা বুঝার বুঝে গেলাম। এর আরো কয়েক বছর পরে তিনি জানালেন শম্পা ভাবী আগের বাসা ভাড়া দিয়ে আরো বড় ফ্লাট কিনেছেন, আগের বাসা নাকি ছোট লাগে! আমি এবারেও বুঝে গেলাম! এখন আর যোগাযোগ নেই, তবে এখন নিশ্চয় গুলশান বনানীতে ফ্লাট কিনেছেন!
- ২০০৯/১০ সালের কথা, ব্রেক্সিমকোর চাকুরী ছেড়ে পুরা বেকার, দিক্বিদিক জ্ঞান হারা! এক বন্ধু জানালো উত্তরায় তার এক পরিচিতের কাছে চাকুরী আছে, সে বলে দিবে। ফিটফাট হয়ে বায়ো নিয়ে গেলাম, আলীশান বাড়ীর নিচ দুই তলা নিজ অফিস, গাজীপুরে ফ্যাক্টরী। সেই লোকের সাথে অনেকক্ষন কথা হল, সেলসে চাকুরী ফাইন্যাল, তবে বেতন যা বললেন আমি তাতে তাজ্জব হয়ে গেলাম, বসেই সিধান্ত 'হবে না'! তবে এখনো মনে পড়ে কথা ফাঁকে তিনি তার অতীত জীবনের কথা বলছিলেন, তিনি এয়ারপোর্টে কাষ্টম অফিসার হিসাবে কাজ করতেন, চাকুরী অবস্থাই নাকি শিল্প ব্যবসা শুরু করেন! এখনো মনে পড়লে হাসি আসে, কি পরিমান মাল তিনি কাষ্টমে থাকা কালীন কামিয়েছেন যে শিল্পকারখানার ব্যবসা শুরু করতে পেরেছেন! উত্তরাতে এমন হাজার হাজার শুধু কাস্টমের চাকুরী করা ব্যক্তি আছে, যারা জমি ফ্লাট কারখানার মালিক!
- গতকয়েকদিন আগে মধ্যরাতে সৌদি থেকে এক পরিচিত আঙ্কেল ফোন দিলেন, বলেন, ভাতিজা তোমাকে কয়েকটা নথি পাঠাচ্ছি, পরিচিত কোন উকিল থাকলে দেখিয়ে দেখোতো একটা ব্যবস্থা করতে পারো কি না! ঘটনা মুখে যা বললেন, তা হচ্ছে তিনি দেশে থাকার সময় ইটভাটার ব্যবসা করতেন, সিটি ব্যাংক থেকে সেই সময়ে ২০ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলেন, কিছু টাকা ফেরত দিয়েছেন এবং এক সময়ে ব্যবসা নষ্ট হয়ে যায়, ফলে সম্ভল্কম্ভল হারিয়ে বিদেশ চলে যান। এখন এই টাকার জন্য তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়েছে, নোমেনী ছিলেন তার স্ত্রী, এখন স্ত্রীর নামেও গ্রেফতারী পরোয়ানা বা ঢাকায় অর্থঋণ আদালতে হাজিরার নির্দেশ! ফোন ছেড়ে শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম,কাকা তুমি ২০ লক্ষ না নিয়ে ২০ কোটি নিলে এখন পালিয়ে বেড়াতে হত না, ওরাই স্যার স্যার বলে মুখে খৈ ফুটাতো!
- বেইলী রোড কিংবা সিদ্বেশরীতে এখন অনেক বড় বড় ফ্লাট, মেয়েদের স্কুল ভিকারুন্নেছা স্কুল কলেজ বলে এই এলাকার আলাদা দাম আছে, এখানে এই বড় বড় আলীশান ফ্লাট গুলোতে অনেক সরকারী চাকুরের বেনামে কেনা বা ভাড়া থাকেন, নিদেনপক্ষে এই ফ্লাট গুলোর গ্যাস বিদ্যুত সার্ভিস সহ খরচা সর্ব নিন্ম ৫০/৬০ হাজার তো হবেই। আড্ডায় কথা উঠতে বন্ধু লম্বু কবির জানালো, 'তোর এত মাথা ব্যাথ্যা কেন, তুই পারিস না, পারলে তুইও থাক'!
২| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬
ঢাকার লোক বলেছেন: সিদ্ধেশ্বরীর ফ্ল্যাট নিয়েই আপনি চিন্তিত! সেদিন এখানে পেলাম, "বাংলাদেশে ধনী গরীব বৈষম্য নিয়ে আল জাজিরা একটা প্রতিবেদন করেছে আজকে। প্রতিবেদন পুরাটা পড়লাম, নতুন তথ্য নেই। দেশে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে বা বেড়েছে এটা পুরানো তথ্য। কিন্তু ইন্টারেস্টিং হচ্ছে প্রতিবেদনের কেস স্টাডি গুলশানের এক এপার্টমেন্ট বিল্ডিং। আল জাজিরা বলছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বিলাসবহুল এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স হচ্ছে এটি। সাত হাজার স্কয়ার ফিটেরও বেশি এক একটি ফ্ল্যাট। এই কমপ্লেক্সে একটা ইনফিনিটি সুইমিং পুল আছে (ক্যাটালগ থেকে দেখলাম) যেখান থেকে পুরা গুলশান লেকের ইনফিনিটি ভিউ পাওয়া যায়। আরও ইন্টারেস্টিং তথ্য দেয়া আছে রিপোর্টে যে কনস্ট্রাকশন শুরুর আগে সবগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। ২০২১ সালে এক একটা ফ্ল্যাটের দাম ছিল ২০ কোটি টাকা। আবার এই কমপ্লেক্সের ১২টা ফ্ল্যাট কিনতে ৫০ জন আবেদন করেছিল। তার মধ্যে প্রোফাইল দেখে বিক্রি করা হয়েছে। বেশ ইন্টারেস্টিং কেস স্টাডি।
Collected
৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৯
ঢাকার লোক বলেছেন: বিল্ডিংটার একটা ছবিও ছিল সাথে। যে সকল সৌভাগ্যবান কিনেছেন, তাঁদের মাঝে সবাই অসৎ পথে বিত্তশালী হয়েছেন নিশ্চিত না, তবে বিত্তশালী হওয়ার যে প্রতিযোগিতা বর্তমানে দৃশ্যমান তাতে সততা অবশিষ্ট থাকার সুযোগ সীমিত হয়ে আসছে, সন্দেহ নেই!
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭
নয়া পাঠক বলেছেন: ভাইয়া এদেশের বর্তমানে এমন অবস্থা যে যেভাবে পারছে লুটে-পুটে সব খালি করে ফেলছে। যারা তা দেখছে, বা তা নিয়ে কোন কথা বলছে তারাই অপরাধী হয়ে যাচ্ছে। আর নয়ত বলছে তুমি পারছ না তাই তোমার এত জ্বলছে। সুযোগ পেলে তুমিও এরকম করতে, বা করবে।
কিন্তু সত্যিই কি তাই! ২০১১-১২ সালে আমাকে একজন ভিওআইপি’র ব্যবসায় জড়ানোর জন্য একটি অফার দিয়েছিলেন, কিন্তু আমি তাকে সরাসরি না করে দেই। এখনও আমি কষ্টে চলি, দিন আনি দিন খাই, কিন্তু রাত্রে অনেক আরামে ঘুমাই।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পোষ্ট দেবার জন্য। আমার চোখেও এমন অনেক কিছু পড়েছে পথ চলতে চলতে, কিন্তু বলে কোন লাভ হয় না তাই এখন আর বলি না।
৫| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১২
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ ঢাকার লোক , আল জাজিরার লিংকটা দেবেন প্লিজ।
৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৮
ঢাকার লোক বলেছেন: Click This Link
৭| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: পূজিবাদী সমাজের এইতো এক কারিসমা।যে যেভাবে পারো অর্থ কামাও।
৮| ০৬ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমরা এখন শুধু সরকারি চাকরিজীবীদের কথাই বলছি। এর বাইরে আরো বড়ো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ থাকা কি অসম্ভব? তাদের বিরুদ্ধে কথা উঠছে না কেন?
৯| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:২১
আরাফআহনাফ বলেছেন: সবার আগে আমাদের নিজেদের বদলাতে হবে - সততা, মানবিকতা, সহমর্মিতা, দেশপ্রেম, ভাতৃত্ববোধ একদিনে তৈরি হয় না - আমরা অনেকটা সময় নস্ট করে ফেলেছি, ৫৩ বছর সময় কম নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৪০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বন্ধু লম্বু কবির ঠিক কথাই বলছে।