![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামুতে সেফ হবার জন্য সংগ্রাম করছি! দোয়া করবেন! আর ফেসবুকে এখানে www.facebook.com/frfahadfr
গতকাল হরতাল ছিল বলে আজকে প্রথমবারের মতো শুক্রুবারে ভাইভা দিলাম। ভাইভাতে বরাবরের মতোই আমার মুল টার্গেট থাকে যেন আর কিছু পারি না পারি, বেসিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি। নাম কি এবং রোল কতো-এই দুই বেসিক প্রশ্নের একদম ঠিকঠাক সঠিক উত্তর দিয়ে আমি অপেক্ষা করেতছি আর সামনে আমাকে আক্রমণ করার জন্য রেডি দুই ম্যাডাম এবং দুই স্যার।একটু পরেই শুরু হলো অসম এই লড়াইয়ে আমার ৩০ মিনিটের দুর্দান্ত সংগ্রাম।
লেডিস ফাস্ট নিয়ম মেনে শুরু হইলো খেলা।ম্যাডামের প্রথম প্রস্ন করলেন, ধরো একটা ইলেকট্রিক ফিল্ড,তার পাশে আরেকটা ম্যাগনেটিক ফিল্ড,দুইটার মাঝখানে একটা আমগাছ, তবে সেই গাছে আম ধরে না,আমের বদলে সেখানে হটাত করে একদিন আপেল পাওয়া গেল।এখন আপেলের ব্যাসার্ধ এবং শনিগ্রহে প্রাপ্ত কমলালেবুর বাইরের খোসার রং নিয়ে বিজ্ঞানী নিউটন যে তত্ত্ব দিসেন,সেই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে আইনাস্টাইন যে মতবাদ দিসেন তা বিবেচনা করে বলো তো,চাঁদে পাপিয়া আপুর ভর কতো হইপে?প্রশ্ন শুনেই আমার মনে পড়ে গেলো গোলাপি আপুর বক্তব্যের অমর সেই চার লাইনঃ “‘আমি স্তম্ভিত। আমি ক্ষুব্ধ। আমি গভীরভাবে মর্মাহত। নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাবার কোনো ভাষা আমার নেই “।
এবার স্যারের পালা।“অমুক জিনিসের ভর কতো?” দিয়ে শুরু হইলো আমার সাথে তাঁর কথাপোকথন। আমি ভদ্র ছেলে,স্যারের সাথে বেয়াদবি করে তাঁর সাথে কথার পিঠে কথা বলবো,প্রশ্নের জবাবে উত্তর দিবো,তা ক্যামনে হয়?তবে আমি যে সাবজেক্টে পড়ি,সেখানে অমুক জিনিসের ভর না বলতে পারাকে চূড়ান্ত পর্যায়ের পাপ বলে বিবেচনা করা হয়।আমার এহেন অপরাধে আমার বদলে উল্টা স্যারই দেখি-মাইরালা আমারে মাইরালা হে মেশিনম্যান – টাইপ একটা লুক দিলো আমাকে।তবে আমি জ্ঞানী মানুষ,কারণ কবি বলেছেন,নিরবতা হিরন্ময়। কোন কথা হবে না আজ।হবে শুধু চোখে চোখ রেখে লুক।স্যারের লুকের বদলে তাই আমিও একখান প্রশ্নআলা বামপন্থি লুক ফিরাই দিলাম-আর কতোকাল ধরে চলবে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার?সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাউক,ফ্যাসিবাদি ভাইভাবাদ থেকে মুক্তি পাউক।
আমার এই চরম পারফরমান্স সহ্য করতে না পেরে আরেকটু হইলে এক্সটারনারল স্যার অজ্ঞান হইয়ে যেত।তাঁকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলেন আরেক ম্যাডাম। আমি তাঁকে মনে মনে স্মরণ করাই দিলাম, নারী দিবস উপলক্ষে আমার গতকালকের স্ট্যাটাসের কথা,যেখানে আমি অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছি।তিনি বললেন,অচিরেই তিনি ফেসবুকের কাছে ‘স্ট্যাটাসে ক্যান আনলাইক বাটন যুক্ত করা হবে না’ জানতে চেয়ে হোয়াইট হাউসের কাছে পিটিসন পাঠাবেন।তবে তিনি আমার প্রতিভার প্রতি আস্থা রাখেন, তাই মতামতমূলক প্রশ্ন না করে সত্য/ মিথ্যা স্টাইলে কুইজ কুইজ খেলছেন।যেমনঃতোমার নাম তো তমুক,নাকি? উত্তর সত্য হলে হ্যাঁ বলো,মিথ্যা হলে না, না পারলে পাস বলবা,উখে?অবু-দশ-বিশ বলতে বলতে সবগুলার উত্তর দিসি। একবারো বলি নাই,পাস।
তবে শেষ হইয়াও হইলো না শেষ।সব থেকে ভালো লাগে ভাইভা বোর্ড বের হইয়ে আসার পর।কোন অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে আসার পর সেলিব্রেটিদের যেমন সাংবাদিকরা ঘিরে ধরে, প্রশ্ন করে, ক্যামনে কি?আমারও সেরকম হয়, ক্লাসমেটরা ঘিরে ধরে, আমার তখন নিজেকে দামি দামি মানুষ লাগে।নাহ! ভাইভার সব কিছু খারাপ না একবারে। আমাদের মতো সাধারন মানুষরা অল্প কিছু সময়ের জন্য সেলিব্রেটি হবার ফিলিংস আর কই থেকে পাবে?ইয়াপ,আই অ্যাম ছেলে-berating দিস ভাইভা।
০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৩
উদ্ভটফাহাদ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
আপেল বেচুম বলেছেন: ভাল লিখেছেন, মজা পেলাম ।