নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি, শুধু আমি........................................

আমি, শুধু আমি...........................

পরীবানু

আমি, শুধু আমি........................

পরীবানু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মের চোখে না, নারীকে মানুষের চোখে দেখতে হবে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৪



৭ শতক না, আমরা এখন ২১ শতকে। আজকের পৃথিবীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বর্তমানে নারী তার দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে শিক্ষা, দিক্ষায় আলোকিত। ঘর/সংসারের পাশাপাশি অফিস আদালত, শিল্পকারখানা, ব্যবসা বানিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তারপরও সমাজ, সংসারে নরী উপেক্ষিত। নারী তার পাওনা, প্রাপ্তি ও মর্যাদা থেকে বহুলাংশে বঞ্চিত। এর কারন বহুবিধ,



১। ধর্মীয় দৃষ্টিতে নারী শুধুই পুরুষের ভোগের সামগ্রী। নারীর স্বাধীন চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত, নারীকে বোরকা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে, নারীর অর্থের যোগান পুরুষের দয়া, দক্ষিনা নির্ভর। স্বামী তার স্ত্রীকে শাসন করার জন্য প্রহার করতে পারবে, ধর্মের মৌলিক হার্ড-কোর তত্বে নারীকে অধিকারভুক্ত যৌনদাসী বানিয়ে রাখার বিধানও আছে। পুরুষের মৌখিক তাকাল, চার বিয়ে, হিল্লা বিয়ে, মুতা বিয়ে, নাবালিকা বিয়ে ধর্মের অন্যতম বিধান এবং পুরুষের একতরফা ধর্মীয় অধিকার। সম্পত্যির উত্তরাধিকার, নারী স্বাক্ষ্য পুরুষের অর্ধেক।



২। আর সামাজিক ভাবে নারী কেবলই প্রেমিকা, যৌনউদ্দিপক বিজ্ঞাপনী মডেল, অথবা ডিসকো ড্যানসার। আর মুক্তিযুদ্ধ চলচ্চিত্রে নারী শুধুই বীরাঙ্গনা ।



সুতরাং আমরা যে ধর্মীয় ও সামাজিক ফ্রেমওয়ার্কের ভিতর অবস্হান করছি তা থেকে বেড় হতেই হবে, নিজেদেরই সচেতন হতে হবে।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১৯

মরণের আগে বলেছেন: পর নারির দিকে তাকানো কবিরা গুনাহ, ইচ্ছে করে তাকালে ভয়ঙ্কর সাস্তির কথা বলা হয়েছে , আর কেউ যদি অন্য পুরুষ এর সামনে পরদা না করে তাহলে সেই পুরুষ এর যা গুনাহ হবে ,তার থেকে বেশি গুনাহ তার (নারির) হবে ।
২।নারিদের ব্যপারে আমাদের ধারোনা ভুল বিশ্তারিত এই লিঙ্ক Click This Link

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:১৮

পরীবানু বলেছেন: নারী পরদায় লুকিয়ে থাকবে কেন? মানুষের সুস্হ নৈতিক গুনাবলি কি মরে গেছে ভাই?? ধন্যবাদ।

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১৯

প্রকৌশলী আতিক বলেছেন: আসেন সমাজটাকে চেন্জ করে দেই।

পুরুষদেরকে নারীদের ভোগের সামগ্রী বানিয়ে দেই। উলঙ্গ হয়ে খোলা মেলা চলাফেরার সার্টিফিকেট দিয়ে দেই। নারী ই এখন থেকে দয়া করবে পুরুষ জাতিকে। একাধিক বিয়ে সহ যা যা চান সবই করে দেই।

কি সুন্দর একটা সমাজ ব্যবস্থা তৈরী হবে, ভাবতেই শরীরের বিদুৎ খেলে গেল।

আপনার পোষ্টে হাজারটা প্লাস। আপনে এখনই এইসব শুরু করে দেন, আপনার দেখাদেখি বাকিরা ও শামিল হবে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২০

পরীবানু বলেছেন: তা হলে, নারী কি আজীবন ১৪০০ বছর আগের হালাল যৌনদাসী হয়েই থাকবে??? ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২৩

এস. এম. রায়হান বলেছেন: ইসলাম খুউব খ্রাপ।


ইসলামে নারী শুধুই পুরুষের ভোগের সামগ্রী। নারীর স্বাধীন চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত, নারীকে বোরকা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে, নারীর অর্থের যোগান পুরুষের দয়া, দক্ষিনা নির্ভর। স্বামী তার স্ত্রীকে শাসন করার জন্য প্রহার করতে পারবে, ধর্মের মৌলিক হার্ড-কোর তত্বে নারীকে অধিকারভুক্ত যৌনদাসী বানিয়ে রাখার বিধানও আছে। পুরুষের মৌখিক তাকাল, চার বিয়ে, হিল্লা বিয়ে, মুতা বিয়ে, নাবালিকা বিয়ে ধর্মের অন্যতম বিধান এবং পুরুষের একতরফা ধর্মীয় অধিকার। সম্পত্যির উত্তরাধিকার, নারী স্বাক্ষ্য পুরুষের অর্ধেক।


হিন্দু ধর্ম নারীদের জন্য স্বর্গস্বরূপ। মুসলিম নারীদের উচিত হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া। কী বলেন?

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৪

পরীবানু বলেছেন: না ভাই, আমি তা বলি না। হিন্দু-মুসলিম? খৈচালনী আর ঝাজুরের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। ধন্যবাদ।

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২৯

এস. এম. রায়হান বলেছেন: শিরোনামটা হওয়া উচিত ছিল-


ইসলামের চোখে না, নারীকে হিন্দুত্ববাদী চোখে দেখতে হবে

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৪

পরীবানু বলেছেন: না ভাই, আমি তা বলি না। হিন্দু-মুসলিম? খৈচালনী আর ঝাজুরের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। ধন্যবাদ।

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩

মাহিরাহি বলেছেন: আজকালকার রাজনীতিবিদরা এই ধরনের বক্তব্য প্রদান করে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৫

পরীবানু বলেছেন: তাই নাকি!!

৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৬

হারিয়ে যাওয়া কেউ বলেছেন: নারীকে ইশ্বরের চোখে নয়,
ধর্ষকের চোখে দেখো।


আপনার পোষ্টের এই শিরোনাম দেন

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৭

পরীবানু বলেছেন: ঈশ্বর আর ধর্ষক , একই মুদ্রার এপিঠ/ওপিঠ। ধন্যবাদ বিষয়টি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫১

আব্দুর রহ্‌মান বলেছেন: অন্ধের দেশে আলো জালার চেষ্টা করা বোকামি

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৮

পরীবানু বলেছেন: আব্দুর রহ্‌মান বলেছেন: অন্ধের দেশে আলো জালার চেষ্টা করা বোকাম.......................

৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০০

সাইবার ডাঃ ডেভিলস ডুম বলেছেন: আগে ইসলাম পড়েন তার পর ইসলামের রেফারেন্স দিয়ে কথা বলবেন , নাহলে সবাই আপনাকে পিগু বলল্ বে

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৯

পরীবানু বলেছেন: ইসলাম কি রকেট সাইন্স যে পড়া যায় না?? ধন্যবাদ।

৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০২

এস. এম. রায়হান বলেছেন: @আব্দুর রহ্‌মান, লেঞ্জা লুকিয়ে রাখা খুব কঠিন কাজ। এই কথা শুনে বুকটা ধুক করে উঠল না তো! বাই দ্য ওয়ে, আপনারা আরবী/ইসলামিক নামকে এত পছন্দ করেন কেন।

১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৪

aiubian বলেছেন: ইসলাম নারীদের যা মর্যাদা দিয়েছে সেটা আপনার মতো ছাগুদের বোঝার ক্ষমতা নেই

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩০

পরীবানু বলেছেন: আছ্ছা.....................................

১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০০

এস এইচ খান বলেছেন:
এস. এম. রায়হান বলেছেন: @আব্দুর রহ্‌মান, লেঞ্জা লুকিয়ে রাখা খুব কঠিন কাজ। এই কথা শুনে বুকটা ধুক করে উঠল না তো! বাই দ্য ওয়ে, আপনারা আরবী/ইসলামিক নামকে এত পছন্দ করেন কেন।

==== রায়হান ভাই, এই সব ধুতিওয়ালারা আজ ভার্সুয়াল জগতে নিজেদের আব্দুর রহমান, মোহাম্মাদ হারুণ নাম নিয়ে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করছে! এই বেজম্মাদের মুখে প্রসাব করি X( X((

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৫

পরীবানু বলেছেন: অন্ততঃ ভদ্র ভাষায় কথা বলেন, প্লিজ। বাইদ্যা ওয়ে, তালেবানের কুর্তা হলে বিভ্রান্ত মুমিনের জান্নাত কনর্ফাম হবে তো??

১২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৪

অনিমেষ রহমান বলেছেন: মেয়েদেরকেই নিজেদের অধিকার আদায় করতে হবে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৫

পরীবানু বলেছেন: অনিমেষ রহমান বলেছেন: মেয়েদেরকেই নিজেদের অধিকার আদায় করতে হবে।

১৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৪

কাজী রহমতুল্লাহ বলেছেন: বলছেন ধর্মীয় দৃষ্টিতে নারীর কথা, বদনাম করছেন শুধুই ইসলাম ধর্মের? এটা কেমন হল? তাঁর মানে আপনি স্বীকার করছেন ইসলাম একমাত্র ধর্ম?

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪১

পরীবানু বলেছেন: না, আমি তা স্বীকার করি না। বিষয়টি বাংলাদেশ প্রেক্ষিতে, ধন্যবাদ।

১৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ম্যাভেরিক বলেছেন: আরেকজন ল্যাদানো পুপা বলেই প্রতিভাত হয়!

১৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: দেখুন।

সহিহ্‌ বোখারি ভলুম ৭ হাদিস ৮১:
উকবার বর্ণনামতে নবী (দঃ) বলেছেন: (বিয়ের) যে সব বিধানের মাধ্যমে তোমাদের অধিকার দেয়া হয়েছে (নারীদের) গোপন অঙ্গ উপভোগ করবার, সেগুলো মেনে চলতেই হবে।


ব্যস। গোপন অঙ্গও বলা হল, উপভোগও বলা হল, দাম দেবার কথাও বলা হল। আর তা কিন্তু বলা হল শুধু পুরুষকে-ই, নারীদের নয়। আর কী বাকী থাকল তাহলে বুঝতে? কাজেই, ‘নারীর আর্থিক নিরাপত্তার’ বক্তৃতা যত লম্বা গলাতেই যত চিৎকার করেই বলা হোক না কেন, মূল্যটা কেন যে শুধু পুরুষকেই শোধ করতে হচ্ছে এবং কোনো বস্তুর জন্য শোধ করতে হচ্ছে, তা এখন গাধাও বুঝবে।

দেখুন আরও একটি হাদিস:

সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১২৬:

বাসরাহ্‌ নামে এক আনসারি বর্ণনা করলেন:
আমি পর্দায় আবৃত থাকা এক কুমারীকে বিবাহ করলাম। আমি যখন তার নিকটে আসলাম তখন তাকে দেখলাম গর্ভবতী। (আমি ব্যাপারটা নবীকে জানালাম।) নবী (সাঃ) বললেন: ‘মেয়েটি মোহরানা পাবে। কেননা তুমি যখন তাকে মোহরানা দিলে তখন তার যোনি তোমার জন্য আইনসিদ্ধ হয়ে গেল। শিশুটি তোমার ক্রীতদাস হবে এবং শিশুর জন্মের পর মেয়েটিকে প্রহার করবে (এই মত ছিল হাসানের)।‘ ইবনে আবুস সারী বলেছেন: ‘তোমার লোকেরা তাকে প্রহার করবে—খুব কঠোর ভাবে।‘


এবং এই হাদিস।

সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১২১:
মোহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান ইবনে সওবান নবীর (দঃ) এক সাহাবি থেকে বর্ণনা করলেন: আলী নবীর (দঃ) কন্যা ফাতেমাকে বিবাহ করে তাঁর সাথে সহবাস করতে চাইলেন। আল্লাহ্‌র নবী (দঃ) আলীকে নিষেধ করলেন তাঁর কন্যার সাথে সহবাস করতে যতক্ষণ না আলী ফাতেমাকে কিছু দিয়ে দেন। আলী বললেন: ‘আমার কাছে কিছুই নেই।’ আল্লাহ্‌র রসুল (দঃ) বললেন: ‘তোমার যুদ্ধের পোশাক তাকে দিয়ে দাও।‘ আলী তাই করলেন এবং ফাতেমার সাথে সহবাস করলেন।




যাহোক, এখন দেখা যাক নারীর ‘গোপন অঙ্গ’-কে ‘উপভোগ’-এর যে মালিকানা, তার মূল্য কত হতে পারে। নারীর জন্য তা যতই অমূল্য সম্পদ হোক, শরীরটা হোক তার নিজেরই, কিন্তু তার দাম ধরবার বেলায় নারীকে কি জিজ্ঞাসা করা হয়েছে? পাগল! 'বিক্রেতা' নারী, দাম ধরবার মালিক কিন্তু ক্রেতা, অর্থাৎ পুরুষ!

ক্রেতা ইচ্ছে করলেই সে বাজারে প্রচুর ‘মূল্যহ্রাস’ও করে ফেলতে পারে। করে ফেলেছেও। কী চমৎকার উদ্ভট বাজার, তাই না? মূল্যহ্রাসের উদাহরণ চান? নারী রাজি হলে ব্যাপারটা একেবারে মুফত, ফ্রি, পয়সা-কড়ি না হলেও চলবে।

লক্ষ লক্ষ গরীব হতভাগ্য বাপ-মায়ের হতভাগিনী মেয়েরা রাজি না হয়ে যাবে কোথায়? অদৃশ্য অর্থনৈতিক দড়ির শৃঙ্খল পরানো আছে না তাদের গলায়? বাপ বাপ বলে রাজি হবে তারা।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪৩

পরীবানু বলেছেন: দারুন তো ................................. !! বিশ্লেষনধর্মী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

রাহীম বলেছেন: দেখুন ধর্মহীনরা নারীকে কেমন অধিকার দেয় ।
Click This Link

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪৮

পরীবানু বলেছেন: আপনি কোন কিসিমের ধার্মীক? আল্যাওলা, যিশু/গড, ভগবান/মুর্ত্তি, বৌদ্ধ/প্রভু, নাকি তালেবান??

১৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫২

কাজী রহমতুল্লাহ বলেছেন: স্ত্রীর উপর স্বামীর হক


১) স্ত্রীর উপর প্রথম হক হচ্ছে সে তার স্বামীর আনুগত্য করবেঃ স্বামীর আদেশ মেনে চলবে এবং সে যা থেকে নিষেধ করবে তা থেকে দূরে থাকবে। মহিলারা যদি স্বামীর আনুগত্য না করে ও তার অধীনস্ত না থাকে তাহলে সামাজিক ও পারিবারিক কাঠামো ভেঙ্গে যাবে। এখানে বিশেষভাবে স্মরণ রাখতে হবে যে, স্বামীর আনুগত্য করা ব্যতীত কোন মহিলাই তার স্বামীর প্রকৃত ভালবাসা পেতে পারে না। একজন নারী যখন তার স্বামীর আনুগত্য করবে তখন পরিবারের সকল সদস্যের মাঝে প্রীতি, স্মেহ ও ভালবাসা বিরাজ করবে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, বর্তমানে পাশ্চাত্যের পতনমুখী নারী সমাজের ন্যায় মুসলিম নারীরাও স্বামীকে শুধু ঝবীঁধষ ঢ়ধৎঃহবৎ বা যৌন সঙ্গী ভাবতে শুরু করছে। অসংখ্য মিডিয়া সুকৌশলে উঠতি বয়সের মুসলিম যুবতী মেয়েদেরকে বিপদগামী করছে। ইসলাম নারীদেরকে শুধু পুরুষদের যৌন সঙ্গী হিসেবে দেখতে চায় না; দেখতে চায় স্বামীর অনুগত, সন্তানের প্রতিপালক এবং মুসলিম পরিবার কাঠামোর রক্ষা কবচ হিসাবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ একজন মহিলা যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করবে, রামাযানের রোজা রাখবে, স্বীয় লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে এবং তার স্বামীর আনুগত্য করবে তখন তাকে বলা হবেঃ তুমি জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে তাতে প্রবেশ কর। (ইবনে হিব্বান) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেনঃ
لو كنت آمرا أحدا أن يسجد لأحد لأمرت المرأة أن تسجد لزوجها ولا تؤدي المرأة حق الله عز وجل عليها كله حتى تؤدي حق زوجها عليها كله
আমি যদি কোন মানুষকে এই আদেশ করতাম যে, সে অন্য কাউকে সিজদা করুক, তাহলে স্ত্রীকে আদেশ করতাম যে সে তার স্বামীকে সিজদাহ করুক। একজন মহিলার পক্ষে কখনই পূর্ণরূপে আল্লাহর হক আদায় করা সম্ভব হবে না, যতক্ষণ না সে স্বামীর হক পূর্ণরূপে আদায় করবে।
মুসলিম মহিলার জেনে রাখা উচিৎ সর্বদা স্বামীর নাফরমানী করতে থাকলে এক সময় স্বামীর মনে স্ত্রীর প্রতি ঘৃণাবোধ ও ক্রোধ জাগ্রত হবে এবং তার প্রতি স্বামী প্রচন্ড বিদ্বেষ পোষণ করবে। শুধু তাই নয় এতে পুরুষের সম্মান-মর্যাদা নষ্ট হবে এবং তার কর্মোদ্যমকে দুর্বল করে ফেলবে। সুতরাং একজন সৎ মুসলিম রমনীর উচিৎ হবে, সে যখনই তার স্বামী তার উপর কোন কারণে রাগান্বিত হবে, তখন সাথে সাথেই তার ক্রোধকে পশমিত করার এবং তাকে খুশী করার চেষ্টা করবে। তার ভুল হলে ক্ষমা চেয়ে নিবে।
২) স্বামীর সম্মান ও সম্পদের হেফজত করবেঃ
স্বামীর সম্মানের হেফাজত বলতে বুঝায় স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্বীয় চরিত্রের হেফাজত করা। আর সম্পদের হেফাজত বলতে বুঝায় স্বামীর ঘরের ছোট বড়-বড় সকল সম্পদের দেখা-শুনা করা এবং নষ্ট ও ধ্বংস হতে না দেয়ার চেষ্টা করা। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللَّهُ وَاللاتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلا تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلا إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا
“পুরুষেরা নারীদের ওপর কর্তৃত্বশীল। এ জন্য যে, আল্লাহ্ একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেক্কার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগত এবং আল্লাহ্ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোকচক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য ছিদ্রান্বেষণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ্ সবার ওপর শ্রেষ্ঠ”। (সূরা নিসাঃ ৩৪) সুনানে নাসাঈ ও আবু দাউদে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
ألا أخبركم بخير ما يكنز المرء؟ المرأة الصالحة إذا نظر إليها سرته، وإذا أمرها طاعته وإذا غاب عنها حفظته في نفسها وماله
“আমি কি তোমাদেরকে পুরুষের সর্বোত্তম গোপ্ত ধন সম্পর্কে সংবাদ তিবো না? তা হচ্ছে সৎ নারী। যখন সে তার দিকে তাকায় তখন তাকে খুশী করে দেয়, যখন আদেশ দেয় তখন তার আনুগত্য করে আর যখন তার থেকে অনুপস্থিত থাকে তখন তার চরিত্রের (সতীত্বের) ও সম্পদের হেফাজত করে।
৩) স্বামীর পছন্দনীয় বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখাঃ
সুতরাং মহিলাকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যে, তার স্বামী যেন ঘরে অপছন্দনীয় কিছু না দেখে, অপছন্দনীয় কিছু না শুনে এবং তার থেকে যেন আনন্দ দায়ক ব্যতীত অন্য কোন বিষয় প্রকাশিত না হয়। একজন নেককার মুমিন পুরুষ যদি তার নিজ ঘরে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন প্রেমময়ী সত্যবাদী সৎচরিত্রবান হাস্যোজ্জল দয়া-মায়াময় স্ত্রী না পায় তাহলে কোথায় সে তা পাবে? বাজারে? রাস্তায়? অন্যের ঘরে? কখনই নয়। সুতরাং হতভাগা সেই ব্যক্তি যে তার নিজ ঘরে, তার পরিবারে এবং তার সন্তান-সন্ততিতে হতাশার ছায়া দেখে। আর প্রকৃত সৌভাগ্যশীল হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে তার নিজ গৃহে, নিজ পরিবারে এবং নিজের সন্তানদের মধ্যে সৌভাগ্যের ছাপ দেখে।
৪) স্বামীর আত্মীয়দের সাথে সদ্ব্যবহর করাঃ
স্ত্রীর উপর স্বামীর যে সমস্ত হক রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম বিরাট একটি হক হচ্ছে, সে তার স্বামীর আত্মীয়দের সাথে সদাচারণ করবে। আর এটিই হচ্ছে স্বামীর হৃদয় জয় করার অন্যত্তম মাধ্যম। প্রত্যেক পুরুষই চায় যে, তার স্ত্রী তার পিতা-মাতার সমাদর করুক, তার ভাই-বোনদের সমাদার করুক এবং তাদের সাথে উত্তম আচরণ করুক। কেননা এ বিষয়টি স্বামীর হৃদয়কে খুশী করে এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার বন্ধনকে মজবুত ও শক্তিশালী করে।
৫) স্বামীর অনুমতি ব্যতীত ঘর থেকে বের না হওয়াঃ
স্ত্রীর উপর স্বামীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হক হচ্ছে, কোন ক্রমেই সে তার স্বামীর ঘর থেকে বের হবে না। এমন কি স্ত্রীর আত্মীয়দের কেউ অসুস্থ হলে কিংবা তাদের কারও মৃত্যু সংবাদ আসলেও স্বামীর অনুমতি নিয়ে যেতে হবে।
৬) স্বামীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাঃ
স্ত্রীর উচিৎ তার স্বামী সাধ্যানুযায়ী যখনই খাদ্য-পানীয়, বস্ত্র এবং অন্যান্য যে সমস্ত ব্যয়ভার বহন ভার করেন, তার বিনিময়ে স্বামীকে ধন্যবাদ জানানো এবং তার জান-মালে বরকতের দুআ করা। স্বামীর পক্ষ হতে ছোট-বড় যে অনুগ্রহই আসুক না কেন, কোনক্রমেই তার না শুকরিয়া করা যাবে না এবং স্বামীর কাছে এমন জিনিষ চাওয়া যাবে না, যা দেয়া স্বামীর সাধ্যের বাইরে। বরং প্রত্যেক মুসলিম নারীর উচিৎ স্বামী প্রদত্ত যে কোন জিনিষ নিয়ে পরিতৃপ্ত ও সন্তুষ্ট থাকা এবং আল্লাহ্ তাআলা তার ভাগ্যে যা লিখে রেখেছেন, তাকে যথেষ্ট মনে করা।
৭) স্বামীর জন্য সাজ-সজ্জা গ্রহণ করা উচিৎঃ
ইসলাম নারীকে স্বীয় স্বামীর জন্য সাজসজ্জা গ্রহণের উৎসাহ দিয়েছে। বিশেষ করে স্বামীর এমন অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে, যা তার স্বামীর কাছে পছন্দনীয়। এখানে বিশেষভাবে স্মরণ রাখা দরকার যে, প্রত্যেক স্বামীই চায় তার স্ত্রী তার সামনে সদাসর্বদা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুক। তার শরীরে ও পোষাক যেন এমন অবস্থায় না থাকে, যা সে অপছন্দ করে। এতে কারও দ্বিমত নেই যে, সুন্দর পোষাক-পরিচ্ছদ ও সাজ-সজ্জা গ্রহণকারী স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে এবং তার উপরই স্বামীর দৃষ্টি সীমিতি থাকবে। পরিণামে বৈবাহিক ও দাম্পত্য জীবন হবে সুন্দর ও মধুমময়। এখানে আরও উল্লেখ করা দরকার যে, পুরুষও তার স্ত্রীর সামনে শরীর ও পোষাক পরিস্কার রাখবে। তার কাছে অপছন্দনীয় অবস্থায় গমণ করবে না।
৮) স্ত্রীর উপর স্বামীর ক্রোধান্বিত হওয়ার অধিকারঃ
পুরুষের সৃষ্টিগত স্বভাব ও বিশেষ একটি বৈশিষ্ট হচ্ছে, সে তার স্ত্রী, মা-বোন এবং অন্যান্য মহিলা আত্মীয়দের মধ্যে খারাপ কিছু দেখলে রাগান্বিত হবে, সন্দিহান হবে এবং তা ধমন করার জন্য কঠোর হবে। এটিই একজন সম্মানিত ও ভদ্র পুরুষের বৈশিষ্ট হওয়া উচিৎ। তবে বিষয়টি এমন নয় যে, সে তার স্ত্রীর প্রতি সবসময় খারাপ ধারণা করবে, সবম সময় তার দোষ খুঁজে বেড়াবে; বরং যেখানে সন্দেহের কারণ বিদ্যমান সে ক্ষেত্রেই কেবল সন্দেহ করবে। সন্দেহের আলামত পাওয়া গেলে সে কঠোর হবে এবং তা ধমন করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
ثَلَاثَةٌ لَا يَنْظُرُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْعَاقُّ لِوَالِدَيْهِ وَالْمَرْأَةُ الْمُتَرَجِّلَةُ
“আল্লাহ তা’আলা তিন ব্যক্তির দিকে করুণার দৃষ্টিতে তাকাবেন না (১) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান (২) পুরুষের সাথে সাদৃশ্যকারী মহিলা (৩) দাইউছ। দাইউছ হচ্ছে ঐ পুরুষ যে স্বীয় পরিবারের মহিলাদের ভিতরে মন্দ কাজ দেখেও প্রতিবাদ করে না। সুতরাং পুরুষের অধিকার রয়েছে যে, সে তার অধীনস্ত মহিলাদেরকে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় হিজাব পড়ার আদেশ দিবে, অপরিচিত পুরুষের দিকে দৃষ্টি দিতে নিষেধ করবে, স্বামী এবং মাহরাম (যাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া নিষিদ্ধ) অন্য কারও জন্য সৌন্দর্য প্রকাশ না করার আদেশ দিবে, অপরিচিত পুরুষের সাথে বিনা প্রয়োজনে কথা বলা থেকে বিরত রাখবে, ফিতনা ও বিপদে পড়ার আশঙ্কা আছে- এমন স্থানে ও পরিবেশে নারীকে যেতে মানা করবে। উপরের বিষয়গুলোর অধিকার পুরুষদেরকে দেয়া হয়েছে।

লিখেছেন আব্দুল্লাহ শাহেদ

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০১

পরীবানু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু এসব কথার হাবর/জাবর দিয়ে গত ১৪০০ বছরে ভাল কিছু করে দেখাতে পারেনি ভাই।

১৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২১

নীড় ~ বলেছেন: অনিমেষ রহমান বলেছেন: মেয়েদেরকেই নিজেদের অধিকার আদায় করতে হবে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০২

পরীবানু বলেছেন: নীড় ~ বলেছেন: অনিমেষ রহমান বলেছেন: মেয়েদেরকেই নিজেদের অধিকার আদায় করতে হবে।

১৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৫

শাকিলা জান্নাত বলেছেন: মেয়েদেরকে মানুষ ভাবতে হবে, কিন্তু মেয়েমানুষ ভাবলে বিপদ।

২০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪২

নতুন বলেছেন: ধমে` নারীকে সন্মান দেওয়া হয়...

কিন্তু নারীর অধিকার কি হবে.. তা কন্তু ব্যাথ্যা করে পুরুষ...

তাই সকল ধমে`র নারীর অধিকার পুরুষের হাতেই নারীর কাছে পৈছায়.. :(

ধম` নারীকে কাপড়দিয়ে ঢাকে>> সে নিজে ভোগ করবে বলে... ( সে ৩সাম/৪সাম/গ্রুপ পছন্দকরেনা)

সভ্যসমাজ কাপড় কম পড়তে বলে>>> সবাই মিলে ভোগ করবে বলে... :(

পুরুষের সমাজে নারী কখনোই তার সমান অধিকার পাবেনা... :( এটাই সবচেয়ে বড় সত্য//


আব্দুর রহ্‌মান বলেছেন: অন্ধের দেশে আলো জালার চেষ্টা করা বোকামি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.