নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষণ

সাব্বির আহমেদ ভাষন

একটু বেশি ভাবি।স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি আর ভালবাসি গান শুনতে।পড়াশোনা যা হয়েছে হয়তো বা অনেক, বাকিটা চেষ্টা চলছে।ভালবাসি নিজেকে,ভালবাসি বই পড়তে।এই আমি এই আমার পৃথিবী.........

সাব্বির আহমেদ ভাষন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসময়ে প্রাপ্তি

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৮

তন্ময় এর চোখে-মুখে এখনো প্রাপ্তির হাসি লেগেই আছে।এত বছরের পরিশ্রম আজ সফলতায় পরিনত হয়েছে।অবশেষে সে অবন্তী কে নিজের করে পেয়েছে।কি করেনি তন্ময় অবন্তী কে পাওয়ার জন্য???
তন্ময় অবন্তীকে সেই কলেজ লাইভ থেকে চেনে।সে তখন সবে একাদশ শ্রেনীর প্রথম বর্ষের ছাত্র।পাশের বাসার দশম শ্রে্নীতে পড়ুয়া মেয়েটা কে প্রতিদিন বেলকুনীতে দেখত।শ্যামলা বর্ণের অবন্তী ,তন্ময় কে সব সময় তন্ময় করে রাখত।তন্ময় সব সময় আড় চোখ রাখত বেলকুনীর দিকে কখন অবন্তী আসবে আর সে তাকে দেখবে।এমন কি অবন্তী যখন ক্লাসের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হত, সে তৃষ্ণাত্ব চোখে তাকিয়ে থাকত। তন্ময় সব সময় চাইত অবন্তী তাকে দেখুক, তার দিকে নজর দিক কিন্তু কখনোই তা হত না।তন্ময় সিদ্ধান্ত নিল অবন্তীর মুখোমুখি হবে।তাকে বলবে তার ফিলিংস , তার ভালোবাসা ,তার চাওয়ার কথা।
একদিন খুব সকালে অবন্তী যখন স্কুলে যাচ্ছিল। পিছন থেকে তন্ময় অবন্তীকে থামতে ইশারা করল।
--অবন্তী, কেমন আছো?
--ভালো।ভাইয়া কিছু বলবেন?
--হুম, কিছু বলতে চাই?
--জি বলেন।আমার ক্লাস শুরু হয়ে যাবে ?
--আমি তোমাকে অনেক পছন্দ করি? আই মিন , " আই ওয়ান্ট টু লাভ ইউ?'
--কি বলেন এসব ভাইয়া?
--হুম,সত্যি। বিলিভ মি।
--ভাইয়া, সরি, আমি এই সব কিছু নিয়ে ভাবি না।আমাকে কখনোই এসব কথা বলবেন না।
অবন্তী আস্তে আস্তে চলে গেল। কিন্তু, তন্ময় বেশ কিছু ক্ষন দাঁড়িয়ে থাকল।তারপর আবার হাটা শুরু করলো অবন্তীর স্কুলের দিকে।অবন্তীর ক্লাস শেষ হয় ১২ টার দিকে। অবন্তী বের হলে দেখতে পায় তন্ময় তার স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।সে কিছু না বলে রিক্সাতে উঠে এবং চলে যায়।তন্ময় পরদিন আবার অবন্তীকে রাস্তায় দাড় করিয়ে বলে, প্লিজ কিছু বলে যাও।আমি কাল থেকে ঘুমাতে পারছি না।কিছু খেতে পারছি না।এমন কি পড়ায় মন বসাতে পারছি না।
আমি তো আপনাকে বলেই দিয়েছি আমার পক্ষে সম্ভব না--অবন্তী সোজাসাপ্টা জবাব দিলো।
--কেন সম্ভব নয়??কেনই বা তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছো?
অবন্তী কোন জবাব না দিয়েই হাটা শুরু করে দেয়।তন্ময় পিছন থেকে বলে যেতে থাকে, অবন্তী আমি জবাব চাই।তুমি চিন্তা করতে ও পারবে না, আমি তোমাকে কত পছন্দ করি।কত টা ভালোবাসি।
কিন্তু, অবন্তী তন্ময়ের কোনো কথাতেই ভ্রুক্ষেপ না করে চলে গেল।এর পর থেকে তন্ময় ভীষন পাগলামী শুরু করে।অবন্তী যেখানেই যেত সে সেখানেই উপস্থিত।তন্ময় অবন্তীর প্রায় সব বন্ধু-বান্ধুবী কে আপন করে ফেলেছিলো।এমন কোনো দিবস ছিল না যে তন্ময় অবন্তীকে গিফট দে্যার চেষ্টা করে নি।কিন্তু প্রত্যেক বার ই সে ফিরিয়ে দিয়েছে।আর এসব কিছু করতে করতে তন্ময়ের একটা বছর কেটে যায়।
হটাৎ একটা দিন, অবন্তী কিছু বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যায় এক শপিং মলে। প্রতিবারের মত তন্ময় ও পৌছে যায় সেই জায়গায়।অবন্তী ভীষন বিরক্ত হয় তন্ময় কে দেখে।অবন্তী তন্ময় কে উদ্দেশ্যে করে বলে,
--আপনি এখানে?
--তুমি যেখানে আমি তো সেখানেই থাকব।
--প্লিজ, আমার জীবন টা বরবাদ করবেন না।আমাকে আমার মত বাচতে দিন?
--আমি তোমার জীবন কেমন করে বরবাদ করলাম? আমি শুধুই তোমাকে ভালোবেসেছি ?
তন্ময় কি যেন মনে করে অবন্তীর হাত ধরে ফেললো।আর, অবন্তী তন্ময়ের এ রকম আচরনের জন্য কোনো অংশেই প্রস্তুত ছিল না।সে চট করে তন্ময়ের মুখে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিল।
তন্ময়, অবাক হয়ে তাকালো অবন্তীর দিকে।তার দু'চোখ ভারি হয়ে গেল লজ্জায়।কিছু বলার মত ভাষা ছিল না।
তন্ময় শুধু একটা কথাই বললো অবন্তী কে।,'ভালোবাসি'।শুধুই ভালোবাসি।আর, ভালোবেসে যাবো।তন্ময় চলে গেল।
কিছু দিন পর, তন্ময় আর অবন্তী একটা রেস্টুডেন্টে বসে আছে কাধে কাধ রেখে।হাসাহাসি করছে।অবন্তী বললো,
--তুমি ভালোই নাটক করতে পারো?
--তুমি ও কম যাও না।
--আচ্ছা, সেই থাপ্পরের কথা মনে আছে।তুমি হটাৎ করে উধাও হয়ে গেছিলা।আমি তখন তোমাকে মিস করা শুরু করেছি।সত্যি তখন বুঝেছি তুমি কত টা গুরুত্বপূর্ন আমার জীবনে।আর হারিয়ে যাবা এমন করে।
--না বাবা।প্রোমিজ যাবো না।আর, গেলে তুমি ধরে নিয়ে আসবা।
--থাপ্পর দিবো।
--দাঁও না।একটা থাপ্পর এর বিনিময়ে তোমাকে পেয়েছি।হাজার টা খেতে ও রাজি আছি।
আর, একটা থাপ্পর একটা প্রেমের চাবিকাঠি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.