নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষণ

সাব্বির আহমেদ ভাষন

একটু বেশি ভাবি।স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি আর ভালবাসি গান শুনতে।পড়াশোনা যা হয়েছে হয়তো বা অনেক, বাকিটা চেষ্টা চলছে।ভালবাসি নিজেকে,ভালবাসি বই পড়তে।এই আমি এই আমার পৃথিবী.........

সাব্বির আহমেদ ভাষন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেঘের গায়ে কষ্ট

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০১

গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম।হঠাৎ একটি মেয়ের দিকে চোখ গেল।একটু সময়ের জন্য তাকিয়ে আবার চোখ ফিরিয়ে নিলাম।খানিকবাদে সাহস করে তাকালাম আবার কিছু ক্ষন দেখে নিলাম।মেয়েটির চোখে কি যে জাদু আছে আল্লাহ জানে! মনে হচ্ছে ঐ চোখের সাগরে লুকিয়ে আছে হাজার হাজার ভালোবাসার নীল পদ্মফুল।যার চোখের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দেয়া যায় হাজার বছর। এক বার চোখের দিকে তাকালে প্রেমে পড়ে যেতে বাধ্য।মেয়েটি ব্যাপার টা খেয়াল করে মুখ ফিরিয়ে নিলো।

মেয়েটির ও গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলো। চেহারায় স্পষ্ট বিরক্তির চাপ।বোধহয় অনেক ক্ষন যাবত অপেক্ষা করছে।

গাড়ি আসলো, গাড়িতে লোকে লোকারন্য। অগত্যা মেয়েটি রিক্সার জন্য পা বাড়ালো।আমি নিজেও রিক্সা খুজছিলাম।মেয়েটি রিক্সা করে চলে গেল কিন্তু নিয়ে গেল আমার মন আর রেখে গেল ঐ মায়া ভরা চোখের ভালোবাসা....!

কয়েকদিন মেয়েটিকে পাগলের মত খুজেছি ঐ বাস স্টপে।কিন্তু তার আর কোনো দেখে ই মেলেনি।হঠাৎ এক দিন রেস্টুরেন্টে দেখা।বান্ধবীদের সাথে সিংগারা খাচ্ছিলো।আমি তন্ময় হয়ে তাকে দেখছিলাম আর সে বিভোর হয়ে সিংগারা খাচ্ছিলো আর হাসছিলো। মনে হচ্ছিলো এ যেন স্বপ্নের রাজকুমারী আমাকে অমর সুধা পান করাচ্ছে। বান্ধবীদের কল্যানে নামটা জানা হলো "স্বেহা"। নামটা ডিরেক্ট বুকে বিধে গেল।

মূলত ফেসবুকের কল্যানে ই স্বেহার অতি কাছে আসা।হাই হ্যালো দিয়ে যে বন্ধুত্ব টা শুরু হয়েছিলো সেটা আজ ও তেমনটি ই আছে।শুধু বেড়েছে স্বেহার প্রতি মুগ্ধতা।সেই বাস স্টপ থেকে যে মুগ্ধতার শুরু হয়েছিলো সেটা যে কবে ভালোবাসায় রুপান্তরিত হল তা নিজেই বুঝতে পারলাম না।

দুই বছর কোথা দিয়ে যে কেটে গেল ভাবতেই অবাক লাগে! প্রত্যেকটা মুহুর্ত যেন স্বপ্নের মত ছিলো।সময় অসময়ে স্বেহার বাসার নিচে যাওয়া।এক সাথে ফুসকা খাওয়া।হয়ত কোনো সন্ধ্যায় মনা মামার স্পেশাল মালাই চা আর আড্ডা। আমার প্রত্যেকটা কাজে কর্মে শুধু স্বেহা স্বেহা আর স্বেহা ই ছিলো।

আচ্ছা, এখন ও আমার নামটাই বলা হয়নি। আমি "মেঘ।" পুরো নাম ধ্রুব মেঘ।

স্বেহা আর আমার অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্পের শেষ টা অতি তুচ্ছ কিন্তু অর্থবহ।এই দুই বছরে কোনো দিন স্বেহা আমাকে ভালোবাসি বলেনি আর আমি ও কখনো ভালোবাসি বলিনি।

কি দরকার! সব সময় সব কিছু কি বলা এত জরুরী?

এই অজরুরী কথা টাই কাল হয়ে গেল।ঠিক দুই বছর পর আজ জানতে পারলাম, স্বেহা বিবাহিত!

জানেন আমি একটু ও অবাক হই নি! আমি এতটা বোকা ছিলাম যে স্বেহা কে কখনো কোনো ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি নি।সে কয়েক বার বলতে চেয়েছিল। মাঝে মাঝে ই বলত, আমাকে তার অনেক কিছু বলার আছে। আমি সময় দিলে বলবে।আমি ভাবতাম, দূর ভালোবাসি এইটা এখন ই শুনতে চাই না।পরে বলুক।কিছু কথা থাকনা গোপন।

আজ স্বেহার সাথে শেষ দেখা হলো।স্বামীর সাথে চলে যাচ্ছে দেশ ছেড়ে! শেষ দেখার বেলায় আমি একটু ও কাদি নি ইভেন চোখে এক ফোটা জন ও ছিলো না।শুধু বললাম, " তুমি চলে গেলে সন্ধ্যায় মালাই চা টা আর খাওয়া হবে না।" পাগলীটা একটা মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল।ঐ হাসির আড়ালে শতটা কষ্টের আহাজারি আমি দেখেছি তার চোখে।যা অব্যক্ত ভালোবাসার তীব্র বাসনাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়....।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: প্রীশু।


আহা! ভালবাসা। :|

২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর নাম ধ্রুব মেঘ ।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:২৫

সাব্বির আহমেদ ভাষন বলেছেন: ❤

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.