নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঊণ মানব

অনেক কথা বলার থাকে, কিন্তু সে সকল কথা আর ধ্বনি-বর্ণের সমন্বয়ে শব্দ হয়ে ওঠে না। কেন ওঠে না জানেন? কারণ কিছু কথা মনে ভেতর রাখলেই বেশি ভালো লাগে। প্রকাশ করার সাথে সাথেই অনুভূতি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। একভাগ আনন্দের এক ভাগ দুঃখের। তখন কল্পনার আশ্রয় হাতড়াতে হবে অনুভূতিগুলো একত্রে জড়ো করবার জন্যে। কি প্রয়োজন... এত কষ্ট করার!! থাকুক না কথাগুলো ধ্বনি বর্ণ ছাড়াই ...

ঊণ মানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বানী

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

পৃথিবীতে সুন্দর সুন্দর বানী আছে। তুমি দুঃখে আছো, তোমার জন্যে সুন্দর দুঃখের বানী আছে। তুমি সুখে আছো, তোমার জন্যে সুখের বানী আছে। তুমি সফল হয়েছো, তাও তোমার জন্যে বানী আছে। আবার ব্যর্থ হলেও আছে। তোমার যেটা মনে হয়, ব্যবহার করতে পারো সুবিধামত।



মানুষ মাত্রই নতুনের সন্ধান চায়। একটা নির্দিষ্ট পরিধির মধ্য থেকে যখন তার মাঝে একঘেয়েমি চলে আসে, তখন সে উন্মাদ হয়ে পড়ে পরিধি বহির্ভূত হতে। মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে যার অভিনয়ের অভ্যাস, সে যে মঞ্চের বাইরেও অভিনয় করবে না তার নিশ্চয়তা কই?



অভিনয় সবাই করে। কারোটা ধরা যায়, কারোটা যায় না। কেউ আবার প্রকাশ করতে চায়, কেউ চেয়েও পাড়ে না। অভিনয় করতে প্রয়োজন স্ক্রিপ্টের। সেই স্ক্রিপ্ট দিয়ে অন্যকে প্রভাবিত করতেই মানুষ কিছু বানী তৈরি করে রাখে। মানুষ নিজের উপর কতটুকু আধিপত্য বিস্তার করতে পাড়ে, তা জানি না। হয়তো পারে না। কিন্তু অন্যের উপর আধিপত্য বিস্তারের ক্ষমতা অনেককেই প্রকৃতি দিয়েছে। সেই ক্ষমতার একটা বড় অংশ হল বানী।



আমরা বানীর বইতে একটা কথা পড়ে চট করে বিশ্বাস করে ফেলি। প্রায়ই সেগুলি আমাদের মনে সাথে মিলে যায়। তাই বলে কখনও সেটা নয় যে, এসব বানী চিরন্তন সত্য। আর অন্ধভাবে এসব বানী অনুসরণের কারণেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিগুলি গড়ে উঠেছে অন্যের ভালো কিংবা খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে। সেটা কখনও ধনাত্মক আবার কখনও ঋণাত্মক। আমরা প্রতিনিয়তই প্রভাবিত হচ্ছি অন্যের বানী দ্বারা।



আমাদের মধ্যে খুব কম মানুষই আছে, যারা সব দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করে তাদের বিশ্বাসের দেয়াল গড়ে তোলে। বেশিরভাগ মানুষেরই ধারনা, সে অনেক জানে।



পরিধিকে অতিক্রম না করে পরিধি বহির্ভূত চিন্তাভাবনা যেমন হাস্যকর, তেমনি একটা দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রেখেও সবদিক বিবেচনা করা যায় না। এমন হলে তো মানুষ এত বানীর বই পড়তো না। একেক লেখক একেক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে লিখে। তারাও তো মানুষ। তাই তাদের লিখা বানীগুলির সাথে মাঝে মাঝে মানুষের মনের ব্যাপারগুলিও মিলে যায়। তাতে মানুষ খুব অবাক হয়।



মানুষকে অবাক করাটা খুব কঠিন কোন ব্যাপার না। কোন মানুষকে একবার অবাক করে দিয়ে তার মধ্যে বিশ্বাসের খুঁটি স্থাপন করতে পারলে দেয়াল গড়াটা খুব কঠিন না। ইটের পর ইট বসিয়ে দেয়াল গড়াটা তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।



পৃথিবীতে কোন বানীই শাশ্বত নয়, ধর্মীও ব্যাপারগুলি বাদ দিয়ে। কেননা ধর্মের আগমন পৃথিবীকে গড়তে, পৃথিবীর ধর্মকে নয়।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

তৌফিক আনজাম বলেছেন: আপনি কে ? এটি তো আমার লেখা

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

ঊণ মানব বলেছেন: আমাদের লিখা

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

তৌফিক আনজাম বলেছেন: হুম । তাইতো বলি এতো পরিচিত লাগে ক্যান =p~ চালাও জোরসে

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ঊণ মানব বলেছেন: =p~ =p~
দেখি কতদুর যাওয়া যায়

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

তৌফিক আনজাম বলেছেন: :D :D :#) :#) :#)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.