![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ঊফ ! আজ বুঝি অফিসটা লেটই হলো
এত জ্যাম , কি করে সম্ভব?"
বার বার হাত ঘড়ির দিকে নজর চলে যায়।
ফর্মাল শার্ট,প্যান্ট পড়া
কোনমতে চুলটা আচড়ানো মানুষটা।
চোখে পড়া ব্যাস্ততার চশমা-
জ্যামে বসে থেকে হাপ ধরে যাচ্ছে।
ক্রমান্বয়ে চিন্তাটা জেকে ধরছে-
"মিস হয়ে যাবে নাতো মিটিং টা ?"
হাজার হলেও
এত বড় টেলি কমিউনিকেশন অফিস।
হিসাবের বেড়াজালে নিজের স্ম্রিতিময় অতীত
অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে এসেছে।
চশমাটা খুলতে যেয়ে মনে পড়ে গেল
কি দুর্দান্ত জীবন ছিল?
কে বলবে এত ডানপিটে ছেলে সে।
কেউ কি জানে এই ক্র্পোরেটের মুখোশে
লুকিয়ে আছে এক জ্বলন্ত অগ্নিকনা।
আজ হটাত ভাবতেই ঠোটের কোনে
এক চিলতে হাসি ঝুলে পড়ে।
ণিবিষ্ট মনে
চশমার গ্লাস পরিষ্কার করতে গিয়ে -
মনে পড়ে তার সেই যুবককে।
মেধার আলোক ছটায় উজ্জ্বল এক তরুন
টগবগ করে রক্তে বইছে প্রতিবাদের আগুন।
বিশ্ব বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস আলোরিত
কম্পিত তার পদচারনায়।
পুলিশের চোখ রাঙ্গানিতেও সে অকুতোভয়।
লাঠির বাড়ি, টিয়ারশেল পিছু না হটায়
শোষক শ্রেনীর ভিত নড়ে যায়।
চলে দমন পীড়ন
চলে মিছিল শ্লোগান।
তার মাঝেও ধরা পড়ে তরুন হৃদয়
এক জোড়া হরিণী চোখের মায়ায়।
ভীষন উজ্জ্বল দুটি চোখের তারা
মন হয়তো হতে চেয়েছিল দিশেহারা।
কিন্তু পিছু টান দিতে হয়েছিল সেই অগ্নিডাকে
বাচাতেই যে হবে দেশমাতাকে।
হল না লেখা তার প্রেম কাব্য
হয়নি কেনা নীল খাম -
মিথ্যে অপবাদের মামলায়
দিতে হয়েছে তাকে শপথের দাম।
দিনের পর দিন পালিয়ে বাচতে হয়েছে
অবশেষে সত্যের জয় এসেছে ।
চশমাটা পড়ে ফেললেন মিঃ কর্পোরেট
অফিসের কাছাকাছি এসে পড়েছেন তিনি।
নেমেই দোউড়ালেন মিটিং রুমে-
হিসাব নিকাশের ফাইল টেবিলে জমে।
চলছে মিটিং, আজকাল হটাতই আসে একটি ফোন
"একটু ব্যাস্ত আছি,পরে কথা হবে ক্ষন"
পরে উনি ফোন দিলে কোন খোজই নাই মানুষটার।
ভাবতে থাকেন "ভীষন এলো মেলো তো?
মিটিং এ ফোন দিল, এখন আর ধরে না।
কি পাগল রে বাবা!"
আবার মিটিঙ্গের ভিতরেই পাগলের ফোন
এবার উনার হয় ভীষন টেনশন।
বাধ্য হয়ে মিটিং ফেলেই বাইরে আসেন
পরে ফোন চেক করে পান পাগলের মেসেজটি।
হায় রে! পাগলের জ্বালাতন
সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করে লন।
কেন করেন?
তিনি নিজে কি তা জানেন?
ণাহ! ঊত্তর বুঝি তার জানা নাই।
আবার হিসাবে মুখ গুজে ফেলেন।
দিন রাত চলে হিসাব কিতাব
সেই সাথে মাঝে মাঝে শুনেন পাগলের প্রলাপ।
দিন শেষে আসে ঘরে ফেরার পালা
একটু মুক্ত বাতাসের খোজে খুলেন জানালা।
বাসাতেও এসে চলে হিসাব কিতাব,
ফেসবুকেও শুনেন পাগলের প্রলাপ।
মাঝে মাঝে যুক্তি তর্ক চলে ওয়ালে
কখনো কবিতা গল্পের ও সমাহার চলে।
ধীরে ধীরে নেমে আসে ক্লান্তি অবসাদ
ঘুমপরী চোখে আনে ঘুমের আস্বাদ।
আকাশের সুকতারা মিটি মিটি জ্বলে
অগ্নি তরুনটি এখন ঘুমায় কর্পোরেট আড়ালে।
©চৌধুরি সাদিয়া ফাহমিদা (উর্বি )
রচনার সময়কালঃ April 8, 2014 ; 6:00am
০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
উর্বি বলেছেন:
২| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ভাল লাগার পরশ..................
০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯
উর্বি বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১০ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:০৫
এফ.কে আশিক বলেছেন: ভালো লাগলো......।
১১ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯
উর্বি বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১১ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬
রুহুল গনি জ্যোতি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:১২
উর্বি বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১৬ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪
মৃত্যুর পথযাত্রী বলেছেন: 2 in One ছোট গল্প + কবিতা ।
নির্মম বাস্তব সত্য ,
ছেলে মেয়ে উভয়ের felling সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে ।2 in One ছোট গল্প + কবিতা ।
নির্মম বাস্তব সত্য ,
ছেলে মেয়ে উভয়ের felling সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে ।
১৬ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩
উর্বি বলেছেন: hahahahahahaha
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪
ব্রিক্সশাওন বলেছেন: