|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনারা অনেকেই হয়তো মুভিটি দেখে ফেলেছেন অনেক আগে। ১৭ বছর আগে মুক্তি পাওয়া এমন উচ্চমানের সিনেমা কেউ দেখেননি, এমনটা ভাবা বাতুলতা। তবু লিখছি, তাদের কথা ভেবে, যারা দেখননি এখনো। কিংবা নিজের প্রয়োজন থেকেই। দেখার ৮ ঘণ্টার পরও এতো আবেশিত হয়ে আছি যে, সে মুগ্ধতা ভাষায় প্রকাশ করাটা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
castaway শব্দটার অর্থ সমাজচ্যুত। নামটা থেকেই ধারণা করা যায় এর গল্প। কিন্তু গল্পটাই তো সব কথা নয়। একটা সিনেমা শুধু গল্প বলে না। গল্প ছাড়াও সিনেমা হয়, এমনকি আধুনিক ছোটগল্পগুলোতেও তা দেখা যায়। উপন্যাসেও। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ'র 'চাঁদের অমাবস্যা'র কথা স্মরণ করা যেতে পারে। সেখানে গল্প বলতে, একটি খুন। এক চন্দ্রাহত যুবকের মানসিক উত্থানপতনই এর গল্প। ঘটনার ঘনঘটা নেই, তবে বর্ণনার ছটা আছে। গোয়েন্দা নেই, তবু রোমাঞ্চ আছে। গোটা উপন্যাসটা দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটি রাত আর এক যুবকের মগজে ভর করে। এই যে সামান্য গল্প নিয়েও লেখা যায় উপন্যাস, তা যেমন দেখা যায় 'চাঁদের অমবস্যা'য়, তেমনি অল্প গল্পতেও যে সিনেমা হতে পারে, সেটার প্রমাণ castaway... এখানে 'বর্ণনার ছটা' সিনেমার ভাষায় আর অভিনেতার অভিনয়ে।
গল্প বলতে, এক ভ্যাগ্যাহত ব্যক্তি- চাক নোল্যান্ড (টম হ্যাংক্স), বিমান দূর্ঘটানার শিকার হয়ে আটকে পড়েন প্রশান্ত মহাসাগরের কোন এক বাস-অযোগ্য দ্বীপে। পেশায় তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার। কাজ করেন ফেডারেল এক্সপ্রেস নামের এক কুরিয়ার সার্ভিসে। প্রচন্ড সময়সচেতন চাক ঘুরে বেড়ান সারা পৃথিবীতে। সমাধান করেন বিভিন্ন সমস্যার। প্রেমিকা কেলির সাথে বিয়ে হচ্ছে না এই সময়ের অভাবেই। খুব সাধারণ মানুষ চাক। তার দাঁতের ব্যাথা আছে। দেখতে পথচলতি আর দশটা মানুষের মত। একটু মোটা। ভয় পান ড্যান্টিস্টের কাছে যেতে।
সেই চাকই ভাগ্যের বরাতে আটকে যায় সমুদ্রবেষ্টিত এক দ্বীপে। সেখানে কাটানো চাকের চার বছর আর ফিরে আসাটাই এ সিনেমার গল্প। তবুও এটাই সবটা নয়। ঐ যে বললাম, সিনেমাভাষা- সেটাই গল্পটাকে গল্লের উপরের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে।
সিনেমাটার প্লটে রবিনসন ক্রুসোকে খুঁজে পাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এই দুইয়ের পার্থক্য বিস্তর। ক্রুসো যেমন অজানা এক দ্বীপে আটকে পড়ে, সে দ্বীপটিকে নিজের বানিয়ে নিয়েছিল, গড়ে তুলেছিল এক সাম্রাজ্য, শাসন করেছিল প্রকৃতিকে, castaway ঠিক উল্টো। প্রকৃতিকে শাসন করতে পারেনি এর প্রধান চরিত্র, বরং প্রকৃতিই তাকে বারংবার বাধ্য করেছে প্রকৃতির সাথে মানিয়ে নিতে। এটাই এর সার্থকতা। অন্তত সিনেমাটা দেখার পর প্রত্যেক দর্শকই তা মেনে নিতে বাধ্য হবে।
castaway তে নায়িকার (কেলি)ভূমিকায় অভিনয় করেছেন Helen Hunt। তার প্রত্যক্ষ উপস্থিতি খুব বেশি নেই সিনেমায়। কিন্তু সিনেমার পুরোটা জুড়েই তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। চাককে উপহার দেয়া তার একটি ঘড়ি থেকে গিয়েছিল এতসব ঝড়ঝাপ্টার পরও। যেটা হয়েছিল চাকের বেঁচে থাকার অন্যতম অবলম্বন। সিনেমায় কেলির (হেলেন হান্ট) সামান্যতম উপস্থিতও উষ্ণতা দিয়েছে অনেকখানি।
সিনেমার অন্যতম আরেকটি একটি চরিত্র উইলসন। উইলসন মানুষ নন। একটি বাস্কেটবল। এই বাস্কেটবলটিই চাকের নিত্যসঙ্গী হয়ে ছিল চার বছর। চাক নিজের মনেই কথা বলতো তার সাথে। ঝগড়া করতো। রেগে গেলে আঘাত করতো। আবার বলটা আঘাত পেয়েছে বলে, ক্ষমা চেয়ে বলতো, 'never again!'
সিনেমার শেষ প্রান্তে চাকের হারিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটা ছিল অন্যতম হৃদয়বিদারক একটা ঘটনা। Tom Hanks এর গলায় "wilson! Wilson! I'm sorry!" শুনে চোখ ভিজে এসেছিল একসময়।
সিনেমাটির জন্য ছবির চিত্রনাট্যকার আর অভিনেতা টম হ্যাংক্স এর ডেডিকেশন অবাক করে দেয়ার মত। চিত্রনাট্যকার উইলিয়াম ব্রোয়েলস জুনিয়র মূল চরিত্রের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা কেমন হতে পারে জানতে, নিজেই একটা নির্জন দ্বীপে পুরোপুরি প্রযুক্তি বর্জিত হয়ে একা বসবাস করেছিলেন টানা সাত দিন। খাবার খুঁজেছেন, আগুন জ্বালিয়েছেন, পানির সন্ধান করেছেন আদিম মানুষের মতই। তার সেখানেই তিনি খুঁজে পান সিনেমার আরেকটি চরিত্র 'উইলসন'কে। দ্বীপে থাকার সময় তিনি স্রোতে ভেসে আসা একটা বল পান। আর সেটাকেই জুড়ে দেন castaway এর মূল গল্পের সাথে।
টম হ্যাংক্সের কথা না বললেই নয়। সিনেমার প্রয়োজনে তিনি ওজন বাড়িয়েছেন। কমিয়েছেনও সময়মত। দাড়ি রেখেছেন এক বছর যাবত। চার বছর যাবত একটা দ্বীপে আটকে থাকা একটা মানুষের প্রত্যেকটি চিহ্ন তিনি ধারণ করেছেন চিত্রায়নের সময়।
পরিচালক রবার্ট জেমেকিসের এটাই হয়তো শ্রেষ্ঠ সিনেমা। কিংবা এর চেয়ে ভালো সিনেমা আছে তার ঝুলিতে। জানি না। শুধু এটুকু বলতে পারি, শুধু এই সিনেমাটার জন্যই তিনি অনেকদিন বেঁচে থাকবেন সিনেমাপ্রেমীদের মনে।
সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের কথা না বললে অবিচার করা হবে। সমুদ্রের একটানা স্রোতের শব্দকেও নিঃশব্দে পরিণত করার বাহবা নির্ঘাত মিউজিক ডিরেক্টরই পাবেন।
শেষ করবো, সিনেমাটার অসাধারণ একটা ডায়লগ দিয়ে। এই এক মিনিটের ডায়লগটাই অনেকটা পাল্টে দিয়েছে আমার দৃষ্টিভঙ্গি। বেঁচে থাকাটাই আনন্দের- এটুকু বুঝতে হলেও এই ব্লু হোয়েল প্রজন্মের মুভিটা দেখা উচিত।
I was never gonna get off that island. I was gonna die there, totally alone. I was gonna get sick, or get injured or something. The only choice I had, the only thing I could control was when, and how, and where it was going to happen. So... I made a rope and I went up to the summit, to hang myself. I had to test it, you know? Of course. You know me. And the weight of the log, snapped the limb of the tree, so I-I - , I couldn't even kill myself the way I wanted to. I had power over nothing. And that's when this feeling came over me like a warm blanket. I knew, somehow, that I had to stay alive. Somehow. I had to keep breathing. Even though there was no reason to hope. And all my logic said that I would never see this place again. So that's what I did. I stayed alive. I kept breathing. And one day my logic was proven all wrong because the tide came in, and gave me a sail. And now, here I am. I'm back. In Memphis, talking to you. I have ice in my glass... And I've lost her all over again. I'm so sad that I don't have Kelly. But I'm so grateful that she was with me on that island. And I know what I have to do now. I gotta keep breathing. Because tomorrow the sun will rise. Who knows what the tide could bring?
সত্যিই তো, Who knows what the tide could bring?
Castaway
পরিচালক: রবার্ট জেমেকিস
অভিনয়: টম হ্যাংক্স, হেলেন হান্ট
মুক্তি: ২২ ডিসেম্বর, ২০০০
IMDB Rating: 7.8/10
৬১ টি 
+৯/-০ ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মহা জ্বালা। ডাবল হয়ে গেছিল। তাই তো ক্লিক করে দেখি, বিশাল রিভিউ!
২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি মনে হয়, পয়সা খরচ করে ছবিটা দেখেছেন; বুঝেছেনও ভালো; তবে আপনি যে, আগে দেখেননি, সেটাই আমার কাছে নতুন কিছু মনে হয়েছে।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: নাহ, পয়সা করে খরচ করে দেখেছি বললে মিথ্যা হবে।
ফ্রি ডাউনলোড করে দেখেছি!
হ্যাঁ, অনেক আগেই দেখা উচিৎ ছিল বোধহয়।
৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
কাহিনী নিয়ে আপনার মতামত খুবই ভালো লেগেছে, আপনি সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে গল্প লিখেল ভালো হতো, মনে হয়!
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: তাই লিখব। সময় করে।
ধন্যবাদ অনেক
৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১০
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার রিভিউ। মুভি দেখার ইচ্ছা জাগল।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দেখে ফেলুন। অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা হবে
৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৭
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: চমৎকার রিভিউ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক
৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: কোনো মুভি নিয়ে রিভিউ পড়ার পরই আমার সেই মুভিটা দেখতে ইচ্ছা করে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দেখে ফেলুন এটাও। হতাশ করবে না।
৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৯
নীলপরি বলেছেন: রিভিউ ভালো লাগলো ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ পরি
৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১
বেনামি মানুষ বলেছেন: আমি ডাউনলোড না করে পারছিনা!
ধন্যবাদ সিনেমার রিভিউ লেখে লোভ জাগিয়ে তোলার জন্য।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দেখে ফেলুন। খুব ভালো মুভি
৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২১
আল ইফরান বলেছেন: সিনেমাটার লাস্ট সিকুয়েন্সটা (হ্যাংকস একটা ক্রসরোডের মাঝে দাঁড়িয়ে) খুব গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ বহন করে।
আমরা সবাই জীবনের কোন এক পর্যায়ে এসে এই যায়গাতে দাড়াই।
ঠিক অল্টারব্রিজের গানের দুইটা লাইনের মত "Hard to walk this path alone, hard to know which way to go'
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পুরো সিনেমাটায় সবার জন্যই কিছু না কিছু আছে। খুঁজে নিতে হয় শুধু।
খুব আশাজাগানিয়া বলে আরো বেশি ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১
পার্থ তালুকদার বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
কিন্তু মুভি দেখার সময় পাই না। 
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।
সময় করে দেখে নিয়েন একদিন
১১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২
জাহিদ অনিক বলেছেন:
রিভিউ ভাল লেগেছে, অনেক আগে দেখেছিলাম মুভিটা !
ছোট্ট সাদা বলটার সাথে খেলার দৃশ্যটা চোখে রাখার মত।
বলটার নাম যেন কি ছিল ? !!! ভুলে গেছি ! 
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বল নিয়ে খেলাটা বোধহয় নেই।
আরেকবার দেখে নিন।
১২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
নাঈম ফয়সাল নয়ন বলেছেন: বার বার দেখেছি মুভিটা । প্রথমে দেখেছি না বুঝে, তারপর দেখেছি টাইটেল দেখে, তারপর দেখেছি কাঁদার জন্য, তারপর দেখেছি হাসার জন্য, তারপর দেখেছি শেখার জন্য, তারপরও দেখার ইচ্ছা হয় নতুন কিছু খোঁজার জন্য। সত্যি অনবদ্য । এবং অনবদ্য আপনার প্রকাশ ভঙ্গি। ধন্যবাদ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।
ছবিটি অসাধারণ। আসলেই।
বারবার দেখবো
১৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্টিকি পোস্টের ৯৭ নম্বর মন্তব্যের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দেখছি হেনা ভাই
১৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০
জাহিদ অনিক বলেছেন: 
এই যে মনে পড়েছে বলটার নাম, উইলসন।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমার খেলার দৃশ্য মনে পড়েনি বলে বললাম। যাক গে, বলটার নাম পোস্টেই বলা আছে
১৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫১
আবু তালেব শেখ বলেছেন: ডাউনলোড লিংক দ্যান
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুঁজে নেন মিয়া। টরেন্ট লিংক দেয়া সামুর নীতিবিরুদ্ধ
১৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০০
সুমন কর বলেছেন: রিভিউ ভালো লিখেছ। মুভিটি আগেই দেখা হয়েছিল। তোমার লেখা পড়ে আবার মনে পড়ে গেল। দারুণ মুভি।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সত্যই দারুণ মুভি। এর উপরে কথা নাই আর
১৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০১
ফাহমিদা বারী বলেছেন: চমতকার সিনেমা! এখনো টিভিতে দেখালে দেখতে বসে যাই। টম হ্যাংক্স বস। আপনার রিভিউ ভাল হয়েছে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: টম হ্যাংক্সের অনেক মুভিই আমার পছন্দের তালিকায় উপরে থাকে।তবে রবার্ট ল্যাংডন চরিত্রে আমার ভালো লাগে না।
১৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৬
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ৮/১০ বছর আগে দেখছি, তেমন জুত পাই নাই। এখন মনে হইতাছে আবার দেখা লাগবে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দেখে নিন। এবারে জুত লাগলেও লাগতে পারে
১৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: @ জাহিদ অনিক : বলটার নাম ছিল উইলসন | বলটার ব্রান্ডের নামেই | উইলসন সাগরে ভেসে যায় যখন টম হ্যাঙ্কস তার ভেলা নিয়ে দ্বীপ থেকে ভেসে চলতে থাকে |সিনেমাটা খুবই নাম করেছিল যখন প্রথম রিলিজ হলো | কিন্তু গল্পের কাঠামোটাতো খুব নতুন না |তাই বার বার মনে হচ্ছিলো রবিনসন ক্রুসোর গল্পটার কোনো মডার্ন ভার্সন দেখছি | ভিয়েতনাম ওয়ার নিয়ে একটা খুবই চমৎকার সিনেমা আছে সত্তুর দশকের শুরুর দিকের - দ্যা ফার্গোটেন ম্যান (The Forgotten Man)| ওই মুভির নায়ক আমেরিকান এক সোলজার ভিয়েতনাম যুদ্ধে গিয়ে শত্রুদের হাতে ধরা পরে | কিন্তু আর্মির রেকর্ডে দেখা যায় সে মারা গেছে | আমেরিকায় তার ওয়াইফ সেটা জেনে আবার বিয়ে করে | অনেক বছর পর সে কোন ভাবে তার বন্দি জীবন থেকে পালাবার সুযোগ পায় | কাউকে কিছু না জানিয়ে সে আমেরিকা আসে তার বাড়িতে | এসে দেখে তার ছোট ছেলেটা বড় হয়েছে | তার সাথে কথা বলে সেই সোলজার কিন্তু ছেলেটা তার বাবাকে চিনতে পারে না | দূর থেকে ছেলেটা তার মা আর স্টেপ ফাদার কে দেখায় | সোলজার বুঝতে পারে তার ওয়াইফ আবার বিয়ে করেছে আর এখন সুখেই আছে | সেটা দেখে সে কাউকে কিছু না বলে সেখান থেকে চলে আসে | এই সিনেমাটা স্কুলে থাকতে কত মন খারাপ করে যে দেখেছি ! ক্যাস্ট এওয়ের শেষটা অনেকটা ফরগটেন ম্যানের মতোই | খুব বেশি নতুনত্ব পাইনি দেখে | ভালো রিভিউ হয়েছে আপনার | জাহিদ অনিকের উইলসনের নাম জানতে চাওয়ায় মন্তব্যটা করলাম | আপনাদের আনন্দে অন্য কথা বলতে চাই নি |
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: the forgotten man দেখতে হচ্ছে। তবে আপনি যে সিনোপসিস বলেই দিলেন। টুইস্ট পাবো না।
কাস্ট এওয়ের সাথে পার্থক্য এটুকুই যে চাক তার প্রেমিকার সাথে জোর করেই দেখা করে, ফরগটেন ম্যানের উলটা।
যাক গে, ধন্যবাদ অনেক।
২০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: রিভিউ খুবই মন দিয়ে দেখলাম, আমি ছবিটি দেখি নাই, তবে রিভিউটা পড়ে দেখার ইচ্ছা জাগলো -------
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এটাই আমার সার্থকতা।
২১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪
মলাসইলমুইনা বলেছেন: ঠিক, টম হ্যাঙ্কসের হেলেন হান্টকে দেখতে যাবার ব্যাপারটা অন্য | কিন্তু প্রেমিকার থেকে টম হ্যাঙ্কসের চলে আসা এক -মানে পুরোনো প্রেমটাকে রেখে চলে আসার ব্যাপারটা একই রকম লেগেছিলো | আর ওটাই আমার কাছে বেশি ইম্পরট্যান্ট লেগেছিলো সিনেমাটার পটভূমিতে | তাই আমি ওভাবে বলেছি |আসলে পুরো সিনেমাটা দেখতে যেয়ে রবিনসন ক্রুসোর কথা এতবার আর শেষটাতে ফরগটেন ম্যানের কথা এতো বেশি মনে পড়েছে যে (ইনফ্যাক্ট দ্বীপের থেকে ভয় ভাসার সময় থেকেই মনে হয় বুঝে গিয়েছিলাম হ্যাঙ্কসের ফিয়াঁসের সাথে আর পুরোনো সম্পর্কটা থাকবে না |হেলেন হান্টের হয়তো বিয়ে হয়ে যাবে অন্য কারো সাথে ) যারা শুধুই এই কাস্ট এওয়ে দেখেছে ফরগটেন ম্যান নয়, তাদের মতো মজা তাই আমার হয়তো লাগেনি | নতুনত্বটা পাইনি | আবারো বলছি আপনার রিভিউটা কিন্তু খুব ভালো হয়েছে |
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
তবে ফরগটেন ম্যান দেখবো সুযোগ পেলে।
আমার চাকের বিদায় নেয়াটা খুব করুণ লেগেছে। আমি একটা হ্যাপি এন্ডিং চেয়েছিলাম। কিন্তু হায়....
২২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২২
হাসান রাজু বলেছেন: - You look lost.
- I do?
*খুবি সাধারন একটা দৃশ্য সিনেমার শেষ দিকে । কেন জানিনা হাহাকার তৈরি করেছিল মনের মাঝে । যতবার দেখেছি মনটা খারাপ হয়েছে ।
* শেষ দৃশ্যে অনেকগুলো পথের মোড়ে দাড়িয়ে চাক। কষ্ট লেগেছে, একটা মানুষের সাজানো পৃথিবী ছিল । এই মুহূর্তে সে আবার নতুন করে শেষ কয়টা দিনকে কোন পথ ধরে সাজাবে ভেবে উঠতে পারছে না ।
*বর্শা নিক্ষেপ। পরক্ষণেই বেশ কয়বছরের অভিজ্ঞতায় পুষ্ট চাক । তার শারীরিক ঘটনের আমুল পরিবর্তন অবাক করেছিল আমায়।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মুভিটার এইটা বেস্ট।
চাককে কখনোই সুপারহিউম্যান মনে হয়নি। আর সাধারণ মানুষের চরিত্রে টম হ্যাংক্সের চাইতে বেটার অপশন হয়তো ছিলই না
২৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭
রিএ্যাক্ট বিডি বলেছেন: হমম ভাল বোলচেন
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: 
২৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
জামু বলেছেন: মুভি দেখার ইচ্ছে হচ্ছে
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দেখে ফেলেন
২৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০০
জুপিটার মুহাইমিন বলেছেন: টম হ্যাংকস আমার একজন প্রিয় অভিনেতা।
সত্যি কথা বলতে আমি castaway movie এখনো দেখি নাই। আপনার রিভিউ পড়ে দেখার ইচ্ছা প্রবল হল।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দেখে নিন
২৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৯
তাশমিন নূর বলেছেন: রিভিউ ভালো লেগেছে। দেখব সময় করে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন:
অবশ্যই দেখে নেবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
২৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬
বিষণ্ন মন বলেছেন: ধন্যবাদ দেখার চেষ্টা করবো।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অবশ্যই করবেন
২৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: মুভিটা দেখেছি আগেই... চমৎকার মুভি। ধন্যবাদ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ অনেক
২৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৫
জাহিদ অনিক বলেছেন:
মলাসইলমুইনা, আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সেই যে মন্তব্য করে গেছি এর পরে আর এই পোষ্টে আসা হয় নাই।
আজকে যেন কি মনে করে এসেছি। এসেই দেখি আপনি আমাকে ম্যানশন করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনার মত গুণী ব্লগার মেনশন করলে নিজেকে ধন্য মনে হয়।
যাইহোক, দ্যা ফার্গোটেন ম্যান (The Forgotten Man) মুভিটা আমারও দেখা হয় নাই। অনেক নাম ডাক শুনেছিলাম। কিন্তু লেখকের মত আমারও একই কথা এখন, আপনি তো প্রায় স্পয়লারই দিয়ে দিলেন ! এখন কি আর দেখে মজা পাব !
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন:
৩০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৮
চাঙ্কু বলেছেন: খুব প্রিয় একটা সিনেমা! সুন্দর রিভিউয়ের জন্য অনেক বন্যবাদ।
১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য
৩১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: যে বুক রিভিউ বা সিনেমা রিভিউ পড়ে বইটি পড়ার কিংবা সিনেমাটি দেখার ইচ্ছে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তাকে চমৎকার না বলে উপায় নেই। আপনার এ রিভিউটাও তাই।
পোস্টে প্লাস + +
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: রিভু ভাল লাগছে । মুভিটি দেখে ফেলব। পোস্ট দুইবার এসেছে ঠিক করে নিয়েন ।