নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাবির হলের ভিতর থেকে বলছি: এখানকার আসল অবস্থা!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৫৩

এই ব্লগটা লেখা আমার জন্য রিস্কি। কারণ আমি হলে থাকি। আমরা, ঢাবির ছাত্ররা যারা হলে থাকি, এই উত্তাল সময়টা কী করে পার করছি, তার একটা চিত্র তুলে ধরাই এ পোস্টের মূল লক্ষ্য।
৮ এপ্রিল, ২০১৮
৮ এপ্রিল বিকেল থেকেই ছাত্রলীগের পোস্টেড বড় ভাইরা হলের গেটে অবস্থান নিয়েছিল, যাতে হলের কেউ বেড়িয়ে আন্দোলনে অংশ নিতে না পারে। আমাদের হল গেটে বসে থাকা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আন্দোলনে যেতে চাওয়া এক ছাত্রকে বলেছে, “আন্দোলনে যেতে হলে এক্কেবারে ব্যাগট্যাগ নিয়ে যা। তোর আর হলে থাকা হবে না!”
কিন্তু যারা আগে থেকেই হলের বাইরে ছিল, তারা আর হলে না ফিরে সরাসরি চলে গিয়েছিল আন্দোলনে। যারা থেকে গিয়েছিল, তারা রাগে ফুসছিল নিজের অক্ষমতায়।
এর মধ্যে স্যার এ এফ রহমান হলে হয়ে যায় একটা অসাধারণ ব্যাপার। হলের ছাত্ররা, যারা বেড়িয়ে পরতে পারেনি, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ক্ষেপে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল হলের ভিতরেই। শুনেছি, সভাপতির সাথে হাতাহাতিও হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
৮ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকেই আমরা হলের বাইরে বেরুতে পারিনি। যখন রাত প্রায় ১ টার দিকে খবর পেলাম কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীরা হলের দরজা ভেঙে চলে এসেছে আন্দোলনে, তখন আর আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারিনি। আমরা সংগঠিত হয়ে হল গেটে যাই। কিন্তু গেটে এসে দেখি, ছাত্রলীগ প্রস্তুত হচ্ছে আন্দোলনে আক্রমণ করার জন্য। তাদের প্রস্তুতি দেখে, আমাদের অনেকেই পিছিয়ে যায়। তার কিছু পরেই ছাত্রলীগ অস্ত্র নিয়ে বেড়িয়ে পরে।
আমি যখন ভিসি চত্বরে পৌঁছি, ততোক্ষণে, ভিসির বাড়ি ভাংচুর হয়ে গিয়েছে। ভিসির বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ। প্রচুর অস্ত্র- লাঠি, রড নিয়ে তারা এসেছে বিভিন্ন হল থেকে। ঢাকা কলেজ থেকে হেলমেড পরে রড নিয়ে এসেছে শতাধিক নেতাকর্মী! এদের দেখে কে বলবে এরা ছাত্র! তখনও পুলিশ এসে পৌঁছেনি। আমি ভেবে পাই না, ভিসি হামলার সাথে সাথেই পুলিশকে না ডেকে ছাত্রলীগকে ডাকলেন কেন! যেখানে সারাটা দিন পুলিশ টহল দিয়েছে ক্যাম্পাসে?
এরপর শুরু হয় ধাওয়া পালটা ধাওয়া। আমার হলের এক বড় ভাই আন্দোলনকারীদের পিটাতে গিয়ে নিজেই পা ভাঙলেন। তাকে নিয়ে যাওয়া হলো ডিএমসিতে।
একটা কথা না বললে, নিজের কাছেই অপরাধী হয়ে থাকবো। আমাকে ভিসি চত্বরে যেতে হয়েছে ছাত্রলীগের পরিচয়ে। আমরা যারা ১ম বর্ষের, তারা যদি লীগ না করি, তাহলে হলে থাকতে দেয়া হয় না। আমি তাই বাধ্য হয়েই ছাত্রলীগ। আমি ভিসি চত্বরে নাও যেতে পারতাম, কিন্তু কী হচ্ছে বাইরে সেটা দেখার অদম্য ইচ্ছেয় বেড়িয়ে এসেছি। আর আসতে হয়েছে ছাত্রলীগের পিছেই। কারণ ততোক্ষণে আন্দোলনকারীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। কে আন্দোলনকারী আর কে লীগার বোঝা যাচ্ছিল না।
সেদিন ৮ এপ্রিল রাত ২ টায়, মানে ৯ এপ্রিল ভোরে, আমি জীবনে প্রথম পুলিশ ছাড়া অন্য কারও হাতে পিস্তল দেখেছি। যার হাতে পিস্তলটা ছিল, সে হেলমেড পরা- চেহারা দেখতে পারিনি। ঢাবির হলগুলোতে এতো এতো অস্ত্র মজুদ আছে, সেদিন নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না কোনদিন।

৯ এপ্রিল, ২০১৮
৯ এপ্রিল ক্যাম্পাস ছিল থমথমে। আমার ক্লাস ছিল সকাল ১০টায়। কিন্তু তার আগেই বর্জন করা হয় ক্লাস।
সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসে ঢু মারতে গিয়েছিলাম। ভার্সিটির সব বাস শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট এর সামনে দাঁড়িয়ে। আজ যেন অঘোষিত ধর্মঘট! অনেকেই ক্লাস করতে গিয়ে ফিরে এসেছে। তবে পরীক্ষাগুলো হচ্ছে।
১২ টার দিকে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম ছিল মধুর ক্যান্টিনে। আমাদের প্রথম বর্ষকে তাই মধুতে যেতে হলো। গিয়েই বুঝলাম, আজ কঠিন কিছু হতে যাচ্ছে। মধুতে প্রচন্ড ভীড়। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সহ সভাপতিকে দেখা গেল ব্যস্ত সময় পার করতে।
আমতলায় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আনু ভাই কথা বলছেন। শুনলাম, তিনি বলছেন, “এই আন্দোলনটা আমাদের করা উচিত ছিল। কিন্তু পারলাম না। কেন্দ্র থেকে সময়মত নির্দেশ পেলে, আমরা আন্দোলনটাকে নিজেদের করতে পারতাম। এখন বিভিন্ন দল এটার ফায়দা লোটার চেষ্টা করবে।“
সন্ধ্যায় টিএসসিতে গেলাম। আন্দোলন তুংগে। দেখলাম, আমাদের কয়েকজন বড় ভাই লীগের নির্দেশ অমান্য করে আমদোলনে নেমে পড়েছে পুরো দমে। কোন হলই আজ ছাত্রদের আটকে রাখতে পারেনি। সার্জেন্ট জহুরুল হক হল এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে। এক বন্ধুর কাছে শুনলাম, তাদের নাকি নির্দেশ দিয়েছে বড় ভাইয়েরা আন্দোলনে নামতে। তাছাড়া জহু হলে ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নিজেই এই আন্দোলনের একজন মুখপাত্র।
বুঝতে পারলাম, ছাত্রলীগ পড়েছে মহা ফাঁপরে। কারণ, তারা নিজেদের কর্মীর কাছ থেকেই পাচ্ছে না সাপোর্ট। অন্তত ৯০% কর্মী কোটা সংস্কার চায়। যারা চায়, তাদের অনেকেই নেমেছে আন্দোলনে। তারা না পরছে এই আন্দোলনে ‘শিবির' ট্যাগ দিয়ে হামলা করতে, না পারছে উপর মহলের চাপ সহ্য করতে। ক্যাম্পাসে নিজেদের কর্মী স্বল্পতার কারণে, তারা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ থেকে নিয়ে এসেছে তাদের গুন্ডাপান্ডা।
কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরাও থেমে ছিল না। তারা প্রস্তুত ছিল সব কিছুর জন্য। তারাও যেখান থেকে পারছিল, সংগ্রহ করছিল, নিজেকে বাঁচাবার অস্ত্র।
আমমি প্রথমে একটা গাছের ডাল ভেঙেছিলাম। পরে একটা রড পড়ে থাকতে দেখে, সেটাই তুলে নিয়েছিলাম।
তারপর ওবায়দুল কাদেরের সাথে মিটিং করে কেন্দ্রীয় কমিটি মিটিং করে ফিরে এলে, আন্দোলন আরও উত্তাল হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে নারাজ সবাই। এক মাস সময় চেয়েছে সরকার। এই এক মাসে কত জল ঘোলা হতে পারে! এক মাস পর রমজান, ক্যাম্পাস বন্ধ! তখন কোন কারণে সংস্কার না হলে কিংবা দায়সারা সংস্কার হলে আন্দোলন করার জন্য থাকবে কে?
দুইভাগ হয়ে গেল আন্দোলন। তার পরের কাহিনী আপনারা জানেন।

১০ এপ্রিল, ২০১৮
আজকের দিনটা কোটা আন্দোলনের ইতিহাসে একটা গুরত্বপূর্ণ দিন।
সকালে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আন্দোলন করেছিল বামেরা। তারা কেন্দ্রীয় কমিটির সিন্ধান্ত মানছে না। আজ ডিপার্টমেন্ট থেকে আমরা গিয়েছিলাম রাজুর সামনে। প্লাকার্ড নিয়ে। প্রায় ঘণ্টা দুই থাকার পর ফিরে এসেছি।
সন্ধ্যায় আজ ঘটেছে অতুলনীয় একটি ঘটনা। কোটা আন্দোলনে ভাগ হয়ে যাওয়া দুটি দল এক হয়ে গেছে। মতিয়া চৌধুরীর উপর ক্রেডিট যাবে। তিনি আমাদের সাধারণ ছাত্রদের “রাজাকারের বাচ্চা” বলেছেন। তারই প্রতিবাদে এক হয়ে মিছিলে নেমেছে সবাই। দুদলই।
প্রতিবাদ মিছিলে অন্তত ১০ হাজার ছাত্র ছিল। আমার সৌভাগ্য, সে মিছিলে ছিলাম। মিছিল যখন মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ পেরিয়ে এ এফ রহমান হলের দিকে গেল, দেখলাম, হলের গেটে তালা দেয়া। গটের ওপার থেকে তাকিয়ে আছে ছাত্ররা। তাদের চোখমুখই বলে দিচ্ছে তারা আসতে চায় আন্দোলনে। কিন্তু পারছে না।
সূর্য সেন হলের পাশ দিয়ে মিছিল হচ্ছিল যখন, তখন হলের ভিতরে থাকা ছাত্ররা ভিতর থেকেই চিৎকার করে আমাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে। এ এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা।
মিছিল টিএসসি এলে, আমি সিগারেট খাওয়ার জন্য সরে যাই। সিগারেট বিক্রেতাটা আমাকে সিগারেট দিয়ে চলে যাচ্ছিল।
জিজ্ঞেস করলাম, “মামা, এতো তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছো যে? মাল শেষ?”
সিগারেটমামা বললেন, “মামা, কাল রাতে ছাত্রলীগের হাতে যে অস্ত্র দেখছি, তাতে এই আন্দোলনা থাকা সম্ভব না। আমার জীবনডার দাম আছে। আইজ একদিন সগারেট না বিকাইলেও দিন ঠিকই চলব!”
আজ আন্দোলনে ঠিক হয়, যতদিন না মতয়া চৌধুরী তার বক্তব্য ফিরিয়ে নিচ্ছেন, ততোদিন আন্দোলন চলবে। আগামীকাল ১১ তারিখ সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত অহিংস আন্দোলন হবে।
আজ আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে বুঝিয়ে দিয়েছি, আমরা কোন কনফ্লিক্ট চাই না। ছাত্রলীগ কিংবা পুলিশ হামলা না করলে আমরা কোন ঝামেলা ছাড়াই মিছিল, সভা সমাবেশ শেষ করতে পারি। আজ রোকেয়া হল থেকে বেড়িয়ে এসেছিল অন্তত ৫০০ মেয়ে আন্দোলনে যোগ দিতে।
তারা আমাদের যে সাহসটা দিয়েছে, তার প্রকাশ করতে পারবো না।
আজ তারা যেভাবে বেড়িয়ে আসছে, যেভাবে ঝাপিয়ে পড়ছে, ঠিক সেভাবেই যদি ধর্ষণের বিরুদ্ধেও আসতো প্রতিবাদে, তাহলে আজ দেশ থেকে ধর্ষণ নামের কালো শব্দটা হয়তো লোপ পেত বেমালুম।
১১ এপ্রিল, ২০১৮
রাত ২ টা ৪৬
শুনলাম, সুফিয়া কামাল হলে ছাত্রলীগারেরা একজন আন্দোলনকারীর রগ কেঁটে দিয়েছে! কী নির্মমতা।
এতোদিন জানতাম, শিবির রগ কাটে। আজ ছাত্রলীগ তাদের মত আচরণ করলো না?
সুফিয়া কামালের সামনে ৩০০ ছেলে অবস্থান নিয়েছে। জানি না কী হবে।
বাংলা ভাষার নিকৃষ্ট গালি “রাজাকার”- সেই গালি আমাদের বয়ে বেড়াতে হয়। আমাদের একজন আপুর শরীরের রগ কেটে দেয়া হয়। একজনের শরীরে চালানো হয় ২৬ টা রাবার বুলেট। আমাদের গ্রাজুয়েটরা চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করে।
আমাদের কী করা উচিৎ, বলতে পারেন?
এই লেখার ২য় পর্ব


মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


নিশ্চয় জীবন্ত আন্দোলনের কাহিনী; শুধু লক্ষ্য রাখবেন, যাতে গোলাগুলির মাঝখানে যা পড়েন; বেঁচে থাকলে একদিন চাকুরী পাবেন। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে বিশ্বাস করার দরকার; এখন উনার সুদিন, চাইলে অনেক কিছু করতে পারেন; উনার আবার ঘাঁড় বাকা, একবার বেঁকে গেলে খবর আছে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৩৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বেঁচে থাকাটা জরুরী।
এখন আন্দোলন উত্তাল। আমরা সবাই সুফিয়া কামাল হলের সামনে।
আমাদের একজনের রগ কাটা হয়েছে।
এবারে কোন ছাড় দিচ্ছি না

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:২৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের বাস্তব অবস্হা লিখার জন্য। আমার বিশ্বাস, ছাত্রলীগের যে কয়েকজন টেন্ডারবাজি ও ছিনতাই করে টাকা কামাই করে সেই কয়েক জন বাদে সকল নেতা-কর্মীরাই কোটা সংস্কারের পক্ষে। কারণ তারা জানে পাস করার পরের দিনই তাকে চাকুরীর পরীক্ষা দিতে হবে। আমার নিজের বন্ধ; বাবা আওয়ামীলীগের থানা সধারণ সম্পাদক ছিলো প্রায় ৩০ বছর সেই বন্ধুকেও ৪ লাখ টাকা দিয়ে সরকারি ব্যাংকের চাকুরি নিতে হয়েছে।


১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৩৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ছাত্রলীগের বেশিরভাগই আন্দোলনের পক্ষে। কিন্তু কেন্দ্র মানছে না।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:২৯

নতুন বলেছেন: আপনি নিরাপদে থাকবেন।

সবাই মিলে অনলাইন মিডিয়া এবং ফেসবুক লাইফের ব্যবহার বাড়ান...

যেখানে আক্রমন হতে পারে সেইখানে ফেসবুক লাইভে মোবাইল দিয়ে কাউকে রাখুন.... অস্র নিয়ে ছাত্রলীগ যখন থাকে তা ভিডিওতে সবার কাছে পৌছে দিন...

জনগন সেয়ার করে ছড়িয়ে দেবে তখন শেখ হাসিনাও ওদের লুকাতে বলবে....

আশা করি শেখ হাসিনা তাড়াতাড়ি কোটা সংস্কার করে বিষয়টা শেষ করবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৩৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দেখা যাক। আমরা আশা করি।
দিন যত যাচ্ছে, আন্দোলন দমাতে লীগ আরো কঠোর হচ্ছে। আজ একজনের রগ কাটল। কতোটা নির্মম এরা!
যদি তাড়াতাড়ি না করতে পারে সংস্কার, তারাই ফেঁসে যাবে। সামনে নির্বাচন

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আহত মেয়েটাকে এখন ও পরে সাহায্য করার চেষ্টা করবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ও ভাল আছে

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:১৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনি নিজের ব্লগ নিকে কখনো আসল নাম প্রকাশ করবেন না। আর মোবাইল, ল্যাপটপে হিস্টোরি ক্লিয়ার রাখবেন। কেউ পুলিশের সাথে এগ্রেসিভ আচরণ করবেন না। সবাই ভালো থাকুক। আসলে ক্যাম্পাস থেকে রাজনীতি সরানোর সময় হয়েছে। এটা নিয়ে সব ছাত্র ছাত্রীদের এক করতে পারলে খুব ভালো হত...

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেকেই আমার আসল পরিচয় জানে। তবে কেউ বলবে না এই বিশ্বাস আছে।
আসলেই ক্যাম্পাস থেকে রাজনীতি অন্তত ছাত্রলীগের রাজনীতি সরানোর সময় হয়েছে

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:২৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সরকারের সহায়তায় । ঘাড় বাকা করলে কি আন্দোলন দমানো যাবে ? এক ঘাড় বাকা এখন নাজিমুদ্দিন রোডে । আরন্যক , তোমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করো । আমরা ঘরে বসেই বাংলাদেশের সব খবর পাচ্ছি। এও জেনো সাধারন মানুষ শুধু অপেক্ষায় , তোমাদের সাথে বিলীন হবার । ছাত্র লীগের ৯০% কর্মী আন্দোলনের পক্ষে কারন তারাওতো ভিকটিম । রগ কেটে আন্দোলন স্থগিত হয়না । কোটা ইস্যুর সাথে হাজারো অন্যায়ের ইস্যু যোগ হবে কারন কান টান দিলে মাথা এবং শরীর দুটোই চলে আসে । আন্দোলন বেগবান হউক । রগ যাদের কেটেছে তারা যেন চিকিতসা পায় । হাজার হাত এগিয়ে দেব সাহায্যের জন্য।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আন্দোলন এখন সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছে।
দেশের সব ভার্সিটিতে চলছে আন্দোলন।
আন্দোলন থামবে না দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ১৯৮৬-৮৭ সালের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৫৮ জন। ১৯৯৭-২০০১ সালে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন! ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত আরেকদফা তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ১০ হাজার ৪৮১ জনে!! বিগত দশ-বারো বছরে সংখ্যটি যে আরো বেড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই!!!

এই হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার বেহাল দশা।

হিসাব করলে দেখা যায় দেশের মাত্র.......... ০.১১% ভাগ (শুণ্য দশমিক এগার) !!! ......... (মোট জনসংখ্যার ১% এর নয়ভাগের এক ভাগ...........!!!! সত্যি বিষ্ময়কর) মানুষের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০% কোটা সংরক্ষিত!!!!!

এটা কোন যুক্তি বলে কোন লেভেলের বিশেষজ্ঞরা করেছেন জানি না। যারা করেছেন তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।

চরম বৈষম্যমূলক এ কোটা প্রথা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বলে আমি মনে করি। মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরে তাঁদের সন্তান ও নাতিপুতিদের অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ করেননি। তাদের সংগ্রাম আর আত্মত্যাগ ছিল সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, পাকিস্তানীদের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে। সরকারি চাকরিতে বাঙালিদের সম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।

কোটা পদ্ধতির সুবিধা নিয়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে। সরকার প্রতিমাসে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে যে সম্মানী দেন তার একটি বড় অংশ ভূয়াদের পেটে যায়।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কোটা সংস্কার হোক

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:১৪

তাওহিদ হিমু বলেছেন: আপনি অনেক গোছিয়ে ঠাণ্ডা ভাষায় বললেন। আপনার এই ব্লগ একজন সাধারণ ছাত্রের জবানবন্দি হিসেবে ইতিহাসে স্থান পাবে বলে আমার ধারণা। আমার জিএফ ফোর্থ ইয়ারে পড়ে, তার থেকেও নিয়মিত আপডেট পাই, ভেতরের আপডেট। তবে সে অতটা গোছিয়ে বলতে পারে না, এক্সাইটেড থাকে বলে হয়ত।
ঢাবিয়ানরা দেখিয়ে দিল, তারা "সাধারণ নিরীহ ছাত্র" হলেও বিক্ষোভে-বিপ্লবে তারাই বাংলাদেশের মূলশক্তি।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ইতিহাসে জানি না স্থান পাবে কিনা, তবে আপাতত চাই সবাই আসল অবস্থাটা জানুক।
মিডিয়া আমাদের নিয়ে যা নয় তাই ছড়াচ্ছে। অন্তত গুজব থেকে বাঁচুক আমাদের আন্দোলন।
কোটা সংস্কার চাই

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: পায়ের রগ কাটা আহত মেয়েটার প্রতি লক্ষ্য রাখবেন প্লীজ। এই দুঃসময়ে তার উৎকন্ঠিত পরিবারের পাশে থাকবেন কেউ না কেউ।
আপনি অনেক সাহস করে এই আপডেট লিখেছেন। আন্দোলন সফল বা বিফল হোক, আপনার এই অবদান অনেকদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
শুভবুদ্ধির উদয় হোক! নেতৃত্বহীন, নিরীহ ছেলে মেয়েগুলোর মুখের দিকে তাকাচ্ছি, আর কোন এক স্বৈরিণীর রাজাকারের বাচ্চা গালিটি আমাকে পুড়িয়ে মারছে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: রাজাকারের বাচ্চার মত গালি কখনোই মেনে নেয়া যায় না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। আমরা অসাম্প্রদায়িক বাংলায় বিশ্বাসী। আমরা রাজাকারের বাচ্চা হলে যে ছাত্রলীগের কর্মীটি রপগ কেটে দিল, সে কে?

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এটাই বাস্তবতা।এটি স্টিকি করার মত পোষ্ট। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের মেধাবীদের করুন অবস্থা সবার জানা উচিত।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

ক্স বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করার ব্যাপারে সহমত। সমর্থন রইল।
বেঁচে থাকতে সবাই চায় । সুন্দর ভবিষ্যৎ সবাই চায়। ৭১ এ হানাদারদের গুলিতে শহীদ হয়ে শেয়াল কুকুরের অসহায় খাদ্য হওয়া মুক্তিযোদ্ধাটি বেঁচে থাকলে আজ সরকারের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে অথবা বিরাট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়ে আরামে বিলাসে জীবন কাটাতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেদিকে তাকান নি। সময়ের প্রয়োজনে তিনি নিজের বুককে বুলেটের সামনে পেতেছিলেন বলেই বিশ্বের বুকে আমরা এত সম্মানের অধিকারী। তাই জান বাঁচানোর ব্যাপারে ব্যস্ত হবেননা, হায়াত মউতের মালিক একমাত্র আল্লাহ। আপনি আপনার কাজ করে যান, আল্লাহ্‌র উপর ভরসা রাখুন - আল্লাহ অবশ্যই সফলতা দেবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ছাড়ছি না

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: উফ আল্লাহ !!!!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :(

১৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সময়ের রোজনামচা। ইতিহাসের এক ক্রান্তিকালে দারুন সময়ের মূখোমূখি!
সাহসের সাথে বুদ্ধি কৌশল আর প্রজ্ঞায় মোকাবেলা করুন।

শুভকামনা রইল সকেলর জন্য।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক

১৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

সজিব ইসলাম বলেছেন: চালিয়ে যাও

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :)

১৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:

আশা করি সফলতার মধ্য দিয়েই সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকবেন।

শুভকামনা রইল।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আশা করি আমরাও

১৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক শুভ কামনা তোমাদের সাথে সারা বাংলার সাধারন সবাই আছি।
কোটা সংস্কার আন্দলনের মত যৌক্তিক দাবী 'র পাশে আছি।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পাশে আছে সারা বাংলা।
আশা করি, কোটা ব্যাপারটা ভালো ভাবেই মিটে যাবে

১৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পোস্ট এখনো স্টিকি হয় নাই। অশিক্ষিত মডু এই পোস্টের মাহাত্ম্য কি আর বুঝবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ওদের হয়তো মনে হয়নি পোস্টটা স্টিকি করার মত

১৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:০৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনাদের উদ্দেশ্য সফল হউক। বিজয়ী হয়েই যেনো থামে এই উত্তাল ঢেউ। সবার জন্য রইল শুভকামনা।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৩

সোহানী বলেছেন: আমি ফলো করলাম তোমাকে। কারন নিশ্চয় বুঝতে পারছো। .........

ভালো থাকো আর অবশ্যই সাবধানে থাকো। কারন লাশের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাসী............ তাই নয় কি? নিজের সামনেই এরকম প্রান যেতে দেখেছি।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.