![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহু বহু হাদীসে বার বার নারী -পুরুষের নামাজের পার্থক্য বর্ণিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও আলবানী আর লা-মাজহাবীরা তা মানবেন না। নিজেদের আহলে হাদীস দাবী করা সত্ত্বেও এখানে তারা হাদীস মানতে নারাজ !
অথচ তাদের এই পুরাপুরী মনগড়া দাবীর পক্ষে তারা একটি হাদীসও দেখাতে পারেন না, না সহিহ না হাসান না জয়ীফ! একজন সাহাবীর মতও তাদের অনুকুলে নয় ! অথচ বহু সাহাবী স্পষ্ট ভাবে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য বর্ননা করেছেন । আর সাহাবীদের মানতেও তারা নারাজ!
কোন হাদীস, অথবা একজনও সাহাবীর রায় বা ফতোয়া না পেলেও আলবানী আর লা-মাজহাবীদের দাবী: নারী-পুরুষের নামাজ এক!
হাদিসের আলোকে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য, হাদীস ১ :
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা: ) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :
মহিলারা যখন নামাজের মধ্যে বসবে তখন এক উরুর সাথে অন্য উরু মিলিয়ে রাখবে, আর যখন সিজদা করবে তখন পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে, কেননা তা সতর ঢাকার জন্য অধিক উপযোগী ।
এরূপ নামাজ আদায়কারী মহিলাদের দেখে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন: হে আমার ফেরেশতারা তোমরা সাক্ষী থাক, আমি তাকে মাফ করে দিলাম।
হাদিসের আলোকে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য , হাদীস ২ :
হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর রা: বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন : তুমি যখন হাত উঠাবে তখন কান বরাবর হাত উঠাবে আর মহিলারা বুক বরাবর হাত উঠাবে ।
হাদিসের আলোকে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য , হাদীস ৩ :
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজরত মহিলাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাদেরকে বললেন : যখন সেজদা করবে তখন শরীর জমিনের সাথে মিলিয়ে রাখবে । কেননা নামাজের ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষের মত না।
কোরাণ - হাদীস না মেনেও যারা আলবানীকে মানতে চান, দয়া করে তারা কি কোন রেফারেন্স - প্রমান কিছু একটা হাজির করবেন ???????
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
উযায়র বলেছেন: ১ম হাদীস : সুনানে কুবরা, বাইহাকী খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২৩৩।
২য় হাদীস : মুজামে কবীর, তাবরাণী খন্ড ২২, পৃষ্ঠা ২৭২ ।
ঊপরের হাদীস এবং এই হাদীস দুটাই হাসান ।
৩য় : কিতাবুল মারাসিল, ইমাম আবু দাউদ, পৃষ্ঠা ৫৫, হাদীস ৮০।
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
উযায়র বলেছেন: সাহাবাদের ফতোয়ায় নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য :
ফতোয়া ১: হযরত আলী রা: বলেন , মহিলা যখন সিজদা করবে , তখন খুব জড়সড় হয়ে সিজদা করবে এবং উভয় উরু পেটের সাথে মিলিয়ে রাখবে ।
ফতোয়া ২: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: কে প্রশ্ন করা হল মহিলারা কিভাবে নামাজ আদায় করবে ? তিনি বলেন , খুব জড়সড় হয়ে এক অংগের সাথে আরেক অংগ মিলিয়ে করবে ।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
উযায়র বলেছেন: চার মাজহাবের প্রতিটির ইমামদের ফতোয়ায়ই নারী- পুরুষের নামাজ ভিন্ন ।
ফিকহে হানাফী : " আমাদের নিকট নামাজে বসার পছন্দনীয় পদ্ধতি হল উভয় পা একপাশে মিলিয়ে রাখবে, পুরুষের মত একপাশে দাড় করিয়ে রাখবে না ।"
( কিতাবুল আসার, ইমাম মুহাম্মাদ খন্ড - ১, পৃষ্ঠা ৬০৯ )
ফিকহে মালেকী :
ইামাম মালেক রহ: থেকে বর্নিত : মহিলা ডান উরু বাম উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে, খুব জড়সড় হয়ে বসবে, রুকু, সিজদা, বৈঠক কোন সময়ই ফাক ফাক হয়ে থাকবে না, পুরুষের পদ্ধতি ভিন্ন ।
আযযাখীরা, ইমাম কারাফী, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১৯৩ ।
৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
উযায়র বলেছেন:
ফিকহে শাফেয়ী
ইমাম শাফেয়ী বলেন : আল্লাহ পাক মহিলাদের পুরাপুরি আবৃত থাকার শিক্ষা দিয়েছেন । রসুলের শিক্ষাও অূরূপ । তাই আমার নিকট পছন্দণীয় হল, সিজদায় মহিলারা এক অংগ আরেক অংগের সাথে মিলিয়ে রাখবে, পেট উরূর সাথে মিলিয়ে রাখবে, সিজদা এমনভাবে করবে যেন সতর চুরান্ত হেফাজত হয় । একই ভাবে রূকু - বৈঠক - গোটা নামাজ এমনভাবে থাকবে যেন পুরাপুরি সতরের হেফাজত হয় ।
কিতাবুল উম্ম, ইমাম শাফেয়ী, খন্ড ১, পৃষ্ঠা - ১৩৮।
ফিকহে হাম্বলী :
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল থেকে দুটি মত বর্নিত আছে, উভয় মতেই নারী পুরুষের নামাজ ভিন্ন !
১। তাকবীর বলার সময় মহিলারা তুলনামুলক কম হাত উঠাবে ।
২। মহিলাদের হাত উঠানোর হুকুমই নেই ! কেননা এতে কোন না কোন অংগ ফাক হয়েই যায়!
উভয় বর্নণা সুত্রেই নারী পুরুষের নামাজ ভিন্ন!
আলমুগনী, ইবনে কুদামা খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩৯ ।
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
সাইকোটিক বলেছেন: http://www.youtube.com/watch?v=Iy3UHPtymxg
Please watch the lecture
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
উযায়র বলেছেন: জনাব, হাদীসের রেফারেন্স থাকলে দেন,
সাহাবাদের ফতোয়া দেন, তাবেয়ীদের ফতোয়াও দিতে পারেন,
চার মাজহাবের ফতোয়াও দিতে পারেন,
এগুলোর বাইরে কারো লেকচার শুনার কি খুব একটা দরকার আছে ?
কথিত আহলে হাদীসদের হাদীস জালিয়াতির ভুরি ভুরি প্রমাণ হাতে আছে, সময় মত ব্লগে আসছে- ইনশা- আল্লাহ।
৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
সাইকোটিক বলেছেন: http://www.youtube.com/watch?v=Iy3UHPtymxg
Please watch the lecture
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
উযায়র বলেছেন: জনাব, হাদীসের রেফারেন্স থাকলে দেন,
সাহাবাদের ফতোয়া দেন, তাবেয়ীদের ফতোয়াও দিতে পারেন,
চার মাজহাবের ফতোয়াও দিতে পারেন,
এগুলোর বাইরে কারো লেকচার শুনার কি খুব একটা দরকার আছে ?
কথিত আহলে হাদীসদের হাদীস জালিয়াতির ভুরি ভুরি প্রমাণ হাতে আছে, সময় মত ব্লগে আসছে- ইনশা- আল্লাহ।
৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মুনসীমাহফুজ বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ১ম হাদীস : সুনানে কুবরা, বাইহাকী খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২৩৩।
২য় হাদীস : মুজামে কবীর, তাবরাণী খন্ড ২২, পৃষ্ঠা ২৭২ ।
ঊপরের হাদীস এবং এই হাদীস দুটাই হাসান ।
৩য় : কিতাবুল মারাসিল, ইমাম আবু দাউদ, পৃষ্ঠা ৫৫, হাদীস ৮০।
উপরোক্ত সকল রেফারেন্সেই সনদগত ত্রুটি থাকতে পারে, মানে এগুলো সহীহ হওয়ার ব্যাপারে উম্মতের ইজমা নেই।
এখন আমি একটা দলীল দেই, যেটা সহীহ হওয়ার ব্যাপারে ইজমা আছে।
তোমরা নাময পড় সেইভাবে, যেভাবে আমাকে নামায পড়তে দেখ। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
এই হাদীসও কি দূর্বল ? এখানে তোমরা বলতে কি নবী (সা শুধু পূরুষদের সম্বোধন করেছেন ? নাকি নবী (সা
এর বানী নারী পুরুষ সকলের জন্য প্রযোজ্য।
ব্লগেও মাজহাবী গোড়ামী শুরু করছেন ?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
উযায়র বলেছেন: জনাব এই হাদীসটি ১৪০০ বছরে আপনি -ই প্রথম পেয়েছেন ? এবং বুঝেছেন ? নাকি কোন সাহাবাও হাদীসটি পেয়েছেন ?
সব সাহাবীদের ফতোয়াই তো নারী পুরুসের নামাজে ভিন্নতা রয়েছে ! একজন সাহাবীর রায়-ও তো আপনাদের পক্ষে না ! সাহাবারা কেউ-ই কি দ্বীন বুঝেন নি ?
আপনারা যে সাহাবা বিদ্বেষী ব্লগেও তা প্রকাশ করার দরকার ছিল?
আর নারী পুরুষের নামাজের ভিন্নতা নির্দেশক হাদীসের কি জবাব দিবেন ?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১
উযায়র বলেছেন: নবীজীর বানী নারী পুরুষ সকলের জন্য প্রযোজ্য, হাদীসের শব্দটা কি পুরুষ বাচক না মহিলা বাচক ? অনর্থক শব্দের মার প্যাচে গিয়েও মনে হয় সুবিধা করতে পারবেন না ।
আর মহিলাদের যদি পর্দার বিষয় উপেক্ষা করে হুবুহু রসুলের মত করে নামাজ পড়তে হয়, তবে তো মহিলাদের হিজাব বাদ দিয়ে টুপি -পাগরী পড়ে নামাজ পড়তে হবে, আপনারা কি সেটা বলেন ?
৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সাইকোটিক বলেছেন: আমি তো আর কোন কনসার্টের লিংক দেইনাই ১ ঘন্টার লেকচারে সব রেফারেন্স পাবেন। ডিটেইল বুঝতে পারবেন।
দেখলে দেলহেন না দেখলে নাই
"এখন আমি একটা দলীল দেই, যেটা সহীহ হওয়ার ব্যাপারে ইজমা আছে।
তোমরা নাময পড় সেইভাবে, যেভাবে আমাকে নামায পড়তে দেখ। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)" - মুনসীমাহফুজ
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৫
উযায়র বলেছেন: নরী পুরুষের নামাজের পদ্ধতি যে ভিন্ন সেটা নিয়ে উম্মতের ইজমা বহু আগেই হয়ে গেছে । আলবানী সাহেবের ফাজলামো করার আগে এ নিয়ে কেউ দ্বিমত করে নি।
ইসলাম খুবই স্পষ্ট একটা ধর্ম । ১৪০০ বছর পর কোন ভ্রান্ত ব্যক্তির উদ্ভট মতের অনুসরণের কোন দরকার এই ধর্মে নেই ।
৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৩
মুনসীমাহফুজ বলেছেন: @সাইকোটিক : বাদ দেন, উনারা লেকচার ফেস করতে ভয় পান,
আসল সমস্যা হল কুরআন হাদীস মানার থেকে উনারা উনাদের কথিত আকাবির (এই শব্দটা আপত্তিকর, আল্লাহর সিফাত যদি আকবর হয় তাহলে তার বহুবচন হয় কিভাবে?) দের ফলো করতে ভালবাসেন।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৬
উযায়র বলেছেন: আপনাদের সম্বলই তো লেকচার ।
কোরাণ হাদীস ফেস করতে ভয় পান ? কোরাণ বাদ দিয়ে লেকচারকে দলীল মানেন ?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৯
উযায়র বলেছেন: 'নারী-পুরুষের নামাজ ভিন্ন' - হাদীস তো রেফারেন্স সহ দিলাম।
' নারী পুরুষের নামাজ এক, অথবা ভিন্ণতা নেই অথবা নারীরাও পুরুষের মত নামাজ পড়বে ' - এরূপ একটা হাদীসও কি দিতে পারবেন ? একজন সাহাবীর ফতোয়া ? একজন তাবেয়ীর রায় ? একজন মুজতাহিদের সিদ্ধান্ত ? একজন মুহাদ্দিসের কওল ?
১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১০
বিলাসী বলেছেন: উযায়ের রাগ করিয়েন না>>>> মনগড়া কথাবার্তার দিন বুঝি শেষ হয়ে এলো, আর কতোদিন ইসলামকে পীর ও হিন্দু ধর্মের পুরোহিতের মতো বগলদাবা করে রাখবেন? এখন যে কেউ একটু চেস্টা করলেই সহিহ হাদিস পেয়ে যায়, এজন্য দেওবন্দ যেতে হয় না। আশা করি বুঝেছেন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১
উযায়র বলেছেন: মনগড়া কথাবার্তার দিন বুঝি শেষ হয়ে এলো, - জী সেটাই আশার কথা ।
এখন যে কেউ একটু চেস্টা করলেই সহিহ হাদিস পেয়ে যায় - জী । আর তাই লা মাজ হাবীদের ভন্ডামী এখন দ্রুত -ই প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে ।
১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯
বিলাসী বলেছেন: আচ্ছা উযায়র ভাইঃ মাযহাব মানা কি ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত, একটু বুঝিয়ে বলেন না।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
উযায়র বলেছেন: নারী -পুরুষের নামাজ আপনার কাছে একরকম ?
সেটা নিয়ে কথা থাকলে বলেন ।
আমার কোন পোষ্টআমি মাযহাব মানতে হবে বললাম ?
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
সাইকোটিক বলেছেন: হাদিসগুলোর বিস্তারিত রেফারেন্স দিবেন?
যেমন: সহীহ বুখারি, নামাজ অদ্ধ্যায়, সংখ্যা ৮, হাদিস ৩৪৫।
তাহলে বুঝতে/খুজতে সুবিধা হত...