![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নামাজে বুকের উপর হাত বাধার কথা কোন সহিহ হাদীসে নেই, বরং নাভীর নীচে হাত বাধার কথা সহিহ হাদীস দ্বারা, সহিহ সুত্রে প্রমাণিত।
হযরত আলী রা: বলেন, দুই হাত নাভীর নীচে বাধা অবস্হায় রাখা সুন্নত। আর সাহাবী থেকে কোন বর্ণনা সুন্নত হিসেবে ( মিনাস-সুন্নাহ ) বর্ণিত হলে , তা 'মরফু' তথা নবীজী থেকে প্রাপ্ত বলে সাব্যস্ত হয় ।
সুত্র : সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৭৫৬, মুসনাদে আহমাদ খন্ড -১, পৃষ্ঠা ১১০।
এ জন্যই চার মাজ হাবের কোনটিতেই বুকের উপর হাত বাধার কথা নেই !
চার মাজ হাবের সিদ্ধান্ত অনুসারে হাত বাধার বিধান :
১। হানাফী মাজ হাবে হাত বাধা সুন্নত, এবং সেটা নাভীর নীচে ।
২। শাফেয়ীদের নিকট হাত বাধা সুন্নত, আর নাভীর উপর ও বুকের নীচে বাধা মুস্তাহাব ।
৩। মালেকিদের কাছে হাত না বেধে তা ছেড়ে দেওয়া মুস্তাহাব ।
৪। হাম্বলীদের নিকট নাভীর নীচে বা নাভীর উপর উভয় স্হানেই হাত বাধা যাবে ।
আমাদের কিছু লা-মাজ হাবী তথা আহলে হাদীস দাবীদার ভাইয়েরা মুখে মুখে হাদীস মানার কথা বললেও , এ ক্ষেত্রে তারা সহিহ হাদীস মানতে নারাজ।
বুকে হাত বাধা সর্ম্পকে তনিটি রওেয়ায়তে আছে , তবে সবগুলোতে ‘কালাম ‘ ও আপত্তি রয়েছে ।
১) হযরত ওয়ায়লে ইবনে হুজর (রা) এরহ হাদীস সহীহ মুসলমি -এ আছে তাতে ‘বুকরে উপর রাখা‘ এই অতিরিক্ত অংশ নইে । আল্লামা ইবনুল কাইয়িম ‘ইলামুল মুয়াককিয়ীন ‘- একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা উল্লেখ করেন যে “বুকের উপর নবীজী হাত রখেছেনে “ কথাটুকু মুয়াম্মল ইবনে ইসমাঈল নামী জনৈক রাবীর নজিস্ব বৃদ্ধি, যাকে ইমাম বুখারী (রহ: ) ‘মুনকারুল হাদীস‘ সাব্যস্ত করেছেন । তাছাড়া সুফিয়ান ছাওরী (রহ: ) এর অন্যান্য শাগরেদ তাদের বরণিত এই হাদীসে এই অংশটুকু উল্লেখ করেননি ।
২. তাউসের মুরসাল রেওয়ায়েত, যা সুনানে আবুদাউদ -এ আছে এই সনদে সুলায়মান ইবনে মুসা একজন রাবী রয়ছেনে, যিনি মুত্যুর আগে স্মৃতশিক্তি লোপজনতি র্দুবলতায় পড়ছেলিনে। তাই তার হাদীস আর সহীহ থাকে নি।
৩. হযরত হুলবের হাদীস , যার রাবী সীমাক ইবনে হারব । প্রথমত তিনি র্দুবল রাবী, দ্বতিীয়ত তার উস্তাদ ভাই ইমাম ওয়াকী ও আবুল আহওয়াস-এর রেওয়ায়েতে ‘বুকরে উপর হাত রাখা‘ এর উল্লখে নইে । তাই সীমাকের রেওয়ায়েত ‘শায‘ তথা বিচিত্র ।
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯
উযায়র বলেছেন: ইমামের পিছনে মুক্তাদী কেরাত পড়বে " - এরূপ একটিও সহিহ হাদীস নেই Click This Link
৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
উযায়র বলেছেন: আলবানীর ভ্রান্ত মতের ফিরিস্তি ! Click This Link
৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
ইজীটক বলেছেন: আমি Malaysia, Paakistan, Dubai এবং Congu তে নামায পরেছি । সব কটি মসজিদে বেশির ভাগ মানুষ বুকের উপর হাত বাধে এবং জোরে আমিন বলতে দেখেছি।
তাহেলে কি উনারা আপনার মত মাওলানার সন্ধান পায়নাই?
চুলকানি বাদ দিয়া আমল করেন.
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
উযায়র বলেছেন: আমি তো হাদীসের কথা বললাম । মন চাইলে মানেন ।
হাদীস বললেই কি গায়ে চুলকানি শুরু হয় নাকি ?
৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: নামাজে বুকের উপর হাত বাধার কথা কোন সহিহ হাদীসে নেই, বরং নাভীর নীচে হাত বাধার কথা সহিহ হাদীস দ্বারা, সহিহ সুত্রে প্রমাণিত।
আপনার শিরোনামে মহিলাদের উল্লেখ করেননি। তাহলে মহিলারা সলাত আদায় করেন না নাকি ? মহিলারা কোন হাদীসের প্রেক্ষীতে বুকের পর হাত বেধে সলাত আদায় করেন ? রসুল (সঃ) এর আম হাদীস 'তোমরা ঐভাবে সলাত পড় কর যেভাবে আমাকে পড়তে দেখ' কোন হাদীস দ্বারা নারীদের আলাদা করা হল ?
আলোচনা কী হাদীস ভিত্তিক করতে চান নাকি হানাফি মাজহাবের ফিকাহ শাস্ত্র দ্বারা করতে দয়া করে উল্লেখ করবেন ।
ধন্যবাদ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
উযায়র বলেছেন: পোষ্টে হাদীসের কথা বলেছি, হাদীস ভিত্তিক আলোচনায় আসেন ।
৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: মা-বোনদের বুকের পরে হাত বাধার ব্যপারটা আগে পরিষ্কার করুন দয়া করে।
অতঃপর আর একটা প্রশ্ন-ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ই হানাফী মাজহাব চালু করেছেন , এটা কী আপনি প্রমান করতে পারবেন ?
ধন্যবাদ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
উযায়র বলেছেন: আমার পোষ্ট সহিহ হাদীস নিয়ে, সেটা দেন । সেটা না দিয়ে হানাফি হানাফি জপ করছেন কেন ? হানাফিরা গু খেলে আপনি গু খাবেন ?
না হানাফিরা কোন হাদীস গ্রহণ করলে সেটা স হিহ ? আর বাদ দিলে সেটা মউজু ? আপনাদের উসুল কি এটা ?
আর মা বোনদের পিছে পরলেন কেন ? পুরুষ কোন আশ্রয়দাতা পাচ্ছেন না ?
হানাফি মুকাল্লিদরা তাদের ইমামদের ফতোয়া মত আমল করে , মহিলারা বুকের উপর হাত বাধে , তো ? এটা হাদীস হয়ে গেল ?
৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: রসুল (সঃ) এর পিছনে পুরুষ এবং মহিলা জামাতের সহিত সলাত আদায় করেছে, ন এর ভুরি ভুরি সহীহ হাদীস রয়েছে । মুক্তাদীরা ইমামের অনুসরন করবে এটাই স্বাভাবিক , কিন্তু আপনার কথায় বুঝা যায় আল্লাহ রসুল (সঃ) ইমাম হওয়া সত্ত্বেও মহিলারা তাকে সঠিকভাবে অনুসরন করেননি , কারন তিনি সলাত আদায় করেছেন নাভীর নীচে হাত বেধে, আর মহিলারা সলাত আদায় করেছেন বুকের উপর হাত বেধে !!!!!!!!
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০
উযায়র বলেছেন: মুক্তাদীরা ইমামের অনুসরন করবে এটাই স্বাভাবিক
So the ladies also wear cap ? What do you think ?
৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০
হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: ইসলাম আমার বা আপনার চিন্তার নির্ভরশীল নয়।
এটা নিয়ে চিন্তারও কিছু নেই।
যুক্তি দিন দেন যেভাবে আল্লার রসুল (সঃ) দিয়েছেন।
ছাগলের চার পা , গরুরও চার পা, সুতরাং ছাগল আর গরু সমান। যুক্তিবিদ্যার এই যুক্তি ও যুক্তি , আর কোথায় চেরাগ আলী আর কোথায় জুতার কালি এটাও যুক্তি ।
ইজমা আর কিয়াসের মাধ্যমে যে ক্ষতি হয়েছে সে ক্ষতিকে বহমান করার জন্য আপনাদের কুযুক্তিগুলো উপস্থাপন তো করতেই হবে । করতে থাকেন আর কী ---
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
উযায়র বলেছেন: জানব কি বালিশের নীচে সাদা সুতা আর কালো সুতা রেখে রমজান মাসে ঘুমান ?
আর দুটা আলাদা না হওয়া পর্যন্ত সেহরী করেন ?
পেশব কি দাড়ায়ে করেন?
বাচ্চা কোলে নিয়ে নামাজ পড়েন ?
মসজিদে হারামে উট ঢুকিয়ে সেটায় চড়ে তাওয়াফ করেন ?
৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: গরুর রচনাটা মনে আছে ?
সেই শিক্ষার্থীর মতন যে কীনা "নদী" রচনাতেও সেই গরুকেই সম্বল করে নদীতে নামিয়ে.........
চালিয়ে যান ।
ধন্যবাদ।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭
উযায়র বলেছেন: হেড মাষ্টার সাহেব ,
আপনার তেনা কত লম্বা, খালি পেচাইতেই আসেন, পেচাইতেই আছেন, ফুরায় না ?
পোষ্ট দিলাম স হিহ হাদীসের জন্য, সে দিকে না গিয়ে খালি পেচান খালি পেচান, লাইনে আসেন না !
একটু লাইনে আসেন ক্যাচাল করি !
বেলাইনে গেলে তো ক্যাচাল হয় না, পিসলানী হয় !
১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: সহীহ হাদীসের সংজ্ঞাটাই তো বললেন না এখন পর্যন্ত, কিভাবে প্যাচাল করবেন ?
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০৮
উযায়র বলেছেন: এতদিন পর এলেন ! ধন্যবাদ ।
আমি সংগা দিলে মানবেন ?
১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৫
হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: আপনার সংগা আগে মানা বা আলোচনা তো পরের বিষয় আগের বিষয় না।
ধন্যবাদ।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০০
উযায়র বলেছেন: আপনি কি সহিহ হাদীসের সংগা জানেন ?
সহিহ হাদীস মানেন ?
যদি স হিহ হাদীস কাকে বলেন সেটা না জনেন, অথবা না মানেন তবে এই পোষ্ট আপনার জন্য না ।
আর আপনাকে তো উসুলুল হাদীসের কমপক্ষে একটা বই বাংলা বা ইংরেজীতে হলেও পড়তে অনুরোধ করেছিলাম,
সেট কি পড়েছিলেন ? প্রায় ডজন খানেক কমেন্ট/রিপ্লাই ও তো দিয়েছিলাম - সে বিষয়ে ! পড়েছিলেন ?
নাকি মানুষরে ফাও ফাও খাটাতে মজা পান ?
১২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
মুসলিম উম্মাহ বলেছেন: আসসালাম ওয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ,
ভাই সলাতে বুকের উপর হাত বাঁধার সপক্ষে যে দলিল দেওয়া হয় , সেটার উপর একের পর এক অযৌক্তিক হামলা করা হচ্ছে । আসুন আজ তাদের অপবাদের একটি জবাব দেই । একটু ধৈর্য্য ধরে পড়বেন দয়া করে ।
সলাতে বুকের উপর হাত বাঁধা সংক্রান্ত স্পষ্ট হাদীস এসেছে সহীহ ইবনু খুজায়মাহতে , সনদসহ আরবী রিওয়ায়াত হল –
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ ، قَالَ : صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى عَلَى صَدْرِهِ.
আবু মুসা মুহাম্মাদ বিন মুতাহানা আমাদের জানিয়েছে যে , মুয়াম্মাল বিন ইসমাইল আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন , সুফিয়ান আস সাউরী আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন , আসীম বিন কুয়ালায়ব থেকে , তিনি তাঁর পিতা কুলায়ব বিন সিহাব থেকে , ওয়াল ইবন হুজর (রাঃ) থেকে , তিনি বলেন , আমি রাসূল (ছাঃ) - এর সাথে ছালাত আদায় করেছি । তিনি তাঁর ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে বুকের উপর রাখতেন।
(সহীহ ইবনু খুজায়মাহ , হাদীস নং ৪৭৯)
হাদিসটির সনদটি নিম্নরুপ –
ওয়াল ইবন হুজর (রাঃ) -> কুলায়ব বিন সিহাব (রহঃ) -> আসীম বিন কুয়ালায়ব (রহঃ) -> সুফিয়ান আস সাউরী (রহঃ) -> মুয়াম্মাল বিন ইসমাইল (রহঃ) -> আবু মুসা মুহাম্মাদ বিন মুতাহানা (রহঃ)
[যেটি আমি ছবিতেও দেখিয়েছি]
#অভিযোগ এখন তাদের অভিযোগ উক্ত হাদীসটিতে عَلَى صَدْرِهِ (বুকের উপর) কথাটি সংরক্ষিত নয় , কারন সনদে উপস্থিত ৫ ম রাবী মুয়াম্মাল (রহঃ) এই কথাটি বাড়িয়ে বলেছেন , যা তাঁর উপরের রাবী তথা সনদের ৪ র্থ রাবী সুফিয়ান আস সাউরী (রহঃ) এর বর্ণনায় ছিল না ।
অর্থাৎ সুফিয়ান (রাঃ) এর বর্ণনায় ছিল শুধু : صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى আমি রাসূল (ছাঃ) - এর সাথে ছালাত আদায় করেছি । তিনি তাঁর ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করতেন ।
হাদীসের বাকী কিছু অংশ عَلَى صَدْرِهِ (বুকের উপর) কথাটি মুয়াম্মালের বৃদ্ধি ।
#জবাবঃ
(ক) আমার ছবিটি দেখুন এই عَلَى صَدْرِهِ (বুকের উপর) শব্দে আরও একটি হাদীস এসেছে ইমাম আহমদের মুসনাদে । সনদসহ হাদীসটির আরবী রেওয়াত নিম্নরূপ –
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ سُفْيَانَ حَدَّثَنِي سِمَاكٌ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْصَرِفُ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ وَرَأَيْتُهُ قَالَ يَضَعُ هَذِهِ عَلَى صَدْرِهِ وَصَفَّ يَحْيَى الْيُمْنَى #عَلَى_الْيُسْرَى فَوْقَ الْمِفْصَلِ
“ইয়াহইয়া বিন সা’ঈদ আল-ক্বাত্তান আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন সুফিয়ান আস-সাওরি থেকে, (তিনি বলেছেন) শিমাক বিন হারব আমার কাছে বর্ণনা করেছেন ক্বাবিসাহ বিন হালব থেকে, তিনি তার পিতা হালব আত-তা’ঈ (রাযিঃ) থেকে, তিনি বলেন, “আমি আল্লাহর রসূল (সল্লাল্লাহু’আলাইহিওয়াসাল্লাম)-কে দেখেছি তিনি সলাতে ডানদিকে এবং বামদিকে সালাম ফিরাতেন এবং সলাতে তিনি বাম হাতের উপর ডানহাত রেখে বুকে স্থাপন করতেন”।
(মুসনাদ আহমদ , হাদীস নং ২২৩১৩)
উক্ত হাদীসটির সনদটি একটু লক্ষ্য করুন –
হালব আত-তা’ঈ (রাঃ) -> ক্বাবিসাহ বিন হালব (রহঃ) -> শিমাক বিন হারব (রহঃ) -> সুফিয়ান আস-সাওরি (রহঃ) -> ইয়াহইয়া বিন সা’ঈদ আল-ক্বাত্তান (রহঃ)
[যেটা আমি ছবিতে দেখিয়েছি]
দেখুন উপরের সনদেও সুফিয়ান আস-সাওরি (রহঃ) রয়েছেন , এবং তিনি তাঁর নিম্নতন রাবী ইয়াহইয়া বিন সা’ঈদ আল-ক্বাত্তান (রহঃ) কে عَلَى صَدْرِهِ (বুকের উপর) এই শব্দেই হাদীসটি জানিয়েছেন ।
অর্থাৎ এর থেকেই প্রমানিত হয় সুফিয়ান (রহঃ) এর বর্ণনায় عَلَى صَدْرِهِ (বুকের উপর) শব্দ যোগেই হাদীসটি ছিল , নাহলে আপনি কি বলবেন ইবনু খুজায়মাহতে মুয়াম্মাল (রহঃ) বাড়িয়ে বলেছেন আর এখানে ইয়াহইয়া বিন সা’ঈদ আল-ক্বাত্তান (রহঃ) ও عَلَى صَدْرِهِ (বুকের উপর) কথাটি বাড়িয়ে বলেছেন ?
দুইজন রাবীই ভুলক্রমে এই শব্দটি বাড়িয়ে বলেছেন ?
১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪
মুসলিম উম্মাহ বলেছেন: খ) আর কেবল মুসনাদে আহমাদে নয় বরং ইমাম ইবনুল জাওযী (রহ) নিজস্ব সনদে সুফিয়ান সওরী (রহ) থেকে ‘বুকের উপর’ শব্দসহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। সনদসহ বর্ণনাটি নিম্নরূপ :
أَخْبَرَنَا ابْنُ الْحُصَيْنِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ الْمُذْهِبِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنِي سِمَاكٌ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ:
" رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَضَعُ هَذِهِ عَلَى هَذِهِ عَلَى صَدْرِهِ "، وَوَضَعَ يَحْيَى الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى فَوْقَ الْمِفْصَلِ[التحقيق لابن جوزى ج۱ صـ ۳۳٨]
এখানে সুফিয়ান সওরী হাদ্দাসানা শব্দটি ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে তিনি মুদাল্লিস নন। তা ছাড়া এ হাদীসটি সনদে মুয়াম্মাল বিন ইসমাঈল নেই। বুঝা যাচ্ছে মুয়াম্মাল বিন ইসমাঈলের সহীহ ইবনে খুযায়মাহর হাদীসটির সাক্ষ্যমূলক বর্ণনা আছে। সুতরাং সহীহ ইবনে খুযায়মাহর হাদীসটিতে সুফিয়ান সওরী (রহ) আন দ্বারা বর্ণনা করলেও অন্য সাক্ষ্য থাকায় – হাদীসটি কমপক্ষে হাসান।
আবার ইমাম তিরমিযী (রহ)-ও বর্ণনাটি নিজস্ব সনদে বর্ণনা করেছেন। যা তিরমিযী কোন কোন সংস্করণে আহমাদে বর্ণিত বুকের উপর রাখার বক্তব্য রয়েছে। যেমন মুহাদ্দিস আব্দুর হক্ব হানাফী (রহ) লিখেছেন :
وھمچنیں روایت کرد ترمذی از قبضہ بن ھلب ازپدرش کہ گفت دیدم رسول خدا (صــ) کہ می نھاد دست خود را دابر سینہ خود
“ইমাম তিরমিযী (রহ) ক্ববীযাহ বিন হুলবের মধ্যস্থতায় হুলব তাঈ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি নবী (স)-কডান হাত বাম হাতের উপর রেখে বুকে বাঁধতে দেখেছেন।” (শরহে সফরুস সাআদাত পৃ: ৪৪)
শেষোক্ত ‘তাহক্বীক্ব জাওযী’ ও ‘তিরমিযী’ সনদের একজন বর্ণনাকারী সিমাক ইবনে হরব। তিনিও সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের রাবী। সুতরাং তার প্রতি আপত্তিও প্রত্যাখ্যাত।
১৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪
মুসলিম উম্মাহ বলেছেন: গ) তাউস (রহ) থেকেবর্ণিত :
حدثنا أبو توبة، ثنا الهيثم يعني ابن حميد عن ثور، عن سليمان بن موسى، عن طاوس قال:
كان رسول اللّه صلى الله عليه وسلم يضع يده اليمنى على يده اليسرى ثم يشد بينهما على صدره، وهو في الصلاة
“রসূলুল্লাহ (স) সালাতের মধ্যে তাঁর ডান হাত বাম হাতের উপর রাখতেন এবং বুকের উপর শক্ত করে ধরে রাখতেন।”[আবূ দাউদ – কিতাবুস সালাত باب وضع اليمنى على اليسرى في الصلاة ]
হানাফী আলেম জাফার আহমাদ উসমানী (রহ) ‘ই‘লাউস সুনানে’ লিখেছেন :
“... হাদীসটি মুরসাল, যা আমাদের নিকট হুজ্জাত ও প্রমাণ। কিন্তু সাধারণ মুহাদ্দিসগণের নিকট এবং শাফেঈ (রহ)-এর নিকট তা হুজ্জাত নয়। সুতরাং এ হাদীস দ্বারা তাদের প্রমাণ গ্রহণ সঠিক হবে না। তদুপরি এটা তাদের মাযহাবের অনুরূপ নয়, যেমন ইতঃপূর্বে বলা হয়েছে। তবে এই মুরসালকে যদি ওয়াইল-এর উল্লিখিত (বুকে হাত বাঁধার) হাদীসের সাথে যুক্ত করা হয় তাহলে সম্মিলিত হাদীস থেকে আলাদা শক্তি অর্জিত হবে।” [ই‘লাউস সুনান (ইফা) ২/২৩৬ পৃ:]
মন্তব্য :প্রকৃতপক্ষে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীর মুরসাল বর্ণনার সমর্থনে সহীহ বা হাসান হাদীস থাকলে মুহাদ্দিসগণ ও শাফেঈ মাযহাবে সাক্ষ্য হিসাবে বর্ণনাটি উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া হানাফীদের কাছে মুরসাল গ্রহণযোগ্য হওয়ায় তাদের সমর্থন আদায়ে এই সাক্ষ্যমূলক হাদীসকে উপস্থাপন করা হয়। কেননা তাদের মহিলাদের এই হাদীসের উপর আমলের বিষয়টিতো রয়েছেই। সুতরাং উক্ত মুরসাল বর্ণনাটির উপস্থাপনা সম্পূর্ণ সঠিক।
অতঃপর জাফার আহমাদ উসমানী (রহ) লিখেছেন :
“তবে আমাদের নিকট মুরসাল হাদীস যেহেতু প্রমাণযোগ্য, সেহেতু আমাদেরকে এর জবাব পেশ করতে হবে কিংবা এর উপর আমল করতে হবে। তাই আমরা বলি আমাদের মতে ‘আলী (রা) এর হাদীস এটির তুলনায় অগ্রাধিকার যোগ্য। কেননা তাতে স্পষ্ট বক্তব্য রয়েছে যে, নাভির নীচে হাত রাখা সুন্নাত-এর অন্তর্ভুক্ত। .... সুতরাং নাভির নীচে হাত বাঁধার হাদীসের উপর ‘আমল অধিক উত্তম। আর অপর (বুকের উপর হাত বাঁধার) হাদীসটি আমাদের মতে বৈধতা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে প্রযুক্ত।” [ই‘লাউস সুনান (ইফা) ৩/২৩৬-৩৭ পৃ:, আরো দ্র: ‘বিশ্লেষণ – ৫২’]
সুস্পষ্ট হল, হানাফীদের কাছে বুকের উপর হাত বাঁধার হাদীস জায়েয। সুতরাং বুকে হাত বাঁধার অন্যান্য হাসান হাদীসটির সমর্থনে আলোচ্য হাদীসটি পুরুষ ও নারী উভয়ের সালাতের আমল হিসেবে গ্রহণযোগ্য।
যেহেতু উত্তরদাতার অভিয়োগ ‘বুকের উপর’ বাক্যটি মুয়াম্মাল বিন ইসমাঈল মুনফারেদ (একাকী) – এর জবাব উক্ত তিনটি দলিল উপস্থাপনের দ্বারাই হয়েছে। এ জন্যে এ সম্পর্কে আরো যেসব দলিল আছে তা করা থেকে দূরে থাকছি।
Collected
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮
উযায়র বলেছেন: কথিত 'আহলে হাদীস', লা-মাজহাবীদের আজব দাবী: নারী-পুরুষের নামাজ এক! Click This Link