নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উযায়র

সাধারন মুসলমান

উযায়র › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদীস অনুসারে নারী-পুরুষ নামাজ ভিন্ন,যদিও কিছু ' আধুনিক ইসলাম ' বাদীরা তা মানেনা !

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

বহু বহু হাদীসে বার বার নারী -পুরুষের নামাজের পার্থক্য বর্ণিত হওয়া সত্ত্বেও আলবানী আর লা-মাজহাবীরা তা মানবেন না। নিজেদের আহলে হাদীস দাবী করা সত্ত্বেও এখানে তারা হাদীস মানতে নারাজ !



অথচ তাদের এই পুরাপুরী মনগড়া দাবীর পক্ষে তারা একটি হাদীসও দেখাতে পারেন না, না সহিহ না হাসান না জয়ীফ! একজন সাহাবীর মতও তাদের অনুকুলে নয় ! অথচ বহু সাহাবী স্পষ্ট ভাবে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য বর্ননা করেছেন । আর সাহাবীদের মানতেও তারা নারাজ!



কোন হাদীস, অথবা একজনও সাহাবীর রায় বা ফতোয়া না পেলেও আলবানী আর লা-মাজহাবীদের দাবী: নারী-পুরুষের নামাজ এক!







হাদিসের আলোকে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য, হাদীস ১ :



হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা: ) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : মহিলারা যখন নামাজের মধ্যে বসবে তখন এক উরুর সাথে অন্য উরু মিলিয়ে রাখবে, আর যখন সিজদা করবে তখন পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে, কেননা তা সতর ঢাকার জন্য অধিক উপযোগী ।



এরূপ নামাজ আদায়কারী মহিলাদের দেখে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন: হে আমার ফেরেশতারা তোমরা সাক্ষী থাক, আমি তাকে মাফ করে দিলাম।

সুনানে কুবরা, বাইহাকী খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২৩৩।



عن عبدالله بن عمر، قال: قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : إذا جلست المراة فى الصلاة وضعت فخذها على فخذها الاخرى، و اذا سجدت الصقت بطنها فى فخذيها كاستر ما يكون لها، و انا الله تعل لى ينظر اليها و يقول: يا ملائكتي اشهدكم اني قد غفرت لها.



হাদিসের আলোকে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য , হাদীস ২ :



হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর রা: বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন : তুমি যখন হাত উঠাবে তখন কান বরাবর হাত উঠাবে আর মহিলারা বুক বরাবর হাত উঠাবে ।



মুজামে কবীর, তাবরাণী খন্ড ২২, পৃষ্ঠা ২৭২



عن وائل بن حجر قال: جئت النبي صلى الله عليه و سلم فقال: فساق الحديث، وفيه : يا وائل بن حجر! اذا صليت فاجعل يديك حذاء اذنيك، و المراة تجعل يدها هذاء ثدييها.

ঊপরের হাদীস এবং এই হাদীস দুটাই হাসান ।



হাদিসের আলোকে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য , হাদীস ৩ : রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজরত মহিলাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাদেরকে বললেন : যখন সেজদা করবে তখন শরীর জমিনের সাথে মিলিয়ে রাখবে । কেননা নামাজের ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষের মত না।



عن يزيد بن ابي حبيب ان رسول الله صلى الله عليه و سلم مر على امراتين تصليان، فقال: اذا سجدتما فضما بعض اللحم الى الارض، فإن المراة ليست فى ذلك كا لرجل.

কিতাবুল মারাসিল, ইমাম আবু দাউদ, পৃষ্ঠা ৫৫, হাদীস ৮০



সাহাবাদের ফতোয়ায় নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য :



ফতোয়া ১: হযরত আলী রা: বলেন , মহিলা যখন সিজদা করবে , তখন খুব জড়সড় হয়ে সিজদা করবে এবং উভয় উরু পেটের সাথে মিলিয়ে রাখবে ।



ফতোয়া ২: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: কে প্রশ্ন করা হল মহিলারা কিভাবে নামাজ আদায় করবে ? তিনি বলেন , খুব জড়সড় হয়ে এক অংগের সাথে আরেক অংগ মিলিয়ে করবে ।





চার মাজহাবের প্রতিটির ইমামদের ফতোয়ায়ই নারী- পুরুষের নামাজ ভিন্ন ।



ফিকহে হানাফী : " আমাদের নিকট নামাজে বসার পছন্দনীয় পদ্ধতি হল উভয় পা একপাশে মিলিয়ে রাখবে, পুরুষের মত একপাশে দাড় করিয়ে রাখবে না ।"



( কিতাবুল আসার, ইমাম মুহাম্মাদ খন্ড - ১, পৃষ্ঠা ৬০৯ )



ফিকহে মালেকী :



ইামাম মালেক রহ: থেকে বর্নিত : মহিলা ডান উরু বাম উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে, খুব জড়সড় হয়ে বসবে, রুকু, সিজদা, বৈঠক কোন সময়ই ফাক ফাক হয়ে থাকবে না, পুরুষের পদ্ধতি ভিন্ন ।



আযযাখীরা, ইমাম কারাফী, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১৯৩ ।



ফিকহে শাফেয়ী



ইমাম শাফেয়ী বলেন : আল্লাহ পাক মহিলাদের পুরাপুরি আবৃত থাকার শিক্ষা দিয়েছেন । রসুলের শিক্ষাও অূরূপ । তাই আমার নিকট পছন্দণীয় হল, সিজদায় মহিলারা এক অংগ আরেক অংগের সাথে মিলিয়ে রাখবে, পেট উরূর সাথে মিলিয়ে রাখবে, সিজদা এমনভাবে করবে যেন সতর চুরান্ত হেফাজত হয় । একই ভাবে রূকু - বৈঠক - গোটা নামাজ এমনভাবে থাকবে যেন পুরাপুরি সতরের হেফাজত হয় ।

কিতাবুল উম্ম, ইমাম শাফেয়ী, খন্ড ১, পৃষ্ঠা - ১৩৮।



ফিকহে হাম্বলী :



ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল থেকে দুটি মত বর্নিত আছে, উভয় মতেই নারী পুরুষের নামাজ ভিন্ন !



১। তাকবীর বলার সময় মহিলারা তুলনামুলক কম হাত উঠাবে ।



২। মহিলাদের হাত উঠানোর হুকুমই নেই ! কেননা এতে কোন না কোন অংগ ফাক হয়েই যায়!



উভয় বর্নণা সুত্রেই নারী পুরুষের নামাজ ভিন্ন!



কোরাণ - হাদীস না মেনেও যারা আলবানীকে মানতে চান, দয়া করে তারা কি কোন রেফারেন্স - প্রমান কিছু একটা হাজির করবেন ???????

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

উযায়র বলেছেন: নামাজে নাভীর নীচে হাত বাধা সুন্নত , বুকের উপর হাত বাধার কথা কোন সহিহ হাদীসে নেই ।
http://somewhereinblog.net/blog/uzair/29878107

" ইমামের পিছনে মুক্তাদী কেরাত পড়বে " - এরূপ একটিও সহিহ হাদীস নেই http://somewhereinblog.net/blog/uzair/29876548

আলবানীর ভ্রান্ত মতের ফিরিস্তই !
http://somewhereinblog.net/blog/uzair/29875076

নাস্তিক - আর আলবানীর দাবী পর্দা করতে হলে চেহারা ঢাকতে হবে না ।
http://somewhereinblog.net/blog/uzair/29878123

এক সাথে / এক বাক্যে / এক মজলিশে তিন তালাক দিলে কয় তালাক হয় ? http://somewhereinblog.net/blog/uzair/29875197

আহলে হাদীস' ভাইদের প্রতি প্রশ্ন : " সাহাবাদের অনুসরণ করা কি জরুরী ?"
http://somewhereinblog.net/blog/uzair/29875315


২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

উযায়র বলেছেন: জংগীদের মুলে কেন কথিত 'আহলে হাদীস' : মুফতী উযাইরের ব্লগ

Click This Link

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

বিলাসী বলেছেন: @উযায়রঃ আপনি নিজে বিভ্রান্ত হয়েছেন, এখন অন্যকেও বিভ্রান্ত করছেন। নারী পুরুষের নামাজ এক রকম কোনো পার্থক্য নেই। এই মর্মে রাসুল সাঃ একটি হাদিসই যথেষ্ট "সাল্লু কামা রয়াইতুমুনি ওসাল্লি" (মুসলিম) অর্থাৎ সালাত (নামাজ) ঐভাবে পড় যেভাবে আমাকে পড়তে দেখ। রাসুল সাঃ কোথাও বলেননি যে নারীরা এইভাবে পড়, আর পুরুষরা এইভাবে পড় তাই এটা নিয়ে আপনি বা আপনারা অযথা বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে, সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে আসুন। আল্লাহ সুবহানা ওতা'য়ালা সবাইকে সঠিক পথ বুঝার তৌফিক দিন, আমিন।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

উযায়র বলেছেন: পোষ্ট পড়েছেন ?

যারা নারী -পুরুষ নামাজ আলাদা বলে ( হানাফী - শাফেয়ী - মালেকী ) কোটি কোটি মুসলমান সবাই বিভ্রান্ত ? মুশরিক দাবী করে আবার বোমা মারবেন নাকি ?

সাহাবারা ও বিভ্রান্ত ?

সুবহানাল্লাহ ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১০

উযায়র বলেছেন: আর মেয়েরা কি রসুলের মত টুপি - পাগরী পড়ে নামাজ পড়বে ?
ইমামতি করবে ?
আযান একামত দিবে ?
ইমাম ভুল করলে ছেলেদের মত তাকবীর দিয়ে সতর্ক করবে ?

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

উড়োজাহাজ বলেছেন: হায়রে মুসলমান!
সারা দুনিয়ায় মার খেয়ে মরে আর মোল্লারা করে বিতর্ক বয়ান

কার হাত বাধা নাভিতে আর কারটা আছে বুকে
এই নিয়ে করে ঐক্য নষ্ট তারাই নাকি যাবে জান্নাতে
ঐক্যনষ্ট করার দায়ে তোমাদের স্থান নরক
ঘাড় ঠেলে তোমরা গড়িবে জান্নাতের সড়ক?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

উযায়র বলেছেন: মোল্লারা ১২০০-১৪০০ বছর ধরে হাত কোথায় বাধবে এ নিয়ে ঝগড়া -মারামারি করে নি । মোল্লারা বলত সব মাজহাব ই সহিহ, যে যেটা মানে মানুক । এখনও তাই বলে ।

সমস্যা হচ্ছে আধুনিক বাদী কিছু বংশালী , আর জংগীরা এদেশের মানুষের নামজ হয় না বলে হাদীস ছাড়তে শুরু করার পর।

এই নব্য গোষ্ঠী - ই বলে বেড়াচ্ছে এডেশের সব মুশরিক ( তারা ছাড়া ) তাহলে ঐক্য নষ্ট করলটা কে ? মোল্লারা ? না আধুনিক বাদীরা ?

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেছেন: উযায়র সাহেব আমি আপনার সাথে সহমত।
আল্লাহতালা আপনার ভাল করুন।
বিলাসী ভাই আপনি কুথাও ভুল করতেছেন, একটু খেয়াল করলে নিজেই ধরতে পারবেন। ধন্যবাদ সবাই কে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

উযায়র বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
একদল নব্য ইসলামিষ্ট যারা মানুষকে নামাজের দাওয়াত দেয় না, কিন্তু কাউকে নামাজ পড়তে দেখলেই বলবে তোমার নামজ হয় না, ইত্যাদী ।

অথচ স হিহ হাদীসে দেখা যায় ওদের নামাজ -ই মন গড়া !
চোরের মায়ের বড় গলা !

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: এই নব্য গোষ্ঠী - ই বলে বেড়াচ্ছে এডেশের সব মুশরিক ( তারা ছাড়া ) তাহলে ঐক্য নষ্ট করলটা কে ? মোল্লারা ? না আধুনিক বাদীরা ?

আপনারা তাদের সাথে নাচতে যান কেন? জাস্ট ইগ্নোর দেম। তাদের সাথে নিজেদের জড়িত করে নিজেদেরকে কোথায় নামালেন ভেবে দেখেছেন কি?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২২

উযায়র বলেছেন: It is religious duty to stop ppl from such job. If you cant, use your speach.

৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

উড়োজাহাজ বলেছেন: অক্ষে !অক্ষে!! নাচতে থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.