![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবসময় নিজেকে মানুষের সামনে বোকা হিসেবে উপস্থাপন করতে ভালোবাসি,যার মাধ্যমে মানুষকে সহজে চেনা এবং জানা যায়।কারন মানুষ বোকার সাথে চালাকি করে, চালাকের সাথে নয়।
চোখে একরাশ ঘুম জড়ো হওয়া সত্ত্বেও অজানা ভয়ে ঘুমের গলা টিপে ধরে চোখ খোলা রাখার বৃথা চেষ্টা মাহিম প্রায়ই করে থাকে,কারন দুপুরের ঘুম যে তার মানুষিক যন্ত্রনার প্রধান কারন।
ঢাকার শহরে দুপুরে আকাশ ফাটা রোদ আর বাসের মধ্যে মানুষের ভাপসা গরম ঠেলে ভার্সিটি থেকে বাসায় আসার ক্লান্তি আর বাঘের ভয়ে এক মাইল রাস্তা দৌড়ে আসা কোন অংশে কম না।
এমন ক্লান্তি শেষে বাসায় ফিরে স্নান করে খাওয়ার পর ঘুম আসাটা হয়তো অসাভাবিক কিছুনা। তবুও মাহিম কেন যেন ঘুমাতে চাইনা।
সকল ক্লান্তি ভুলে মাহিম বিছানার সাথে পিঠটাকে মেলিয়ে দিলো। একরাশ শান্তি এসে তার শরীরে ভর করলো এবং শরীরটা একদম খোলস ছাড়া সাপের মত পড়ে আছে।মনে হচ্ছে সে একটা জড় বস্তুর মত কোন জায়গায় পড়ে রয়েছে।
গভীর ঘুম তাকে স্বপ্নের দেশে পাড়ি জমানোর জন্য হাতছানি দিয়ে ডাকছে।কিন্তু তার সেই অজানা ভয় তাকে না ঘুমানোর জন্য বারবার বাধা প্রদান করছে।
স্কুল-কলেজ জীবনে 'রচনা' কিংবা 'composition' লেখার সবচেয়ে পছন্দের বিষয় ছিলো 'শৈশব স্মৃতি' বা 'Childhood Memories'। আজো মনে পড়ে,প্রশ্নপত্র পেয়ে সবার আগে মাহিম দেখতো রচনার অংশটা। আর সেখানে কাঙ্ক্ষিত পছন্দের বিষয়টা থাকলেতো কথায় নেই। অদ্ভুত এক হাসি ফুটে উঠতো মুখে।প্রিয় বিষয় নিয়ে লিখতে লিখতে কখন যে স্মৃতির গহীনে হারিয়ে যেতো মাহিম তা টেরই পেতো না। এমনটা ভাবতে ভাবতে মাহিম কখন ঘুমিয়ে পড়েছে সে নিজেও জানেনা।
বিকেলে ঘুম থেকে উঠতেই মাহিম সেই যন্ত্রনার সম্মুখীন হলো। শৈশবের হাজার রকমের রঙিন-মলিন স্মৃতিমাখা অবাধ স্বাধীনতার অসাধারন কিছু দিনের কথা মনে পড়ে গেলো। হঠাৎ তখন তার মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
অন্য সময় যে মাহিমের শৈশবের কথা মনে পড়ে না তা না,অন্য সময় মনে পড়লেও তার এমন খারাপ লাগা কাজ করে না। খারাপ লাগে কেবল দুপুরের ঘুম থেকে উঠলেই। আর এই সময়টাতেই মাহিমের কেন শৈশবের কথা বেশি মনে পড়ে সেটার কারন মাহিম আজো খুজে বের করতে পারেনি।
বিঃদ্রঃ- ব্লগের বসুমতিতে আমি নতুন,তাই ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন শুধরিয়ে নেবো।
©somewhere in net ltd.