নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

রাগ ইমন

রাগ ইমন।এক সময় দেশ নিয়ে, মানুষ নিয়ে লিখতাম। কবিতা লিখতাম। এখন কবিতা লিখতে বসলে দেশের সমস্যা গুলোর কথা লেখার কথা মনে পড়ে যায়। অনেক কিছু - যা নিয়ে কেউ লিখছে না। দুঃখ নেই। একটা সময় তো আজলা ভরে কাদামাটি , শীতলক্ষ্যার জল নিয়ে খেলেছি। সে খেলাও ছাড়তে হয়েছে। আছি । পেন্সিলে আঁকা ছবির মত।

রাগ ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিরিশ ছুঁই ছুঁই -- বাংলাদেশে বিয়ে ?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮

" শিক্ষিত মেয়েকে নিয়ে এমন বিপদে পড়বো জানলে ইন্টারের পরেই বিয়ে দিয়ে দিতাম" - আন্টির আক্ষেপ শুনে বুকে কাঁপন লাগলো । অনেক দিন পরে এসেছেন বেড়াতে । টুকিটাকি গল্প হচ্ছে , হচ্ছে সংসারের নানান আলাপ । কিন্তু আন্টি অন্যমনস্ক । ঈদের বাজার, নতুন সরকার , গরম কি ঠান্ডা , পুলিশের ডান্ডা - কিছুতেই তাঁর মন নেই । একটু এটা সেটা আলাপের পরেই মামণীকে আসল কথা পাড়লেন । "ভাবী, আপনার কাছে শুনি অনেক বায়োডাটা আছে , একটু যদি চেষ্টা করতেন !" মামণীও দেখলাম কোমর বেঁধে লেগে গেলো । যদিও মাও জানে আর আমিও জানি - এই প্রজেক্টের সফলতার ভাগ শূন্যেরও নিচে । আমার মামণী প্রচন্ড সৎ একটা মানুষ । এর পাশাপাশি খুব সরল সোজাও । ঘটকালির কাজে এই দুইটা হইলো নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ । তার উপর নিজস্ব চিন্তাভাবনা , মানবিকতা , নৈতিকতা , ভারসাম্য, বৈষ্ম্যবিরোধীতা , মেয়েদের সম্মান রক্ষা ইত্যাদি নিয়ে এত মাথা ঘামায় বলেই যে জীবনে একটাও বিয়ে দিতে পারবে না , এইটা নিয়ে আমরা ও আব্বু অনেক হাসাহাসি করি । যদিও , সেই আপাত কৌতুকের পিছনে লুকানো থাকে সযতনে, ক্ষোভ আর বিবমিষা , কিছুটা বেদনাও ।



বিয়ের পাত্র পাত্রী দেখা , ঘটকালি করার সময় প্রত্যেক পরিবারের আসল চরিত্রটা বেরিয়ে আসে । সামাজিক আড্ডায় , অন্যের ছেলে মেয়ের ব্যাপারে, প্রেমিক প্রেমিকাদের ফুর্তি ফার্তায় , কিংবা লেখালেখির জগতে মানবিকতা , সাম্য, মুসলমানিত্ব , ধর্মীয় "মহানুভবতা" সব উপচে উপচে পড়ে । সেই তৈলাক্ত মাহাত্ম্য চাইনিজের প্লেট, চায়ের কাপ থেকে চুয়ে চুয়ে জামা কাপড়, ঘর বাড়ি, রাস্তা ঘাট পেরিয়ে পুরো পৃথিবীটাই চুপচুপে, তেলতেলে করে দেয়। কিন্তু যেই নিজের বিয়ের কথা ওঠে , তখন দেখা যায় কোন পরিবার কত্ত বড় কুতুব। চাহিদার লিস্টি দেখে বিশ্বাস করুন, পাঠক, এক দিকে হাসতে হাসতে মরবেন নয়ত ভিরমি খেয়ে জ্ঞান হারাবেন। কি এক এক জনের হাউস রে ভাই! ছেলের উচ্চতা ৫ ফিট ২ ইঞ্চি । ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাবা মা চান, মেয়ে হবে অন্তত সাড়ে পাঁচ ফিট লম্বা, উচ্চিশিক্ষিত কিন্তু ঘরোয়া ( সোজা কথা চাকুরী করবে না) এবং সুন্দরী , ভালো ফ্যামিলি ইত্যাদি ইত্যাদি । তো আন্টিকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা হয়েছিলো, এমন সর্বগুণে গুণান্বিতা মেয়েটি বেছে বেছে আপনার বাটকু , চলনসই ছেলেটাকেই কেন পছন্দ করবে বলতে পারেন? সেই রকম মেয়ের ফ্যামিলিও তো সেই রকম ছেলেই চাইবে ! আদব কায়দার সমস্যায় সে প্রশ্ন করা হয়নি । পরে দুইটা বছর ধরে বহুত ঘুরাঘুরির পরে শেষে বিয়ে করলো ৫ ফিট ছুঁই ছুঁই এক মিষ্টি মেয়েকে । মামণি , কপাল চাপড়ে একটু দুঃখ করলেন, " সেই তো ছাড় দিলেন সবই কিন্তু আমি যখন বলেছিলাম , তখন তেড়ে এসেছিলেন কেন? " আব্বু আর আমরা আরেক বার হাসলাম ।



এই সমস্যা প্রতিষ্ঠিত ছেলের পরিবারে প্রকট , অতিরিক্ত মাত্রায় , এইটা সর্বজন বিদিত । কিন্তু , মেয়েদের ফ্যামিলিতে এই হ্যাপা নেই? ভীষন ভাবে আছে । আজকে এই রকম কিছু সত্যি গল্প । ব্যক্তিগত পরিচয় ও তথ্য বদলে দেওয়া হয়েছে সঙ্গত কারনেই ।



১। রিমার সাথে পরিচয় বান্ধবীর বিয়েতে । উনি সম্পর্কে আত্মীয়। অনেক গুলো ভাইবোন । বৃদ্ধা মায়ের সার্বক্ষণীক যত্ন নেওয়া , বাসা বাড়ি দেখে রাখার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ছোট বেলায়। বিনা বেতনে একজন নার্স কাম বুয়া পেয়ে বাকিরা যে যার মত পড়ালেখা , চাকুরী নিয়ে বেরিয়ে গেছেন পরিবার থেকে । মায়ের সেবা করতে করতে রিমাপু বাড়ির কাছেই একটা সাধারন বিষয় নিয়ে ডিগ্রী পড়েছেন। মা বেঁচে থাকতে থাকতে তাঁর বিয়ের জন্য সবাই উঠে পড়ে লেগেছিলো , এইটা বলা যাবে না । আমাদের এই সব স্বার্থপরতা , " যেমন চলছে চলুক না" , কিংবা " রিমা তো আছেই, ঐ দেখবে" ধরনের প্যাঁচে পড়ে বয়স পেরিয়ে গেলো । রিমাপুর পছন্দের মানুষটিকে "যোগ্যতা নেই" এর পলিটিক্সে বিদেয় করা হলো । তারপর গড়্গড়িয়ে সময় পেরিয়ে যখন ছোট ভাই বোনেরা বিয়ে করে ফেলতে শুরু করলো তখন একটু আধটু চেষ্টা হলো বটে কিন্তু তখনো , " ছেলে হেন হতে হবে, তেন হতে হবে"র উন্নাসিকতা কাটেনি। অনিন্দ্যসুন্দরী , ঘরকন্নায় নিপুনা রিমাপু একটু একটু করে মুষড়ে পড়লেন। অভিমানে নিরবেই ক্ষয়ে যেতে থাকলেন । তারপর একে একে প্রস্তাব কমে গেলো, চেহারায় বয়স ও বিষন্নতার ছাপ পড়ে গেলো আর নানা রকম রোগে আক্রান্ত রিমাপুর জন্য বাড়ির ভাড়া তুলে খাওয়া পরার ব্যবস্থা করতে তার সফল ভাই বোনেরা একটা বাড়ি তৈরী করা শুরু করলেন । গরু মারা শেষ , এবার চাই হাল ফ্যাশনের চকচকে জুতো দান ।



২। মলির পরিবার তেমন ধনী নয় কিন্তু পড়ালেখায় প্রচন্ড তুখোড়। বড় ভাই বোনের প্রেমের বিয়েতে পরিবারের অমত থাকায় মলির জীবনটা পড়ালেখার ভিতরেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেলো। কলেজ বাসা, বাসা কলেজ- এই রকমই চলেছে । উঠতে-বসতে, আসতে -যেতে মায়ের আহাজারি," মারে, তুই কিন্তু প্রেম ট্রেম করিস না।" মলি ভীষন ভালো আর চাপা স্বভাবের মেয়ে। বাবা মাকে মানসিক শান্তি দিতে প্রেমের ধার কাছ দিয়েও গেলো না। পড়ালেখা শেষ করে চাকুরী জীবন এবং এক সময় স্কলারশীপ নিয়ে বাইরে উচ্চশিক্ষা । সবকিছুই ঠিক ঠাক মত চললো , কেবল নিজের পরিবার প্রতিষ্ঠায় মেয়েটা পিছিয়ে গেলো। গায়ের রঙ সামান্য কালো হলেও চিকন চাকন দেহবল্লরী , হাসলে গাল ভেঙে দুটো মিষ্টি টোল পড়ে । তবু, বয়স আর গায়ের রঙের কারনে বিয়ের বাজারে কঠিন থেকে কঠিন হয়ে গেলো মলির পাত্রস্থ হওয়া। তার সাথে এখন যোগ হয়েছে বিদেশে বসবাস । দেশের ছেলে বিদেশ যাওয়া সমস্যা, বিদেশের ছেলে নিজের ইউনি বা কাজের জায়গা ছেড়ে মলির ইউনিতে আসবে না আর মলিও পারবে না সব ছেড়ে ছুড়ে অন্য কোথাও যেতে । ইউনি শেষ হতে হতে বয়স গিয়ে ঠেকবে ৩৫ এর ঘরে ।



৩। রুবিনার বাবা মা বাংলাদেশের ডাকসাইটে ডাক্তার পরিবার । টাকায় ভেসে যাওয়া পরিবারের শখ হলো রুবিনাকে পাশ্চাত্যের ডাক্তারী পড়ানো চাই। সেখানে ডাক্তারী ১০ বছরের । শেষ হতে হতে মেয়ে তিরিশ এ পা দিতে চলেছে । আর বাবা মা তাঁদের নিজেদের সমান সমান পরিবার খুঁজে মরছেন। ডাক্তার হতে হবে। সেই রকম ধনী হতে হবে। ঢাকায় বাড়ি গাড়ি থাকতে হবে। এফ সি পি এস থাকতে হবে। কিন্তু বয়স হবে তিরিশ বত্রিশ। এই রুপকথার রাজপুত্র বাংলাদেশে কি ভাবে পাওয়া সম্ভব আমি কিছুতেই বুঝিনি। শেষবার রুবিনা দেশে এলে দেখলাম পড়ার চাপে বেচারীর চুল পড়ে টাক হয়ে যাচ্ছে । আর আঙ্কেল আন্টি তখনো দেশে বিদেশে পাত্র খুঁজে বেড়াচ্ছেন ।



আমি জানি, আশে পাশে এই রকম অনেক কাহিনী আপনারা নিজেরাও জানেন। মেয়ে উচ্চশিক্ষিত , বয়স বেড়ে চলেছে কিন্তু বিয়ের যোগ্য পাত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । শিক্ষিত ছেলের অভাব? নাহ। অভাব সুচিন্তার মানুষের । বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিকালি তরুণ দেশ । মানে এইখানে অল্পবয়সী মেয়েদের ছড়াছড়ি । আর ছেলেদের বয়স কেউ দেখে না তেমন। ছেলের যোগ্যতা নিরুপিত হয় টাকা, প্রতিষ্ঠা, চাকুরী, শিক্ষা , তারপর চেহারা, তারপর বয়স । এই সর্বপ্রকার সুবিধা প্রাপ্ত পুরুষশাসিত সমাজে ৪০ বছরের বুড়ো ভাম হলেও ১৮ বছরের পরী পাওয়া কোন ব্যাপারই না। বৃদ্ধ বান্দরের গলায় কচি মুক্তো ঝুলিয়ে কন্যাদায় থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বহু অভাবী পরিবার এক পায়ে খাড়া হয়ে আছে । সেইটাই সমস্যা । একদিকে অভাব, অন্যদিকে সুন্দরী মেয়েকে নিরাপদ রাখার ঝামেলা । তাই সাত তাড়াতাড়ি বিদেয় করে জামাইয়ের গলায় ঝুলিয়ে দাও ।



আর ছেলে? কি আর বলবো ! বিয়ের বাজার নয় এটা । মাংসের বাজার । কচি পাঁঠা বলিদানের সবচে উপযুক্ত , নয় কি? প্রতিদিন হাজার হাজার ফ্রেশ মাংশ আসে বাজারে । দু'তিন দিনের পুরানো মাংশ কিনবে কেন ? মাথায় টুপি চাপিয়ে যে ব্যাটা পাঁচ ওয়াক্ত মসজিদে গিয়ে নামায পড়ে , সেও বিয়ের সময় ১৬/১৮ খুঁজে । বড়জোর অনার্স ফাইনাল ইয়ার। তেইশ পেরোলেই গায়ে এক্সপায়ারী ডেট। অথচ চেপে ধরে যদি প্রশ্ন করি , " আমাদের নবী তো ১৫ বছরের বড়, একবার বিয়ে হওয়া , ৪০ বছরের বিধবাকে বিবাহ করেছিলেন।তাহলে মেয়ের বয়স বেশি ধুয়া তুলেন কেন? " আর কোন উত্তর নেই । নিজের বিয়ের বেলায় বড় তো অনেক পরের কথা , সমবয়সী পর্যন্ত কেউ বিয়ে করতে রাজি নয় । (প্রেমের বিয়ের কথা বলছি না , এরেঞ্জ ম্যারেজ) তাহলে , এত নামায , কালাম, রোযা নিয়ে প্যান প্যান করার কি দরকার ?



তুখোড় এই মেয়েগুলোকে দেখে প্রচন্ড কষ্ট লাগে । সবার কি আর সময় আছে নিজের সঙ্গী নিজেই খুঁজে নেওয়ার? না বাংলাদেশে সেই পরিবেশ আছে ? আমরা আমেরিকা যা করে তার সবই করি , খারাপ অর্থে , কিন্তু বড় হয়ে ওঠা শিক্ষিত ছেলে বা মেয়েটি দু'চার দিন কারো সাথে কথা বলুক, মিশুক , নিজের জীবন সঙ্গী খুঁজে নিক, এটা আমরা কেউই চাই না । আমরাই বদনাম করে ভাসিয়ে দেই । পাশাপাশি যারা নিজেরা মুক্তমনা , তারাও সামাজিক চাপে পড়ে অনেক কিছুই করতে পারেন না । কারন , আমরা রোযা রমজানে মাথায় কাপড় দেওয়া নিয়ে সমালোচনা করি । নামায , রোযা না করলে পিটিয়ে ছাতু করতে চাই। চারটি বিয়ে জায়েজ বলে প্রচন্ড ইসলামী হয়ে উঠি। আমরা ভীষন ধর্মপ্রান বলে গর্ব করি , করতে পছন্দ করি। কিন্তু মোহাম্মদ (সাঃ) এর দেখাদেখি খাদিজাকে বিয়ে করতে চাই না , সবাই খালি আয়েশা খুঁজি ।



বিশ্বাস করুন, পাঠক, আজকের খাদিজাকে বিয়ে করলে এই আমরাই আপনার প্রাণ অতিষ্ঠ করে দেব বদনাম করে , এক ঘরে করে দেব সমাজে আর না মরা পর্যন্ত আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেব মানসিক অত্যাচার করে। আপনি টিকতে পারবেন না বাংলাদেশে । যতই মুসল্মান হোন, আপনার কপালে শনি আর মুখে ঝাটা ।



[ যদি কোন তিরিশ ছুই ছুই বা তার বন্ধু এই লেখা পড়েন , তাহলে ক্ষমা চাইছি কোন ইতিবাচক কথা না লেখার জন্য। বাংলাদেশের বাসিন্দা হলে বাপ, মা, আত্মীয় স্বজন শুদ্ধ নিজে উদ্যোগী হোন। লজ্জা পাবেন না । দ্বিধা করবেন না । এবং মরে গেলেও খারাপের সাথে আপোস করবেন না । ভুল মানুষকে বিয়ে করার চেয়ে ভুল সময়ে বিয়ে করা অনেক ভালো। নিজের মেরুদন্ড আর পায়ের তলার মাটিটা ভীষন শক্ত করে নিন, তারপর নিজে বাছুন। খোলামেলা সব আলোচনা করে নিয়ে দ্বৈত জীবন শুরু করুন। বয়স যদি বেড়েই গিয়ে থাকে , ঘটক খুজবেন না । নিজের মেধা , রুচি, শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে মনের সাথে মানান সই কাউকে খুঁজে বের করুন। আর সবচেয়ে বড় কথা , নিজেকে ভালোবাসুন, নিজেকে নিয়ে সুখী হোন।সুখী হওয়ার জন্য অন্য কারো উপর নির্ভর করবেন না । বিয়ে ও সংসারে এই মনভাব নিয়ে প্রবেশ করুন। কাজটা কঠিন, অসম্ভব না ]



মন্তব্য ১৮৩ টি রেটিং +৭০/-২

মন্তব্য (১৮৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১১

হুনার মন্দ বলেছেন: আপনের কথায় সত্যতা আছে। চরম সত্য। কিন্তু বিভিন্ন "নৈতিকতা" আর "মূল্যবোধে"র বোরখার আড়ালে ঢাকা। পর্দা ওঠাও।

প্লাস।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬

রাগ ইমন বলেছেন: প্লাস মাইনাসের দিকে দেখেছেন? এখন ৬ টা প্লাস দেখাচ্ছে কিন্তু মন্তব্য দুইটা । কতখানি সামাজিক চাপের মুখে আছি আমরা , এই থেকেই কি বুঝা যায় না ?

মুক্তমনাদের ঝাটাপেটা করতে আমরা বেশ ওস্তাদ ।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

ক্যামেরাম্যান বলেছেন: ঘটক ছাড়া উপায় কি !!! বয়স ৪০ এর উপর। শিক্ষা-দীক্ষা প্রায় শুন্যের কোঠায়। আয়-উপার্জন নাই বললেই চলে। পাত্রী দরকার বাচ্চা সহ, সাথে যৌতুক। উপায় কি বলেন ?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

রাগ ইমন বলেছেন: হা হা হা , ভাইজান , এইটা তো বিজনেস প্রপোজাল এর মত শুনাইলো ।

যাই হোক, বাংলাদেশে পুরুষ হয়ে জন্মানোর একটা বিরাট সুবিধা হইলো পাত্রী পাবেনই । বাচ্চাসহ পাত্রীরা যৌতুক দিতে দ্বিধা করবে না । শুধু ঘটকের উপর ভরসা না করে নিজেরা খোঁজাখুঁজি করাটাও ভীষন দরকার ।

বিয়ে করে প্রতিষ্ঠিত হইতে চাই বলে একটা বিজ্ঞাপন দিলে কেমন হয় ?

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মাহবুব সুমন বলেছেন: সত্য :(

সমস্যাটা মন মানসীকতায়।
আমরা অনেকেই বড় বড় কথা বলি কিন্তু নিজের বেলায় ষোলো আনা বুঝে নিতে চাই। অনেক কিছু দেখেই উঁ উঁ করি, কিন্তু নিজের পিঠে লাঠির বাড়ি পড়লেই কস্ট টুকু অনুভব করি।

আপনি মেয়েদের সমস্যার কথা বল্লেন। এরকম সমস্যা কিন্তু ছেলেদেরও হয়।

৪০ বছরের ছেলেরকে বুড়ো ভাম বল্লেন !!! ৩০ বছরের মেয়েকে বুড়ী বল্লে যে সমস্যা হয় ঠিক একই সমস্যা হয় ৪০ বছরের ছেলেকে বুড়ো ভাম বলে ডাকলে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪২

রাগ ইমন বলেছেন: আমি বললাম না বাংলাদেশে বলা হয় ? বাংলাদেশের সংস্কৃতিটা কি একলা রাগ ইমন সৃষ্টি করেছেন মাহবুব ভাই ?

এই রকম উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপান কেন আপনারা ?

ছেলেদের সমস্যা হয়, সেইটা কোণ ছেলে লিখলে বেশি ভালো হয় । আমি কিছুটা বুঝলেও পুরোটা নাও বুঝতে পারি । কিছু কিছু লিখেছি , মেয়েদের ফ্যামিলি যে সব ডিমান্ড করে , সেইটা কি ছেলেদের সমস্যা না?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মারূফ মনিরুজ্জামান বলেছেন: বিয়েটা যে করতে পারছি এইটা ভেবে সান্তনা পাচ্ছি :)


ক্যামেরাম্যান:: হা হা হা- এইটা কি বললেন-


০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪

রাগ ইমন বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ । ভাবী কেমন আছে ?

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

অক্টোপাস বলেছেন: @লেখক:
শেষের চার লাইন অসাধারণ বলেছেন।
ধন্যবাদ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪

রাগ ইমন বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪০

আকাশ_পাগলা বলেছেন: ভাবী, আপনার কাছে শুনি অনেক বায়োডাটা আছে , একটু যদি চেষ্টা করতেন !"

আন্টির কাছে এত বায়োডাটা কেন???
মেয়েদের বাপরা আরও বেশি চায় আগে আগে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিতে। ছেলের মায়েরও খুব আগ্রহ, কমবয়েসী মেয়ে আনতে। তাহলে বউ অবাধ্য হবে না।


ছেলের সম্পর্কে মেয়ের বাবা সবার আগে খুঁজে, ছেলে কোথা থেকে পাশ, কেমন চাকরী করে, বেতন কত পায়, রিসেশনে পড়বে না তো। ফ্যামিলি স্টায়ান্ডার্ড ত? ছেলে ত মেয়ের ব্যাপার খুঁজে না যে, তাদের বেতন কত!!! তখন খুঁজে গায়ের রঙ কতটুকু ফর্সা !!

ঘুরে ফিরে সব একই।

কাহিনীগুলা ভাল্লাগে নাই। খুব হালকা আর পাত্রপাত্রীর আন্তরিকতার অভাব মনে হইছে। বিশেষ করে ১ নাম্বার ঘটনায় রিমার অবস্থায় আমি ওকেই দোষ দিব। মায়ের সেবা করতে গেলে দুনিয়ার আর কিছু হয় না, এইসব কোন কথা না। আর পছন্দের মানুষ যেহেতু ছিল, তাকে বিয়ে করলে, তার বাসাতে মাকে নিতে পারত। আর, এত সহজে যোগ্যতা নেই, এই কথায় পছন্দের মানুষকে বিদায় করে দিলে সেই মানুষ কী করে " পছন্দের " ছিল বুঝলাম না।

যাক, মূল কথা বুঝছি মনে হয়। তবে, আরেকটু পরিষ্কার করে বললে ভাল লাগত।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৫

রাগ ইমন বলেছেন: কয়েক জন আন্টি মিলে বিনা মূল্যে ঘটকালির সমাজসেবা সংস্থা খুলেছে , মামনি তার সদস্য । সেই জন্য এত বায়োডাটা ।

হা হা হা হা, ভাইজানের মন্তব্য পড়ে বেশ মজা পেলাম।
মেয়েদের বাপরা আরও বেশি চায় আগে আগে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিতে।---- কেন, এইটার ব্যাখ্যা দিয়েছেন?

ছেলের সম্পর্কে মেয়ের বাবা সবার আগে খুঁজে, ছেলে কোথা থেকে পাশ, কেমন চাকরী করে, বেতন কত পায়, রিসেশনে পড়বে না তো। ফ্যামিলি স্টায়ান্ডার্ড ত? ছেলে ত মেয়ের ব্যাপার খুঁজে না যে, তাদের বেতন কত!!! তখন খুঁজে গায়ের রঙ কতটুকু ফর্সা !!---- কেন করে এরকম ? আপনি কারন বলেছেন ? বলেন নাই ।

কেন বলেন নাই, সেইটাও একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায় । এত রকম ব্যাখা দিতে গেলে মন্তব্য লম্বা হয়ে যেত বলে আপনি শুধু ঘটনা বা ফ্যাক্ট বর্ননা করেছেন ।

আমিও তাই । কারো মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষনে যাইনি। খুব সংক্ষেপে ঘটনার বর্ননা করেছি মাত্র । কে, কি, কেন করেছে বুঝতে গেলে আরো অনেক অনেক অনেক বড় আলোচনা করতে হবে ।

যেমন একটা উদাহরন দেই ,

যার বেতন যত বেশী সেই ছেলে তত অল্প বয়স্ক সুন্দরী মেয়ে খুজে । কারন বাংলাদেশের বাস্তবতায় ছেলেরা সাধারনত " প্রোভাইডার" । সংসারের উপার্জনের দায় যেহেতু প্রাথমিক ভাবে ছেলেদের, তাই বাপেরা ছেলের অর্থনৈতিক ভিত কতখানি শক্ত তাই দেখে । আপনি চাইবেন আপনার বোন না খেয়ে থাকুক ? অথবা বাপের বাড়ির চেয়ে কম আরামে, বেশি কষ্টে থাকুক ? মূলত ফাইন্যন্সিয়াল সিকিউরিটির চিন্তা থেকে এইটা আসে ।

অন্যদিকে , এখনো কিছু ব্যতিক্রম বাদে মেয়েরা মূলত হোম ম্যানেজার । ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি তার দায়িত্ব হইলো সুন্দরী কন্যা জন্ম দেওয়া । পুত্রকে নিয়ে তেমন সমস্যা নাই । কিন্তু অসুন্দর মেয়ের বিয়ে দিতে বাংলাদেশে কি ঘটে , এইটা একটু খোজ খবর করে দেখবেন , তাহলে পরিষ্কার হয়ে যাবে কেন ফর্সা, সুন্দরী মা খুঁজা হয় । নিজের ভোগের ব্যাপার তো আছেই ।

ছেলেরা যদি ফর্সা বউ না খুজতো, অনিন্দ্য সুন্দরী না খুজতো , তাহলে মায়েরাও ঐসব খুজে নাকাল হইতেন না । প্রতিটা মা জানেন মেয়ের বিয়ে না হলে তার জন্য বাপে মাকেই পেটাবে । মেয়ের চেহারা বাপের মত হয় , এইটা জেনেটিক সত্য , তাও বাপ মাকেই পেটাবে । তো নাতনি সুন্দরী হওয়া চাই ।

একটা ঘটনা বলি । আমার এক আপু বিশ্বসুন্দরী , ভাইয়া ভয়াবহ কালো। এখন নাতনি তিনটাই কালো হয়েছে বলে শ্বাশুড়ি শ্বশুড় আমতা আমতা আমতা করে আর বলে , রঙটা একটু চাপা কিন্তু মেয়েগুলো যা সুইইইইইইইইট । উল্লেখ্য এই দম্পতি ছেলেদের বিয়ের সময় সারা বাংলাদেশ চষে ফেলেছিলেন ফর্সা , সুন্দরী মেয়ে খুজে খুজে । নিজের ছেলের দোষে নাতনি কালো হওয়াতে তাহারা কিছু বলতে পারেন না , তবে মরমে মরেন, সেইটা টের পাই ।




আরো গভীর করে লিখতে পারলে খুব খুশি হতাম। নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নাঈম বলেছেন: হুমমম..........

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৬

রাগ ইমন বলেছেন: হুমাস কেন ? তোর নাকি সামনে বিয়া ?

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মাহবুব সুমন বলেছেন: সমস্যাটা আমি জানি রাগুদি। সমস্যাটা পুরুষ তান্ত্রিক-- সামাজিক । তবে সমস্যাটা মননে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৬

রাগ ইমন বলেছেন: সহমত

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সাইফুল ফারদিন বলেছেন: ভালই।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৭

রাগ ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সহেলী বলেছেন: ঘটকালি করার সময় প্রত্যেক পরিবারের আসল চরিত্রটা বেরিয়ে আসে.....

বলেছো ঠিক ।
বেশ লিখেছো । শুভেচ্ছা তোমার জন্য ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৯

রাগ ইমন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

চরিত্রের ব্যাপারটা চরম সত্য।

আপনাকেও শুভেচ্ছা ।

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১১

রুদমী বলেছেন: নিজের মেরুদন্ড আর পায়ের তলার মাটিটা ভীষন শক্ত করে নিন, তারপর নিজে বাছুন.......কাজটা কঠিন, অসম্ভব না....সত্যিই কিন্তু তাই। আসেপাশের মানুষের কথা ভাব্বো না তা কিন্তু নয়, কিন্তু নিজের পছন্দকেও প্রধান্য দিতে হবে। আফটারঅল লাইফটা তো তাকেই লিড করতে হবে। মনের কোনায় দুঃখ নিয়ে সংসার করলে তখন কিন্তু পাশের মানুষ গুলো উকিঁও দিয়ে দেখবেনা।

ভালো লাগলো আপনার লেখাটা। আপনার চিন্তাধারা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৪৮

রাগ ইমন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। আসলে , স্বার্থপর হতে বলিনি কিন্তু বিয়ের ব্যাপারে এক অর্থে স্বার্থপর হওয়াই উচিত । বাবা মা চিরকাল থাকেও না আর সংসারটা তাঁরা করে দিয়ে যান না । সুতরাং, নিজের পছন্দ , অপছন্দ, প্রয়োজন খুব ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলে বিয়ে করা উচিত । অন্যকে খুশি করতে গিয়ে নিজের জীবনটা নরক বানানোর ভুলটা তারাই করে যারা ভুলে যায় বিয়ের সময় হেন ত্যান নিয়ে চিল্লাচিল্লি করলেও বাবা মা শেষ পর্যন্ত একটা জিনিসই চান , ছেলে মেয়ের সুখী জীবন। অসুখী হলে পারফেক্ট বউ বা জামাই এর কোন মূল্য আর শেষ পর্যন্ত থাকে না ।

১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১৪

আশাবাদী মানুষ বলেছেন: সত্য দিবালোকের মতই উঠে এসেছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৪৯

রাগ ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ

১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১৭

ক্যামেরাম্যান বলেছেন: আমি যখন ক্লাস এইট বা নাইনে পড়ি তখন আমার এক ফুফুর বিয়ে হয়। বিয়ের আগে চাচা-মামা-খালুদের বিয়ে সংক্রান্ত চুলচেরা বিশ্লেষণ দেখে বড়্কাক্কাকে প্রশ্ন করেছিলাম এতো কিছুর দরকার কি কাক্কা। ছেলে-মেয়ে দুজনেই শিক্ষিত, ছেলে ভাল চাকরি করে আর কি চাই। কাক্কা হেসে উত্তর দিয়েছিল তোমার বয়স ৪০ হোক তারপর বুঝবা।

যে ছেলেটা আজকে দারুন রেজাল্ট করে বিসিএস দিয়ে ফরেন সার্ভিসে ঢুকেছে তার পিতা হয়তো গ্রামের সাধারণ এক দরিদ্র কৃষক। মেয়েটাও ধরেন মাষ্টার্স করা। প্রপিতামহ ছিলেন শহরের নামকরা উকিল, পিতামহ জজ আর পিতা সেক্রেটারী। শিক্ষার সাথে অর্থ-বিত্ত আর সামাজিক প্রতিপত্তি সবই আছে।

কিংবা ধরেন ছেলের জায়গায় মেয়েটা। এদের দুজনের বিয়ের ব্যাপারে আপনার মতামত কি ?

আমার বয়স এখন ৪০ এর উপরে। আমার মতামত হলো এদের বিয়েটা টিকবে না। একসময় না একসময় গন্ডগোল বাধবেই। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও আরেকটা শিক্ষা আছে, যেটা আসে পরিবার থেকে। আর একারণেই আপনার মায়ের মতো সামাজিক ঘটকদের দরকার। যারা ছেলে বা মেয়ের পরিবারকে খূব কাছ থেকে চিনে এবং জানে। আর একই কারণে আমি ঘটক পাখি ভাই দের মতো কমার্শিয়াল ঘটকদের বিপক্ষে।

লেখক বলেছেন - বিয়ে করে প্রতিষ্ঠিত হইতে চাই বলে একটা বিজ্ঞাপন দিলে কেমন হয় ?

দিয়ে দেখেন। ঝড়-ঝাপটা আপনার উপর দিয়েই যাক না হয় :)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৪

রাগ ইমন বলেছেন: ভীষন রকমের সত্যি কথা বলেছেন। আমরা স্কুল কলেজে লিখতে আর পড়তে শিখি কিন্তু আমাদের চিন্তা, চেতনা, রুচি, ভালো মন্দ , ঠিক ভুলের শিক্ষাটা পরিবার থেকেই আসে ।

দুই পরিবারে খুব বেশি পার্থক্য থাকলে আসলেই গন্ডোগোল লাগে । একে অপরকে বুঝতেই পারে না তা মিশবে কি করে ? তারপরেও বিয়ে করতে মানা করবো না আমি , কিন্তু আগে থেকেই বুঝে নিতে বলবো যে, দুই পরিবারে কোন সম্পর্ক থাকবে না , স্রেফ হাই হ্যালো আর জামাই বউকে অন্য কোন দেশে গিয়ে থাকতে হবে । নইলে অশান্তি অনিবার্য ।

১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১৭

নাঈম বলেছেন: ঘরের কথা পরে জান্লো ক্যামনে?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৫

রাগ ইমন বলেছেন: দাওয়াত পাইছি মনে হয়

১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১৭

রাজামশাই বলেছেন: নতুন কিছু নাই তো -

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৫

রাগ ইমন বলেছেন: মানুষ এর চিন্তা ভাবনায় নতুন কিছু নাই তাই ।

১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২০

জানজাবিদ বলেছেন: অনেক গুলো সত্যি কথা বলেছেন, পড়ে খুব ভাল লাগলো। আমার নিজের বোনকে বলেছিলাম লেখাপড়া করে নিজের পায়ে আগে দাঁড়া। বিয়ে-শাদি হলে হবে না হইলে নাই। আর তাছাড়া একটা মেয়ে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বি হলে তাকে বিয়ে করার লোকের অভাব হয়না। 'যৌথ ইনকামের' ব্যাপার আছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৬

রাগ ইমন বলেছেন: কথা সত্য তবে বিয়ে না হইলে নাই বাংলাদেশে সম্ভব না । একলা মেয়ে পাইলে জীবন অতিষ্ট করে দেয় ।

১৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২২

জেমিনি বলেছেন: খুবই নির্মম সত্যি যা মেনে নেয়া যতটা কঠিন ভুলে যাওয়া আরো বেশী কঠিন।

লেখার জন্য ধন্যবাদ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৭

রাগ ইমন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

কে ভুলতে পারছে না ?

১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২৩

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: পিলাচ.............. হাচা কতা কইচেন গো বদ্দা

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৮

রাগ ইমন বলেছেন: অনেক ধনিয়া ভাইজান

১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২৭

অমিত০৯৭ বলেছেন: আশেপাশে সব বন্ধুবান্ধবীরা তো দেখি এংগেজড। উল্টোটা দেখি কম। আমার এক ব্যাংকার বন্ধু আছে। ওর কাছে এক মেয়ে আসলো ইন্টার্ন করতে। দেখে পছন্দ হলো ব্যটার। মেয়েরও ওকে পছন্দ। কিন্তু বাদ সাধছেন মেয়ের বাবা। উনি নাকি পিএইচডি পাত্র ছারা মেয়ের বিয়ে দেবেন না :(। মেয়েকে ঘরে আটকে রেখেছেন। ফোন টোন সব সিজড। এটা এযুগে একটি ব্যতিক্রমী ব্যাপার।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:০১

রাগ ইমন বলেছেন: বয়সের সাথে সাথে বুদ্ধি বাড়বেই এমন কোন আয়াত আছে কোথাও?

দুনিয়াতে কিছু আজিব থাকবেই । দেখেন, বাবা হয় পি এইচ ডি করতে চেয়ে পারেনি অথবা করেছে বলে সমানে সমান চাই ।

পি এইচ ডি যে একটা একাডেমিক বিষয় , সাংসারিক না , এইটা কে বুঝাবে? বাংলাদেশে পি এইচ ডি পূজার রীতি আছে । জ্ঞানের চেয়ে শিক্ষা বেশি তো!

২০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২৯

ত্রিশোনকু বলেছেন: "এই সর্বপ্রকার সুবিধা প্রাপ্ত পুরুষশাসিত সমাজে ৪০ বছরের বুড়ো ভাম হলেও ১৮ বছরের পরী পাওয়া কোন ব্যাপারই না"

ঐ ৪০ বছরের ভামের খবর আছে। সামলাবে কি করে যখন তর বয়স ৬০ আর মেয়েটার ৩৮?

"ভুল মানুষকে বিয়ে করার চেয়ে ভুল সময়ে বিয়ে করা অনেক ভালো।"

বিয়ের চাহিদা কি মৌলিক?

আমার বোন তো দিব্বি আছে বরকে তাড়িয়ে দিয়ে অনেকদিন, একা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:০২

রাগ ইমন বলেছেন: যারা করে ভাই তারাই জানে , আমি কি করে বলবো ?
একা ভালো থাকা যায় না , তা তো না , কিন্তু বাংলাদেশে একলা মেয়েকে ভালো থাকতে দেওয়া হয় না । দুই একটা ব্যতিক্রম বাদে ।

২১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৩২

তাহসিন আহমেদ বলেছেন: বিয়া কত্তেমুন্ছায় ;) পেম নাই,বালুবাসা নাই :) টাকা নাই তাই সাতে ;) তাই মেয়ে নাই।
মুন কেউ দেকেনা,মুনের কপর কেউনেনা :( :(

বাবা-মা রা টাকা,গাড়ি,বাড়ি কুজতে গিয়া ২ পক্কে জরগা লাগায়া মাতা পাডি পালায় :)
বালো পুলা-মায়া কুজে না।:)

আপচুসসসসসস :(

হা হা হা....
ভালো লিখছেন।
আমার মতে
"
অনেক কিছু ছাড় দেওয়া শিখতে হবে আমাদের সমাজের বাবা/মা/পাত্র/পাত্রী দের।
শুধু নিজের লাভ/ফায়দা উসুল করব ,২ পক্ষের ই এমন মনোভাব থাকলে সব হবে কিন্ত বিয়ে নামে ওটা ব্যবসা হবে।আর মরার আগ পর্যন্ত এই বিয়ে নামে ফাঁস টা আসলে ব্যবসা হয়ে ই থাকবে।চারপাশে তাই তো দেখছি!!! "

শোকেজড। :)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:০৫

রাগ ইমন বলেছেন: মজার মন্তব্য । বিয়ে করার আগে সকলেরই মুঞ্চায় , তারপর যখন ঘাড়ের উপর দায় দায়িত্ব এসে পড়ে তখন মুন আর চায় না ।

শুধু মুনের খবর নিলে যদি পেটের , কাপড়ের, মাথার উপর ছাদের চাহিদা মিটে যেত , তাহলে বাকিটার খবর কেউ নিত না । তাই না?

সব কিছুর খবরই নেওয়া উচিত । মনেরও ।

অনেক ধন্যবাদ

২২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৩৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
বিয়ের ক্ষেত্রে বয়সটা একসময় ফ্যাক্টর ছিলো।
আমার দেখা বেশীর ভাগ সচেতন ছেলেরা (৩০ থেকে ৪০)
বিয়ের বেলায় মেয়ের বয়সটাকে প্রধান্য দেয়নি....
সমাজ যেভাবে চলছে।
এই চরম প্রতিযোগীতার যুগে যোগ্যতার প্রশ্নটাই বড়......

তবে তোমার কথা ঠিক।
খুব ঠিক।
৩০ পেরুনো মেয়েদের ক্ষেত্রে ছেলের চেয়ে ছেলের পরিবারের মানুষরা কম আগ্রহী হয়।একটা বিচক্ষন ছেলে হয়তো সংগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ম্যাচুউরড একটা পার্টনার আশা করে।

পরিবারের দ্বায়িত্ব পালন করতে যেয়ে যে ছেলেটা বয়স করে বিয়ে করে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে বিয়ের পর তার জীবন দূর্বিসহ হয়।
বউ এর গালমন্দ খেয়ে জীবন কাটে(পরিবারের দ্বায়িত্ব করতে যেয়ে বিয়ে করেছে বলে সব ক্ষেত্রেই সে পিছিয়ে থাকে)।

৩০ এর পর বিয়ে হলে সন্তান ধারনের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হলে তার দ্বায়ভার এসে পড়ে মেয়েটার উপর।
অথচ ছেলেদের বেলায় তা ঘটেনা...।
সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছো।
তবে আমার কাছে একটা বিষয় খুব মনে হয়,সংগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুব বেশি খুঁতখুঁতে হলেই এই ধরনের ব্যাপারগুলো বেশী ঘটে।
এটা মিলছে না ওটা মিলছেনা করেও অনেক যোগ্য ছেলে বা মেয়ের জীবনে বিয়ে ব্যাপারটা ঘটতে দেরী হয়ে যায়।
কিছু কনসিডারেশন দু তরফেরই দরকার।
এই নিয়ে লেখার ইচ্ছা রইলো কখনো....(জীবন থেকে দেখা কিছু ঘটনার আলোকে)।

আশাকরি তুমি বেশ আছো।
ইফতার হচ্ছে মজার মজার...?
খুব মিস করি তোমার রান্নাঘরের মজার মজার রান্নার গল্প।
তোমার বাবার গল্প।
সব কি বদলে গেলো ইমন?
ভালো থেকো।
অনেক শুভকামনা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১২

রাগ ইমন বলেছেন: খুবই জরুরী কথা লিখেছেন আপু। আপনার বিস্তারিত পোস্টের আশায় রইলাম । বিচক্ষনতা শব্দটা এখানে সবচেয়ে জরুরী শব্দ ।

বিচক্ষন হলে তো এইসব হওয়ার কথা না , তাই না? তারপরেও হচ্ছে । তারমানে , বিয়ের ব্যাপারে ছেলে বা মেয়ে অথবা পরিবার - কেউ না কেউ বিচক্ষণ আচরন করছে না ।

আমি যা লিখেছি তা বাংলাদেশের জেনারেল ট্রেন্ড । ব্যতিক্রম আছে । কিন্তু লুকিয়ে ছাপিয়ে আছে । দুঃখটা সেখানেই । আমার ম্যথের টিচার বয়স বাড়িয়ে বলতেন কারন তার স্ত্রীকে তার চেয়ে বেশি বয়স্ক দেখাত । খুব কষ্ট পেয়েছিলাম দুটো অকল্পনীয় ভালো মানুষকে এই সামাজিক সংকীর্ণতার স্বীকার হতে দেখে ।

সংসার, ইফতার, আব্বু সবই আছে । কিন্তু সব সময় সব কিছু নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করে না । এই আর কি ! লিখবো আবার , আপনি পড়েন জেনে উৎসাহ বেড়ে গেলো ।

২৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৩৬

সোহান বাশার বলেছেন: বিয়া করুমু কিনা চিন্তা কইরা লই..............

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১৩

রাগ ইমন বলেছেন: আচ্ছা ।

২৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৪১

ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: আসলে ক্রাইটেরিয়া হিসাবে কোনটা ভালো বলতে চান?

মেয়েরা খোঁজে পয়সাওয়ালা, ছেলেরা খোঁজে কমবয়সী সুন্দরী। কোনটা আসলে সমর্থনযোগ্য?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১৭

রাগ ইমন বলেছেন: ব্যাপারটা আসলে অমন সাদা কালো নয় । ভীষন ভাবে মিশ্র, জটিল এবং বিচিত্র ।

আমার কাছে সবচেয়ে জরুরী মনে হয় যেটা তা হলো একে অপরের পার্টনার হয়ে উঠার বৈশিষ্ট্য গুলো আছে কিনা । এক এক জনের চাহিদা এক এক রকম, তাই কেস টু কেস বেসিসে দেখা ছাড়া উপায় নাই ।

১৫ কোটির একজন মানুষও কি জেনেটিকালি একই গড়নের ? না। তাই বাছাবাছির কোন জেনারেল নিয়ম বেধে দেওয়া যায় না ।

হবু স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ চাহিদা যখন ব্যালেন্সড হয়ে মিলে যায় কোথাও সেইটাই গ্রহনযোগ্য ।

২৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৪

রিমি (স. ম.) বলেছেন: শেষের কথাগুলি ভাল লাগল। কিন্তু একটা 'কিন্তু' ঠিকই রয়ে যায় বাস্তবের মাঠে, যেটা না থাকলে নিঃসন্দেহে অনেক বেশি খুশি হতাম।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১৮

রাগ ইমন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ঐ কিন্তুটাই আসলে -----

২৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৬

জেরী বলেছেন: সত্য....

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১৯

রাগ ইমন বলেছেন: ধইন্যা

২৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:০৪

গোয়েবলস বলেছেন: Amader society ki kokhono paltabena?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২০

রাগ ইমন বলেছেন: আমরাই তো সোসাইটি । আমরা বদলাইলে বদলাবে ।

২৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২৬

মুরুববী বলেছেন: অসম্ভব ভালো লিখেছেন। বহুদিন পরে একটা ভালো লেখা পড়লাম। অত্যান্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়ঊপযোগী লেখা।

একেবারে সমস্যার মূলে হাত দিয়েছেন। লেখকের বক্তবের সাথে পুরোপুরি একমত। লেখাটিকে স্টিকি করা হোক

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৩২

রাগ ইমন বলেছেন: দুনিয়ার সব পোস্টে একই মন্তব্য বিলিয়ে বেড়াচ্ছেন , এইটা অসম্ভব ভালো লেগেছে । বহুদিন পর এই রকম এক আজিব পাইলাম। অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সমইয়োপযোগী মন্তব্য হয়েছে ।

একেবারে পোস্টের মূলে হাত দিয়েছেন। আপনার মন্তব্যের সাথে ভীষন ভাবে একমত । মন্তব্যটিকে সব ব্লগের সব পোস্টে সবার দ্বারা কপি করা হউক ।

২৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৩০

জাতি জানতে চায় বলেছেন: ইষৎ ছেলে বিদ্বেস পরিলক্ষিত ;) ৫.২" কে বাটকু বলে অপমান করা হচ্ছে (৪ ইন্ঞ্চি সোলের জুতা পরালেতো সমস্যা অত থাকার কথা না)!!! আর মেয়ের রং কালো হলে "একটু" শব্দটা যোগ করা হয়!!! ১৬/১৮ চাওয়ার পেছনে ছেলেদের থেকে মা-বোনদের ইচ্ছা বেশি দেখা যায়, কারন বাগে আনার ব্যাপার-স্যাপার আছে!!! ১৮ বছরের পরীই যদি হয় তাহলে ৪০ বছরের কাছে বিয়ে দিতে হবে কেন?? যুবকদের কি অভাব পড়ছে?? নামায-রোজার ব্যাপারটা বোধহয় পুরা ধরতে পারেন নাই!!! এই ট্রিটমেন্ট মূলত মা-বোনেরাই দিয়ে থাকে এই ভয়ে যে মেয়ে যদি উড়নচন্ডী/মুখরা স্বভাবের হয়!!! শাসন শাসন ভাব আরকি!!! দোষ আসলেই সব ছেলেদের!! না হলে তারা বিয়ে করার জন্য ৩০ বছর পার করে ফেলে কেনু??? পোলাগো দুঃখটা কেউ বুঝল না!!!!!! :( :'(

তয় পোস্ট জটিলললল হইছে!!! এইবার এট্টু হাসেন :):D

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৩৮

রাগ ইমন বলেছেন: এই গুলা বাংলাদেশের বাস্তবতা । তার মানে সারা বাংলাদেশ পুরুষ বিদ্বেষী?

পুরুষ নিশ্চয় এমন কুকর্মই করেছে যে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এখন ত্যক্ত হয়ে আগ্রাসী আচরন করতে বাধ্য হচ্ছে ।

১৬/১৮ মা , বোন চায় ? হা হা হা হা হা । প্রতিষ্ঠিত ছেলেটা নেহায়েত শিশু বলে তার প্রতিবাদ করতে পারে না বলে বাধ্য হয়ে কচি মেয়ে বিয়ে করে তাই না ? আহারে , কি অসহায় !

একটা , ১৬/১৮ এর মেয়ে বিবাহ করতে বাধ্য হওয়া পুরুষ রক্ষা কমিটি খুলতে চাই । প্রথম চান্দা আপনি দিবেন ।

এইবার এট্টু হাসেন ?

৩০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৩৩

দেশী পোলা বলেছেন: আপ্নের একখানা পাদটীকা বাদ পরেছে, সেটা হইল, ইহা বাঙালী মধ্যবিত্তের সমস্যা, বিত্তশালী ও বিত্তহীন শ্রেনীর বিয়া-শাদী পয়সা, গায়ের রঙ, বয়স নিয়া কোন ফোবিয়ায় আটকাইয়া থাকে না, উনারা মাঝে সাঝে বিয়া শাদী না করিয়াও সংসার করেন, বাঙালী মধ্যবিত্ত আবিয়াইত্যা পুলাপানের সেইটাই একমাত্র ভবিষ্যৎ মনে হইতেছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৪১

রাগ ইমন বলেছেন: অতি উচ্চ আর অতি নিম্ন কোন নিয়মেই পড়ে না , ইহাই সত্য । কারন , উহাদের নিয়ম নিয়া মাথা না ঘামালেও চলে ।

মধ্যবিত্ত ও আজকাল লিভ টুগেদার করে । গোপনে ।

পাদটীকার জন্য ধন্যবাদ । দারুন সত্য কথা বলছেন ।

৩১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৪৭

ফারুক আহসান বলেছেন: আপনেতো দেখা যায় পুস্টাইলেই হিট ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৪

রাগ ইমন বলেছেন: যারা আমার পোস্ট পড়ছে, তাদের আপনি অপছন্দ করছেন ?

৩২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৫৬

অক্টোপাস বলেছেন:
@মুরুব্বী:
আপনার ব্লগ ঘাইটা দেখলাম। একই কমেন্ট অনেক জায়গায় কপি পেস্ট মারছেন। আপনার কান্ড দেইখা মজা (!) পাইলাম।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৫

রাগ ইমন বলেছেন: আমিও তাই খেয়াল করলাম । এই আচরনের মানে কি ?

৩৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৫৭

অগ্নির বলেছেন: খাঁটি সত্যি কথা !!!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৬

রাগ ইমন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আওনার মন্তব্যের জন্য । খুব ভালো থাকুন।

৩৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:০২

দীপান্বিতা বলেছেন: হুম্‌! দুই বাংলার একই সমস্যা!

+

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৭

রাগ ইমন বলেছেন: তাই নাকি? একটু লিখবেন এই নিয়ে ? ওপার বাংলার অবস্থা কেমন? কাটিয়ে উঠার জন্য কি করছে মানুষ ?

৩৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১০

ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: যত মিশ্র আর জটিল হোক না কেন, দুনিয়াটাই সারভাইভাল অফ দ্য ফিটেস্ট নীতিতে চলে। পাত্রের লিস্টিতে যে এক নম্বরে থাকবে, সে পাত্রীর লিস্টের শেষ নম্বরওয়ালীকে কেন বিয়ে করবে? আবার পাত্রীর লিস্টের এক নম্বরও পাত্রের লিস্টের শেষজনরে গণায় ধরবে না।

লিস্টি কোন ক্রাইটেরিয়াতে করবেন সেটা নিয়া তর্ক হতে পারে। আল্টিমেটলি সবই নিষ্ঠুর প্রসেস। ছেলে মানুষ ভাল কিনা তা বিবেচনার প্রয়োজন নাই, ভাল কামাইতে পারবে কিনা কিংবা ভবিষ্যত কতো উজ্জ্বল সেটাই দেইখা মেয়ে বিয়ে করে। ছেলেরাও তাই বিয়ের সময় "করলে সুন্দরী দেইখা করবো" মনোভাব ধরে, এইখানে মেয়ে উচ্চশিক্ষিত নাকি ভাল মনের সেটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে না।

সারভাইভাল অফ দ্য ফিটেস্ট নীতিটাই নিষ্ঠুর, অথচ এতেই দুনিয়া চলে, চলবে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৫

রাগ ইমন বলেছেন: হতে পারে , তবে সারভাইভাল অফ দা ফিটেস্ট নীতিটা আমরা মানব নীতির মধ্যে ফেলি না । নইলে আনফিটদের সাহায্য করার জন্য এই ব্লগেই এত মানুষ উঠে পড়ে লাগতো না । একতু চিন্তা করে দেখুন তো , আপনি নিজেই কত মানুষকে সাহায্য করেছেন? সবটাই কি নিজে সুবিধা পাবার জন্য করেছেন?

এখনো মনে হচ্ছে , সারভাইভাল অফ দা ফিটেস্ট ?

আমরা একে অপরকে সাহায্য করে ও সাহায্য নিয়ে বাঁচি বলেই আমরা সামাজিক। না হলে তো একা একা থাকতাম। তবে, দলের বেঁচে থাকার জন্য দলের ভেতরে দুর্বলদের আমরা পেছনে ফেলে চলে যাই কিনা, যাওয়া উচিত বলে মনে করি কিনা , এইসব ভাবনার বিষয় আছে ।


সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো " ফিটনেসের" যেহেতু কোন নির্দিষ্ট মাপকাঠি নেই , তাই আমরা যে যার নিজের মত ঠিকই সারভাইভ করে যাই, যাবো।

পাত্র পাত্রীর লিস্টে তাই নাম্বারিং এক নিয়মে হয় না । কারন আমাদের ইভ্যালুয়েশন এর জিনিস্পত্র সেই হাত , কান, চোখ, মুখ, চামড়া, শিক্ষা, টাকা ইত্যাদি হলেও আমাদের এক একজনের ভ্যালু বা প্রদত্ত নাম্বার এক হবে না । যে পাত্র আপনার লিস্টে ৫ নম্বর সে হয়ত আমার লিস্টে ২ কিংবা ১০ নম্বরে থাকবে।

এবার কি বুঝাতে পারলাম কেন ব্যাপারটা মিশ্র এবং জটিল ও বিচিত্র ?

৩৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৪২

সিংহ বলেছেন: ekta mojar information dei. Ei info ta je jug change hocche tar proman.

Ami dhakar ekta namkora co-ed school and college er student chilam. Amar porichito joto school and college friend, jader sathe cholafera korechi tader almost 99%, batchmate or 1 year junior biya koreche. Ebong eder moddhe abar premer biya motamuti 90%.

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৭

রাগ ইমন বলেছেন: নিঃসন্দেহে মজার তথ্য। একটা প্রশ্ন করি ?

বাংলাদেশের কথা বাদই দিলাম, এই ঢাকা শহরের মোট জনসংখ্যার ঠিক কত অংশ আপনার এই ৯৯% ?

ঢাকার মোট জনসংখ্যা কমিয়ে ১ কোটি ধরেন । তারপর বলেন, কত শতাংশ?

৩৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৫৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: সত্য।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৮

রাগ ইমন বলেছেন: ফারহানের কাছ থেকে আরেকটু বড় মন্তব্য আশা করি কিন্তু । ঃ)

৩৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০৮

ঈশান৭২৮৫ বলেছেন: আপু, আপনার উদাহরণ দেখে আমার নিজের পরিচিত একটা ঘটনা মনে পড়লঃ

আমার এক পরিচিত ফ্যামিলিতে ভাইয়া ২৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরী করেন। ভাইয়ার বয়স ৩০ পেরিয়ে গেছে। আজকে পাঁচ বছর হয় তার বিয়ের কথাবার্তা চলছে। তো উনার মায়ের আবার একটু উচ্চাকাংখা। বউ চাকরী করতে পারবে না , কিন্তু অন্তত বিএ পাস হতে হবে। ভাইয়ার হাইট ৫ফুট ৩ ইঞ্চি। কিন্তু মেয়ে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। মাঝে ভাইয়ার একজনকে পছন্দ হয়েছিল, কিন্তু আন্টি বাতিল করেছেন মেয়ের হাইট কম দেখে। আবার আরেকজনকে পছন্দ হয়েছিল, আন্টি বাতিল করে দিয়েছেন এই অজুহাতে মেয়ে বেশী সুন্দরী, সবাই নাকি তাকায় থাকে। এই করে তার বিয়ে হয় নি তার ছোট ভাইটারও বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে।

আমি অবাক হই তাদের মনমানসিকতা দেখে। অথচ আন্টি খুব শিক্ষিত মানুষ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩২

রাগ ইমন বলেছেন: আমাদের বিদ্যালয় গুলো ঠিক এ কারনেই এক একটা ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান ।

শিক্ষার সংজ্ঞা মনে আছে ? মানুষের মাঝে স্থায়ী পরিবর্তন আনার নাম হলো শিক্ষা । সেই পরিবর্তন গুলো যখন নিজের এবং অন্যের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে, তখন সেটা হয় সুশিক্ষা । তাহলে আমরা শিক্ষিত হইলাম কি ভাবে?

একটা বিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশাল টাকা খরচ করে বিশাল ডিগ্রী কিনলেই কি? মন মানসিকতার পরিবর্তন যদি নাই হয় , সেটা শিক্ষা হয় কি করে ?

আমরা যে পয়সা খরচ করে শিক্ষিত হচ্ছি না , স্রেফ ডিগ্রীধারী হচ্ছি, আপনার বলা ঘটনা তার প্রমান ।

৩৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৪

বৃত্তবন্দী বলেছেন: আপনি যে ঘটনাগুলো বলেছেন সেম ঘটনাগুলো আমার নিজের দেখা... আসলে আমি এক্ষেত্রে মনে করি ছেলে বা মেয়ে যেই হোক না কেনো তাদের উচিত নিজেদের মানসিকতা পরিবর্তনের সাথে সাথে ফ্যামিলির মানসিকতার উপরও একটা প্রভাব যেনো তৈরী করতে পারে। তবে কম বয়সী মেয়ে খুঁজার ব্যাপারে মনেহয় আরো একটা ফ্যাক্টর যোগ হ'তে পারে।
সবাই সন্তান চায়। আর ডাক্তারী মতে (আপনি আমার চাইতে আরো ভালো বলতে পারবেন) মেয়েরা ৩৫ এর উপরে গেলে তখন সন্তান প্রসবে নানারকম জটিলতা দেখা দেয়। হয়তো ছেলে বা পরিবারের অবচেতনে এই ঝামেলা এড়ানোর একটা প্রবণতাও কাজ করে। ঠিক বলতে পারবো না।
বরং একটা ঘটনা বলি...
আমার এক ডিসট্যান্ট কাজিন বিয়ে করবে। দ্বিতীয় বিয়ে। কারণ ভাবী মারা গিয়েছেন, ক্যান্সারে। এখন কাজিনের সাথে আমার এক আন্টির (রক্ত সম্পর্কের না) বিয়ের কথা তুললো আম্মু। এই আন্টির আবার আপনার রিমা আপার মত অবস্থা। তো যাই হোক, কাজিন আম্মুর কথা শুনে আন্টিকে দেখলো। তারপর না করলো, কারণ নাকি আন্টির বয়স বেশী। কাজিনের নিজের বয়স কিন্তু ৪৫+। আন্টি অলমোস্ট ৩৩। এরপর সেই কাজিন কিন্তু বিয়ে করেছে, একজন ডাক্তার মেজর কে। তার বয়সও কিন্তু ৩০+। এখানে আমি যা দেখলাম সেটা হ'লো যে কাজিন বয়সের সাথে সাথে ইকোনোমিক সলভেন্সিও খেয়াল করেছে। আর মেয়ের ফ্যমিলিও ছেলের দ্বিতীয় বিয়ে হিসেবে কোনো আপত্তি করেনি মেয়ের বয়স ৩০+ বলে।
জানিনা ঠিক বুঝাতে পারলাম কি না। মানে বুঝাতে চাইছিলাম মানসিকতার পরিবর্তনের কথাটা আর কি।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৯

রাগ ইমন বলেছেন: মানসিকতার পরিবর্তন জরুরী , এটা আমরা সকলেই বুঝতে পারছি ।

আবার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বিদ্যালয় গুলো যে মানসিকতা পরিবরতনে তেমন কোন ভূমিকাই রাখছে না , স্রেফ অংক, বিজ্ঞান, ব্যবসা শিখিয়ে বের করে দিচ্ছে , এইটাও মনে হয় বিভিন্ন ব্লগারের মন্তব্যে উঠে এসেছে ।

৩৫ এর উপরে গেলেই মেয়েদের বাচ্চা নিতে সমস্যা হয়, এইটা সঠিক না । বয়স মূল বিষয় না , মূল বিষয় হলো শারীরিক অবস্থা । শরীর ঠিক থাকলে ৪০, ৫০, ৬০ এও বাচ্চা হতে পারে । তবে , বাংলাদেশের বাস্তবতায় প্রথম বাচ্চা ৩০ এর আগে নেওয়াই ভালো । বেশির ভাগ বাংলাদেশী নারীর শরীর ২০ থেকে ৩০ এর ভিতর সবচেয়ে ভালো অবস্থায় থাকে । আপনি যেমন বললেন , ৩৫ এর পরে না , সে রকম এটাও মনে রাখবেন ১৮ বা ২০ এর আগে বাচ্চা নেওয়াটাও কিন্তু প্রচন্ড বিপদজনক ।

বাংলাদেশে মা মৃত্যুর হার কমানো যায়নি কেবল এই অল্প বয়সে বাচ্চা নেওয়ার কারনে ।

৪০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৩

রাতমজুর বলেছেন: :D:D:D:D:D

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪০

রাগ ইমন বলেছেন: তুই এত খুশি কেন?

নিজের পরী দরকার তোর ।

৪১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৩

ত্রিশোনকু বলেছেন: "সুলতানা শিরীন সাজি:তবে আমার কাছে একটা বিষয় খুব মনে হয়,সংগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুব বেশি খুঁতখুঁতে হলেই এই ধরনের ব্যাপারগুলো বেশী ঘটে।
এটা মিলছে না ওটা মিলছেনা করেও অনেক যোগ্য ছেলে বা মেয়ের জীবনে বিয়ে ব্যাপারটা ঘটতে দেরী হয়ে যায়।"

এক মত।

আমার বাবার এক সহপাঠি ছিলেন।
জ্ঞান হবার পর থেকেই দেখেছি মেয়ে খুঁজতে। আমাদের বাসাতেই (৬০ এর দশকে) বেশ ক'জন মেয়ে দেখেছেন তিনি। রং পছন্দ হলে উচ্চতা হ্য়না, কারো দাঁত উচূ, কারও বংশ পরিচয় নেই, কারো নেই সম্পদ।

তো আমি যখন উচ্চ মাধ্যমিক দেই তখন তিনি আমার এক সহপাঠিনিকে বিয়ে করেন।তার শাশুড়ি তার চেয়ে বছর দশেকের ছোট ছিলেন। নিরোদ সি চৌধুরী বোধ হয় এখান থেকেই "শাশুড়ে" শব্দটির অতারনা করেন।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪১

রাগ ইমন বলেছেন: হায় হায় , ভয়াবহ অবস্থা !

মেয়ে রাজি হলো কেন ?

৪২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৭

অ্যামাটার বলেছেন: এটা সাময়িক সমস্যা। অস্থিরতা কেটে যাবে একদিন। ষাট-সত্তর-এমনকি আশি'র দশক পর্যন্ত একমাত্র পন্থা ছিল বিয়ে হবে বাবা-না-মুরব্বীদের পছন্দে; এখন গিয়ার চেঞ্জ পিরিয়ড চলছে, ট্রান্সফর্মেশনের সময়কালটা অস্থিরতায় কাটবে, হয়ত আর এক-দেড় দশকের মধ্যেই পরিবর্তনটা সম্পন্ন হবে। এই প্রজন্মের অধিকাংশই জীবন সঙ্গী খুঁজে নিচ্ছে, এই টার্নিং পয়েন্টটাতে অভিভাবকের প্রভাবও ধীরে ধীরে কমে আসছে। সাউন্ডস্ গুড।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৭

রাগ ইমন বলেছেন: যেই ভবিষ্যত দেখাইলেন , সেইটা একটু বেশি মধুর লাগলো । বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক বিপর্যয় সামনে বাড়ার কথা । সেক্ষেত্রে মানুষ চাপের মুখে বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে । নিয়ম কানুন মানার ইচ্ছা কমে যেতে পারে । অনেক কিছুই হতে পারে ।

অভিভাবক রা তাদের নিয়ন্ত্রন ছেড়ে দিচ্ছেন, এইটা যদি তাদের উদার হয়ে উঠা হইতো, আমি খুশি হইতাম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কারন তা না । ছেলে মেয়েরা কথা শুঞ্ছে না । মা বাবা বাধ্য হয়ে মেনে নিচ্ছেন । কিন্তু , চান্স পেলে ঠিকই নিজেদের ইচ্ছা সন্তানের গলায় পা চেপে গেলাতে এখনো বেশির ভাগ বাপ মাই চায়। সুতরাং, আমি আপনার মত এত খুশি হইতে পারলাম না ।

বরং , ছেলে মেয়েরাই বহির্বিশ্বের সাথে প্রচুর যোগাযোগ আর মেলামেশার পরিপ্রেক্ষিতে ভাবতে শিখছে , জীবনটা অন্যরকম হতে পারে । হলে, নরক নেমে আসে না , যেই জুজুর ভয় আমাদের সব সময় দেখানো হয়, হতো।

৪৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৭

শিবলী বলেছেন: এত দেরী কইরা বিয়া করনের কি কাম????
পোলা হোক - মাইয়া হোক ২৫ এর মধ্যে ধইরা বিয়া দেওনের কাম। তাইলে সমাজ সুস্থ থাকব।মনের চাহিদা মিটাতে ছুড়ি খুজা লাগবে না। কাচা মাংসের লোভ বেশিদিন থাকলে নিজের মাংস-ও একদিন গন্ধ হৈয়া যায়। ট্যাকা পয়সা বানাইয়া বিয়া করতে গেলে তো বুইড়া হৈয়া যাওয়া লাগব।

মানে আরকি , আমার ২৫ হবে তো সামনে, তাই বিয়ের কথা বলছিলাম। কেউ শুনে না। আমার আম্মা বলে আমার ৩০বছরের আগে বিয়ে দিবে না:(( । আমি কি তাহলে বুইড়া হয়ে বিয়ে করব??? এত টাকা কামিয়ে সাবলম্বী হবার দরকার কি? দুইজনে মিলে কি লাইফটা কে চালাতে পারব না? মেয়ে শুধু ঘরে বসে হাড়ি পাতিল মাজবে - এটা আমার খুব অপছন্দ। সংসার দুজনের- দুজনের শেয়ার করে সব কাজ করবে।
আর মেয়েরা কেন এত বাড়ি গাড়ি -আলা ছেলে খুজে? গাড়ি বাড়ি করতে সাধারন ছেলে-র কয় বছর লাগবে আল্লাহ মালুম, লাইফ-ও শেষ হয়ে যেতে পারে।

আরেকটা কথা মানসিক বা শাররীক ভাবে ৩০বছরে বিয়ে করা ছেলে বা মেয়ের কতটা যুক্তিযুক্ত?

আপনার পোস্ট টা সমাজকে নির্দেশ করেছে। কিন্তু এমনভাবে চিন্তা করলে মনে হয় না খুব একটা বদলাবে। যারা ক্যারিয়ার গড়তে ( ছেলে /মেয়ে) দেরী করে বিয়ে করে তাদের আমি বলি - বিয়ে করে কি কয়ারিয়ার গড়া যায় না?

আবার-ও একটা প্রস্তাব- বিয়াশাদি-র সানাই- ২৫বছরের মধ্যেই বাজাই...।
আপনার মত ভাল লিখতে পারি না। ঠিকমত আসলে বুঝাতে পারলাম না কি বলতে চেয়েছি।:(

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৪

রাগ ইমন বলেছেন: "কোন বয়সে বিয়ে করা উচিত " - পোস্টের বিষয় কিন্তু ঠিক তা না । অনেক কারনেই বিয়ের সময় নির্ধারিত হয়। সাধারনত ডাক্তাররা দেরী করে বিয়ে করে , কিন্তু আমার সহপাঠী একজন আছে যে কিনা মেডিকেল ফার্স্ট ইয়ারে বিয়ে করে ফেললো পরিবারের ইচ্ছায় , সে কিন্তু ছেলে ।

কে কখন বিয়ের জন্য নিজেকে রেডি মনে করবে, এইটা বেধে দেওয়া যায় না । আমি মনে করি না , সেইটা উচিতও । মেডিকেল কারনে এক্সট্রিম গুলো ( খুব বাচ্চা বয়সে ) নিয়ম কানুনে বাধা ঠিক আছে । এর বাইরে যা নিয়ে কথা বলতে চাইছি তা হলো আমাদের চাওয়ার অসামাঞ্জস্য ।

একটা মানুষ তার ব্যক্তিত্ব, তার অর্জন, তার পরিবার নিয়েই একটা সম্পূর্ণ মানুষ । সেখানে কেবল বয়সের কারনে কাউকে ছোট করা , বাতিল মাল বানিয়ে দেওয়াটা ভীষন ভাবে অনুচিত । এই সমস্যাটা বাংলাদেশে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বেলায় প্রকট বেশি । এই আর কি।

মানুষকে এখনো আমরা মানুষ ভাবি না । একটা জিনিশই ভাবি । হয় বাচ্চা বানানোর মেশিন, নয়ত টাকা বানানোর মেশিন।

৪৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৬

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: লেখাটা মারাত্মক পছন্দ হয়েছে।
সত্য কথাগুলো তুলে ধরেছেন।
নিজের বিয়ের বাজারে এখনো নামি নি।
তবে, ভাই-বেরাদরদের জন্য নেমে আক্কেল হয়ে গিয়েছে।
নিজেরটা মায়ের উপরে ছেড়ে দিয়েছি।
সামাজিক মানসিকতার আশু পরিবর্তন প্রয়োজন।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৫

রাগ ইমন বলেছেন: হা হা হা হা হা , যারা নামেন নি , তাদের জন্য একটা লেখা দেন । পুরুষের দৃষ্টিতে সমস্যা গুলো দেখা দরকার আছে ।

৪৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৭

ইউনুস খান বলেছেন: নানীর পোস্ট টা ভালো লাগছে ভীষণ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৬

রাগ ইমন বলেছেন: নাতি কি বিয়ের বাজারে ? অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন পিলিচ ।

৪৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৪

আবু সালেহ বলেছেন:
সবার কি সময় আছে নিজের সঙ্গী খুজে নেবার.....ঠিক সবার সময় নেই...

তবে শতাংশ হিসেব কিরলে অনেকেরই আছে...এবং নিজের সঙ্গী খুজে নিচ্ছে......টিকুক বা না টিকুক.....

আপনার লিখায় চরম সত্য তুলে ধরেছেন......বিষের ক্ষেত্রে এইসব ব্যাপার গুলো....আমার খুবই বিরক্ত লাগে.....

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৭

রাগ ইমন বলেছেন: বিষের ক্ষেত্রে

ভাইজান, বিয়েকে বিষ মনে হচ্ছে ? ঘ্যাটনা কিতা?

৪৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪০

বাঙ্গাল বলেছেন: মিশ্র প্রতিক্রিয়া। লেখায় ক্যান জানি পুরুষদের বেহুদা ভিলেন ইমেজ দেয়া হইছে।আর মেয়েদের একটা ভিক্টিম নায়িকা ইমেজ দেয়ার চেষ্টা ছিল বইলা মনে লয়।
৩টা মেয়ের কেস স্টাডির সাথে ৩টা পোলার/বেডার কেস স্টাডি দিলে ব্যালেন্স হইত। তাহইলে আসল ভিলেন -- সামাজিক মানসিকতার দিকে সবার নেক নজরটা পড়ত।

মেয়েরা একি সাথে সোশাল স্ট্যাটাস, টাকা-গাড়ি-বাড়ি(এসিওয়ালা অবশ্যি) চাইয়া আবার লগে যোগ দিয়া দেয় "টাক, ভূড়ি এইসব চলবেনা, গুম্ফতেও উহু"। আরো কত কিসে যে এলার্জি। আরে আয়নায় নিজের চেহারাটাও দেখ বাবা। সহজ এরিথমেটীক মতে ২৫এ ইউনিভার্সিটি পাস, এরপরে চাকরী। দৈনিক দৌড়। সামনের জনকে ল্যাং না মাইরা, ডাবল প্রমশন না পাইলে মুটামুটি জাগায় জাইতে ৩০। আর গাড়ি?বাড়ি(এসিযুক্ত)? হাহ!

আমার বউ কই?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৩

রাগ ইমন বলেছেন: উপরে ৪৬ জনের মন্তব্যে মোটামুটি সকলেই সামাজিক মন মানসিকতা বদলানোর কথাই বললেন ।

একলা আপনার কেন মনে হইলো পুরুষ ভিলেইন?

তিরিশ ছুঁই ছুঁই নারীদের বিয়ে করার জন্য বাংলাদেশের পুরুষরা লাইন দিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে , এই রকম কোন তথ্য থাকলে জানাবেন প্লিজ । আর যে তিনটা মেয়ের কথা বলা হয়েছে , সেখানে তাদের পরিবারের কান্ডকীর্তিও বর্ননা করা হয়েছে যেখানে বাবা (পুরুষ) এবং মা (নারী) দুজনেই আছেন।

হুট হাট এই ধরনের না বুঝে করা মন্তব্য গুলাই ব্লগে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি করে , মনে রাখবেন ।

আর ফান করে থাকলে ঠিক আছে ।

ইনশাল্লাহ, দ্রুতই বউ পেয়ে যাবেন, রোযদারের দুয়া দিলাম ।

৪৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৪

আকাশ আমার সীমানা বলেছেন: আপনি বিয়া করছেন? করলে এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করেন। আর না করলে যোগাযোগ করেন............. না মানি ইয়ে বলতাম যে আসেন নিজেরা নিজেদের পছন্দের মানুষ খুজে নেই।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৮

রাগ ইমন বলেছেন: জ্বি করেছি । বিয়ে "করার" এক্সপেরিয়েন্সটা খুব ভালো । (শেয়ার করলাম)

যেহেতু করে ফেলেছি, এখন কি যোগাযোগ করবো? (মজা করলাম)

৪৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১২

দীপান্বিতা বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে ও মন্তব্য পড়ে যা বুঝছি! একই অবস্থা! কাটিয়ে উঠতে ওই স্বাবলম্বী হওয়াটাই সবচেয়ে আগে দরকারী......আর বিয়ের পরও তো অনেক সমস্যা দেখা যাচ্ছে!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০৫

রাগ ইমন বলেছেন: লিখুন না সেই সব নিয়ে ! আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৫০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৪

বঙ্গাব্দ বলেছেন: আমার আপাকে আম্মা এখন প্রায়ই একটা কথা বলে,একটা প্রেম করলে তো পারতিস তাহলে ৫ বছর আগেই বিয়ে হয়ে যেতো , ৩০ পার করে বসে থাকতে হতো না । শুনতে খারাপ লাগে কিন্তু এই বলার মাঝেও একটা চাপা কষ্ট আছে।

দেখে শুনে বাতিল করে দেওয়ার সময় বলে,মেয়ের বয়স বেশি,আমরা ২৪/২৫ খুজছি,৩০ এর পর বাচ্চা নেয়া ঝামেলা।তাছাড়া বেশি শিক্ষিত মেয়ে স্বামিকে দাম দেয় না ।আমরা কিছু বলতে পারিনা কারন,আমরা কনে পক্ষ ।
এই মানসিকতা পাল্টানোর আশাও করি না , লাভ নেই ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১১

রাগ ইমন বলেছেন: হ্যাঁ, এই কথাটা প্রায়ই শুনতে হয় । দুঃখজনক ব্যাপার হয়ত দেখা যাবে , আগে বাবা মাই মানা করেছেন প্রেম করতে , এখন নিরুপায় হয়ে তারাই আবার বলছেন এই সব কথা ।

আপনার আপা তার যোগ্য সঙ্গী খুঁজে নিতে পারুন, এই দোয়া করি। সত্যি কথা বলতে কি, ঘটক দিয়ে তিরিশের পরে বিয়ে খুবই কঠিন। বরং, আপা যদি নিজে থেকে কাউকে খুঁজে নিতে পারেন ভালো হয়। তার জন্য বিশুদ্ধ পরিবেশে মানুষের সাথে মিশতে বলুন। দাওয়াতে যান, নিজেরা দাওয়াত দিন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বেড়ান, মানুষের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দিন , করে নিন। তাছাড়া , একটা বয়সের পরে মন মানসিকতায় মিল দেখে বিয়ে না করলে সংসার করা খুব কঠিন হয়ে যায়।

৫১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৭

শাম্মা বলেছেন: ভাল লাগলো। অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১১

রাগ ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ শাম্মা।

৫২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩১

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: বাঙালের মন্তব্যে একমত।
উপরের ৪৬ মন্তব্যের দোহাই দিয়ে তার মন্তব্যকে হুটহাট করে ফেলা মন্তব্য হিসেবে অবহিত করাটাও একপ্রকার স্বৈরাচারী আচরন।

লেখার কন্টেন্ট অনুযায়ী পারফেক্ট শিরোনাম হত ''তিরিশ ছুই ছূই- বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ে।''
কেননা এইখানে তো মেয়েদেরকেই ভিক্টিম হিসেবে দেখানো হয়েছে। পুরুষ যে ৪০ এর ভাম হলেও ১৮ পায় হিসেবে দেখানো হয়েছে।
সম্পুর্ন বিপরীত কিছু দৃশ্যও যে আছে, বেটা মানুষও যে এমন ঝামেলায় পড়ে বিয়ে করতে করতে ৩৫+ হয়ে যায় এবং তার পরে কনে খুজে মনে এমন উদাহরন তো প্রচুর। সেই দিকে একটুও আলো নেই লেখায়।
ছেলে ডাক্তার, ইন্জি, বিদেশী আর্মি না হলে তাকে বিয়ে নিয়ে যে কত হ্যাপা পোহাতে হয় !

লেখার শিরোনামটা মেয়েদের বিয়ে নিয়ে হলে আমার এই মন্তব্য অবান্তর হত, কেননা বলেই্ দেয়া যে মেয়েদের তিরিশ ছূই ছুই বিয়ে নিয়ে বলা। কিন্ত এখানে মেয়ে ছেলে সবাইকে নিয়ে লেখা হয়েছে দাবী করাতেই বলতে হল।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২১

রাগ ইমন বলেছেন: খুব অবাক হলাম। বাঙ্গালকে আক্রমন করা হয়নি যে এমন ডিফেন্সিভ মন্তব্য করতে হবে । নিজের দৃষ্টিটাই সঠিক নাও হতে পারে , একটা লেখাকে অন্তত আরো ৯ ভাবে দেখা যায় , এইটা কি নিজে ভুলে গেলেন?

বাঙ্গালকে অন্যদের মন্তব্যের কথা বলা হয়েছে যাতে অন্যরা লেখাটাকে কি ভাবে দেখছেন, সেইটা তার বিবেচনায় আসে । আপনাকেও সেই অনুরোধ থাকলো ।

রজ্জুতে সর্প ভ্রম না হয়ে যায় ।

ছেলেদের বয়স বেশি হলে তাদের আকাঙ্খার "ঐশ্বরিয়া"কে হয়ত পাওয়া হয় না , কিন্তু কোন ছেলের বিয়ে আটকে থাকে না । উপরে , পড়ে দেখুন , ১০ বছরের ছোট শ্বাশুড়ির কন্যাও পাওয়া যায় বিয়ের জন্য ।

অপর পক্ষে , মেয়েদের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।

যে দেশে এখনো ছেলেরা বিয়ে করে আর মেয়েদের বিয়ে হয় ( দুই চারটা ব্যাতিক্রম নিয়ে মহা খুশি হতে পারলাম না বলে দুঃখিত) , যে দেশে কন্যা এবং কন্যা পক্ষের ক্ষমতার ব্যালেন্স সব সময় অর্ধেকের কম আর এখনো সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে কন্যাকে স্বামীর বাড়িতে গিয়েই উঠতে হয় --- সেখানে ছেলেদের ভিকটিম ভাবাটা একটু কষ্ট বই কি !

৫৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৬

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: বাঙালের মন্তব্যের জবাবে কি হাস্যকর কনফিউজিঙ জবাব।

একলা আপনার কেন মনে হল পুরুষ ভিলেইন?
বাঙালের পুরুষকে ভিলেইন মনে হবে কেন? তার মনে হয়েছে আপনি পুরুষকে ভিলেইন হিসেবে দেখিয়েছেন।


'আর যে তিনটা মেয়ের কথা বলা হয়েছে , সেখানে তাদের পরিবারের কান্ডকীর্তিও বর্ননা করা হয়েছে যেখানে বাবা (পুরুষ) এবং মা (নারী) দুজনেই আছেন।''

হা হাহ..না হেসে পারা গেল না, বাবা'র চরিত্রে পুরুষ এনেছেন। তাতে করে পুরুষদের ভিলেইন চিত্রায়নের অভিযোগ খন্ডন হয়ে গেল?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২৯

রাগ ইমন বলেছেন: আপনার নিজের যদি মনে হয়ে থাকে পুরুষকে ভিলেন দেখানো হয়েছে , সমাজকে নয় , এবং পরিবার জিনিসটা যে পুরুষ আর নারী দিয়ে তৈরী (বাবা মা দিয়ে তাই বুঝিয়েছি) আর পরিবার দিয়ে তৈরী সমাজ - এই সহজ জিনিসটা যদি না বুঝে থাকেন - তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই ।

প্রচন্ড অবাক হয়েছি , বাঙ্গালের হয়ে আপনাকে উত্তর করতে দেখে তাও আবার এত রেগে মেগে । এত পার্সোনালি নিচ্ছেন কেন?

আপনি ব্যতিক্রমী পুরুষ হতে পারেন , কিন্তু " যেই সব পুরুষ" কে ভিলেইন হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে আপনার মনে হচ্ছে , সেই সব পুরুষ কি বাংলাদেশে অনুপস্থিত?

এই পোস্টে কোন মিথ্যা তথ্য আছে ?

পুরুষের কোন সমস্যা নেই , এই দাবী কোথাও করা হয়নি । আপনার যেহেতু মনে হয়েছে পুরুষকে ভিলেইন বানানো হয়েছে , দয়া করে ব্যালেন্সিং একটা পোস্ট দিয়ে দিন । বেশি বয়সী পুরুষদের কি কি সমস্যা হয় , সেইটা নিয়ে আমি লিখতে পারবো না , আমার এই ব্যাপারে কোন অভিজ্ঞতা নেই- অন্তত আপনি যে রকম বলতে চাইছেন সেই রকম।

আমার পরিচিত বেশি বয়সে যে সব পুরুষ বিয়ে করেছেন, তাদের কারো কোথাও বয়স নিয়ে কোন সমস্যা হয়নি।

৫৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫১

কীটনাশক বলেছেন: যথার্থ বলেছেন, সঠিক শিক্ষার অভাব।এ সময়ের ও অনেক সেকুলার পরিবার ছেলের জন্য কম বয়সী ছোট্র বউ আশা করেন।ছেলের পরিবার যেমন বলবে ছোট্র মেয়েটি তেমন চলবে।তার নিজস্ব কোন মতামত থাকবে না,একটা পুতুল হয়ে থাকবে । যেটা পরিনত বয়েসের একজন মুক্তমানুষের পক্ষে সম্ভব নয়(পুতুল হওয়া)। অনেক বন্ধুকে দেখেছি উচ্চতর ডিগ্রীধারি হয়েও যারা চুড়ান্ত মানসিক নির্যাতন সয়ে যাচেছন শুধুমাএ বেশি বয়সে বিয়ে হওয়ার জন্য।

লেখাটি অনেক ভালো লাগলো।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩২

রাগ ইমন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।

আমার কেন যেন মনে হয় , আমাদের সমাজটা এখনো প্রচন্ড ভাবে সামন্তবাদী , আগ্রাসী । এখানে শিশু ও নারীর কোন ব্যক্তিত্ব , সিদ্ধান্ত , স্বাধীনতা বলে কিছু নেই । পুরুষই ঠিক করে দেয় নারী কতটুকু স্বাধীনচেতা হবে । আর বাবা মা ঠিক করে দেয় বাচ্চার কি ভালো লাগবে আর কি ভালো লাগবে না । যেন, বাচ্চারা, ক্ষেত্রবিশেষে নারীরাও অনুভূতিহীন জড় পদার্থ।

৫৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৪

রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: ১। এইসব ভাইবোনরে উচিত ছিল আগেই বিষ খাওয়াইয়া মাইরা ফালানি।

২। এইক্ষেত্রে কিছু বলার নাই। উনার ক্যারিয়ার উনি দেখবেন। বিয়া করাই জীবনের সব না।

৩। এইক্ষেত্রেও কিছু বলার নাই। উনার ক্যারিয়ার উনি দেখবেন। বিয়া করাই জীবনের সব না।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৪

রাগ ইমন বলেছেন: বিয়ে যারা করতে চায় না , তাদের জন্য তো সমস্যা নেই । কিন্তু যারা করতে চায় এবং প্রচলিত নিয়মেই করতে চায় , তাদের অবস্থা কি হয় তাই বলেছি ।

আপনি আছেন কেমন? রাশিয়াতে চানাচুর পাওয়া যায় ?

৫৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০১

সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: লেখাটা পড়ে আমি ঠিক কোন দলে, বোঝার চেষ্টা করলাম! সামাজিক প্রেক্ষাপট আমার/আমাদের সাপোর্টে না , এটা এখন ভালোই বুঝি! হয়তো "বখাটে" মেয়ে ট্যাগ হয়েই গিয়েছে......
একটা বয়স থেকে নাকি মেয়েদের বিয়ের জন্য নিজেকে তৈরী করতে হয় , যত্ন নিতে হয় ...... দাদী বলেছে। দাদী আমাকে নিয়ে বিশেষ চিন্তিত কিনা... চুলে তেল দেইনা , রূপচর্চা করিনা... ব্লা ব্লা ব্লা ~ এতো কেন কাজে বাইরে থাকি ?...... মেয়েরা হবে শান্ত ভদ্র নম্র , গলার আওয়াজ শোনা যাবেনা !! :-)

বিদ্রোহী হয়ে লাভ হয়না আপু, একসময় সমাজের কাছে আত্মসমর্পন করতে হয়!! আমাদেরি বানানো সমাজ ...... কোন ইসলামিক রুলস কেউ দেখাতে পারবেনা বয়সের , তারপরও অল্প বয়সী তরুনীই প্রধানতম চাহিদা !
"কেউ খাদিজা (রাঃ) চায়না নিজের বেলায়, সবার পছন্দ আয়শা "


০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৮

রাগ ইমন বলেছেন: সেইটাই রে আপু , সেইটাই ।

নিজের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে দাদীর সাথে তাল মিলাইলাম । নাহ , বোন, পুরুষের বা স্বামীর জন্য সাজুগুজু করতে বলছি না , নিজের জন্য সাজেন। নিজের জন্যই সুন্দর টিপ টপ রাখেন নিজেকে ।

এত্ত দামী একটা শরীর , একটাই জীবন , হেলা ফেলায় নষ্ট করা কি ঠিক?

ইসলাম এখন আর কেউ পালন করে না । নিজেদের ইচ্ছামত একটা কিম্ভুতকিমাকার বানিয়ে নিয়েছে, সেইটাই পালন করে ।

৫৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১০

সাইফুর বলেছেন: আমাদের সিসটেমই এমন হয়ে গিয়েছে

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৯

রাগ ইমন বলেছেন: তোর বিয়ার সময় কি করবি ? কচ্ছপের বয়স কেমন হওয়া উচিত ?

৫৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১০

রাতমজুর বলেছেন:
হ, একটা পিচ্চি চাই খুব, বাট বিয়া করতে ডরাই :)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৪১

রাগ ইমন বলেছেন: আচ্ছা , আমার বাচ্চার বেবি সিটার হিসেবে তোর চাকরী পাক্কা । হইলো ?

৫৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৭

বহুরূপী মহাজন বলেছেন: বাপরে, বিয়া নিয়া কি কেলেংকারি!! সিঙ্গেলই ভালা

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৪২

রাগ ইমন বলেছেন: আরে বিলাই মহাজন ভাই , কত্তদিন পরে দেখলাম, কেমন আছেন ভাইজান?

৬০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৪৯

সাইফুর বলেছেন: খিক খিক:) কচ্ছপের তো বয়স কোন ব্যাপারস না :P

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০৮

রাগ ইমন বলেছেন: তাই নিকি ?

৬১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৬

রাতমজুর বলেছেন: ভিসা পাডান :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০৮

রাগ ইমন বলেছেন: আচ্ছা

৬২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০২

বহুরূপী মহাজন বলেছেন: আই গুড...ইউ গুড??!!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০৯

রাগ ইমন বলেছেন: ভেলি গুড

৬৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৩

অলস ছেলে বলেছেন: সুন্দর লেখা। ধন্যবাদ।
আমি যা ভাবছিলাম, বাঙ্গাল তাই বলে দিয়েছেন।
আর, মেয়ে এখন হয়তো অনেক, কিন্তু বিয়ে করার জন্য ভালো মেয়ে পাওয়াও আরো অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০৯

রাগ ইমন বলেছেন: ভালো মেয়ের সঙ্গা কি ?

৬৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০১

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আমি মোটেও রেগে মেগে উত্তর দিচ্ছি না। বরং আপনাকে রাগতে দেখে অবাক হচ্ছি।
বাঙালের মন্তব্যে জবাবের প্রতিক্রিয়ার চেয়েও যে কারনটি আমার মন্তব্যে বড় হয়ে এসেছে তা হল শিরোনাম। আপনার পোষ্টের শিরোনামে এটি তিরিশ ছু্ই ছুই বাংলাদেশের বিয়ে নিয়ে, এখানে কিন্তু পাঠক দেশীয় বিয়ের দুই পক্ষীয় রুপই আশা করবে। কিন্তু আপনি লিখেছেন মেয়েদের দিক বিবেচনায় রেখে, মেয়ে ভিক্টিমদের নিয়ে। আমি বা অন্য কেউ পুরুষ নিয়ে লিখতেই পারে। যেমনটা আপনি মেয়ে নিয়ে লিখেছেন বলে বলেছেন। আমার কথা হচ্ছে, আমি যদি এখন পুরুষ ভিক্টিম করে লিখি, তবে শিরোনামটাতে অন্তত গনহারে বাংলাদেশের বিয়ে লিখে দিব না। যেহেতু আমার টপিক সীমাবদ্ধ থাকবে।

এনিওয়ে, ওত সিরিয়াসলী নিবার কোন কিছুই নাই।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১২

রাগ ইমন বলেছেন: মেয়েরা যেহেতু শুধু মেয়েদের বিয়ে করে না, তাই শিরোনামে মেয়ে লাগাই নাই । আপনার ভিন্ন মতকে শ্রদ্ধা ।


কেউই যেহেতু রাগি নাই , তাহলে আসেন একটা জিনিস একটু বুঝি , এখানে একলা নারী বা পুরুষকে ভিক্টিম বা ভিলেইন করা হয়নি । প্রক্রিয়াটার সাথে পুরো সমাজ জড়িত । দায়ী করলে পুরো সমাজই দায়ী ।

অবস্থাটার সাথে নারী পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গী জড়িত ।

৬৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৬

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ৩ নম্বর ঘটনাটার প্রত্যক্ষদর্শী আমি ।
বাস্তবতার নিরীখে লিখেছেন ।
হতাশাজনক :(

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১৪

রাগ ইমন বলেছেন: নির্মম বাস্তবতাটা এইখানে যে দেরী নারী, পুরুষ উভয়েই করে কিন্তু বিয়ে করার সময় দুই দল একই রকম চয়েস পায় না ।

মানে একই যাত্রায় পৃথক ফল।

৬৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৪৯

ত্রিশোনকু বলেছেন: "লেখক বলেছেন: হায় হায় , ভয়াবহ অবস্থা !

মেয়ে রাজি হলো কেন ? "


তখন জানতাম না কেন। পরে জেনেছি মেয়েটির অনেক কটি বোন , সে সবচে' ছোট। আগেরগুলোকে পার করতে গিয়ে পরিবারটি নিস্ব হয়েগিয়েছিল। তাই দোজবরেই মেয়ের বাবা রাজী। মেয়েটিও বোধ হ্য় বাবা মাকে চাপ দিতে চায়নি।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১৫

রাগ ইমন বলেছেন: সেই টাই , বিয়ে নামক সিদ্ধান্তের পিছনে কত না বিচিত্র কারন লুকানো থাকে , আমরা কয়জন তার খোঁজ রাখি ?

৬৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:১৬

বাঙ্গাল বলেছেন: ওহহো...গুল্ডের কথা কইতে ভুইলা গেছি। অইটাই বলতে আসছিলাম...।এই গুল্ড প্রীতি... নারীজাতিকে এমন আচ্ছন্ন করিয়াছে যে... বিবাহ ক রি বার পূর্বে বস্তা খানেক গুল্ড কিনিয়া পূরা শশুড়বাড়ি মুড়িয়া না দিলে...উনাদের মান ইজ্জত খান্দানের প্রতি অস্মমান হইয়া যায়।
আর জবাব কি দিব, রন্টিদা সব বইলা ফেলছেন।
দোয়ার জন্য শুক্রিয়া।শুকনা দোয়া না কইরা একটু কাজের কাজ করলে আরো ভাল হইত।:)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২০

রাগ ইমন বলেছেন: সোনার পলিটিক্সটা একটু ভিন্ন । খেয়াল করবেন , নারীর প্রাপ্য মোহরানা থেকে সোনার গয়নার অংশটা বাদ যায় । সোনা এখানে সব সময় স্টাটাসই না কিন্তু , সিকিউরিটি মানিও ।
কয়জন নারী বাঙ্কিং করে ? কয়জন ব্যাংকে টাকা রাখে? একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন, ঐতিহ্যগত ভাবে বাংলাদেশে পুরুষ সঞ্চয় করে জমি কিনে আর নারী সঞ্চয় করে সোনা কিনে । পরিবারের আপদে বিপদে এই গহনা গুলোই কিন্তু বিক্রি হয় টাকার যোগাড় করতে ।

এই ব্যাপারে আমি গোল্ড কেনা ( গয়নাই হোক আর বার) কে খারাপ বলবো না । টাকার ডিভ্যালুয়েশন হয় , গোল্ডের তেমন একটা না ।

তবে , পরে বেরানোর জন্য গোল্ড তেমন একটা কাজের মনে হয় নাই কখনো , অন্তত আমার ।

৬৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৯

সিংহ বলেছেন: @Writter, Apner argument ta dhorte perechi. Eta thik je amar 99% er moddhay khub kom school/ college pore. Tarporo boli.

Ami Pass korechi 14 years holo. Ajkalkar school college er student er sathe kotha bolle to dekhi alomost 50% er Boy/girl friend ache. Tara je Life perception niye boro hocche ta valo na kharap seta onno subject, tobe tara to mone hoyna eirokom kono backdated value ekhono maintian kore. Jug je change hoyeche kichuta eta kintu mante hobe apnake. Ki bolen. :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২৪

রাগ ইমন বলেছেন: আমি সামান্য ভিন্ন মত দিচ্ছি । আজকাল প্রেমিক প্রেমিকা হওয়ার ঘটনা বাড়েনি , সহজ হয়েছে । আগে গোপনে থাকতো , এখন প্রকাশ্যে থাকে । প্রেমে পড়া সহজ হয়েছে যোগাযোগ সহজ হয়েছে বলে । প্রেম করা সহজ হয়েছে একই কারনে । তাই বলে বিয়ে নিয়ে মানসিকতার পরিবর্তন হলেও খুব অল্পই হয়েছে ।

তবে এইটা ঠিক, আমাদের প্রজন্মের মানসিকতা বদলে গেছে বাবা মায়ের প্রজন্মের চেয়ে । সংঘাতটা এখানেই । বাবা মা এর কারনে ছেলে মেয়েরা অনেক কিছু বুঝলেও সেইটার এপ্লিকেশন তেমন দেখা যাচ্ছে না ।

দেখেন, আমরা মহা বিপ্লবী হইলেও পরিবারের বিরুদ্ধে বিপ্লব করি হাতে গোনা ।

৬৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৫

যীশূ বলেছেন: বিপদে আছি। এমুন বিপদ হবে আগে বুঝি নাই। :(

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২৪

রাগ ইমন বলেছেন: কেন ? কি হলো ?

৭০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:৫৬

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: good post...

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২৫

রাগ ইমন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

৭১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:২৩

অন্যরকম বলেছেন: আন্টিকে একপিস সিভি ফরওয়ার্ড করতে চাই.. /:)
কেমনে করমু??? :|

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২৫

রাগ ইমন বলেছেন: এই ব্যাপারে আমার কিছুই করার নাই ।

৭২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৮

মেঘ বলেছেন: একটাই বাক্য বলি সবাইরে "ভাই ও বোনেরা যাদের বিবাহ হয় নাই, দয়া করিয়া প্রেম করেন। হয়তো প্রেমিক / প্রেমিকাকে বিয়ে করতে পারবেন না কিন্তু নিজের টেস্ট বুঝবেন"।
এত মন্তব্য পড়া সম্ভব হলো না।
ইমইন্যা বাটকুকে বাটকু বলিও না :) - আমার জামাই আমার চাইতে শর্ট, আমি তো তারে ঠিকই ঘরে তুলছি!:) কারণ সে একজন ভালো মানুষ:) আমার মতো মাথা গরম না।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২৮

রাগ ইমন বলেছেন: া হা হা হা হা হা , আমি জানতো ? সাড়ে পাঁচ ফিট । আর কিছু কইলাম না ।

শরীর এর সৌন্দর্য্য টানে পরে তাই এইগুলা নিয়ে আমার ঝামেলা নাই ।
যাদের প্রত্যাখ্যান করেছি তাদের মন মানসিকতায় নোংরামি ছিলো কিন্তু তাদের কেউ কেউ গরিবিয়ানার অজুহাত তুলে নিজের চরিত্র বাঁচায় ।

হা হা হা হা হা হা হা হা হা

৭৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৮

জানজাবিদ বলেছেন: আরেকটা ব্যাপার বলা দরকার, ৪০ বছরের পুরুষ চাইলেই ১৮ বছরের কচি মেয়ে বিয়ে করতে পারে। কিন্তু ৩০ বা ৪০ বছরের নারী যদি ১৮/২০ বছরের পাত্র পেয়েও যায়, তাহলেই কি বিয়ে করবে? এখানে রুজি রোজগারের একটা ব্যাপার আছে। শুধু রুজি রোজগার কেন, চাহিদা তো আরো অনেক বেশী। বাড়ি-গাড়ি-'লাখ টাকা বেতন' ইত্যাদি ইত্যাদি (বাঙ্গাল যেভাবে বলেছেন)।

পুরুষরা চিরকাল বেকার মেয়ে বিয়ে করে আসছে কিন্তু নারীদের মাঝে বেকার ছেলে বিয়ে করার প্রবণতা এখনো দেখা যায়না। যেদিন এই প্রবণতা চালু হবে সেদিন ৩০ ছুঁই ছুঁই মেয়েদের বিয়ে হতে আর কোন সমস্যা হবেনা।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৪

রাগ ইমন বলেছেন: তার আগে একটা কথা জিজ্জেস করি , একজন ১৮/২০ ছেলেকে দেখান যে কিনা ৩০/৪০ এর মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছে ।

আমার জানা মতে একটি মাত্র ঘটনা মনে পড়ছে , একজন কাঠমিস্ত্রীকে একজন রিটায়ার্ড শিক্ষিকা বিয়ে করেছিলেন। হার্ট এটাকে মৃত্যু হলে তাঁর নিজের প্রবাসী সন্তানেরা ঐ মিস্ত্রীকে সদলবলে চাবকে শায়েস্তা করেছিলো।

মায়ের একাকিত্ব, মিস্ত্রীর দারিদ্র মিলে গিয়েছিলো --- এটা কেউই বিশ্বাস করেনি --কিন্তু সন্তানেরা সৎ বাবাকে অসৎ খুনি সাব্যাস্ত করে শাস্তি দাবী করে ।

১৮/২০ রা ৩০/৪০ এর প্রেমে পড়ে জানি, আবেগের বশে বিয়েও করতে চাইতে পারে কিন্তুা দায়িত্ব নেওয়ার যোগ্যতা কি ১৮/২০ বছরের ছেলেদের হয় ? আপনিই বলেন।

৭৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৭

শিরোনামহীন বলেছেন: হু নোজ বেটার দ্যান মি.......?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৬

রাগ ইমন বলেছেন: হা হা হা হা হা , যারা জানে না , তারা আমাকে পুরুষ বিদ্বেষী ঠাউরেছে ।


আরে ব্যাটা , বিদ্বেষই যদি থাকে তাইলে পুরুষ বিয়ে করতাম?

৭৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৯

শিরোনামহীন বলেছেন: তুখোড় এই মেয়েগুলোকে দেখে প্রচন্ড কষ্ট লাগে । সবার কি আর সময় আছে নিজের সঙ্গী নিজেই খুঁজে নেওয়ার? না বাংলাদেশে সেই পরিবেশ আছে ? আমরা আমেরিকা যা করে তার সবই করি , খারাপ অর্থে , কিন্তু বড় হয়ে ওঠা শিক্ষিত ছেলে বা মেয়েটি দু'চার দিন কারো সাথে কথা বলুক, মিশুক , নিজের জীবন সঙ্গী খুঁজে নিক, এটা আমরা কেউই চাই না । আমরাই বদনাম করে ভাসিয়ে দেই । পাশাপাশি যারা নিজেরা মুক্তমনা , তারাও সামাজিক চাপে পড়ে অনেক কিছুই করতে পারেন না । কারন , আমরা রোযা রমজানে মাথায় কাপড় দেওয়া নিয়ে সমালোচনা করি । নামায , রোযা না করলে পিটিয়ে ছাতু করতে চাই। চারটি বিয়ে জায়েজ বলে প্রচন্ড ইসলামী হয়ে উঠি। আমরা ভীষন ধর্মপ্রান বলে গর্ব করি , করতে পছন্দ করি। কিন্তু মোহাম্মদ (সাঃ) এর দেখাদেখি খাদিজাকে বিয়ে করতে চাই না , সবাই খালি আয়েশা খুঁজি ----------------------------------------------------------------------------


তোমার সমস্যা কি? এতো বেশি সত্যি কথা বলো কেন?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৭

রাগ ইমন বলেছেন: সত্য কথায় মানুষ বেজার

৭৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:৪৭

নুশেরা বলেছেন: লেখক বলেছেন: সত্য কথায় মানুষ বেজার :(

না রে রাগু, দারুণ খুশি হইসি। দুর্দান্ত কাজ করসো। স্যালুট!

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৫০

রাগ ইমন বলেছেন: হয় রে আপু হয়। দেখেন না ? দশচক্রে ভগবান ভূত এর মত আমাকে পুরুষবিদ্বেষী অপবাদ দেওয়ার তোড়জোড় ?

অথচ "বিয়ে" নামক এই লম্বা প্রক্রিয়াটাতে পুরুষ ও নারী উভয়েই ভীষণ ভাবে জড়িত । দায়ী হলে সকলেই তো দায়ী ! এই সোজা জিনিস দেখেও না দেখার কান্ড দেখে হাসতেই আছি ।

৭৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

কাব্য বলেছেন: সবার কি আর সময় আছে নিজের সঙ্গী নিজেই খুঁজে নেওয়ার?

:( :( :( :(

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৫১

রাগ ইমন বলেছেন: যারা শিক্ষা জীবন শেষ করে কাজ করছে, তাদের জন্য বাংলাদেশ একটা নরক । একমাত্র উপায় হলো সামাজিক অনুষ্ঠান । এর বাইরে কোন ভদ্রস্থ জায়গা পাবেন না যেখানে একটু সম্মানের সাথে কোন নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হবেন ।

৭৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬

দ্যা ডক্টর বলেছেন: আমার বউ আমার সমবয়সী বলে যদি অন্যদের ভালো না লাগে তাহলে তো বেঁচেই যাব :)

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৫২

রাগ ইমন বলেছেন: া হা হা হা , খুব মজার মানুষ তো আপনি!

৭৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই ব্যাপারে একখান জ্ঞান গর্ভ পেপার বানাইলে কি স্কলারশীপ পাওন যাইবো য়ুরূপে? জানাইলে আজ্ঞা হয়!


তবে পুরা পোস্টে একখানই প্রতীয়মান: মাইয়ারাই মাইয়াগো শত্রু..।যখন মুরুব্বী হয় তখন এমুন নিয়ম করে যে পরে মাইয়ারাই সময় কালে সেই ফেরে পড়ে!

মাইনাস!

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:০২

রাগ ইমন বলেছেন: একদম ঠিক কথা । তো এখন বলো , তোমার মা তোমার বোনের শত্রু নাকি তোমার বোন তোমার মায়ের?
নাকি দুজন মিলে অন্য কোন মেয়ের?

প্রচুর ফাউল কথার মধ্যে এইটাও একটা পুরুষের দোষ ঢাকার জন্য ফাউল কথা । আমি আজ পর্যন্ত শুনিনি , কোন গৃহকর্ত্রী কোন কাজের মেয়েকে পিটিয়েছেন বলে বাড়ির গৃহকর্তা পুরুষটি রুখে দাঁড়িয়েছেন , ডিভোর্সের হুমকি দিয়েছেন আর "মহিলা বউটি" সেটিকে পাত্তা না দিয়ে পিটিয়েই চলেছেন । হর হামেশা খবরে অবশ্য কর্ত্রীর কথাই ফলাও করে প্রকাশ করা হয় । বাড়ির পুরুষটি সুবিধাবাদী শয়তানের মত চুপ করে কি করছিলেন , সেইটা জানা হয় না ।

এই যেমন , ৭১ এর পর থেকে এখন পর্যন্ত জিয়া পুরুষ প্রেসিডেন্ট নন, খন্দকার মোস্তাক পুরুষ দালাল খুনী নন, এরশাদ ( যার লুলামি দুনিয়া জোড়া কুখ্যাত) পুরুষ স্বৈরাচারী নন , গো আ পুরুষ শুয়র নন, নিজামী পুরুষ রাজাকার নন,

কেবল হাসিনা আর খালেদা হইলো " দুই মহিলা " যাদের কারনে দেশের আজ এই অবস্থা ।

বেকুবের মত যেখানে সেখানে "জেন্ডার " বিদ্বেষ প্রকাশ করার আগে একটু বুঝে নিলে ভালো হইতো না যে কার মা আর বোনের অপমান হবে? সেইটা নিজের কিনা?

৮০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৭

জইন বলেছেন: কঠিন সত্য.........

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:০২

রাগ ইমন বলেছেন: হ

৮১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৪

এহসান জুয়েল বলেছেন: মেট্টিক পাম করছি একযুগ আগে। মা-বাপ বিয়ার নাম মুখেও লয়না।........

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:০৩

রাগ ইমন বলেছেন: সংসার যেহেতু নিজেই করবেন, খোঁজার কাজ নিজেই শুরু করেন। পরে তারাও যুক্ত হবেন আশা করি।

৮২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৫

নাজনীন১ বলেছেন: @ জানজাবিদ, বেকার মেয়েরা মানে গৃহিণীরা ঘরের সব কাজ করে।

বেকার ছেলেরা ঘরের সব কাজ করার মন-মানসিকতা কি তৈরী করেছে? তাহলে হয়তো চাকুরীজীবি মেয়েরাও রাজী হতো। :(

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:১৪

রাগ ইমন বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ! এই একটা কথার কথা বলছেন নাজনীন ।

ঘর জামাই শব্দটার প্রতি যেই পরিমাণ ঘৃণা ঢালা হয় , মাঝে মাঝে মনে হয়, ঘর বউ হিসেবে সেই অপমান গায়ে মেখে বাংলাদেশের সব মেয়ে যদি আজকে " ঘর বউ " থাকবো না , উপার্জন করে খাব পণ করে বসে তাহলে " গৃহকর্মে সুনিপুণা" বউ প্রার্থী পুরুষ গুলার কি হবে আর বাচ্চা কাচ্চা গুলা কার আদরে , যত্নে বড় হবে?

আরেকটা কথা চিন্তা করেন , এখনো বেশির ভাগ পরিবারে আশা করা হয় চাকুরিজীবী মেয়েটা বাসায় ফিরে সংসারের সব কাজ কর্ম করবে । বাইরে কাজ করে বলে ঘরের সাহেব যেমন বাড়ি ফিরেই চায়ের কাপ নিয়ে টিভির সামনে বসে যায়, চাকুরি করার অজুহাতে এই আরাম চাইবার সুযোগ কিন্তু মেয়েটির নেই!!!

আমার প্রজন্মের অন্তত আশে পাশের কিছু ছেলেকে দেখে আশাবাদী হই। এরা পুরনো ধ্যান ধারনা ভেঙ্গে বেরিয়ে এসেছে । দুইজন হাত লাগিয়ে যখন সংসারের কাজ গুলো করে , তখন খুব ভালো লাগে । সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য এটা যে কত জরুরী !

৮৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৬

নাজনীন১ বলেছেন: ভুল ইমো হয়েছে, এটা হবে :)

৮৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫১

বাঙ্গাল বলেছেন: ৬৭। লেখিকা বলেছেন কয়জন নারী বাঙ্কিং করে ?
হাসাইলেন...আপনার কেস স্টাডিগুলান যেইসব "তুখোড় মেয়েদের" তাদের সবাই তো ব্যাঙ্কিং করে। এখানে ব্যাঙ্কিং, সিকিউরিটি ও ঐতিহ্য নিয়ে এসে জলঘোলা করার কি দরকার? সোজা হিসাবে স্ট্যাটাস, লোভ আর ঘিনঘিনে তাক্লাগানোর প্রতিযোগিতার কথা এড়িয়ে যাওয়া হলো না?

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:২৮

রাগ ইমন বলেছেন: তুখোড় মেয়েরা নিজেদের গয়না নিজেই কিনে নেয় । জামাই এর জন্য বসে থাকে না ।

স্ট্যাটাস , লোভ , ঘিন ঘিনে তাক লাগানোর প্রবনতা আমি নারীতে বেশি পুরুষে কম দেখিনি । আঈটেমের নাম ভিন্ন হতে পারে , কিন্তু জেন্ডার বিভেদ নেই এইসব ঘৃণ্য প্রবনতায় । আমাদের সমাজে যদি এই ধরনের লোভী , স্ট্যাটাসমুখি, তাক লাগানোর স্বভাব ওয়ালা নারী পুরুষের সংখ্যাই বেশি হয় তাহলে তাদেরকে --- " ব্যাঙ্কিং , সিকিউরিটি , ঐতিহ্যের " ধুয়া তুলে আমি রক্ষা করতে যাব কেন?

যা সত্যি তাতো সত্যিই । নোংরা হলেও সত্যি ।

আমার কেন যেন মনে হচ্ছে , পোস্টের বক্তব্য বা আমার বক্তব্য না বুঝে আপনি ক্রমশ পুরো ব্যাপারটাকে " নারী -পুরুষ" দ্বন্দ্বে নিয়ে যেতে চাইছেন । সরি , পাতা ফাঁদে পা দিলাম না ।

আপনার ফোকাস নারী ।

আমার ফোকাস সমাজ ।

দুইটা ভিন্ন ফোকাস নিয়ে তর্ক চলে না ।

বিয়েতে একটা পাত্রীর পেছনে যেমন সম্পূর্ন একটা পরিবার থাকে , সেই রকম একটা পাত্রের পেছনেও তার পরিবার থাকে । বিয়েটা দুইটা নারী পুরুষের মিলন না । দুইটা পরিবারের সংযুক্তি । আপনি যেটাকে নারীর মানসিকতা বলে " গোলেমালে চালিয়ে " দিতে চাইছেন সেইটাকে আমি ঐ নারীর পারিবারিক মানসিকতা হিসেবে দেখি । রুচি, চিন্তাধারা, মনমানসিকতা জিনিসটা আমাদের দেশে মানুষ পরিবার থেকেই শেখে , স্কুল -কলেজ থেকে তেমন নয় ।

পরিবার চাইছে না , মেয়েটা একলাই সোনা চাই , সোনা চাই বলে বাড়ি মাথায় করবে --- বাংলাদেশের মেয়েরা পরিবারে এতটা শক্ত অবস্থান এখনো পেয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি না ।

৮৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৫৬

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: পোস্টের শেষের দিকের আহ্বানমূলক কথাগুলো ভালো লেগেছে।
তবে প্রথম দিকের অংশসহ কেইস স্টাডিগুলো ভালো লাগেনি। পত্রিকার 'নারীমঞ্চ' 'নারী পাতা' টাইপের লেখা। একচোখা বয়ান এবং মানুষের সেন্টিমেন্টকে সহজে উত্তেজিত করার পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে।
কযেকদিন ধরে হন্যে হয়ে এই লেখাটা খুজেছি। পোস্টের টাইটেল এবং লেখকের বড় নাম মনে থাকায় অন্যের ব্লগ হাতড়েছি। বড় কমেন্ট করার ইচ্ছে ছিল। ভাবছি এই পোস্টের পতিক্রিয়ায় একটা আলাদা পোস্ট লেখতে হবে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৫৫

রাগ ইমন বলেছেন: তবে প্রথম দিকের অংশসহ কেইস স্টাডিগুলো ভালো লাগেনি। পত্রিকার 'নারীমঞ্চ' 'নারী পাতা' টাইপের লেখা। একচোখা বয়ান এবং মানুষের সেন্টিমেন্টকে সহজে উত্তেজিত করার পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে।
-----------------------

কেইস স্টাডি বলতে আমি যা বুঝি , সেইটা এর ভিতরে পড়ে না । কেইস বর্ননা করা আর স্টাডি করার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ - অন্তত আমি তাই জানি ।

" একচোখা ও উত্তেজনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে " - অভিযোগটা খুব গুরুতর , হালকা না । কেন বললেন , এই লেখাটা কি কারনে এক চোখা , আর উত্তেজনাই বা কেমন করে সৃষ্টি করছে - এই ব্যাখ্যাটা দেবেন আশা করি ।

বুঝিয়ে বললে আমার জন্য জবাব দেওয়া সম্ভব হত ।
---------------------------


নারীমঞ্চ টাইপ --- লেখা বলে নারীদের বড় অপমান করলেন আপনি । সমাজটা সমান অধিকারের হলে , সমান সুযোগের হলে নারীদের আলাদা পাতা বানিয়ে সেইখানে নিজেদের দুঃখ দুর্দশা লিখতে হত না । যারা প্রতিনিয়ত পিষ্ঠ হয় এই সমাজে তারা আর কোথাও জায়গা না পেয়ে ঐ একটা পাতাতেই বিচার চেয়ে কাঁদে , কখনো আগুন ঝরায় ।

বাংগালী যেমন ইংরেজি কিংবা অন্য বিদেশী ভাষার ব্লগ লাখ লাখ থাকার পরেও এই বিশ্বের কাছে নিজেদের কথা তুলে ধরার জন্য একটা বাংলা ব্লগই খোঁজে । তাই না?
------------------------------

আপনার একটা মন্তব্যে আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের প্রশংসা করেছিলাম । সেই চিন্তার সাথে আপনার আজকের বক্তব্য মেলে না ।

৮৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৫৮

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: দূঃখিত
কযেকদিন=কয়েকদিন
লেখকের বড় নাম=লেখকের নাম

৮৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:২৩

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: " শিক্ষিত মেয়েকে নিয়ে এমন বিপদে পড়বো জানলে ইন্টারের পরেই বিয়ে দিয়ে দিতাম" - আন্টির আক্ষেপ শুনে বুকে কাঁপন লাগলো ।

এই স্টাইলেই শুরু হয় নারী মঞ্চের কথামালা। তারপর থাকে গোটাকতক উদাহরণ যা আপনার পোস্টেও এসেছে। আমি 'কেইস স্টাডি' বলেছি বটে, বস্তুত ওটা কেইস স্টাডি না, ঘটনার উদাহরণ। আমার শব্দ প্রয়োগ যথাযথ হয়নি।

পত্রিকার পাতায় নারীদের জন্যে আলাদা পাতা বরাদ্দ রাখা আর বাংলায় আমাদের ব্লগ খুজে বেড়ানো কি একই রকম ব্যপার?
বাংলা ব্লগের সাথে একটা নির্দিষ্ট ভাষাভাষী মানুষজনের তাদের নিজ ভাষায় নিজের কথামালা ও চিন্তা-চেতনাকে ছড়িয়ে দেওয়ার আকাঙ্খা তীব্রভাবে জড়িত। লিঙ্গ নির্বিশেষে বাঙ্গালী জাতির সকলের কাছেই জিনিসটি আকাঙ্খিত।
কিন্তু পত্রিকার নারী পাতা ব্যপারটি একেবারেই সেরকম কিছু নয়।
পত্রিকায় পুরুষের জন্যে কি কোন পৃথক পাতা আছে নাকি কোন পুরুষ সেটার অভাব বোধ করে অনুরূপ পাতা সৃষ্টির দাবী জানিয়েছে কখনো?
তাহলে নারীর জন্যে কেন আলাদা পাতা? কি হবে ওই পাতা দিয়ে?
নিউজ ভ্যালু অনুযায়ী নারীদের খবর অন্যান্য খবরের মতোই প্রকাশিত হচ্ছে রোজ রোজ। সব ব্যপারে নারীদের জন্যে পৃথক ব্যবস্থা রাখার মানষিকতাই নারীকে এগুতে দেয় না। আপনারা সসমস্যার মূলে না যেয়ে লতা-পাতা নিয়ে যতদিন আকড়ে থাকবেন ততদিন নারী পুরুষের পেছনেই পড়ে থাকবে।
বাংলাদেশ আজ ৩৮ বছর হলো স্বাধীন হয়েছে। লাখ লাখ নারী আজ লেখাপড়া শিখে কাজ করে খাচ্ছে। তারা মোটেও সমাজের 'অনগ্রসর অংশ' নয়। বরং যতই তাদেরকে অনগ্রসর বলা হবে ততই তারা মানষিকভাবে দূর্বলবোধ করবে।

আপনার লেখাকে একচোখা বলার কারণ, আপনার কাছে আমি পত্রিকার মতো লেখা আশা করিনি। আপনি সমাজের নানা শ্রেনীর পুরুষ দেখেছেন নিশ্চয়ই। বদমাইশ পুরুষের অভাব নেই সমাজে। আবার বাঙ্গালী নারী যে গত নয় দশকে অভাবনীয় পথ পাড়ি দিয়ে সামনে এগিয়ে এসেছে, তার পেছনেও রয়েছে অজস্র উদার ও প্রগতিশীল পুরুষের সহযোগীতার আন্তরিক হাত; সেটাও আপনার অজানা থাকার কথা নয়। তাই দুটো এক সংগেই মাথায় রেখে লেখা উচিৎ ছিল।
আরেকটা ব্যপার হলো, বিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, বাংলাদেশে নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই অভিন্ন দৃশ্য দেখতে পাবেন (আর্থিক দিক দিয়ে একেবারে অসহায় পরিবারের নারী ব্যতীত )।




আপনি সামগ্রিক অর্থে

১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:২৭

রাগ ইমন বলেছেন: আচ্ছা , কিছুটা বুঝলাম মনে হয় । যদিও পুরোটা নয় ।

দেখুন , নারীমঞ্চকে আমি অনুসরণ করে লিখিনি , আমি যেই জায়গাটা থেকে নাড়া খেয়েছি , সেই ঘটনা দিয়ে শুরু করেছি । তারপরে কিছু স্মৃতিচারন । কারো সাথে মিলে গেলে সেটা কাকতাল মাত্র ।

নারী পাতার সাথে বাংলাব্লগের মিলটা কোথায় বলি । এই মানুষ গুলো ইংরেজিতে লিখতে পারতো , ব্লগ স্পটে লিখতে পারতো (লেখেও কেউ কেউ) কিন্তু তারপরেও নিজস্ব বাংলাব্লগ ( নানান সমস্যায় দুষ্ট হলেও) --- একটা নির্দিষ্ট ভাষাভাষী মানুষজনের তাদের নিজ ভাষায় নিজের কথামালা ও চিন্তা-চেতনাকে ছড়িয়ে দেওয়ার আকাঙ্খা তীব্রভাবে জড়িত--- এই চাহিদাকে পূরণ করে বা করার দরকার হয় ?

উত্তর আপনি নিজেই দিয়েছেন , নিজের ভাষায় , নিজের কথা মালা । ব্লগ এর পার্থক্য হলো ভাষায় - বাংলা না অন্যকিছু । আর নারী পাতার পার্থক্য হলো দৃষ্টিভঙ্গীর - পুরুষের আর নারীর ।

পুরুষ যদি সব কয়টা পাতা দখল করে রাখতে পারে তাহলে তার পুরুষ পাতা দরকার হবে কেন? যে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে তার জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে ব্যালান্স করা লাগে নাকি যে অসুবিধায় আছে তার জন্য ?

আপনি কোন দিন শুনেছেন যে সুস্থ লোকের জন্য আলাদা হাসপাতাল বরাদ্দ রাখা উচিত?

বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির জন্য কোটা লাগে কেন? সে অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় পারবে না বলে তাই তো ? এর মানে কি বাংলাদেশের সবল হওয়ার কোন সুযোগ নাই? বাংলাদেশকে দুর্বল করে রাখার জন্য? নাকি সবল হওয়ার প্রক্রিয়াটা শেষ হয়ে যতদিন না সমান হচ্ছে , ততদিন তাকে একটু বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া?

আপনার বাচ্চাকে আপনি সাঁতার না শিখিয়েই পানিতে ফেলে দেবেন নাকি হাতে ধরে রেখে , শিখতে সময় দিয়ে তারপর হাত ছাড়বেন? নারীপাতার কাজটা তাই । যতদিন লাগে হাতটা ধরে রাখা । নারী যখন সমান সুযোগ নিয়ে নিজের কথা বলতে পারবে , নারীর সমস্যা গুলো যখন সমা সমান হয়ে মানবিক সমস্যায় দাঁড়াবে, সেইদিন নারী নিজেই নারীপাতা বন্ধ করে দেবে । নিশ্চিত থাকুন ।

স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার মেয়ে আর ছেলের বেলায় সমান হলে মেয়েদের বৃত্তি দেওয়া লাগতো? মিনা কার্টুনের জন্ম হতো?


আপনি একটা জায়গায় ভীষন ভাবে ভুল করেছেন । আমার ফোকাস পুরুষ নারী ছিলো না । ছিলো সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী , পরিবারের আচরনে অন্যায় , সমাজ আর পরিবার মিলিয়ে প্রচুর উচ্চশিক্ষিত মেয়ে বিয়ে নিয়ে যেই সমস্যায় পড়ছে তা থেকে আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীর প্রকাশ ।

এক চোখা যদি বলতেই হয় , তাহলে সমাজকেই দায়ী করতে হবে আপনার । আমি তো কোন মিথ্যা কথা লিখিনি তাই না?

নোংরা সত্যিটা হলো , একটা ৩০ বছরের অবিবাহিত মেয়েকে আর একটা ৩০ বছরের অবিবাহিত ছেলেকে সমাজ এক চোখে দেখে না । যদি , আপনি নারী পুরুষ নিয়েই লড়াইটা আগাতে চান , তারপরেও আপনার আঙ্গুল তুলতে হবে সমাজের দিকেই ।

আমাদের সমাজে যেই সমস্যা গুলো রয়ে গেছে , সেইগুলো তুলে ধরাকে আমি এক চোখা কিংবা উত্তেজনা ছড়ানো ভাবি না । সমাজ যদি এক চোখা হয় , তাহলে তাকে বদলানোর জন্য উত্তেজনার দরকার আছে । সমাজ বদলাকারী উত্তেজনা।

৮৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৫৮

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: আপনার লেখার মতো আমিও উদাহরণ দিতে পারি।
১) আমার এক ফ্রেন্ড। ডেসকো'র সহকারী পরিচালক (প্রকৌশল)। তার উপরের সারির কয়েকটি দাতের মাঝে ফাঁকা জায়গা ছিল। একদিন দেখলাম সেগুলো কি একটা ধাতব তার দিয়ে বাধানো।
>'কি হয়েছে রে?'
>>কিছু না দুস্ত। আজকালকার মাইয়ারা এইসব পছন্দ করে না। কয়েকদফা রিজেক্ট খাওয়ার পর ডিসিশন নিছি এইটা বান্ধাই করুম।
এখন আপনি কি বলবেন যে আউটল্যুকিং কেবল মেয়েদের ক্ষেত্রেই প্রাধান্য পায় আমাদের বর্তমান সমাজে?
আমি কিন্তু একমত নই।

২) এক বন্ধুর জনতা ব্যাংকের অফিসার। মাথায় কিছুটা টাক পড়েছে। তাকে আমরা পাত্রীস্থ করতে পারছি না।
৩) এক বন্ধু বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার। গড়নে শর্ট। পাত্রী নাই।
৪) আমার নিজের বিষয়ে পোস্ট আছে। পড়ে দেখতে পারেন।

আমি প্রাধান্য দেই আমার নিজ চোখে দেখা জিনিসগুলোকে। তাই এই অভিমত।

আপনার লেখাকে একচোখা বলার আরেকটি কারণ এই যে, মেয়েরা বিয়েতে বিশেষ কিছু সুবিধাও পেয়ে থাকে। সেগুলো আপনার নজর এড়িয়ে গেছে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪২

রাগ ইমন বলেছেন: আপনার উপরের মন্তব্য থেকে বুঝলাম যে মেয়েরাও চেহারা দেখে । খুব ভালো কথা ।

কিন্তু তার সাথে আমার পোস্ট " এক চোখা আর উত্তেজনাকারী " হওয়ার সম্পর্কটা কোথায় ?



আপনার আপত্তিটা কোথায় এই পোস্ট নিয়ে আমি এখনো বুঝলাম না ।

সত্যি বলছি এখনো বুঝলাম না । আপনিও কি ভাবছেন এখানে " ছেলেরা ভিলেইন" ?

কেস তিনটা দয়া করে আবার পড়েন । মেয়েগুলার বিয়েতে দেরী হয়েছে কেন?

পড়ে , বুঝে তারপর আমাকে বলেন । এইবার আমি জিজ্ঞেস করতে বাধ্য হচ্ছি , আপনি পড়ার পরে আসলেই কি দুই মিনিট ভেবে দেখেছেন এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আসলে কি তুলে ধরতে চেয়েছি?

তিন নাম্বার কেসটা পড়েছেন ? মেয়েটা বিয়ে করতে পারছেন না তার নিজের বাপ মায়ের "আকাঙ্খিত পাত্র" পাওয়া যাচ্ছে না তাই ।


দুরন্ত , আমি এখনো বুঝলাম না , আপনার আপত্তিটা এই পোস্ট নিয়ে আসলে কোথায় ? আপনার পয়েন্ট টা কি? আমি কোন কথাটা ভুল কিংবা মিথ্যা লিখেছি?

(চরম হতাশ ইমো)

৮৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১৬

রাতমজুর বলেছেন:
প্লাস্টিক সার্জারির লাইগ্যা সরকারি ভাবে ভর্তুকি দেওয়া হৈক। যাগো স্যালারি মাসে লাখের নীচে তাগো সরকারী ভাবে বিয়া ভাতা দেওয়া হৌক। বিয়াতে সরকারি ভাবে গাড়ি, এসিওলা ফ্ল্যাট। নাইলে আমাগো লাহান কাইল্যা প্যাটমোটা বাটকু মাসে টাইন্যাটুইন্যা ৩০/৩৫ হাজার কামাইন্যা অশিক্ষিতগুলার বৌ জুটবো না।
(পত্রিকা আর আশেপাশের নজরদারির ফসল।)

১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:২৯

রাগ ইমন বলেছেন: জুটবে , অনিন্দ্যসুন্দরী , ডাক্তার - ইঞ্জিনিয়ার , শিল্পপতির মেয়ে কিংবা ইমিগ্রান্ট না চাইলেই জুটবে।

৯০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৩৩

রাতমজুর বলেছেন:
অনিন্দ্যসুন্দরী , ডাক্তার - ইঞ্জিনিয়ার , শিল্পপতির মেয়ে কিংবা ইমিগ্রান্ট = কোনডাই চাইতেছি না। একটা মানুষ খুঁজতেছি, পাইনা।

একবার ভাবছিলাম পাইছি, পরে দ্যাখলাম উল্টা আমারে "পাইয়া বইছে" :|

স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়!?

আপনের লগে ব্যাপক মাইরপিট আছে, আইজকা সূচনা মেইল দিছি, কাইল থিক্যা পুরা ওয়ার

১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪৪

রাগ ইমন বলেছেন: আচ্ছা । ভুই পাইলাম ।

আমি তোর ঘটকালি করলে পাইতি হয়ত । আফসুস , আমার পরিচিতারা সকলে এখন মা হইয়া গেছে বা হইবার পথে ।

কি আর করা!

মেইল দ্যাখতাছি ।

৯১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০০

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: আমার মনে হয় আমার বোঝার ভুল হয়েছে কোথাও। আপনারও।
বিতর্ক ঠিক ট্র্যাকে আগায়নি।

দুইজনের যুক্তিগুলোই পড়লাম। আপনার আমার দুইজনের কারো যুক্তই এখন মতমতো হচ্ছে না।

যাইহোক, এই বিষয়টা নিয়ে পড়ে আলোচনায় আসবো। ভালো থাকুন।

৯২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০০

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: আমার মনে হয় আমার বোঝার ভুল হয়েছে কোথাও। আপনারও।
বিতর্ক ঠিক ট্র্যাকে আগায়নি।

দুইজনের যুক্তিগুলোই পড়লাম। আপনার আমার দুইজনের কারো যুক্তই এখন মতমতো হচ্ছে না।

যাইহোক, এই বিষয়টা নিয়ে পরে আলোচনায় আসবো। ভালো থাকুন।

৯৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৪০

একলব্য১৯৭১ বলেছেন: আপা,
পত্রিকায় কিছু বিজ্ঞাপন দেখলে রাগে গা জ্বলে যায়-বিজ্ঞাপনের হেডিংএর ভাষা হচ্ছে-"বিয়ে করে বিদেশ যাবেন?আজই যোগাযোগ করুন"

সায়ানের খুব সুন্দর একটা গান আছে এ নিয়ে যেখানে দোকানের শাড়ি আর বিয়ের কনের মধ্যে তুলনা করা হয়েছে,পারলে শুনে দেখবেন।আপনার লেখাটাও ওই গানের মত হয়েছে।সোজা প্রিয়তে।

৯৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৪

মিনরুল বলেছেন: জবর হইছে বস. ++++++++

৯৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৪

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
বিষয়গুলো বহুল আলোচিত, বহুল সমালোচিত, কিন্তু কি লাভ? নিজের বেলায়, নিজের ছেলেমেয়ের বিয়ের বেলায় পাত্রের অর্থ আর কমবয়সী রুপসী, এখানে এসেইতো সব দাড়ায়। নিকটতম আত্মীয় থেকে, ঘনিস্ট বন্ধু, প্রতিবেশী, এমনকি সুদীর্ঘ প্রবাসী কারোইতো পরিবর্তন দেখলামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.