![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- হোঁচট খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু থেমে যাইনি , হেরে যাব বলে তো, আর স্বপ্ন দেখিনি।
; কিছু কিছু ব্যাপার আছে যা ভাবার সময় অথবা অন্যকে করতে দেখার সময় কিছুই মনে হয় না। মনে হয়, আরে এইটা? এ আর এমন কি? কিন্তু নিজের সাথে ব্যাপারগুলা ঘটলে বোঝা যায়, ঠেলার নাম বাবাজি। লাইফে এই বিষয়টা প্রথমে বুঝি গ্রামের বাড়িতে একবার রিক্সা চালাতে গিয়ে। আমার মনে হয় এর চেয়ে আর কষ্টের কাজ কিছু নাই। কাজের প্রতি রেসপেকট বেড়ে যায় বহুগুন।
ছোটবেলায় শুনতাম চারপাশে মানুষ টাকার পিছনে ছোটে। আমার পাশের বাসায় এক বন্ধু ছিল। তার বাবা ব্যবসা করত। আমি দীর্ঘ ৬ থেকে ৭ বছর তার জন্মদিনের দাওয়াত খেয়েছি, কিন্তু কখনও তার বাবাকে তার জন্মদিনে উপস্থিত থাকতে দেখিনি। মনে হয়েছে, এই রকম কি কেউ হয়? অথচ আমি নিজে বিগত ৫-৬ বছর বাবার জন্মদিনে সাথে থাকতে পারিনি। অদ্ভুত! বাইরে থেকে দেখতে গেলে কেমন যেন লাগে, কিন্তু নিজের বেলায় বোঝা যায়।
টিভিতে দেখেছি মানুষের মারা যাবার শেষ সময়ে ডাক্তার চেষ্টা করে তার বুকে চাপ দিয়ে তার পালস আনার। যতবারই দেখেছি খুবই হাসি পেয়েছে। নিজের চোখের সামনে যখন নিজের বাবাকে এই অবস্থায় দেখেছি। নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি। এখনও সেই স্মৃতিতে মাঝে মাঝে নির্ঘুম রাত কাটাই।
আমার সামনে বন্ধুর মা কে মারা যেতে দেখেছি। বন্ধুর স্তব্ধতা খুব গায়ে লেগেছিল। বাবা মারা যাওয়ার পর, প্রথমেই হাসপাতাল থেকে নেমে সিগারেটে হাত দিয়েছি। কাদাঁর মত শক্তি/ভাবনা/আবেগ কিছুই মাথা থেকে আসছিল না। ভোঁতা একটা অনুভূতি। বুঝেছি চাইলেই কাঁদা যায়না।
অন্য মানুষকে দেখে, ভেবে, অনুসরন করে আসলে নিজের জীবনের সিধান্ত নেয়া যায় না। কিংবা তারা যা করেছে তা বাদ দিয়ে অন্য কিছু করব ভেবেও জীবনে এগোনো যায় না। যা হবার তা উপরওয়ালা থেকে হবেই। কি দরকার খামোকা এত লম্ফ ঝম্প করে বেশি বুঝবার। আমরা আসলে নিজেদের যতই অন্যদের থেকে আলাদা ভাবি, কিছু জায়গায় আমরা সবাই এক।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৫
ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: I m honored and it inspires me. Though I write only my jumbled thoughts. You are the good people who think it in a positive way
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
চানাচুর বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট!! প্রিয়তে।