![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- হোঁচট খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু থেমে যাইনি , হেরে যাব বলে তো, আর স্বপ্ন দেখিনি।
; শরীরে জ্বর, কাশি, সর্দি নিয়ে যার রাত ১২ টার সময় লিখতে বসতে মন চায়, তাকে অসুস্থ ব্যাতিত আর কিছু বলা যায় না! তবে এত্ত রোগ বহনকৃত একজন মানুষকে অসুস্থ বলাটাই স্বাভাবিক। যাই হোক, একটা প্রেম কাহিনি লিখব।
জনৈকা সুন্দরী রমণী তার ফেসবুক প্রোফাইলে গালের সাথে লাগাইয়া সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত একটা টয়লেট টিস্যুর ছবি আপলোড করেছেন। উৎসুক জনতা হিসেবে আমি দেখি তাতে ৬০/৭০ টা কমেন্ট! তাই দেখে 'মন কি যে চাইছে বল, যা দেখি তা লাইগছে ভাল' গান গাইতে গাইতে কমেন্ট পড়া শুরু করলাম।
জনৈকা সুন্দরী রমণীঃ উমাইগড! এত্ত সুন্দর টয়লেট টিস্যু! একদম নতুন মডেল। অলাবু মাই হাবি।
(যারা হাবি মানে জানেন না তাদেরকে সতর্ক করার জন্য বলছি যে, হাবি কোনমতেই হাবিব নামের সংক্ষিপ্ত রূপ নয়!)
হাবিঃ ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম (পার্ট টু) মাই ওয়াইফি। আমাকে একটু ইউজ করতে দিবা?
জনৈকা সুন্দরী রমণীঃ নাহ! দিব না! তুমি একটা দুষ্টু!
হাবিঃ প্লিচ। আমাকে একটু ইউজ করতে দ্যাও। আমি তোমাকে চকলেট দিব।
জনৈকা সুন্দরী রমণীঃ আচ্ছা দিব যাও! তুমি তাড়াতাড়ি চলে এসো কিন্তু। ওকে? <৩,৪,৫,৬,৭!
এই কিস্তি লেখা শেষ হতেই বাস্তব জীবনে,
জনৈকা সুন্দরী রমণীঃ আরে! তুমি এত্ত জায়গা নিয়ে শুইছ ক্যান? আর আজকে দুপুরেই তুমি বাসায় ক্যান চলে আসছ?
হাবিঃ শরীরটা ভাল না। ঘুম পাইছে।
জনৈকা সুন্দরী রমণীঃ ঘুমাও ভাল কথা। দিক কইরা ঘুমাইও। খবরদার! ঘোঁতর ঘোঁতর করে নাক ডাকবা না! তাইলে কনুইয়ের এক গুতায় বিছানা থেকে নিচে ফেলে দিব।
হাবিঃ আচ্ছা।
জনৈকা সুন্দরী রমণীঃ তোমার বেতন দেয় নাই? টাকা আনছ?
অতঃপর ইয়ে মানে আর মানে ইয়ে বলতে বলতে তাদের বাস্তব জীবন চলতেই থাকে। ওদিকে ফেসবুকে বাড়ে হাজার লাইক, শয়ে শয়ে কমেন্ট! হ্যাপি কাপল আফটারঅল!!!!
©somewhere in net ltd.