নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাচ্ছে জীবন যাক না কেটে/এই তো আছি বেশ

স্বাগতম সবাইকে

রজনীগন্ধা

আনন্দ পেলে খুশি হই, হাসি। কষ্ট পেলে মন খারাপ হয় তবে অনেক সময় কাঁদতে পারি না, তার পরেও সত্যি বলছি রক্ত-মাংসে গড়া এক জন মানুষ-ই আমি।

রজনীগন্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাইয়া!

১১ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

আমার জন্মের পর তোর আর আমার সম্পর্ক তৈরীর জন্যে, ভালবাসার জন্যে নাকি আমার কাছে তোকে আনা হয়েছিলো। শুনেছি খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলি। বড় কাকী তোর প্রশ্নের জবাবে ঘরের উপরের সিলিং দেখিয়ে বলছিলেন, আল্লাহ উপর থেকে ধপ করে আমাকে ফেললেন আর কাকী ধরে ফেলেছেন। এটাই তোর বোন। সেই থেকে এক সাথে বেড়ে ওঠা। যদিও তুই আমার সাড়ে চার বছর আগে দুনিয়াতে এসেছিস, তাতে কী! মার তো আমার হাতেই খেয়েছিস কতো।
আমি তোকে মেরেছি আর তুই কিছু করতে পারিসনি বলে আম্মার কাছে উল্টো বকা এবং মার খেয়েছিস, তোকে মেরে যাই আর তুই কেন কিছু বলতে পারিসনা এই জন্যে।

বিদ্যুত চলে গেলে একদিন মোম বাতি জ্বালিয়ে পড়ছিলাম। হঠাৎ কলমের নিবটা মোমের আগুনে গরম করে তোর হাতে ঠেসে ধরলাম, মনে আছে?
আমার খুব মনে আছে।
স্টিলের গ্লাস ঢিল মেরে দুই ভ্রুর জোড়া বরাবর নিচে নাকের উপর যে কেটে দিয়েছিলাম সেটা নিশ্চই মনে আছে? থাকতেই হবে, কারন দাগটা সারা জীবন তোকে বহন করতে হবে।

খুব অগোছালো তুই। ম্যাট্রিকের সময় যে বিছানায় বই উঠেছে সেটার ধারাবাহিকতা আজো আছে। ঠিক আছে না, এখন নেই। আমি সব গুছিয়ে রেখেছি। বিছানার চাদরও টান টান থাকে। কিন্তু জানিস সেই বই-পত্রতে ভরা বিছানাই ভাল ছিল। এখন খাঁ খাঁ করে কেমন যেনো। সোফায় ভাজ না করা লুংগী কিংবা বইয়ের শোকেসের উপর তোয়ালে থাকেনা এখন আর।

তুই তো আরেকবারও গিয়েছিলি, যদিও তখনকারটা আর এখনকারটা সম্পূর্ণই আলাদা। তখন এতটাই ছোট ছিলাম যে বুঝিনি সেই শুণ্যতা। সব সময়কার অভ্যেস ছিলো ভাত খাওয়ার সময় ৪টা প্লেট নেওয়া, ভুলে তখন ৩ টার বদলে ৪টাই নিতাম আর তা দেখে আম্মা কাঁদতো। আমি কী করবো, বুঝতাম না যে!

এখন বুঝিরে! রাত এগারোটা/বারোটায় আমাকে এখন আর চাবি নিয়ে নিচে নামতে হবে না। কেউ বেল বাজাবে না, আর আমিও দুদ্দাড় করতে করতে রাগে ফেটে নিচে নামবো না।

আম্মা কিছুক্ষন কাঁদে, আবার কিছুক্ষন স্বাভাবিক হয়ে যায়। আমিতো পারি না। আম্মা দেখলে তার আরো বেশী খারাপ লাগবে তাই বাথরুম ছাড়া কাঁদার জায়গা নাই। সেটাও তো নিরাপদ নয়। হয়ত চোখে মুখে পানি দিয়ে বের হবো কিন্তু বেশী কাঁদলে পানিতেও কাজ হয়না, ঠিকই বোঝা যাবে!

সব চাইতে বেশী শুণ্য লাগে ঘুমানোর সময়! আমরা সবাই ঘুমিয়ে যাবো আর তোর রুমের লাইট জ্বলবে, এটাই ছিলো স্বাভাবিক। কোনদিন তুই বাসায় না থাকলে বা আগে ঘুমিয়ে গেলে আমার ঘুমাতে সমস্যা হতো। ভয় ভয় লাগতো কেমন যেনো। এখন ভয় লাগলেও কিছু করার নেই।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

কাবিল বলেছেন: বিয়োগ ব্যাথা।
ভাল লিখেছেন।

তবে বুঝতে পারলাম না এই বিয়োগটার দুরত্ত কত দূর।

১১ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

রজনীগন্ধা বলেছেন: খুব বেশী দূর না। ৪৫-৫০ কি. মি. র মত। তার পরেও মন মানে না। আম্মাকে শান্তনা দেই এই বলে যে সপ্তাহে সপ্তাহে তো দেখতে পাবেই, টেনশন কী! কিন্তু পারছিনা নিজেকে মানাতে। চেষ্টা করে যাচ্ছি।

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

প্রামানিক বলেছেন: বিয়োগ বেদনার দুঃখ কথা। ধন্যবাদ

১১ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

রজনীগন্ধা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও

৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

বিয়োগক্রান্ত লেখা।

চমৎকার লিখেছেন। আপনার ভাইয়ার জন্য শুভকামনা।

১১ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

রজনীগন্ধা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ

৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭

শায়মা বলেছেন: :(


১১ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

রজনীগন্ধা বলেছেন: কী যে একটা হাহাকার করে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে বলে বোঝাতে পারবোনা শায়মাপু

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.