নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা প্রস্তুতি বিষয়ক একমাত্র ব্লগ

ওয়াজীহ উদ্দীন

ওয়াজীহ উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাজ: পঞ্চম: প্রথম অধ্যায়

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৬

ক. তোমার এলাকার পাঁচটি উনয়ন কর্মকাণ্ডের নাম লেখ ?

উত্তর: পাঁচটি উনয়ন কর্মকাণ্ডের নাম:

১. রাস্তাঘাট নির্মাণ, সংস্কার ও সংক্ষণ

২. পুল, সাঁকো, সেত, কালভার্ট নির্মাণ, সংস্কার ও সংরক্ষণ

৩. ধর্মীয় স্থান, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ সংরক্ষণ

৪. গাছ লাগানো, পরিচর্যা এবং সামাজিক বনায়ন

৫. এলাকার পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন রাখা

৬. ঝোঁপঝাড়, পুকরের কচুরিপানা ও ডেন পরিষ্কার করে মশা নিধনের ব্যবস্থা করা

৭. নিরাপদ পানি পান সম্পর্কে সকলকে সচেতন করা

৮. এলাকার পানি সরবরাহের উৎসের যত্ন নেওয়া

৯. খাল খননের ব্যবস্থা করে পানি নিষ্কাষণ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা

১০. এলাকায় শিক্ষার উন্নয়নের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করা এবং নিরক্ষরতা দুরীকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা

১১. এলাকার লোকজনকে আত্ননির্ভরশীল হতে সাহায্য করা বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করা ইত্যাদি।

খ. এলাকায় রা¯তাঘাট ভালো না হলে কী অসুবিধা হতে পারে ?

উত্তর: আমরা কেউ সারাদিন নিজ গৃহে অবস্থান করি না। নানা প্রয়োজনে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। এ কাজে আমরা রাস্তা, সাঁকো, সেতু ইত্যাদি ব্যবহার করি। এগুলো পর্যাপ্ত সংখ্যক না থাকলে অথবা ভালো না হলে যাতায়তে কষ্ট হয়। আমাদের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। মালামাল পরিবহণে অসুবিধা হয়। ব্যবসা বাণিজ্যের অসুবিধা হয়।

গ. এলাকায় বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা করা উচিত কেন ?

উত্তর: সুন্দর, সুস্থ জীবনযাপনের জন্য সুন্দর পরিবেশ প্রয়োজন। পরিবেশের অন্যতম উপাদান হচ্ছে গাছ। গাছপালা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। আমাদের শাস-প্রশাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন আমরা বৃক্ষ থেকে পেয়ে থাকি। জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান যেমন, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ইত্যাদি বৃ হতে আসে। অনেক প্রয়োজনীয় ওষুধ বৃক্ষ থেকে পাওয়া যায়। বৃক্ষ মাটির ক্ষয়রোধ করে। প্রচণ্ড গরমে গাছের ছায়ায় আমরা একট শীতল পরশ পাই। এসব কারণে আমাদের বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা করা উচিত।

ঘ. এলাকাবাসীকে নিরাপদ পানি ব্যবহারে সচেতন করা প্রয়োজন কেন ?

উত্তর: পানির অপর নাম জীবন। আমাদের দেশে নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর ইত্যাদিতে পানির অভাব নেই। কিন্তু রয়েছে নিরাপদ পানির অভাব। যে পানি পান বা ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয় না তাকে আমরা নিরাপদ পানি বা বিশুদ্ধ পানি বলতে পারি। এলাকার লোকজনের স্বাস্থ্যকে নিরাপদ রাখতে হলে নিরাপদ পানি পান ও ব্যবহার করতে হবে। এ ব্যাপারে এলাকার সকলকে সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব। পানি ফুটিয়ে পান করলে তা জীবনের জন্য নিরাপদ। তাই এলাকার সকলকে প্রয়োজনবোধে পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দেব। গভীর নলকূপের পানিও নিরাপদ।

ঙ. এলাকার উনয়নের জন্য আমাদের সকলের দায়িত্ব কী ?

বিভিন এলাকায় বিভিন অর্থনৈতিক অবস্থার লোক বসবাস করে। আবার প্রতিটি এলাকাতেই জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান তৈরি বা উৎপাদিত হয় না। ফল, ফল, শাকসবজি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন। এগুলো উৎপাদনের মাধ্যমে এলাকার দরিদ্র লোকজনকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা যায়। এছাড়া ফল ও শাকসবজির চাষ এলাকার লোকজনের খাদ্য ও পুষ্টির যোগান দিতে পারে। সরকারের কৃষি বিভাগ থেকে এবং অন্যান্য বেসরকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং চারা ও বীজ সরবরাহ করা হয়। এলাকায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড আয়োজনের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে স্বাস্থ্য সচেতন ও স্বনির্ভর হতে আমরা সাহায্য করতে পারি।

চ. তোমার এলাকায় কিছু লোকের হাত ও পায়ের তালুতে চর্মরোগ দেখা যাচেছ।

তোমার কী করা উচিত। সে সম্পর্কে লেখ।



উত্তর: আর্সেনিক এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ যা মাটির নিচে থাকে এবং পানির সাথে মিশে পানিকে দূষিত করে। এই পানি নলকূপের মাধ্যমে উপরে উঠে আসে। আর্সেনিকযুক্ত পানি দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে হাত ও পায়ের তালুতে এক ধরনের চর্মরোগ হয়- যা পরবর্তীতে ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে। আর্সেনিকযুক্ত পানি জীবনের জন্য হুমকি¯রূপ। অতএব এ ধরনের পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য এলাকার লোকজনকে সচেতন করব। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিভিন বেসরকারী সংস্থা আর্সেনিকযুক্ত নলকূপগুলো চিহ্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আর্সেনিকযুক্ত নলকূপগুলো লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। আমরা লাল রং এর চিহ্ন দেওয়া নলকূপের পানি পান করা থেকে এলাকাবাসীদের

বিরত থাকতে বলব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.