নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা প্রস্তুতি বিষয়ক একমাত্র ব্লগ

ওয়াজীহ উদ্দীন

ওয়াজীহ উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা: সবার আমি ছাত্র

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৬

প্রশ্ন: আকাশ, বায়ু ও পাহাড় আমাদের কী শিক্ষা দেয়?

উত্তর: ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় কবি সুনির্মল বসু প্রকৃতিতে বিরাজমান আকাশ, বায়ু ও পাহাড় থেকে আমাদের শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন।

প্রকৃতির খোলা আকাশ আমাদের উদার হতে শিক্ষা দেয়। উৎসাহ ও প্রেরণা মানবজীবনে একান্ত প্রয়োজন। জীবনে সফলতা লাভের জন্য কাজের বিকল্প নেই। বায়ু আমাদের সে শিক্ষা দিয়ে থাকে। অর্থাৎ বায়ু আমাদের কর্মী হওয়ার শিক্ষা দেয়। পাহাড় আকারে অনেক বড় হলেও নিজেকে নিয়ে বড়াই করে না। শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করে না। পাহাড় আমাদের মৌন ও মহান হওয়ার শিক্ষা দেয়।

প্রশ্ন: খোলা মাঠ কী উপদেশ দেয়?

উত্তর: কবি সুনির্মল বসু রচিত ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় খোলা মাঠের উপদেশের কথা বলা হয়েছে।

খোলা মাঠ বন্ধনহীন মুক্তাঙ্গন। মনের আনন্দে সেখানে আমরা ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াতে পারি। খোলা মাঠ উদারতার প্রতীক। খোলা মাঠ আমাদের মুক্তপ্রাণ উদার হূদয়ের অধিকারী হওয়ার উপদেশ দেয়।

প্রশ্ন: সূর্য ও চাঁদ আমাদের কী শেখায়?

উত্তর: সূর্য ও চাঁদ প্রকৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। কবি সুনির্মল বসু রচিত ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় প্রকৃতির অনন্য সম্পদ সূর্য ও চাঁদের নির্মল শিক্ষাদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

সূর্য তার নিজস্ব আলোয় সারা পৃথিবী আলোকিত করে। সূর্যের আলোয় অন্ধকার দূর হয়। সূর্য আমাদের স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে নিজস্ব প্রখরতায় মানবীয় গুণাবলিকে উদ্ভাসিত করতে শেখায়। অপরদিকে চাঁদের স্নিগ্ধতা আমাদের হূদয়কে ভাবাবেগে আপ্লুত করে। চাঁদ আমাদের মিষ্টি হাসি হাসতে এবং মধুর কথা বলতে শেখায়। অর্থাৎ এই পৃথিবীর সবকিছুকে নির্মল ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করতে শেখায় চাঁদ।

প্রশ্ন: সাগর ও নদীর শিক্ষা কী?

উত্তর: সাগরে মুক্তা ও প্রবাল পাওয়া যায়। এসব বস্তু খুব মূল্যবান। সাগর যেমন নানা রকম মণিমুক্তা ধারণ করে, তেমনি আমাদের অন্তরও সৎ গুণাবলিতে পরিপূর্ণ থাকা উচিত। সাগরের মতো আমাদের হূদয়কে রত্ন আকর হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। অর্থাৎ সাগর আমাদের সৎ চিন্তা ও সৎ কাজ করার শিক্ষা দেয়।

নদী অবিরাম বয়ে চলে। নদীর চলার কোনো শেষ নেই। নদীর গতি কখনো পেছনে ফেরে না। নদী আমাদের আপন বেগে চলতে শিক্ষা দেয়।

প্রকৃতপক্ষে সাগর ও নদী আমাদের সৎ ও গতিশীল হতে শিক্ষা দেয়।

প্রশ্ন: মাটি কীভাবে আমাদের সহিষ্ণুতা শিক্ষা দেয়?

উত্তর: সহিষ্ণুতা কথাটির অর্থ হলো সহনশীলতা। সহিষ্ণুতা মানবজীবনের একটি বিশেষ গুণ। সার্থক ও সফল জীবনের জন্য প্রত্যেক মানুষেরই এই গুণ থাকা দরকার।

আমাদের আবাসভূমি এই পৃথিবীর অন্যতম উপাদান মাটি। এই মাটির ওপর আমরা চলাফেরা করি, ঘরবাড়ি তৈরি করি, মাটির বুক চিরে আমরা ফসল ফলাই। কিন্তু মাটি কখনো আমাদের এসব কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতিবাদ করে না। আমাদের সব রকম অত্যাচার মাটি নীরবে সহ্য করে যায়। মাটি ধৈর্য ও সহ্য শক্তির প্রতীক। মাটি তার সহ্যগুণের মাধ্যমে আমাদের সহিষ্ণুতা শিক্ষা দেয়।

প্রশ্ন: ‘বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর’ এ কথার অর্থ কী?

উত্তর: পাঠশালা হলো শিক্ষা গ্রহণের স্থান। ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় কবি সুনির্মল বসু এই পৃথিবীকে শিক্ষা গ্রহণের বিশাল পাঠশালা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।

আমাদের এই পৃথিবী অনেক বড়। পৃথিবীর বিশাল প্রকৃতিতে বিরাজ করছে আকাশ, বাতাস, চন্দ্র, সূর্য, পাহাড়, নদী প্রভৃতি। এদের সবার কাছে এ সবকিছুর মধ্যে রয়েছে অনেক শিক্ষণীয় বিষয়। শুধু তাই নয়, এই পৃথিবীর প্রাকৃতিক রূপ, নানা জাতি, নানা দেশ থেকেও আমরা অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। সত্যিকার অর্থে এ পৃথিবী স্বয়ং একটি বিশাল পাঠশালা ও অফুরন্ত জ্ঞানের ভান্ডার। এর কাছ থেকে শিক্ষার শেষ নেই। ‘বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর’—এ কথার মধ্য দিয়ে কবি ওই বিষয়গুলোই বোঝাতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন: ব্যাখ্যা লেখো।

‘বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর

সবার আমি ছাত্র’...

উত্তর: আলোচ্য অংশটুকু কবি সুনির্মল বসু রচিত ‘সবার আমি ছাত্র’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে বিশ্ব প্রকৃতিকে পাঠশালার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

এ পৃথিবী অনেক বড়। পৃথিবীর প্রাকৃতিক রূপ, নানা জাতি, নানা দেশ প্রভৃতি থেকে আমরা অনেক কিছু শিক্ষালাভ করতে পারি। এ পৃথিবীকে বলা যায় একটি বিশাল পাঠশালা। এ পৃথিবী, এ প্রকৃতি থেকে আমরা বিভিন্নভাবে অনেক নতুন নতুন জিনিস শিখে নিচ্ছি। তার কাছ থেকে শিক্ষার শেষ নেই।

প্রশ্ন: ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার মূলভাব নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর: মানুষ প্রকৃতির আবহাওয়ায় লালিত সন্তান। তাই প্রকৃতির কাছে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। বিশাল আকাশের দিকে আমরা যখন তাকাই, তখন তার কাছে শিক্ষা পাই উদারতার। তেমনিভাবে বায়ুর কাছে শিক্ষা পাই কর্মী হতে, পাহাড়ের কাছে শিক্ষা পাই মৌন মহান হতে, খোলা মাঠের কাছে শিক্ষা পাই দিল-খোলা হতে। সূর্যের কাছে শিখি আপন তেজে দীপ্ত হতে, চাঁদের কাছে শিখি মধুরতা ও নম্রতা। সাগরের কাছে শিখি বিশাল অন্তরের অধিকারী হতে। আর নদীর কাছে শিখি দ্রুত বেগে ছুটতে। এমনিভাবে মাটি, পাথর, ঝরনা প্রভৃতির কাছ থেকেও আমাদের অনেক শেখার আছে। তাই এ বিশাল পৃথিবী আমাদের শেখার ও জানার এক বিরাট পাঠশালা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.