![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মহত্ লোকের জীবনী
[উপশিরোনাম: ভূমিকা, জন্মপরিচয়, শৈশব, সাধনা ও নবুয়ত, ধর্ম প্রচার, উপসংহার]
ভূমিকা: মানবসভ্যতার ইতিহাস মহাপুরুষদের সাধনা ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল। যুগে যুগে এই পৃথিবীতে আগত মহামানবদের অন্যতম হলেন ইসলাম ধর্মের নবী হজরত মুহম্মদ (সা.)। নেতৃত্ব, সততা, মহত্ত্ব, ব্যক্তিত্ব ও মানবকল্যাণের মতো অসংখ্য সুন্দর গুণের অধিকারী মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.)-কে বলা হয়ে থাকে সর্বযুগের, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, আদর্শ মহাপুরুষ এবং একজন অসাধারণ মহত্ লোক।
জন্মপরিচয়: আরবের মক্কা শহরের একটি অভিজাত বংশ কোরাইশ। ৫৭০ খ্রষ্টিাব্দে এই বিখ্যাত কোরাইশ বংশে মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর জন্ম। তঁার পিতার নাম আবদুল্লাহ এবং মাতার নাম বিবি আমিনা। মহানবী (সা.)-এর জন্মের আগেই তঁার বাবা আবদুল্লাহ পরলোকগমন করেন। ছয় বছর বয়সে তিনি মাকেও হারান।
শৈশব: পিতা-মাতা মারা যাওয়ার পর মহানবী (সা.)-এর লালন-পালনের ভার নেন তঁার দাদা আবদুল মোত্তালিব। কিছুদিন পর দাদা আবদুল মোত্তালিবও মারা যান। দাদার মৃতু্যর পর তিনি চাচা আবু তালেবের কাছে লালিত-পালিত হতে থাকেন। মহানবী (সা.) ছোটবেলায় কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা লাভ করেননি। আল্লাহ তাআলার মহিমায় তিনি প্রকৃতি থেকে জ্ঞান-শিক্ষা লাভ করেন। ছেলেবেলা থেকেই মহানবী (সা.) সত্যবাদী ও পরোপকারী ছিলেন। সত্যবাদিতার জন্য আরবের লোকেরা তঁাকে মান্য করত এবং আল আমিন বা বিশ্বাসী বলে ডাকত।
সাধনা ও নবুয়ত: হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর বয়স যখন ২৫ বছর, তখন তিনি খাদিজা নামের একজন নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি মক্কার অদূরে অবস্থিত হেরা পাহাড়ের গুহায় গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধ্যান আর সাধনার পর ৪০ বছর বয়সে তিনি হজরত জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার বাণী লাভ করেন এবং নবুয়তপ্রাপ্ত হন। মানুষের কল্যাণের জন্য আল্লাহর কাছ থেকে মহানবীর কাছে আসা বাণী ও আদেশগুলো মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনে লিপিবদ্ধ করা আছে।
ধর্ম প্রচার: নবুয়তপ্রাপ্তির পর মহানবী (সা.) আল্লাহ তাআলার মনোনীত ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে শুরু করেন। মূর্তি পূজায় মগ্ন মক্কাবাসীকে ডেকে তিনি বললেন, Èএক আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। মুহম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল।' মক্কাবাসী অনেকে তঁার কথা বিশ্বাস করলেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন। অনেকে আবার তঁার কথা শুনলেন না। বরং নানাভাবে তঁার ওপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করলেন। এমনকি তঁাকে মেরে ফেলার চষ্টোও করলেন। মহানবী (সা.) গোপনে এই খবর পাওয়া মাত্র তঁার কয়েকজন অনুসারীকে সঙ্গে নিয়ে ৬২২ খ্রষ্টিাব্দে মক্কা থেকে মদিনা হিজরত করেন। মদিনার অনেক লোক মহানবী (সা.)-এর প্রতি বিশ্বাস এনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। অবশেষে মহানবী (সা.)-এর ত্যাগ, সাধনা, ধৈর্য ও মহত্বের গুণে পৃথিবীর বুকে শানি্তর ধর্ম ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।
মহানবীর চরিত্র ও মহত্ত্ব্ব: মহানবী (সা.) ছিলেন মহান চরিত্রের অধিকারী। তিনি ছিলেন নিষ্পাপ পবিত্র ও আদর্শ মহত্ লোক। আল্লাহর প্রতি ছিল তঁার সীমাহীন অনুরাগ। অনাথ, দীন-দুঃখী মানুষের প্রতি ছিল তঁার গভীর ভালোবাসা। মানবকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ মহানবী (সা.)-এর মহত্ জীবনাদর্শ অসহায় ও দুর্বল মানুষের কাছে হলো অন্ধকারে আলো, দুঃখে সান্ত্বনা, বিপদে আশ্রয় ও রোগে মুক্তি।
উপসংহার: আদর্শ মহত্ জীবনের অধিকারী শ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.) ৬৩২ খ্রষ্টিাব্দে পরলোক গমন করেন। কিন্তু তঁার পবিত্র ও মহত্ জীবনাদর্শ জাতি-ধর্মনির্বিশেষে সব মানুষের ও অনুকরণীয় সম্পদ হয়ে থাকবে।
[অনুসরণে লেখা যায়: মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.), একজন আদর্শ মহাপুরুষ, তোমার প্রিয় মহামানব, তোমার প্রিয় ব্যক্তি]
©somewhere in net ltd.