নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতার বিরোধী একজনের রচিত গান নিয়ে এত উচ্ছ্বাস কেন?

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

১৯৭১ এ জামাত স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধিতা করায় রাজাকার হলে,১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশ সৃষ্টির বিরোধিতা করায় রবীন্দ্রনাথ কেন রাজাকার হবে না??



আর একটা রাজাকারের রচিত গান কিভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হতে পারে??



তাই অবিলম্বে রবীন্দ্রনাথ রচিত কথিত ‘জাতীয় সঙ্গীত’ বাতিল করেউম্মু রসূলিল্লাহ ত্বহিরা তইয়িবা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার রচিত সুমহান নাত শরীফ উনাকে জাতীয়ভাবে পাঠ করা হোক



১) গানটির তৈরির পটভূমি বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী:রবীন্দ্রনাথের মতো ব্রিটিশ তাবেদার হিন্দু জমিদাররা বাংলাদেশের নিরীহ কৃষকদের রক্ত চুষে খেতো। কিন্তু ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ হওয়ায় তাদের পেটে টান পড়ার সম্ভবনা দেখা দেয়। এতে কলকাতার উগ্র হিন্দুরা স্বদেশী আন্দোলনের নামে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতায় নামে। আর তাদের নেতৃত্ব দেয় হিন্দু জমিদাররা। সেই জমিদার হিসেবে ১৯০৬ সালে অতিনিকৃষ্ট হীনউদ্দেশ্যে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে ‘আমার সোনার বাংলা’ নামক গান লিখে ফেলে রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথের মতো চক্রান্তশীল উগ্র হিন্দুদের সন্ত্রাসীপনার কারণে ১৯১১ বঙ্গভঙ্গ বাতিল হয়ে যায়। সফল হয় হিন্দু শোষক শ্রেণী এবং পিছিয়ে পড়ে পূর্ববঙ্গ অধিবাসী অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশীরা।তাই যে গান তৈরির পটভূমিই বাংলাদেশীদের স্বার্থ বিরোধী, তা কি করে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হতে পারে?



২) লেখক রবীন্দ্রনাথ নিজেই বাংলাদেশ বিরোধী:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশ বিরোধী। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতা করেছিলো। বাংলাদেশ বিরোধী কোনো ব্যক্তির লেখা গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।



৩) এটা একটা নকল করা গান:‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি রচনা হয়েছিলো শিলাইদহের ডাক-পিয়ন ‘গগন হরকরা’ রচিত ‘আমি কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যে রে’ গানটির অনুকরণে।



৪) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানটির কথাগুলো ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে হিন্দুয়ানী, যা ১৯৭২ সালে গৃহীত হয়, তখন আমাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ছিলো না। কিন্তু ১৯৮৮ সালে সংবিধান পরিবর্তন করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করা হয়, যা বহাল আছে। তাই সংবিধানের ২ (ক) হিসেবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং ৪ (১) হিসেবে হিন্দুয়ানী গোছের জাতীয় সঙ্গীত পরস্পর সাংঘর্ষিক। সুইজারল্যান্ড যেহেতু খ্রিস্টান থেকে নাস্তিক হলে তার জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতে পারে, সেহেতু আমরা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলে কেন হিন্দুয়ানী জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতে পারবো না?



৫) ৪নং বক্তব্য দ্বারা জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি যে সাংবিধানিক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, তা ২০১২ সালের ১৮ই নভেম্বর হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারক শরিফ উদ্দিন চাকলাদার কর্তৃক একটি রায় দ্বারা খোলসা হয়ে যায় এবং এবং রবীন্দ্রনাথ জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা হিসেবে যোগ্যতা হারায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.