নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
বিশ্বের মুসলমানরা স্বভাবতই নবীজী (সা.)-এর দেখানো পন্থায় খেলাফত রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে। তাদের কাছে মানবরচিত কোন আদর্শই পূর্ণ তৃপ্তিকর নয়। প্রচলিত কোন মতবাদই সর্বাংশ সন্তোষজনক নয়। তারা চূড়ান্ত পর্যায়ে কেবল শরীয়াকেই কামনা করে। আর তাই বিশ্বের ১৪০ কোটি মুসলমান কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে নিজেদের জীবনব্যবস্থা পরিচালিত হতে দেখতে চায়। তারা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চরমপন্থা, উগ্রতাকে ঘৃণা করে কিন্তু অন্যায়, অসত্য, শোষণ, অমানবিকতা ও অপশাসনকেও পছন্দ করে না। আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদকে তারা চিরদিনই ‘না’ বলে এসেছে। তারা পরাধীনতাকে মনেপ্রাণে কোনদিনই মেনে নিতে পারেনি। বিধর্মী ভিন্ন সংস্কৃতি ও বিরূপ আদর্শের অন্যায় জলুম-শোষণ-শাসন তারা মেনে নিতে পারেও না। সুতরাং মুসলিম অঞ্চলে শত্রুদের রোডম্যাপ শান্তিপূর্ণ উপায়ে বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। ভারতবর্ষে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ ১৯০ বছর শাসন করেও এ দেশকে পরাভূত করতে পারেনি। ফরাসিরা আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে টিকতে পারেনি। অর্ধ শতাব্দীব্যাপী গভীর প্রচেষ্টার পর পশ্চিমা শক্তি এখন আরব উপদ্বীপ ও মধ্যপ্রাচ্যে তাদের হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে। অখ- ইরাক, শাম, হিজায, ইয়েমেন তথা কেন্দ্রীয় ইসলামী খেলাফতের নাম শুনেই আরাকান থেকে সানা পর্যন্ত উম্মতে মোহাম্মদীর রক্তে নাচন উঠছে। যাদের বুকে এখনো স্পন্দিত অন্তকরণ আছে, যাদের চেতনায় এখনো ঈমানের স্ফুুলিঙ্গ একেবারেই নির্বাপিত হয়ে যায়নি। তারা হঠাৎ করেই কেন যেন নতুন করে সচকিত হয়ে উঠেছে। বিশ্বমিডিয়ায় ব্যতিক্রমী কোন সংবাদ দেখে তারা যেন শাতিল আরবে আরবি তুর্কি ঘোড়ার ক্ষুরের আওয়াজ শুনতে পান। জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ‘বাজিছে দামামা বাধরে আমামা শির উঁচু কবি মুসলমান, দাওয়াত এসেছে নয়া জামানার ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান’ কবিতাটি নতুন করে তাদের কানে বাজে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, এমন বহু নজির রয়েছে যে, অল্পসংখ্যক মানুষের হাতে বেশিসংখ্যক মানুষ আমার হুকুমে পরাজিত হয়েছে। ইয়ারমুকের যুদ্ধে মুসলিম সৈন্য ছিল তিন হাজার আর রোমান বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল দুই লাখ। এ যুদ্ধে সাহাবায়ে কেরামই কৌশলে বিজয় লাভ করেছিলেন। মুসলিম সেনাপতি বলেছিলেন, হে আমার সৈনিকরা তোমরা কি দুই লক্ষ সুসজ্জিত রোমান সৈন্য দেখে ভয় পাচ্ছ? তোমরা কি প্রিয়নবী (সা.)-এর এ হাদীসটি শোননি, যেখানে তিনি বলেছেন যে, যারা আল্লাহর যিকির করে আর যারা আল্লাহর যিকির করে না তাদের অবস্থা হলো জীবিত ও মৃতের ন্যায়। অতএব, ঈমান ও জিকিরবিহীন দুই লাখ মৃতের সাথে যুদ্ধ করার জন্য তো আমি একাই যথেষ্ট, তবে এখানে আমি একা নই। আমরা তিন হাজার। আমার ঈমানদার ও জিকিরওয়ালা তিন হাজার সাথীকে কৌশলে ব্যবহার করে ইনশা আল্লাহ বিজয় ছিনিয়ে আনব। বর্তমান সময়েও এমন নজির দেখা যাচ্ছে তিন-চার হাজার সৈন্যের হাতে দুই লাখ সৈন্যের পর্যুদস্ত হওয়ার। বড় বড় শক্তির মারাত্মক সব অস্ত্র, বোমা ও বিমান আক্রমণের পরও বছরের পর বছর আধিপত্যবাদবিরোধী মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার। মানবাধিকার শান্তি ও স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠার জন্য সত্যের পথে সংগ্রাম পরিচালনার বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত মুসলমানরাই কায়েম করছে। আরব বসন্তের শেষ এখন নবজাগরণের শুরু। মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ এখন কূটকৌশলের চোরাবালিতে আত্মবলিদানের দ্বারপ্রান্তে। মিথ্যা অপবাদ ও জালিয়াতিপূর্ণ প্রতিবেদনের ফলে ধ্বংস করে দেয়া প্রাচীনতম সভ্যতার নিদর্শন ও অন্যায় যুদ্ধে কেড়ে নেয়া দশ লক্ষাধিক ইরাকীর জীবন কি আবার আশার প্রদীপ হয়ে জ্বলে উঠছে? একজন দেশপ্রেমিক নেতা সাদ্দাম হোসেনের দৃঢ়চিত্ত শাহাদাত কি নতুন সূর্য উদয়ে প্রেরণার কিরণ ছড়াবে? বৃহত্তর ইরাকভূমি, ঐতিহাসিক শামের মরুঝড়, লোহিত ও ভূমধ্যসাগরের ঝড়ো হাওয়া কি বাগদাদ এবং দামেস্কের ধূলিমলিন অথচ মানবেতিহাসের পরম গৌরবজনক খেলাফত শাসনব্যবস্থাকে ক্ষণিকের জন্য হলেও স্পষ্ট করে তুলবে? কে জানে, এ মুহূর্তে এসব প্রশ্নের জবাব হয়ত হ্যাঁ অথবা না। কিন্তু পবিত্র কোরআন, মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যৎ বক্তব্যে পূর্ণ হাদীস আর ওলী-আউলিয়াদের ইলহামী উক্তি যে ইরাক, সিরিয়া, হিজায, তিহামা, ইয়েমেন, খোরাসান ও হিন্দের বিষয়ে অনেক ইশারা-ইঙ্গিত দিয়েই চলেছে। মুসলিম বিশ্বের হেদায়েত ও নবসংস্কারের অন্যতম সম্রাট হযরত মাহবুবে সোবহানীর বাগদাদ, ইমাম আবু হানীফার কুফা, হাসান বসরীর বসরা, মহাত্মা ইমাম গাযযালী, ইবনে তাইমিয়্যা, ইবনুল কায়্যিম (রহ.)-এর দামেস্ক কি নতুন কোন রং নেবে? আখেরি জামানার মুজাদ্দিদ হযরত মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইমাম মাহদীর যোদ্ধাদলের আগমন আর কতদূর? আর কতদিন পর দামেস্কের জামে মসজিদের মিনারে অবতীর্ণ হবেন নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতরূপী হযরত ঈসা। ঠিক কখন পৃথিবীর সকল মানুষ ঈমান আনবে এবং কায়েম হবে বিশ্বব্যাপী এক ও অখ- ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র? নিশ্চিত এ ভবিতব্য কি খুব বেশি দূরে?
২| ২০ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: সমাজের কিছু মুখোশধারী মানবতাবাদী পশ্চাতের হত্যা খুন গুম চোখে দেখে না। বরং মুক্তিকামী মুসলমানদের জঙ্গী আক্ষা দিয়ে তাদের বিজয়ের পথকে অবরুদ্ধ করতে চায়। যা কখনোই সম্ভব নয়। কারন তাদের ষড়যন্তের বিরুদ্ধে আল্লাহ উত্তম ফয়সালা কারি।
৩| ২০ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
গুরুভাই বলেছেন: কপি পেস্ট পোস্ট দিয়া ব্লগে লাদানির জন্য, ভন্ড ছাগুরে মাইনাস..
৪| ২০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: ছি এভাবে বলে না।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আধিপত্যবাদবিরোধী মুক্তিযুদ্ধ চলছে চলুক।
বিজয়ের পথে।