নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
বর্তমান সময়ে কিছু এন্টিইসলাম আবাল নাস্তিকতার আবরণে ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে যা সাধারণ মানুষের মনে সুদুর প্রশারী প্রভাব ফেলছে।এর সাথে সাম্প্রদায়িক বিষয় জুড়ে দিয়ে ছাই চাপা আগুন উস্কে দিচ্ছে।কিন্তু তারা জানে না বাংলাদেশ একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ এখানকার মানুষ সহজ সরল কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার্। এমন একদিন আসবে যে দিন এইসব সাম্প্রদায়িক সুবিধা ভোগী গোষ্ঠির মুখোশ উন্মোচিত হবে। যাই হোক বলছিলাম নাস্তিকতা নিয়ে।এই বিষয় নিয়ে বলার বা লেখার ইচ্ছে ছিলনা কিন্তু কিছু আবাল জাতীয় প্রানী বিষয়টাকে খুচিয়ে তোলার চেষ্টায় আছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল এক নাস্তিক নামধারী আবাল আবালীয় প্রশ্ন করে বসল আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে। তাই এই লেখা। নাস্তিকরা একটা যুক্তি প্রায়ই ব্যবহার করে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে। তা হল - বিগ ব্যাঙ এর আগে কি ছিল এই প্রশ্ন যদি করে আস্তিকরা তাহলে তাদেরকে এটাও বলে দিতে হবে যে সৃষ্টিকর্তার আগে কি ছিল। বা একথাও বলে দিতে হবে যে তাকে কে সৃষ্টি করেছে। আপাত দৃষ্টিতে কথাটাকে যৌক্তিক মনে হলেও এর চেয়ে অযৌক্তিক প্রশ্ন আর হতেই পারে না। কারনটা একদম সিম্পল। এভাবে প্রশ্ন করতে থাকলে তা অসীম পর্যন্ত গিয়ে ঠেকবে ফলে কোন সমাধানেই পৌঁছানো সম্ভব হবে না। সেটাই একটু ব্যাখ্যা করতে চাই সম্পূর্ণই আমার মত করে। কিন্তু একটা কথা বলে রাখা ভাল যে যতই ভাল ব্যাখ্যা করি না কেন তারপরেও আবুল তাবুল কথাবার্তা বলে নিজেদের কাছে তালগাছটা নাস্তিকরা রাখতে পারবে। বিবর্তনবাদের সাথে সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করার মত আরেকটা তত্ব ছিল নাস্তিকদের কাছে। সেটা হল - এই মহাবিশ্বটা অনন্তকাল ধরে আছে। এর কোন শুরু বা শেষ নেই। তাই সৃষ্টিকর্তার ধারনা এনে পেঁচানোর কোন প্রয়োজনই নেই। আইনস্টাইনও এমনই মনে করতেন যদিও তার আস্তিকতার স্বপক্ষেও কিছু কথা শুনা যায়। আইনস্টাইন শুধু মনেই করতেন না, তিনি তার সমীকরণগুলোতে একটা মহাজাগতিক ধ্রুবকও যোগ করেছিলেন। পরে তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল মনে করে তা বাদও দিয়েছিলেন। এখন আমরা সবাই জানি যে এই মহাবিশ্ব স্থিতিশীল নয়, একদিন শুরু হয়েছিল, হয়ত শেষও হয়ে যাবে একদিন। আর সম্প্রসারিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর বয়সও অনন্তকাল নয়। এইখানে এসেই বেচারা নাস্তিকরা ভেজালে পরে গেছে। যেহেতু শুরু আছে তাহলে নিশ্চয়ই তার একজন সৃষ্টিকর্তাও আছে? আর কোরআন যেহেতু বলছে বিগ ব্যাঙ এর স্বপক্ষে তাহলে তো সত্যিই প্রমানিত হয়ে গেল যে সৃষ্টিকর্তা আছে, আর সেটা অন্য কেউ নয়, মোহাম্মদ যে সৃষ্টিকর্তার কথা বলেছে সেই আল্লাহই। আল্লাহ না অন্য কোন সৃষ্টিকর্তা এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছে সেটা নিয়ে পশ্চিমা নাস্তিক বিজ্ঞানীদের খুব একটা মাথা ব্যথা না থাকলেও মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা অভিজিত রায়ের ঘুমই হয় না। বেচারা কত সময় যে ব্যয় করে এই মোহাম্মদ বর্ণিত আল্লাহকে ভ্যানিশ করে দিতে তার সঠিক হিসেব কেউ দিতেই পারবে না। তবে সে অনেক ছাগলকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছে। এটাও বা কম কিসে? মানুষকে বুঝাতে পারুক আর না পারুক কিছু ছাগলকে তো রামছাগল বানাতে পেরেছে নাকি? সে তাই সফল।এমনিতেই বিবর্তনবাদ গুয়ে গোবরে ভরা তারপরে এখন যোগ হয়েছে বিগ ব্যাঙ এর সাথে গু গোবরের প্রলেপ দিয়ে তা ছাগলদের কাছে আরও ভোজ্য করে তোলার প্রতিযোগিতা। কত যে তত্ব সৃষ্টি হয়েছে হাবলের সেই আবিষ্কারের পরে তার হিসেবই নেই। একেকজন একেক ভাবে ব্যাখ্যা করছেন। কেউ টেনে আনছেন অসীম সংখ্যক মহাবিশ্বের মডেল, কেউ বলছেন বাইভারস মহাবিশ্বের কথা, কেউ ব্যাখ্যা করছেন থারমো ডায়ানামিক্সের ল দিয়ে। এরকম আরও হয়ত আছে। কিন্তু এরা কোনক্রমেই স্বীকার করতে চাচ্ছে না যে একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন। "ভ্যাকুয়াম এনার্জি। পরম শুন্যতায় এক ধরনের এনার্জি ছিল যা বিগ ব্যাঙের কারন। আর এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে মহাবিশ্ব।" একটা আন্দাজ বিজ্ঞানীদের। কেউ তা প্রমান করতে পারবে না। এক্ষেত্রে আমার মনে একটা প্রশ্ন প্রায়ই উকি দেয় আর তা হল - ১৩.৭ বিলিয়ন বছর আগেই কেন এমনটি ঘটল? আরও আগে নয় কেন? ১০০, ২০০, ৩০০ বিলিয়ন বা তারও আগে কেন এই ভ্যাকুয়াম এনার্জি তার কারিশমা দেখাল না? এই প্রশ্নের কি উত্তর আছে? থারমোডায়ানামিক্সের সেকেন্ড ল দিয়ে কেউ আবার এই মহাবিশ্বকে একটা বদ্ধ সিস্টেমের সাথে তুলনা করে ব্যাখ্যা দিচ্ছে। কিন্তু যখন প্রশ্ন করা হয় ফিজিক্সের এই ল টা আসল কোথা থেকে তখনই আবার আরও কিছু আবুল তাবুল ব্যাখ্যা জুরে দেয়া হয় নয়ত প্রশ্ন করা হয় তাহলে বলেন সৃষ্টিকর্তা আসল কোথা থেকে? মহাবিশ্ব নামক এই বদ্ধ সিস্টেমটা কেন ঠিক ১৩.৭ বিলিয়ন বছর আগেই তার ক্রিয়াকলাপ শুরু করল এমন প্রশ্নেরই বা উত্তর কি দিতে পারবে নাস্তিকরা? আগে যেমন মনে করা হত যে এই মহাবিশ্ব অনন্তকাল ধরে আছে সেটাই আসলে সুবিধাজনক ছিল। খুব সহজেই অস্বীকার করা যেত সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে, যত ঝামেলা পাকিয়েছে ঐ এডুইন হাবল। অভিজিত রায়দের মাথা নষ্ট করে ফেলেছে। আমি এই সিদ্ধান্তে আসতে চাই যে, আগে যেমন বলা হত এই মহাবিশ্বের কোন শুর নেই সেটা হয়ত যৌক্তিক ছিল। কারন "তার আগে কি ছিল" টাইপের প্রশ্ন আর করা সম্ভব ছিল না। সবাই একটা সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারত। সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকেও অবলীলায় অস্বীকার করা যেত। কিন্তু যেহেতু শুরু আছে আর সৃষ্টিকর্তা বাদে অন্য কিছু দিয়ে কোনক্রমেই তা ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না বা করলেও তা প্রমান করার কোন উপায় নেই তাই নাস্তিকদের উচিত কোনক্রমেই এরকম করে আবুল তাবুল কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত না করা। শুর যেহেতু আছে তাই সৃষ্টিকর্তাও আছে। সৃষ্টিকর্তার কোন শুরু আছে কিনা এমন প্রশ্ন করলে তা অসীমে গিয়ে ঠেকবে। আমাদের একটা জায়গায় গিয়ে থামতেই হবে যেমন আগে মানুষরা থামত অনন্তকাল ধরে চলতে থাকা মহাবিশ্বের কথা বলে। এক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া ভাল কোন ব্যাখ্যা নেই।আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহ অহেদাহু লা শারিকালা।
©somewhere in net ltd.