নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ: ভারতীয় আগ্রাসন টার্গেট মুসলমান

২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:০৯

শেখ হাসিনার উপর ভারতীয় নেতাদের প্রগাড় আস্থা। কারণ শেখ হাসিনা ভারতকে যতটা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে তা অন্য কোন দেশ থেকে পেতে হলে ভারতকে যুদ্ধ করতে হতো বা সেদেশের অর্থনীতিতে বিশাল বিনিয়োগ করতে হতো। যেরূপ পশ্চিম ইউরোপীয় দেশসমুহ ও জাপানকে বন্ধু রূপে পেতে মার্কিনীরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেসব দেশের পুননির্মাণে বহু বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। অথচ ভারত বাংলাদেশ থেকে সেটি পেয়েছে কোনরূপ অর্থব্যয় না করেই। কারণ চাকর বাকর পেতে বড় কিছুই বিনিয়োগ করতে হয় না। তারা ভাবে, এজন্য কিছু উচ্ছিষ্ট ব্যয়ই যথেষ্ঠ। ভারতীয় বর্ণহিন্দুরা শেখ মুজিব, শেখ হাসিনা বা কোন বাঙালী মুসলমানকে কোনকালেই কি চাকর বাকরের চেয়ে বেশী কিছু ভেবেছে? ভারতের মুসলমানদেরও কি তারা তেমন কিছু ভাবে? সংখ্যায় তারা জনসংখ্যার শতকরা ১৬ ভাগ হলে কি হবে,সরকারি চাকুরিতে মুসলমানদের হিস্যা শতকরা ৪ ভাগেরও কম। পাশের পশ্চিম বাংলার মুসলমানদের বঞ্চনা তো আরো করুণ।তারা সেখানে শতকরা ২৮ভাগ, অথচ সরকারি চাকুরিতে তাদেরকে শতকরা ৫ ভাগও দেয়া হয়নি।ভারতের একমাত্র বিনিয়োগ বাংলাদেশের রাজনীতি ও মিডিয়াতে। সেটি দেশের রাজনীতি,সংস্কৃতি, বুদ্ধিবৃত্তি,মিডিয়া, প্রশাসন ও সেনাবাহিনীতে ভারতসেবী বিশাল দাসবাহিনী প্রতিপালনে। এরূপ বিনিয়োগের ফলেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মুসলমানদের পিটাতে একাত্তরের ন্যায় নিজ দেশের সেনাবাহিনী নামাতে হচ্ছে না।প্রতিপালিত দাসরাই সেটি করছে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ভারতের মূল স্ট্রাটেজী হলো, বাংলাদেশের বুকে ভারতীয় দাসদের শাসন প্রতিষ্ঠা। সেরূপ এক দাসশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই ভারত একাত্তরে প্রকান্ড একটি যুদ্ধ লড়েছিল।তাদের সে যুদ্ধটির লক্ষ্য ভারতের পূর্ব সীমান্তে পাকিস্তানের ন্যায় আরেক স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা ছিল না। এ বিষয়ে ভারতীয় নেতাদের বক্তব্য আজও সুস্পষ্ট।২০০৮ সালে হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে ভারতের ষড়যন্ত্র ও বিনিয়োগটিও ছিল বিশাল। তাকে আবার ক্ষমতায় আনতে ভারত অবিরাম চালিয়ে যাচ্ছে প্রকান্ড এক প্রচারযুদ্ধ। আসামের দৈনিক নববার্তা পত্রিকাটি গত ২১/১০/২০১৩ তারিখে প্রথম পৃষ্ঠায় লিড খবর ছাপে যে,হাসিনাকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার জন্য ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভারত এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। উক্ত পত্রিকায় ভাস্কর দেব আরো রিপোর্ট করে,ভারত গত ২০০৮ সনের নির্বাচনে ৮ শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল। বলা হয়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি নির্বাচনেই ভারত বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে।ভারতের বাংলাদেশ ভীতি: প্রশ্ন হলো, আওয়ামী লীগের পিছনে ভারতের এরূপ বিনিয়োগের হেতু কি? হেতু,স্বাধীন বাংলাদেশ-ভীতি। ভারত ভয় পায় বাংলাদেশের ১৫ কোটি মুসলমানের ইসলামের মৌল বিশ্বাস নিয়ে বেড়ে উঠা নিয়ে। ইতিহাসের ছাত্র মাত্রই জানে,১৯৪৭য়ে হিন্দুদের অখন্ড ভারত নির্মাণের স্বপ্নকে যারা ধুলিতে মিশিয়ে দিয়েছিল তারা পাঞ্জাব, সিন্ধু, সীমান্ত প্রদেশ,উত্তরপ্রদেশ,বিহার বা অন্যকোন স্থানের মুসলমান নয়,তারা ছিল বাংলার মুসলমান। ১৯০৬ সালে ঢাকায় মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা থেকে ১৯৪০ সালে লাহোরে পাকিস্তান প্রস্তাব-পাশ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন পর্যন্ত প্রতিটি পর্বে যারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তারা ছিল এই বাংলার মুসলমানই। সে সময় মুসিলীম লীগের মূল দুর্গটি ছিল বাংলায়। আজও সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার বুকে যে ভূখন্ডটিতে সবচেয়ে বেশী মুসলমানের বাস সেটিও পাঞ্জাব, সিন্ধু, আফগানিস্তান নয়, বরং সেটি বাংলাদেশ। আর যেখানে এত মুসলমানের বাস সেখানে ইসলামের জাগরণের ভয় থেকেই যায়। কারণ সিংহের ঘুম যত দীর্ঘই হোক,সেটি মৃত্যু নয়। একসময় সে ঘুম ভেঙ্গে যায়। বাংলার মুসলমান সাতচল্লিশে জেগে উঠেছিল। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর আবার ঘুমিয়ে পড়িছিল। আর সে ঘুমের ঘোরেই ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশে ঢুকে তার দাসদের সহায়তায় বিরাট সর্বনাশটি করেছিল। কিন্তু বাংলার মুসলমানগণ যে আবার জেগে উঠেছে সে আলামত তো প্রচুর। আর তাতেই ভয় ধরেছে ভারতের।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:৪৬

পাউডার বলেছেন:
চাগল

২| ২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ৩:২৫

ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: হতেও পারে

৩| ২১ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সিংহের ঘুম যত দীর্ঘই হোক,সেটি মৃত্যু নয়। একসময় সে ঘুম ভেঙ্গে যায়। বাংলার মুসলমান সাতচল্লিশে জেগে উঠেছিল। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর আবার ঘুমিয়ে পড়িছিল। আর সে ঘুমের ঘোরেই ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশে ঢুকে তার দাসদের সহায়তায় বিরাট সর্বনাশটি করেছিল। কিন্তু বাংলার মুসলমানগণ যে আবার জেগে উঠেছে সে আলামত তো প্রচুর। আর তাতেই ভয় ধরেছে ভারতের।

দাসদের নির্মুল করাগেলেই দাসভিত্তিক সাম্রাজ্যবাদার মাজা ভেঙ্গে যাবে।

ভাদা-ভাকুরা ৭১এর রাজাকেরর মতোই ঘৃন্য!!!!!

৪| ২১ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৪০

ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: সুযোগ সন্ধানীরা সবসময়ই সুযোগের অপেক্ষায় থাকে আর কিছু ভন্ড রাজনীতির নামে নিজের আখের গোছাতে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে বিপদে ফেলে দেশকেই বিক্রি করে দেয়।এই সব সুযোগ সন্ধানীদের থেকে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।

৫| ২১ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

স্বপ্নের ফেরিওয়ালা নিলয় বলেছেন: হক কথা

৬| ২১ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: হক কথা সবসময় ভাল লাগেনা .

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫১

নির্মাল্য বলেছেন: ভাল কথা পারলে সশস্ত্র আক্রমণের চেষ্টা করুন,না পারলে পাগলের প্রলাপ বন্ধ করুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.