নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের বুক ছিড়ে সৃষ্টির পথে এশিয়ার নতুন ইসরাইল....."" জুম্মল্যান্ড""

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ২:০৫

"স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।”



বিদেশী অর্থে পরিপুষ্ট বহু এনজিও পার্বত্য জেলায় সক্রিয়। এদের বেশির ভাগই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে ধর্মান্তরিত করছে খ্রিষ্টান ধর্মে। ধর্মান্তরিত হতেই পারেন, ধর্ম পালন করা অবশ্যই আপনার নিজস্ব ব্যাপার।। তবে এর আড়ালে কি হচ্ছে? খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সাজেক ইউনিয়ন, নৈসর্গিক সৌন্দর্য মণ্ডিত এই উপত্যকায় পৌঁছতে খাগড়াছড়ি বা রাঙ্গামাটি শহর থেকে দু’দিন লাগে। এই ইউনিয়নের ২০টি গ্রামে খেয়াং, বম, পাংখু, লুসাই উপজাতির ১০ হাজার মানুষের বাস। ২০ বছর আগেও এখানে খ্রিষ্ট ধর্মের নামগন্ধ ছিল না। উপজাতীয়দের ভাষা, সংস্কৃতি সবই ছিল।আজ কিছুই নেই। শুধু ইংরেজিতে কথা বলাই নয়, সেখানকার অধিবাসীরা গিটার বাজিয়ে ইংরেজি গান গায়, মেয়েরা পরে প্যান্ট-শার্ট স্কার্ট। তাদের দেখে মনে হয় যেন বাংলার বুকে

"একখণ্ড ইউরোপ!!!" দীর্ঘ দিন ধরে এই এলাকায় খ্রিষ্টানেরা অনেক কৌশল ও টাকা ব্যয়ে ধর্মান্তরিত করে চলেছে। পাংখু উপজাতি পুরোপুরি খ্রিষ্টান হয়ে গেছে, বদলে গেছে তাদের ভাষা, এমনকি হরফও ইংরেজি। এনজিওর নাম ধারণ করে খ্রিষ্টানেরা এই দুর্গম এলাকায় হাসপাতাল, বিনোদন কেন্দ্র, গির্জা ইত্যাদি গড়ে তুলেছে।

এত কথা কেন?

► পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদান যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া ও সুদানের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দুটি দেশ থেকে পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানকে বিচ্ছিন্ন করে পৃথক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দেয়া হয়েছে।



কিভাবে?

► তিমুরবাসীর দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে পাশ্চাত্যের এনজিওরা দ্বীপটিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছে, দ্বীপবাসীকে খ্রিস্টান বানিয়েছে এবং সবশেষে দাবি তুলেছে স্বাধীনতার। এর সমর্থনে ছুটে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো। সঙ্গে থেকেছে জাতিসংঘ।

► মুসলিম রাষ্ট্র সুদানের দক্ষিণাঞ্চলেও পাশ্চাত্যের দেশগুলো দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে একই ধরনের তত্পরতা চালিয়েছে। দরিদ্র মুসলমানদের তারা খ্রিস্টান বানিয়েছে। এই ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানরা স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেছে। সেখানেও জাতিসংঘই সামনে থেকেছে।কিন্তু, কাশ্মির, মিন্দানাও, আরাকান, আচেহ, চেচনিয়া, দাঘেস্তান, ফিলিস্তিন ও জিনজিয়াং অঞ্চলের মুক্তিকামী জনতা আদৌ জাতিসংঘের অধীনে স্বাধীনতা পাবে কি না, সন্দেহ।

► সেভেন সিস্টার নামে খ্যাত মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রভৃতি ভারতীয় রাজ্যের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এখন ধর্মান্তরিত খ্রিষ্টান।

► জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহ ইঙ্গিত দিচ্ছে, খ্রিষ্টান অধ্যুষিত ইউরোপীয় দাতাগোষ্ঠী ও এনজিওরা পার্বত্য চট্টগ্রামকে টার্গেট করে এগোচ্ছে। প্রায় দু’বছর স্থগিত থাকার পর ইউএনডিপি এই বছর রাঙ্গামাটি, বিলাইছড়ি, বান্দরবান ও থানচিতে ২০ লাখ মার্কিন ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

► শিশুদেরও খ্রিষ্টান করার অপতৎপরতা চালাচ্ছেন পাদ্রিরা। তারা আটটি জেলায় কমপক্ষে ৩০-৪০টি নার্সারি স্কুল খুলেছেন। ক্লাসরুমে যিশুর প্রতিকৃতিসহ খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতির ছবি ও অনুষঙ্গ রাখা হয়। এগুলো দেখিয়ে শিশুদের খ্রিষ্টান ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান দেয়া হয়।

► পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত অস্ত্র ও মাদকের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

► তবে পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া আর সুদানের স্বৈরশাসনও কম দায়ী ছিল না। তারা এমন শাসন চাপিয়ে দিয়েছিল, তার ফলে শান্তিকামী, সমঝোতাকামী মানুষেরাও এগিয়ে আসতে পারেনি। অনেকটা তাই হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে।যুদ্ধ হয়েছিল এই দেশের জন্য, একেকটা মাটির কনা ধরে রাখার জন্য। পূর্ব তিমুর, দক্ষিণ সুদানের পর পার্বত্য চট্টগ্রাম ও হয়তোবা এভাবে হয়ে যাবে স্বাধীন রাষ্ট্র!!সৃষ্টি হবে নতুন ইসরাইল!... ।। 

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:০২

পাউডার বলেছেন:
ফালতু কথা। ওদের মুসলিম বানাতে আপনাকে মানা করেছে কে? ইসলামে ধর্মের উপর জোর জবরদোস্তি নাই।

এবং ইসলামে মিথ্যা বলা নিষেধ।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:৩৮

ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: এখানে ইসলাম ও মুসলিম নিয়ে কথা হয় নাই। কথা হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব নিয়ে। মুলতঃ ভারত মায়ারমার এবং পশ্চিমা বিশ্ব চাচ্ছে আসাম ত্রিপুরার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জন গোষ্ঠিকে একটি নির্দিষ্ট স্বাধীন ভুখন্ড দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার উপর নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ . ন

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ব্যাপারটা খেয়াল করা উচিৎ সরকারের

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৮

মোঃ রাশেদ এয়াকুব বলেছেন: আপনার বক্ত্বব্য যুক্তি নির্ভর। বাস্তব অবস্থা ই তুলে ধরেছেন। তারা এখন বাাংলিদের বিষ চোখে দেখে। তথাকথিত উদারতাবাদীরা একদিন পেদানি খেলে আ্পনার কথা মানতে বাধ্য হবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.